বাংলা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
বাংলা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বুধবার, ৩ আগস্ট, ২০২২

ও আজ যেখানে বসেছে সেখানে তােমাদের তলােয়ার পৌছায় না কার সম্পর্কে কে একথা বলেছেন এ বক্তব্যের তাৎপর্য কী

একাদশ শ্রেণী বাংলা প্রশ্নোত্তর xi class 11 Bengali Question answer ও আজ যেখানে বসেছে সেখানে তােমাদের তলােয়ার পৌছায় না কার সম্পর্কে কে একথা বলেছেন এ বক্তব্যের তাৎপর্য কী o aaj jekhane boseche sekhane tomader toloyar pouchay na kar somporke ke akotha bolechen a boktboer tatporjo ki


উত্তর : রবীন্দ্রনাথের ‘গুরু’ নাটকের শেষ দৃশ্যে মহাপঞ্চক সম্পর্কে এ কথা বলেছেন দাদাঠাকুর ।

[        ] মহাপঞক নিষ্ঠাবান ও মহাজ্ঞানী অচলায়তনিক । তিনি শৃঙ্খলাপরায়ণ । সনাতন ধর্ম, আচার - অনুষ্ঠান, মন্ত্র ও জপতপের প্রতি তিনি গভীর বিশ্বাসী । অচল , অটল ও অনড় । কঠিন জ্ঞানচর্চায় নিষ্ঠাবান তাপস । ঈশ্বরের প্রতি তাঁর বিশ্বাস এমন স্থির ও দৃঢ় যে , তাঁর মধ্যে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব নেই । সামান্যতম দোলাচল মনােভাব নেই । নিষ্ঠা,দৃঢ়তা, সংযম ও জিতেন্দ্রিয় শক্তি তাঁকে এমনই মনােবল দিয়েছে যে, তিনি বলেছেন , ‘আমি আমার ইন্দ্রিয়ের সমস্ত দ্বার রােধ করে এই যে বসলুম — যদি প্রায়ােপবেশনে মরি তবু তােমাদের হাওয়া তােমাদের আলাে লেশমাত্র আমাকে স্পর্শ করতে দেব না ।’ যূনকদের অস্ত্র যে তাঁকে স্পর্শ করতে পারবে না , সেই ব্যাপারে দাদাঠাকুর বলেছেন , ‘ও আজ যেখানে বসেছে সেখানে তােমাদের তলােয়ার পৌছায় না ।’ এমনই মহাজ্ঞানী , মহাতাপস । 




বুধবার, ৬ জুলাই, ২০২২

গ্যালিলিও MCQ প্রশ্ন ও উত্তর [ একাদশ শ্রেণী ]

 

একাদশ শ্রেণী গ্যালিলিও MCQ প্রশ্ন ও উত্তর  class xi 11 eleven Bengali gelilio mcq questions answer


১। গালিলিও কখন কেন জ্যোতিষ চর্চা করতেন ? 


ক) ১৫৯২ খ্রিস্টাব্দে ছাত্রদের অনুরোধে 


খ) ১৫৯২ খ্রিস্টাব্দে মঠের সন্ন্যাসীদের আদেশে


গ) ১৫৯২ খ্রিস্টাব্দে পিতার আদেশে


ঘ) প্রিয় ছাত্রদের মায়ের আগ্রহে 



উত্তর : ঘ) প্রিয় ছাত্রদের মায়ের আগ্রহে 


২। ‘গালিলিও’ কি জাতীয় প্রবন্ধ ? 


ক) বিজ্ঞান চিন্তা 


খ) ভাষণ


গ) জীবন কথা


ঘ) শ্রদ্ধাঞ্জলি



উত্তর : গ) জীবন কথা


৩। পাডুয়াতে গালিলিওর প্রিয় ছাত্র কে ছিল ? 


ক) Cosmo


খ) বেনেডিকটিন


গ) বেলারিমিন


ঘ) এনজেল



উত্তর : ক) Cosmo


৪। গালিলিওকে শেষ অবধি মঠ ছাড়তে হল । কারণ ? 


ক) তিনি মঠের শৃঙ্খলা মেনে চলতে চাননি


খ) তাঁর পিতার আপত্তি এবং তাঁর দৃষ্টিশক্তির ক্ষিনতা 


গ) গালিলিও সন্ন্যাস নেওয়ার জন্য অর্ধেয হয়ে পড়েন


ঘ) সংসারের প্রয়োজনে তাঁকে বাড়িতে ফিরতেই হত 



উত্তর : খ) তাঁর পিতার আপত্তি এবং তাঁর দৃষ্টিশক্তির ক্ষিনতা 


৫। ‘ গালিলিওর ওপর ভার পড়ল দূরবীন জোগান দেবার ।’ কারণ ? 


ক) তিনি অত্যন্ত স্বল্পমূল্যে উচ্চমানের দূরবীন সরবরাহ করতেন 


খ) সে সময়ে নৌবাহিনীর শক্তিশালী দূরবীনের প্রয়োজন ছিল 


গ) গালিলিও নিজের হাতে উচ্চ ক্ষমতাশালী দূরবীন তৈরি করতেন 


ঘ) গালিলিও ছিলেন নৌবাহিনীর উচ্চপদস্থ এক কর্মী 



উত্তর : খ) সে সময়ে নৌবাহিনীর শক্তিশালী দূরবীনের প্রয়োজন ছিল




৬। ‘সেই গ্রিক দার্শনিকের কথা সকলেই মাথা পেতে নেয় নির্বিচারে’ সেই দার্শনিকের নাম ? 


ক) গালিলিও


খ) অ্যারিস্টটল


গ) মাইকেল এঞ্জেলো 


ঘ) কোপারনিকাস 



উত্তর : খ) অ্যারিস্টটল


৭। গালিলিও ডাক্তারিতে যখন ভরতি হন তখন তাঁর বয়স ছিল ? 


ক) আঠারো


খ) পনেরো


গ) ষোলো


ঘ) সতেরো



উত্তর : ঘ) সতেরো


৮। ‘বাড়ি হয়ে উঠল ফ্যাক্টরি , কারুশালা’ এখানে যার বাড়ির কথা বলা হয়েছে তিনি বলেন ? 


ক) টলেমি


খ) কোপারনিকাস


গ) গালিলিও


ঘ) বেলারিমিন 



উত্তর : গ) গালিলিও


৯। গালিলিওর দূরবীনে ধরা পড়েছিল ? 


ক) মঙ্গলের উপগ্রহ


খ) বৃহস্পতির চাঁদের ছবি 


গ) পৃথিবীর নক্ষত্র


ঘ) মঙ্গলের চাঁদের ছবি



উত্তর : খ) বৃহস্পতির চাঁদের ছবি


১০। ‘১৬০৯ সালে ঘটল এক নতুন ব্যাপার’ নতুন ব্যাপারটি হল ? 


ক) দূরবীন আবিষ্কার


খ) আহ্নিকগতি আবিষ্কার


গ) অণুবীক্ষণ যন্ত্র আবিষ্কার


ঘ) চশমা আবিষ্কার



উত্তর : ক) দূরবীন আবিষ্কার




১১। গালিলিও দেহত্যাগ করেন ? 


ক) ১৬৪২ খ্রিস্টাব্দের ৮ জানুয়ারি


খ) ১৬৪০ খ্রিস্টাব্দের ৮ জানুয়ারি


গ) ১৬৪৩ খ্রিস্টাব্দের ৮ জানুয়ারি


ঘ) ১৬৪৫ খ্রিস্টাব্দের ৮ জানুয়ারি



উত্তর : ক) ১৬৪২ খ্রিস্টাব্দের ৮ জানুয়ারি


১২। গালিলিও চিঠিতে লিখলেন অবসর ও সাহায্য পেলে অনেক বেশি কি করতে পারবেন ? 


ক) কাজ করতে পারবেন


খ) পরীক্ষা ও আবিষ্কার করতে পারবেন 


গ) অধ্যয়ন ও অধ্যাপনা করতে পারবেন 


ঘ) লেখাজোখা করতে পারবেন 



উত্তর : খ) পরীক্ষা ও আবিষ্কার করতে পারবেন 


১৩। গালিলিওর জীবনের শেষ ৯ বছর কীভাবে কাটে ? 


ক) আনন্দ আমোদে


খ) খুশিতে পরম তৃপ্তিতে 


গ) সামান্য দুঃখে কষ্টে


ঘ) অশেষ দুঃখে কষ্টে 



উত্তর : ঘ) অশেষ দুঃখে কষ্টে


১৪। গালিলিও কোন শহরে অধ্যাপনা করতে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করতেন ? 


ক) পাডুয়া


খ) পিসা


গ) ফ্লোরেন্স


ঘ) রোম



উত্তর : গ) ফ্লোরেন্স


১৫। গালিলিও পিতা কোন বিষয়ের ওপর একাধিক বই লিখেছেন ? 


ক) সংগীত তত্ত্ব


খ) পুরাণ


গ) সাহিত্য তত্ত্ব


ঘ) গণিত তত্ত্ব



উত্তর : ক) সংগীত তত্ত্ব




১৬। গালিলিও দেখলেন বৃহস্পতিকে কি প্রদক্ষিন করছে ? 


ক) ৫টি উপগ্রহ 


খ) ৪টি উপগ্রহ


গ) ৩টি উপগ্রহ


ঘ) ২টি উপগ্রহ



উত্তর : খ) ৪টি উপগ্রহ


১৭। যিনি গালিলিওর হিতাকাঙ্খি ও সুহৃদ ছিলেন তিনি কে ? 


ক) রোমান পোপ


খ) ডোমেনিকান সম্প্রদায়ের সন্ন্যাসীরা


গ) কার্ডিনাল বেলারিমিন 


ঘ) চার্চের যাজকেরা



উত্তর : গ) কার্ডিনাল বেলারিমিন 


১৮। গালিলিওর যখন মারা গেলেন তখন তাঁর বয়স হয়েছিল কত ? 


ক) ৭৭ বছর 


খ) ৭৮ বছর


গ) ৭৯ বছর


ঘ) ৮০ বছর



উত্তর : ক) ৭৭ বছর 


১৯। গালিলিওর কি স্বভাব ছিল ? 


ক) পূর্বসুরীদের পথ চোখ বুজে অনুসরণ করা 


খ) যুক্তিতর্কের প্রতি প্রবণতা


গ) যুক্তিহীনতার বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়া 


ঘ) ভ্রান্ত ধারণার পক্ষে নিজের মত প্রতিষ্ঠা করা 



উত্তর : খ) যুক্তিতর্কের প্রতি প্রবণতা


২০। গালিলিওর অদ্ভুত অধ্যাবসায় গুণে কীসে তাঁর প্রতিষ্ঠা এল ? 


ক) প্রজ্ঞায় ও উদ্ভাবনী কাজে 


খ) জ্ঞানে ও বুদ্ধিমত্তায় 


গ) সৃজনশীলতায়


ঘ) গণিত ও পদার্থবিদ্যা অনুসন্ধানে 



উত্তর : ঘ) গণিত ও পদার্থবিদ্যা অনুসন্ধানে 





২১। নবীন বিজ্ঞানীকে প্রথমে ভুগতে হয়েছিল কি জন্য ? 


ক) অর্থকষ্টের জন্য


খ) গবেষণাগার না পাওয়ার জন্য


গ) অমিতব্যয়ীর জন্য 


ঘ) বিষয়ের সঙ্গে মানিয়ে না নিতে পারার জন্য 



উত্তর : ক) অর্থকষ্টের জন্য


২২। গালিলিওকে কারারুদ্ধ করা হবে , কারণ ? 


ক) তিনি যদি তাঁর ধর্মবিরোধী বিশ্বাস আঁকড়ে থাকেন 


খ) তিনি যদি তাঁর মত প্রচার ও আলোচনা বন্ধ করতে অস্বীকৃত হন 


গ) তিনি যদি তাঁর নীতিতে অটল থাকেন 


ঘ) তিনি যদি পোপকে অগ্রাহ্য করেন 



উত্তর : খ) তিনি যদি তাঁর মত প্রচার ও আলোচনা বন্ধ করতে অস্বীকৃত হন


২৩। গালিলিওর অল্প বয়স থেকে ঝোঁক ছিল কীসে ? 


ক) পুরানানুকরন করে কাজ করতে


খ) আপ্তবাক্যে বিশ্বাস করে জীবন গড়ে তুলতে 


গ) হাতেকলমে করে দেখতে 


ঘ) ভাবাবেগে কোনো কিছু করতে 



উত্তর : গ) হাতেকলমে করে দেখতে


২৪। গালিলিও ডাক্তারি পড়া ছেড়ে কি পড়তে শুরু করেন ? 


ক) রসায়ন ও জীববিদ্যা


খ) গণিত ও পদার্থবিদ্যা 


গ) দর্শন ও তর্কবিদ্যা 


ঘ) পরিবেশ ও সমাজবিজ্ঞান 



উত্তর : খ) গণিত ও পদার্থবিদ্যা 


২৫। গালিলিওর ছোটো ভাই এর নাম কি ? 


ক) রাফায়েল


খ) মাইকেল ক্লাক


গ) মাইকেল এঞ্জেলো


ঘ) পেত্রাক


উত্তর : গ) মাইকেল এঞ্জেলো




২৬। গালিলিও দূরবীন আবিষ্কার করেন কখন ? 


ক) ১৬০৯ খ্রিস্টাব্দে 


খ) ১৬১৯ খ্রিস্টাব্দে 


গ) ১৬৯৯ খ্রিস্টাব্দে 


ঘ) ১৬৬৯ খ্রিস্টাব্দে 



উত্তর : ক) ১৬০৯ খ্রিস্টাব্দে 


২৭। বিশ্বসমীক্ষার এক প্রধান যন্ত্র কি ? 


ক) অণুবীক্ষণ


খ) বাইনোকুলার 


গ) দূরবীন 


ঘ) ক্যামেরা 



উত্তর : গ) দূরবীন 


২৮। টলেমির মতাদর্শ অনুযায়ী পৃথিবী কি ?


ক) গতিময়


খ) চলমান


গ) সচল


ঘ) অচল 



উত্তর : ঘ) অচল 


২৯। গালিলিওর জন্ম কোথায় ? 


ক) ফ্লোরেন্সে


খ) ভেনিসে


গ) পিসা শহরে 


ঘ) রোম নগরীতে 



উত্তর : গ) পিসা শহরে



৩০। ধার্মিকেরা দূরবীনের ভিতর দিয়ে দেখতে চাইলেন না , কারণ ? 


ক) পাছে ধারণা পালটে যায়


খ) পাছে মত বদলে যায়


গ) পাছে বিশ্বাস টলে যায় 


ঘ) পাছে মনে আঘাত লাগে 



উত্তর : গ) পাছে বিশ্বাস টলে যায়





শিক্ষার সার্কাস MCQ প্রশ্ন ও উত্তর

 

একাদশ শ্রেণী বাংলা শিক্ষার সার্কাস MCQ  প্রশ্ন ও উত্তর class xi Bangla Kobita Shikhar sarkas MCQ question answer

১। " শিক্ষার সার্কাস  " কবিতাটির অনুবাদক কে ?


ক) উৎপল কুমার বসু


খ) শঙ্খ ঘোষ


গ) শক্তি চট্টোপাধ্যায়


ঘ) সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়


উত্তর :- ক) উৎপল কুমার বসু

২।  " শিক্ষার সার্কাস  " কবিতাটির রচয়িতা কে ?


ক) আইয়াপা পানিকর


খ) আইয়াপ্পা পানিকর


গ) আইয়াপ্পা পানিক্কর


ঘ) আইয়াপ পানিকর



উত্তর :- খ) আইয়াপ্পা পানিকর



৩। " শিক্ষার সার্কাস  " কবিতায় ক"টি শ্রেণীর উল্লেখ আছে ?


ক) চারটি


খ) ছয়টি


গ) তিনটি


ঘ) একটি



উত্তর :- ক) চারটি




৪। " শিক্ষার সার্কাস  " কবিতায় কবির মতে " শিক্ষা " আসলে কি ?


ক) সিনেমা


খ) গল্প


গ) সার্কাস


ঘ) আদর্শ



উত্তর :- ঘ) আদর্শ




৫। " শিক্ষার সার্কাস  " কবিতা টি কোন ভাষার কবিতা ?


ক) তামিল


খ) তেলেগু


গ) মালায়ালম


ঘ) কন্নড়



উত্তর :- গ) মালায়ালম


৬। জ্ঞান যেখানে গেছে সেখানে কি আছে ?


ক) শিক্ষা


খ) বিশ্বাস


গ) আদর্শ


ঘ) ধোঁকা



উত্তর :- ঘ) ধোঁকা



৭। " সব শিক্ষা একটি সার্কাস " কারণ ?


ক) শিক্ষার সাহায্যে আমরা একের পর এক শ্রেণীতে উঠি


খ) এ খানে নানা রকম খেলা শেখানো হয়


গ) বই না পড়লে সার্কাসে নাম লেখানো যায় না


ঘ) সার্কাস দেখতে হলে প্রথম শ্রেণীতে পাস করা দরকার



উত্তর :- ক) শিক্ষার সাহায্যে আমরা একের পর এক শ্রেণীতে উঠি




৮। "  যদি আমি দ্বিতীয় শ্রেণী পাস করি " তাহলে কি হবে ?


ক) আমি চতুর্থ শ্রেণীতে যাব


খ) আমি পুরষ্কার পাব


গ) আমি সোজা তৃতীয় শ্রেণীতে যাব


ঘ) আমি শিক্ষকের কাছে বাহবা পাব



উত্তর :- গ) আমি সোজা তৃতীয় শ্রেণীতে যাব




৯। সব শ্রেণী শেষ হওয়ার পর কে কোথায় যাবেন ?


ক) কবি পরের শ্রেণীতে যাবেন


খ) কবি কলেজে যাবেন


গ) কবি নতুন স্কুলে যাবেন


ঘ) কবি সার্কাসে যাবেন



উত্তর :- ক) কবি পরের শ্রেণীতে যাবেন



১০। শিক্ষাকে আমরা কীভাবে ব্যাবহার করি বলে কবি মনে করেছেন ?


ক) বৃত্তি রূপে


খ) পরিচিতি রূপে


গ) সার্কাস রূপে


ঘ) ক্রীড়া রূপে



উত্তর :- গ) সার্কাস রূপে


১১।  " শিক্ষার সার্কাস  " কবিতাটির উৎস যে কাব্য -


ক) দিন রাত্রি


খ) দিন এবং রাত্রি


গ) দিন ও রাত্রি


ঘ) দিবস রজনী



উত্তর :- গ) দিন ও রাত্রি




১২।  " শিক্ষার সার্কাস  " এ প্রশ্নবোধক কটি বাক্য আছে ?


ক) দুটি


খ) পাঁচটি


গ) ছয়টি


ঘ) সাতটি



উত্তর :- খ) পাঁচটি




১৩।  " শিক্ষার সার্কাস  " এ কতবার শ্রেণীর উল্লেখ আছে ?


ক) সাত


খ) নয়


গ) বারো


ঘ) তেরো



উত্তর :- গ) বারো 


বুধবার, ১৫ জুন, ২০২২

স্বামী বিবেকানন্দের লেখা ‘ সুয়েজেখালে হাঙ্গার শিকার ’ প্রবন্ধ অবলম্বনে হাঙর শিকারের বর্ণনা দাও ।

একাদশ শ্রেণী বাংলা প্রশ্নোত্তর xi class 11 eleventh bengali questions answers স্বামী বিবেকানন্দের লেখা সুয়েজেখালে হাঙ্গার শিকার প্রবন্ধ অবলম্বনে হাঙর শিকারের বর্ণনা দাও swami vivekanander lekha suyejkhale hangor shikhar probondh abolombone hangor shikharer bornona dao


উত্তর :  সুয়েজ বন্দরে তখন স্বামীজিদের জাহাজ বাঁধা । সকালে খাওয়ার আগে খবর পেলেন জাহাজের পিছনে গভীর জলে বড়াে বড়াে হাঙর ভেসে বেড়াচ্ছে । খবর শুনেই স্বামীজি হাঙর দেখার জন্য হাজির হলেন । জাহাজের পিছন দিকে দ্বিতীয় শ্রেণির কেবিনের বারান্দায় ছেলেমেয়ে ,স্ত্রী , পুরুষের ভিড় । প্রায় পঁয়তাল্লিশ মিনিট অপেক্ষা করার পর দেখা গেল দূরে পাঁচ-সাত ইঞ্চি জলের নীচে একটা প্রকাণ্ড কালাে বস্তু ভেসে আসছে । তার গায়ে কিছু হাঙর -চোষক মাছ লেপটে আছে । তার আগে আড়কাটি মাছ বা পাইলট ফিস । 
 
সেকেন্ড ক্লাসের এক ফৌজি জাহাজে খুঁজে পেতে এক ভীষণ বড়শি জোগাড় করে । তাতে সেরখানেক মাংস শক্ত করে বাঁধে । বড়শির সুতাে হয় একখানা মােটা কাছি । ফাতনার জন্য লাগানাে হয় একখানা মস্ত কাঠ । ফাতনাসুদ্ধ বড়শি জলে নামিয়ে কিছুক্ষণ চুপচাপ থাকার পর জাহাজ থেকে প্রায় দুশাে হাত দূরে বিশাল ভিস্তির মশকের মতাে হাঙর ভেসে ওঠে । বড়শিতে বাঁধা মাংসপিণ্ডটি সে মুখে নেওয়া মাত্র ৪০/৫০ জনে দড়িতে তাড়াহুড়াে করে টান দেওয়ায় মুখ থেকে বড়শি ফসকে গিয়ে হাঙর পালায় । 


 স্বামীজির ভাষায় সেটা ছিল ‘বাঘা । এবার আসে ‘থ্যাবড়ামুখো’। শুয়ােরের মাংস -বাঁধা প্রকাণ্ড বড়শির কাছে থ্যাবড়ামুখাে এসে যায় । টোপ মুখে নিয়ে পরখ করে দেখে । টোপ গিলে যেই যাবে বলে টান দিয়েছে অমনি বড়শি মুখে বিঁধে যায় । টানের ফলে হাঙর উঠে আসে ডেকের ওপর । তারপর নির্মম প্রহারে হাঙরের ইহলীলা শেষ । 


মঙ্গলবার, ১৪ জুন, ২০২২

সুয়েজ বন্দরে জাহাজের অবস্থানের কারণ এবং ওই সম্পর্কে স্বামী বিবেকানন্দের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দাও ।

একাদশ শ্রেণী বাংলা প্রশ্নোত্তর xi class 11 eleventh bengali questions answers সুয়েজ বন্দরে জাহাজের অবস্থানের কারণ এবং ওই সম্পর্কে স্বামী বিবেকানন্দের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দাও suyej bondore jahajer obosthaner karon abong oi somporke swami vivekanander abhigottar bornona dao

উত্তর :  ১৪ জুলাই । রেড - সি পার হয়ে জাহাজ হাজির হয় সুয়েজে । সুয়েজ বন্দরে নামাবার মাল আছে জাহাজে । কাজেই জাহাজ অবস্থান করে সুয়েজ বন্দরে । সে -সময় সংক্রামক ও ছোঁয়াচে ব্যাধি প্লেগের প্রাদুর্ভাব চলছে মিশরে । ভারতেও প্লেগের উপদ্রব চলছে । সেজন্য দু-পক্ষ থেকেই প্লেগের ছোঁয়াছুঁয়ির ভয় আছে । অবশ্য ভারত থেকে জাহাজে সুয়েজে আসতে দশ দিন আগেই কেটেছে । প্লেগের বিষ শরীরে ঢুকলে দশ দিনের মধ্যে তার প্রকাশ ঘটে । সেদিক থেকে জাহাজে ভারতীয় যাত্রীদের ফাঁড়া কেটে গেছে । কারণ কোনাে ভারতীয় যাত্রীর শরীরে প্লেগের লক্ষণ ফুটে ওঠেনি । মিশরীয় কুলিদের নিয়ে আশঙ্কা । তাদের জাহাজ ছুঁতে দেওয়া হচ্ছে না । কাজেই জাহাজ - খালাসিদের কাজ গেছে বেড়ে । তারা কুলি হয়ে ক্রেনে করে নৌকোয় মাল নামাচ্ছে আলটপকা । কোম্পানির এজেন্ট ছােটো লঞ্চে চড়ে এসে জাহাজের নৌকোয় কাপ্তেনের সঙ্গে কথা বলছে । সুয়েজ হল ইউরােপের প্রবেশদ্বার । সেখানে ইঁদুরবাহিত প্লেগের উপস্থিতি না ঘটে সেজন্য এত সতর্কতা । মিশরীয়দের সঙ্গে ছোঁয়াছুঁয়ি হলেই জাহাজ সুয়েজ বন্দরে দশ দিন আটকে যাবে রােগের পরীক্ষার জন্যে । তাহলে নেপসে লােক নামানাে হবে না । মার্সাইতেও লােক নামানাে অসম্ভব হবে । সেজন্য মাল নামাবার কাজ চলছে ছোঁয়াছুঁয়ি এড়িয়ে আলগােছে । কাজের গতিও ঢিলেঢালা , ধীর লয়ে । মাল নামাতে সারাদিন লাগবে । রাতেরবেলা জাহাজ যে সুয়েজ পার হয়ে যাবে তারও উপায় নেই । কারণ জাহাজে বিজলি আলাে লাগাবার জন্য মিশরীয়দের দরকার । প্লেগের ভয়ে তাদের দিয়ে লাগানাে যাচ্ছে না । কাজেই চব্বিশ ঘণ্টা পড়ে থাকো সুয়েজ বন্দরে ।


স্বামী বিবেকানন্দের নাম দেওয়া ‘থ্যাবড়া মুখাে’ হাঙর শিকারের বর্ণনা দাও ।

একাদশ শ্রেণী বাংলা প্রশ্নোত্তর xi class 11 eleventh bengali questions answers স্বামী বিবেকানন্দের নাম দেওয়া থ্যাবড়া মুখাে হাঙর শিকারের বর্ণনা দাও swami vivekanander nam deoya thabra mukho hangor shikharer bornona dao

উত্তর :  স্বামী বিবেকানন্দ ‘সুয়েজ খালে হাঙ্গর শিকার' প্রবন্ধে তাঁর নাম দেওয়া ‘থ্যাবড়ামুখাে’ হাঙর শিকারের অপূর্ব বর্ণনা দিয়েছেন । ‘বাঘা’ হাঙর বড়শি ফসকে পালিয়ে যাওয়ার পরে ‘থ্যাবড়ামুখাে’ হাঙর আসে । হাঙরের মুখে যদি মানুষের ভাষা থাকত , তাহলে বাঘা বড়শির টোপের ব্যাপার নিয়ে সাবধান করত ‘থ্যাবড়ামুখাে’কে । পাইলট ফিস আসছিল আগে আগে । তার পিছনে প্রকাণ্ড শরীর নাড়িয়ে আসছিল থ্যাবড়া । তার আশেপাশে হাঙর -চোষা নৃত্য করছিল । জলের মধ্যে দোল খাচ্ছিল বড়শিতে বাঁধা শুয়ােরের মাংসপিণ্ড । দেখা গেল পাইলট ফিসকে অনুসরণ করে ‘থ্যাবড়ামুখাে’ আসছে । শুয়ােরের মাংসবাঁধা প্রকাণ্ড বড়শি জলের ঢেউয়ে জলের মধ্যে দোল খাচ্ছে । বড়শির কাছে ‘থ্যাবড়ামুখাে’ এসে গেছে । টোপ মুখে নিয়ে পরখ করে দেখছে । টোপ গিলে যেই যাবে বলে টান দিয়েছে অমনি বড়শি মুখে বিঁধে গেল । থ্যাবড়া চাইল মুখ ঝেড়ে টোপটা ফেলে দিতে । কিন্তু বড়শি তাে মুখে বিঁধে গেছে । এরপর কাছিতে টান আর টান । জল ছেড়ে ওপরে উঠছে হাঙর । কিছুটা ওঠার পর ল্যাজও দড়ি দিয়ে বেঁধে কাছিতে টান দিয়ে দিয়ে জাহাজের ডেকের ওপর হাঙরকে তুলে এনে ফেলা হল । তারপর ফৌজি লােকটি কড়িকাঠ দিয়ে হাঙরের মাথায় দুমদাম প্রহার দিতে লাগল । হাঙরের মাথা আর শরীর থেকে রক্তের স্রোত বইতে লাগল । মেয়েরা ‘আহা কী নিষ্ঠুর! মেরাে না’ বলে  চিৎকার করতে লাগল । অথচ দেখতেও তারা ছাড়ল না । সেদিন স্বামীজির খাওয়াদাওয়ার দফা মাটি হয়ে গিয়েছিল । কারণ সব কিছুতে হাঙরের গন্ধ বােধ হচ্ছিল ।



সোমবার, ১৩ জুন, ২০২২

‘এ কথ্য ইওরােপীয়েরা স্বীকার করতে চায় না ’ - কোন কথা ইউরােপীয়রা স্বীকার করতে চায় না ? কেন চায় না ?

একাদশ শ্রেণী বাংলা প্রশ্নোত্তর xi class 11 eleventh bengali questions answers এ কথ্য ইওরােপীয়েরা স্বীকার করতে চায় না কোন কথা ইউরােপীয়রা স্বীকার করতে চায় না কেন চায় না a kottho europiyora swikar korte chaina kon kotha europiyora swikar korte chaina keno

 ‘ হাঙ্গর শিকার ' প্রবন্ধে স্বামী বিবেকানন্দ ভারতের  প্রাচীন ব্যাবসা বাণিজ্যের আলােচনা প্রসঙ্গে ভারতের বাণিজ্য-শিল্প যে পৃথিবীর মধ্যে সর্বোত্তম ছিল সে -কথা উল্লেখ করেছেন । তখনকার দিনে ভারত থেকে পশ্চিমি দেশগুলিতে দুনিয়ার ব্যবহার্য যত সুতি কাপড় , তুলা , পাট , নীল , লাক্ষা, চাল , হিরে , মােতি প্রভৃতি রপ্তানি হত । ভারতের মতাে পৃথিবীতে আর কোনাে দেশেই পশমি ও রেশমি কাপড় , কিংবা কিংখাব প্রভৃতি তৈরি হত না । ভারত ছিল উৎকৃষ্ট মশলার দেশ । এখানে উৎপন্ন হত লবঙ্গ , এলাচ , মরিচ , জায়ফল প্রভৃতি মশলা । ফলে দেখা গেছে অতি প্রাচীনকাল থেকে পৃথিবীর যখন যে দেশ সভ্য হয়েছে , সে দেশ তখন ওই সকল জিনিসের জন্য ভারতের ওপর নির্ভর করেছে ।
 

ভারতের বাণিজ্য ও রাজস্ব সম্পদে ইংরেজ বলবান বলেই , সে এখন পৃথিবীর সবার বড়াে জাত । ভারতের বাণিজ্যের কদর এখন কমেছে ঠিকই , স্বামী বিবেকানন্দের সময় থেকে প্রায় ১০০ বছর আগেও ভারতীয় বাণিজ্যের যথেষ্ট কদর ছিল । স্বামীজি দুঃখ করে বলেছেন যে, কিন্তু ইউরােপীয়রা ভারতীয় বাণিজ্য - শিল্প যে একসময় পৃথিবীর    সর্বোত্তম ছিল , তা স্বীকার করতে চায় না । স্বীকৃতি পায় না ভারতের নেটিভপূর্ণ শ্রমজীবী মানুষের অতুলনীয় অবদানের কথা । মানতে চায় না তাদের যে ধন ও ঐশ্বর্য,তাদের যে সভ্যতার সহায় ও সম্পদ , সবই নেটিভপূর্ণ ভারতের অবদান । ভারতের কাছে তারা ঋণী । 

ঋণ স্বীকারের মতাে উদার মন ও কৃতজ্ঞ চিত্ত হওয়া চাই , তবেই তাে উপকারীর উপকার , ঋণদাতার ঋণ অকপটে স্বীকার করা সম্ভব । ওসব দেশ সাম্রাজ্যবাদী ও ঔপনিবেশিক লুঠেরা মনােভাবের হওয়ায় ঋণ বা কৃতজ্ঞতা স্বীকারের মনােবৃত্তির অধিকারী নয় । এজন্যও তারা ভারতের কাছে ঋণ স্বীকার করতে চায় না ।


রবিবার, ১২ জুন, ২০২২

‘ সেই তেজ বেরিয়ে গেলে মানুষ ঠান্ডা হয়ে যায় ।’ — কী প্রসঙ্গে এই উক্তি ? উক্তিটির তাৎপর্য বুঝিয়ে দাও ।

একাদশ শ্রেণী বাংলা প্রশ্নোত্তর xi class 11 eleventh bengali questions answers সেই তেজ বেরিয়ে গেলে মানুষ ঠান্ডা হয়ে  যায়  কী প্রসঙ্গে এই উক্তি উক্তিটির তাৎপর্য বুঝিয়ে দাও sei tej beriye gele manush thanda hoye jai ki prosonge ai ukti uktitir tatporjo bujhiye dao

উত্তর : প্রসঙ্গ : ভূতুড়ে জেলখানার দারােগা হল ভূতের নায়েব । এই জেলখানার বিচিত্র দেয়াল । তা চোখে দেখা যায় না । সেজন্য দেয়াল ফুটো করে বেরিয়ে আসার উপায় নেই । জেলখানার ঘানি সবসময় ঘােরাতে হয় । তাতে এক ছটাক তেল বেরােয় না , যা হাটে বিকোতে পারে । ঘানিতে পেষাই করার ফলে জেলখানার কয়েদির তেজ বেরােয় ।এই আলােচনা প্রসঙ্গে উপরােক্ত উক্তির উপস্থাপনা ।

ভূতশাসনতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য : ভূতুড়ে জেলখানায় বন্দি স্বাধীনতাকামী কয়েদিকে ঘানি চালাতে হয় নিরন্তর । ফলে তাদের বিপুল পরিমাণ শক্তিক্ষয় হয় । ঘানি থেকে তেল বেরােয় না । বেরিয়ে যায় স্বাধীনতাকামী বন্দি মানুষের তেজ । তেজ বা শক্তিই হল মানুষের কর্মক্ষমতা, উৎসাহ - উদ্দীপনার উৎস । তেজহীন মানুষ জড়বৎ । তার দ্বারা অন্ন -বস্ত্র অর্জিত হয় না । তেজহীন মানুষ তাপহীন বস্তুর মতাে ঠান্ডা হয়ে যায় । প্রতিবাদ করার , আন্দোলন করার শক্তি হারায় । স্বাধীনতা অর্জনের জন্য যে কঠিন সংগ্রাম সেই  মনােবল হারায় । নিশ্চেষ্ট ও নিস্তেজ হয়ে বেঁচেও মরে থাকে । প্রকৃতপক্ষে ভারতের বিদেশি শাসকের সেটাই ছিল কাম্য ।



শনিবার, ১১ জুন, ২০২২

‘ওঝাকেই আগেভাগে ভূতে পেয়ে বসেছে’ —ওঝা কে ? তার স্বরূপ পরিস্ফুট করাে ।

একাদশ শ্রেণী বাংলা প্রশ্নোত্তর xi class 11 eleventh bengali questions answers ওঝাকেই আগেভাগে ভূতে পেয়ে বসেছে ওঝা কে তার স্বরূপ পরিস্ফুট করাে ojhakei agebhage bhute peye boseche ojha ke tar swarup porisphut koro

উত্তর : ‘ওঝা ' শব্দ এসেছে সংস্কৃত ‘উপাধ্যায়’ শব্দ থেকে । ওঝা চিকিৎসক হলেও সাধারণ চিকিৎসক নন । মূলত সাপেকাটা রােগী ,ভূতে পাওয়া রােগীর চিকিৎসা করেন ।

ওঝার স্বরূপ বিশ্লেষণ : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘ কর্তার ভূত ' একটি রূপক রচনা । ওঝারা যখন উপাধ্যায় ছিলেন , তখন ছিলেন তত্ত্বজ্ঞানী, যুক্তিবাদী দার্শনিক । জ্ঞানীগুণী মানুষ । ওঝারা ঝাড় - ফুঁক, তুক -তাকে বিশ্বাসী, অনেকটাই কুসংস্কারাচ্ছন্ন । তাদের দাওয়াই জড়ি- বুটি,গাছগাছড়া । লেখক বলেছেন ভূতগ্রস্ত দেশে ওঝারা নিজেরাই ভূতগ্রস্ত । তারা ভূতে পাওয়া মানুষের কী চিকিৎসা করবে । ভূতে পাওয়া মানুষকে ভূতমুক্তির কী পথ দেখাবে ? পরাধীনতার ফলে দেশের মানুষ পরনির্ভর ও  পরমুখাপেক্ষী হয়ে যে নিশ্চেষ্ট ও নিশ্চেতন অবস্থায় নিষ্কর্মা হয়ে জড়জীবন যাপন করছে , সেই ভূতগ্রস্ত দুরবস্থা থেকে কীভাবে রক্ষা করবে ? 




শুক্রবার, ১০ জুন, ২০২২

‘ তারা ভয়ংকর সজাগ আছে ।’- কাদের ‘ভয়ংকর সজাগ’ থাকার কথা বলা হয়েছে ? তারা এমন ‘ ভয়ংকর সজাগ ’ কেন ?

একাদশ শ্রেণী বাংলা প্রশ্নোত্তর xi class 11 eleventh bengali questions answers তারা ভয়ংকর সজাগ আছে কাদের ভয়ংকর সজাগ থাকার কথা বলা হয়েছে তারা এমন  ভয়ংকর সজাগ কেন tara bhoyongkor sojag ache kader bhoyongkor sojag thakar kotha bola hoyeche tara amon bhoyongkor sojag

উত্তর : পৃথিবীর অন্য দেশগুলির ‘ভয়ংকর সজাগ’ থাকার কথা বলা হয়েছে ।

পৃথিবীর অন্য দেশগুলি ভূতগ্রস্ত নয় । কাজেই সেখানে জেলের কর্তা ভূতের নায়েব নয় । সেখানে ঘানি ঘােরে । তা থেকে তেল বেরােয় । সে -তেল বুকের রক্ত পিষে বেরােয় না । ভূতের খপরে ঢেলে দেওয়ার জন্য নিংড়ানাে হয় না । ঘানি চালিয়ে তৈলবীজ থেকে তৈরি তেল দেশের ভবিষ্যতের রথের চাকা ঘােরানাের জন্য , সচল রাখবার জন্য ব্যবহার করা হয় । সেখানকার মানুষ এদেশের ভূতগ্রস্ত মানুষের মতাে নিষ্কর্মা, চেতনাহীন ও সজাগহীন নিশ্চেষ্ট  নয় । তারা খুবই সচেতন , খুবই সজাগ । তারা সচেতন ও সজাগ বলেই পরাধীন ভূতগ্রস্ততা তাদের গ্রাস করতে পারেনি ।  তাদের অন্ন হােক , বস্ত্রহােক , স্বাস্থ্য হােক ঘাটতি নেই । শাসকের দয়া ও করুণার ওপর তা নির্ভর করে না । সেখানে ভূতের বাড়াবাড়ি তথা শাসকের আধিপত্য বাড়লেও মানুষ অস্থির হয়ে ওঠে । ভূত ছাড়ানাের ওঝার খোঁজাখুজি শুরু করে — এমনই সজাগ ও সচেতন । কিন্তু অমন ঘটনা সেখানে ঘটে না । যেহেতু তারা ভয়ংকর সজাগ ।




বৃহস্পতিবার, ৯ জুন, ২০২২

‘আমি গেলে এদের ঠাণ্ডা রাখবে কে ?’ —এরকম ভাবনার অন্তর্নিহিত অর্থ আলােচনা প্রসঙ্গে ‘মানুষের মৃত্যু আছে , ভূতের তাে মৃত্যু নেই ।'— এ কথার তাৎপর্য বিশ্লেষণ করাে ।

একাদশ শ্রেণী বাংলা প্রশ্নোত্তর xi class 11 eleventh bengali questions answers আমি গেলে এদের ঠাণ্ডা রাখবে কে এরকম ভাবনার অন্তর্নিহিত অর্থ আলােচনা প্রসঙ্গে মানুষের মৃত্যু আছে ভূতের তাে মৃত্যু নেই এ  কথার তাৎপর্য বিশ্লেষণ করাে ami gele ader thanda rakhbe ke arokom vabnar onyonihito ortho alochona prosonge manusher mritto ache bhuter to mritto nei a kothar tatporjo bishleshon koro

উত্তর : অন্তর্নিহিত অর্থে : বুড়াের মরার সময় হয়েছে । দেশের সবাই বুড়ােকে জানাল যে, সে মারা গেলে তাদের কী দশা হবে । প্রসঙ্গত জানা দরকার , ‘কর্তার ভূত ' একটি রূপক রচনা । বুড়াে বলতে সাম্রাজ্যবাদী শাসক শক্তি । দীর্ঘকাল সাম্রাজ্যবাদী শাসনের মধ্যে থাকার ফলে এদেশবাসী হয়েছে নিশ্চেষ্ট ও পরনির্ভরশীল । শাসকের প্রভুত্বের প্রতি তাদের সীমাহীন আনুগত্য । কাজেই তাদের ভাবনা হল ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান হলে দেশের তথা দেশবাসীর কী দশা হবে । বুড়াে ভাবল সত্যিই তাে । এদের দুর্গতির শেষ থাকবে না । দেশের শাসক শক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন , বিক্ষোভ ও বিদ্রোহকে কে ঠান্ডা করবে । ‘ঠান্ডা' অর্থে ল অ্যান্ড অর্ডারের মাধ্যমে শান্তি রক্ষা । কাজেই বুড়াে মরেও ভূত হয়ে দেশবাসীর ঘাড়ে চেপে রইল । 


তাৎপর্য ব্যাখ্যা : আর ভূতের মৃত্যু সম্পর্কে লেখক বললেন যে , মানুষ জন্ম ও মৃত্যুর অধীন । জন্ম হলে মৃত্যু অবধারিত । একটির সঙ্গে আর - একটির যেন গাঁটছড়া বাঁধা । জন্মতে জীবনের সূচনা , মৃত্যুতে সমাপ্তি । কিন্তু ভূতের ক্ষেত্রে তা প্রযােজ্য নয় । ভূতের মৃত্যু নেই । ‘ ভূত’- এর দুটি অর্থ হয় । এক ‘ ভূত ’ অর্থে মৃত আত্মা ’ । দুই ‘ভূত’ অর্থে ‘অতীত’ । যে অর্থই ধরা হােক না কেন , ভূতের মৃত্যু নেই ।
 




 


বুধবার, ৮ জুন, ২০২২

‘ নইলে ছন্দ মেলে না, ইতিহাসের খোঁড়া হয়েই থাকে ।’ কার লেখা , কোন রচনা থেকে উদ্ধৃত ? প্রসঙ্গ নির্দেশ করাে । উদ্ধৃতাংশের তাৎপর্য বুঝিয়ে দাও ।

একাদশ শ্রেণী বাংলা প্রশ্নোত্তর xi class 11 eleventh bengali questions answers  নইলে ছন্দ মেলে না ইতিহাসের খোঁড়া হয়েই থাকে কার লেখা কোন রচনা থেকে উদ্ধৃত প্রসঙ্গ নির্দেশ করাে উদ্ধৃতাংশের তাৎপর্য বুঝিয়ে দাও noile chondho mele na itihaser khora hoyei thake kar lekha kon rochona theke udhritto prosongo nirdesh koro udhangsher tatporjo bujhiye dao

উত্তর : উৎস : আলােচ্য উদ্ধৃতিটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা  ‘ লিপিকা ' গ্রন্থের রূপক রচনা ‘ কর্তার ভূত ’ থেকে নেওয়া হয়েছে ।

প্রসঙ্গ : ব্রিটিশ সরকারের ল অ্যান্ড অর্ডারের কড়াকড়িতে সবরকম প্রতিবাদী আন্দোলনের উত্তাপ জুড়িয়ে ঠান্ডা । কাজেই ভূতের রাজ্য জুড়ে ‘ খােকা ঘুমােল , পাড়া জুড়ােল ’- র মতাে ঠান্ডার পরিবেশ । অর্থাৎ , দেশবাসীর মধ্যে নিশ্চেতনা ও নিশ্চেষ্টতার আবহ । এখানে ‘খােকা’ হল রূপকার্থে তখনকার পরাধীন ভারতবাসী । আর ‘পাড়া' হল রূপকার্থে দেশ । দেশবাসী , অভিভাবক সবাই ঘুমের শান্তিতে থাকলে দেশে শান্তি বা নিশ্চেতনা ও নিশ্চেষ্টতার আবহ তাে থাকবেই । 


তাৎপর্য বিশ্লেষণ : ‘ খােকা ঘুমােললা , পাড়া জুড়ালাে ’ একটি ঘুমপাড়ানাে বহুল প্রচলিত ছড়া । এটি ছড়ার প্রথম পদ বা চরণ । পরের পদটি হল ‘ বর্গি এল দেশে ’ । ছড়ার বিষয়গত দিক থেকে হােক , কিংবা পদ পূরণের জন্যে হােক , ‘বর্গি এল দেশে ’ পদটি একান্ত অপরিহার্য । ইতিহাসের ঘটনার সঙ্গে যােগ থাকায় এই পদটির উল্লেখ অবশ্যই প্রয়ােজন । বর্গিরা ছিল মারাঠি অশ্বারােহী লুঠেরা বাহিনী । নবাব আলিবর্দি খাঁর শাসনকালে বাংলায় বর্গিরা হামলা ও হাঙ্গামা চালিয়ে ভয়াবহ ভয়ভীতি ও সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করেছিল । ইতিহাসের ওই ঘটনার প্রভাব পড়েছে এই ছড়ায় । কবি তাই রসিকতা করে বলেছেন যে, ছন্দ মিলের জন্য ‘ বর্গি এল দেশে ’ চরণ বা পদটির উল্লেখ যেমন দরকার , তেমনি আবশ্যক ইতিহাসের ঘটনার উল্লেখ , ‘ নইলে ইতিহাসের পদটা খোড়া হয়েই থাকে ।’ তা ছাড়া বর্গির সন্ত্রাসের কারণটা শিশুর ঘুমপাড়ানি গানে ভয়ের শিহরণের একটা বিশেষ ভূমিকাও নিয়েছে । তবে লক্ষণীয় যে , এখানে ‘বর্গি’ হল রূপকার্থে সাম্রাজ্যবাদী আক্রমণকারী ।

 


মঙ্গলবার, ৭ জুন, ২০২২

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ কর্তারভূত ’ এর বিষয় সংক্ষেপে আলােচনা করে নামকরণের সার্থকতা বিশ্লেষণ করাে ।

একাদশ শ্রেণী বাংলা প্রশ্নোত্তর xi class 11 eleventh bengali questions answers রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কর্তারভূত এর বিষয় সংক্ষেপে আলােচনা করে নামকরণের সার্থকতা বিশ্লেষণ করাে robindronath thakurer kortarbhut ar bishoy songkhepe alochona kore namkoroner sarthokota bishleshon koro questions answers

উত্তর : রূপক রচনার অন্তর্নিহিত অর্থ : কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘  কর্তার ভূত ’ কাহিনিটি রূপক রচনা । রূপকের মােড়কের ভিতর গা ঢেকে থাকা অর্থটি হল দীর্ঘকাল সাম্রাজ্যবাদী শাসনের নাগপাশে বাঁধা থাকার ফলে , দেশবাসী প্রাচীন ঐতিহ্যবিমুখ , প্রগতিবিরােধী ,নানা বিধিনিষেধ ও সংস্কারের দাস । অতীতের চিরাচরিত আনুগত্যে অভ্যস্ত । আত্মচেতনাহীন , নিশ্চেষ্ট , নিষ্কর্মা । বিদেশি শাসকের শাসনে , শােষণে , লুণ্ঠনে নিষ্পিষ্ট হয়েও প্রভুত্বের প্রতি তার সীমাহীন আনুগত্য । খাদ্য, বস্ত্র,শিক্ষা ও স্বাস্থ্য প্রভৃতি থেকে বঞ্চিত হয়ে প্রতিবাদী হলে সেজন্য ছিল ভূত শাসনের কারাগার , ঘানিতে নিষ্পিষ্ট করে শক্তিহীন করার ব্যবস্থা । কর্তার ভূতের কৃপায় আছে ঘুমপাড়ানি গানের মাসিপিসিরা । আর আছে খাজনা আদায়ের পেয়াদা তথা দেশের মানুষকে শােষণ করার শাসনযন্ত্র , বর্গিতুল্য লুঠেরা, সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বুলবুলির দল । আর সবকিছুকে ঘিরে দেশবাসীর মনের মধ্যে রাজত্ব করে কর্তার ভূতের ভয় । আর সেজন্য দায়ী দেশব্যাপী নিশ্চেতনা , নিশ্চেষ্টতা, আত্মনির্ভরহীনতা আর নিশ্চিন্ত নিদ্রার জড়তা । রবীন্দ্রনাথ অন্ধ ভূত - ভীতির আনুগত্য থেকে , নিদ্রার আলস্য ,জড়তা ও নিশ্চেষ্টতা থেকে দেশকে জাগাতে চেয়েছেন । আসলে আত্মজাগরণের মধ্য দিয়ে সজাগ , সচেতন , সচেষ্ট হয়ে অধিকার প্রতিষ্ঠা করলে ভূত আপসে পালাবে । 


সার্থক নামকরণ : কাজেই শাসকের পীড়ন - তাড়ন , অত্যাচার - অবিচার , শাসন -শােষণের ভয়ে অন্ধ আনুগত্য , নিশ্চেতনা ও নিশ্চেষ্টতায় আত্মনির্ভরশীল না হওয়া , সজাগ ও সচেতন না হওয়া — এগুলিই তাে জাতির ঘাড়ে চেপে -থাকা সাম্রাজ্যবাদী শাসক শক্তি তথা কর্তার ভূত । কাজেই রবীন্দ্রকৃত রচনাটির ‘ কর্তার ভূত ’ নামকরণ যথাযথ ও সার্থক ।

 

সোমবার, ৬ জুন, ২০২২

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত ‘ কর্তার ভূত ’ রূপক কাহিনির রূপকাৰ্থ বিশ্লেষণ করাে ।

একাদশ শ্রেণী বাংলা প্রশ্নোত্তর xi class 11 eleventh bengali questions answers রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত কর্তার ভূত রূপক কাহিনির রূপকাৰ্থ বিশ্লেষণ করাে robindronath thakurer rochito kortar bhut rupok kahinir rupkartho bishleshon koro


উত্তর : রূপকের অংশ : রূপকের দুটি অংশ থাকে । উপমান ও উপমেয় । উপমান হল বাইরের অর্থ । আর উপমেয় হল ভিতরের অর্থ । এটি বলবার জন্যই লেখক কায়দা করে উপমানের মােড়কটি দিয়ে ঢেকে ঢুকে সুন্দর একটি শিল্পশৈলী তৈরি করে পাঠককে রস উপভােগের জন্য পরিবেশন করেন । 

উপমান অংশর অর্থ : কাজেই রূপক রচনার    রূপকাথ বিশ্লেষণ করতে হলে  উপমান ও উপমেয়     অংশের অর্থ বিশ্লেষণ করা একান্ত দরকার হয়ে   পড়ে ।  প্রথমে উপমান অংশের অর্থ অতি সংক্ষেপে   দেখে নেওয়া যাক । বুড়াে কর্তা মরে দেশবাসীর ঘাড়ে    ভূত হয়ে ভর করে আছে । ভূতগ্রস্ত অবস্থায় দেশবাসী কাজে নিরুদ্যম ,অলস , ঘুমে অচেতন ও নিশ্চেষ্ট, কোনােরকম হুঁশ নেই । শাসিত ও শােষিত হয়েও , অন্ন-বস্ত্র স্বাস্থ্য - শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়েও   নির্বিকার নিস্পৃহ । দু-চারজন প্রতিবাদে বিক্ষোতে সােচ্চার হলে ভূত শাসনের জেলখানার ঘানিতে নিষ্পিষ্ট হয় । ঘুমপাড়ানি গান শুনিয়ে দেশবাসীকে ঘুম পাড়িয়ে দেওয়া হয় । বর্গি আর বুলবুলিতে সর্বস্ব গ্রাস করে । ভূতের শাসন চলতেই থাকে । আসলে ভীতিই হল ভূত । ভীতি জয় করলে তবে ভূতের হাত থেকে রেহাই ।
                                                                 
উপমেয় অংশের অর্থ : উপমেয় অংশের অর্থ হল ব্রিটিশ শাসনে এদেশ দীর্ঘদিন পরাধীন । ফলে এদেশবাসী প্রাচীন ঐতিহ্যবিমুখ , প্রগতিবিরােধী  ,  নানা বাধানিষেধ ও সংস্কারের দাস । চিরাচরিত আনুগত্যে অভ্যস্ত । আত্মচেতনাহীন , নিশ্চেষ্ট ও   নিষ্কর্মা । বিদেশি শাসকের শাসনে , শােষণে , লুণ্ঠনে নিষ্পিষ্ট হয়েও শাসকশক্তির প্রভুত্বের প্রতি তাদের সীমাহীন আনুগত্য । ভূতভীতির আনুগত্য থেকে মুক্ত হতে না পারলে পরাধীনতার নাগপাশ থেকে  মুক্তি লাভের আশা নেই ।


রবিবার, ৫ জুন, ২০২২

‘বেহুঁশ যারা তারাই পবিত্র , হুঁশিয়ার যারা তারাই অশুচি , অতএব হুঁশিয়ারদের প্রতি উদাসীন থেকে , ....'— উদ্ধৃতির প্রসঙ্গ আলােচনা করাে । সেই সূত্রে উদ্ধৃতির সঙ্গে যুক্ত কাহিনিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ ।

একাদশ শ্রেণী বাংলা প্রশ্নোত্তর xi class 11 eleventh bengali questions answers বেহুঁশ যারা তারাই পবিত্র হুঁশিয়ার যারা তারাই অশুচি অতএব হুঁশিয়ারদের প্রতি উদাসীন থেকে উদ্ধৃতির প্রসঙ্গ আলােচনা করাে সেই সূত্রে উদ্ধৃতির সঙ্গে যুক্ত কাহিনিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ behush jara tarai pobitra hushiyar jara tarai asuchi atoab hushiyarder proti udasin theke udhritir prosongo alochona koro sei sutre udhritir songe jukto kahinir tatporjo bishleshon

উত্তর : প্রসঙ্গ : এদেশ জুড়ে ঘুমপাড়ানি গানের রেওয়াজ । ফলে এদেশবাসী যুগ যুগ ধরে নিশ্চেতন ও নিশ্চেষ্ট । সেই সুযােগে বর্গির মতাে বিদেশি লুঠেরা এসেছে এদেশে যুগে যুগে —ইতিহাস তার সাক্ষী । তাদের শােষক পেয়াদার দল তথা ভূত ও অভূতের আদায়কারী প্রকাশ্যে- অপ্রকাশ্যে বা সদরে - খিড়কিতে খাজনা দেওয়ার তাগিদ দিয়ে গৃহস্থ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে । 

বুলবুলির কাহিনি : যুগে যুগে বহিরাগত আক্রমণকারীর ঢল নেমেছে । চারিদিক থেকে ধেয়ে আসা এসব বুলবুলি রূপকার্থে লুঠেরা বিদেশি । এই সব বুলবুলির ঝাঁক গৃহস্থের বেহুঁশ ঘুমের অচৈতন্য অবস্থার সুযােগ নিয়ে সব ধান লুটেপুটে খেয়ে নিঃস্ব ও নিঃসম্বল করেছে গৃহস্থকে । অসহায় নিঃস্ব গৃহস্থের জবাব হল , সে কী করে খাজনা দেবে । বুলবুলিতে ধান খেয়েছে খাজনা দেব । ‘ বুলবুলিতে ধান খেয়েছে খাজনা দেব কীসে ?’ 


কাহিনির তাৎপর্য :  দুঃখের কথা দেশবাসীরা তাতেও সজাগ নয় , সচেতন নয় । কারও হুঁশও নেই । অথচ খাজনা দিতে হবে । তাহলে কি আব্লু, ইজ্জত , ইমান আর বুকের রক্ত দিয়ে খাজনা মেটাবে ? এ প্রশ্ন উঠলে একটা কথা এসে পড়ে হুঁশ বা চৈতন্য বা চেতনার কথা । দেখা গেছে জগতে হুঁশিয়ার যারা, যারা নিজেদের সম্পদ ও সম্মান রক্ষায় সজাগ ও সচেষ্ট, বুলবুলির দল তাদের কাছে ঘেঁষে না । সেজন্য তত্ত্বজ্ঞানী শিরােমণি — চূড়ামণির দল পুথি ঘেঁটে বলল যে , বেহুঁশ বা অচেতন যারা, তারাই পবিত্র । হুঁশিয়াররা অর্থাৎ , সজাগ সচেতন সচেষ্টরা অশুচি । কাজেই সজাগ -সচেতনদের প্রতি মনােযােগী না হয়ে উদাসীন থাকা দরকার । জেগে ঘুমানােই শ্রেয় ।


শনিবার, ৪ জুন, ২০২২

“ওরে অবােধ , আমার ধরাও নেই , ছাড়াও নেই , তোরা ছাড়লেই আমার ছাড়া । ” — এখানে কে , কাদের অবােধ বলেছেন ? উক্তিটির তাৎপর্য আলােচনা করাে ।

একাদশ শ্রেণী বাংলা প্রশ্নোত্তর xi class 11 eleventh bengali questions answers ওরে অবােধ আমার ধরাও নেই ছাড়াও নেই তোরা ছাড়লেই আমার ছাড়া এখানে কে কাদের অবােধ বলেছেন উক্তিটির তাৎপর্য  আলােচনা করাে ore obodh amar dhorao nei charao nei tora charlei amar chara akhane ke kader obodh bolechen uktitir tatporjo alochona koro

উত্তর : কর্তার ভূত তাদের ‘অবােধ’ বলেছেন  , যারা দেশের দু - একটা মানুষ, দিনেরবেলা নায়েবের  ভয়ে কথা বলে না ।

দেশবাসীর ঘাড়ে ভর করে থাকা কর্তার ভূতের অবস্থান আর কতকাল চলবে । তার ছাড়ার সময় কি এখনও হয়নি ? দেশের দু - একজনের প্রশ্নের জবাবে কর্তা বলেছেন যে , তিনি তাে ধরে নেই , কাজেই ছাড়ার প্রশ্নও নেই । ভূতগ্রস্ত দেশবাসী ছাড়লেই সে ছেড়ে যাবে । প্রকৃতপক্ষে দেশবাসী নিদ্রা আলস্য ছেড়ে সজাগ ও সচেতন হলে ,সচেষ্ট ও সক্রিয় হলে , ভয়ভীতি পরিহার করে আত্মনির্ভরশীল হলে ভূতরূপী পরাধীন শাসনের অবশ্যই অবসান হবে ।



শুক্রবার, ৩ জুন, ২০২২

‘কর্তার ভূত’ রচনা অবলম্বনে কর্তার চরিত্রের বৈশিষ্ট্যগুলি আলােচনা করাে ।

একাদশ শ্রেণী বাংলা প্রশ্নোত্তর xi class 11 eleventh bengali questions answers কর্তার ভূত রচনা অবলম্বনে কর্তার চরিত্রের বৈশিষ্ট্যগুলি আলােচনা করাে kortar bhut rochona abolombone kortar choritreer boishisto guli alochona koro

উত্তর : কর্তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য : কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘লিপিকা ' গ্রন্থ থেকে সংকলিত ‘কর্তার ভূত ’ রচনার কর্তার ভূত হলেন ভূতেদের কর্তা । রচনাটি রূপকধর্মী । কাজেই ‘কর্তার ভূত ’- এর চরিত্রগুলি রূপকাশ্রয়ী । বুড়াে কর্তা তাদেরই একজন । চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে বুড়াে কর্তা কিছু স্বতন্ত্র গুণের অধিকারী । তিনি নিজের ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন । তার মধ্যে দেখা যায় মানবিকতার প্রকাশ । কিন্তু প্রতি শক্তিমান শাসককে ঘিরে থাকে কিছু স্বার্থান্বেষী পারিষদবর্গ । তারাই স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্যে তাকে আড়ালে রাখে । তার যে ভালাে গুণ তার প্রকাশ ও প্রয়ােগ হয় বিঘ্নিত। দেশের যারা আত্মসচেতন , মানবদরদি , যুক্তিবাদী ও সমাজসেবী , সেসব মানুষজনকে কর্তার ভূতের ভয় দেখিয়ে কর্তার ভূতের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখে । সব জেনেও কর্তামশায় ঠুটো জগন্নাথ হয়ে জনমানবহীন স্থানে ‘রক্তকরবী’- র রাজার মতাে অবস্থান করেন । কর্তামশায়ের ব্যক্তিসত্তার প্রকাশ লক্ষিত হয় না । তিনি জনকল্যাণকর কাজ করতে পারেন না । জনগণকে আত্মসচেতন করার দায়দায়িত্ব পালন করতে অসমর্থ হন । কোনাে বিচ্ছিন্ন লগ্নে নিতান্ত নিরালায় কেউ কেউ তাঁর কাছাকাছি এসে মুক্তি পাওয়ার আবেদন রাখলে , তার পরামর্শ থাকে , ‘ওরে অবােধ ,আমার ধরাও নেই, ছাড়াও নেই , তােরা ছাড়লেই আমার ছাড়া ।’ তাঁর সারকথা হল ভয়ই হল ভূত । ভয় জয় করলেই ভূতও যাবে ছেড়ে ।



বৃহস্পতিবার, ২ জুন, ২০২২

‘ ও তার কর্তার ভূত ’ অবলম্বনে ভূতুড়ে জেলখানা ও কয়েদিদের বর্ণনা দাও ।

একাদশ শ্রেণী বাংলা প্রশ্নোত্তর xi class 11 eleventh bengali questions answers ও তার কর্তার ভূত অবলম্বনে ভূতুড়ে জেলখানা ও কয়েদিদের বর্ণনা দাও o tar kortar bhut abolombone bhuture jelkhana o koyedider bornona dao


উত্তর : কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত ‘ কর্তার ভূত ' কথিকায় ভূতুড়ে জেলখানা ও তার কয়েদিদের বর্ণনা লিপিবদ্ধ হয়েছে । 

ভূতুড়ে জেলখানার বৈশিষ্ট্য : ভূতশাসনতন্ত্রের অন্যতম বিষয় হল ভূতের শাসন । ভূতশাসনের অঙ্গীভূত হল ভূতুড়ে জেলখানা । ভূতের নায়েব হল ভূতুড়ে জেলখানার দারােগা । জেলখানার দণ্ডমুণ্ডের কর্তা । জেলখানা মাত্রই শক্তপােক্ত ও সুউচ্চ প্রাচীর ঘেরা হয় । কিন্তু ভূতুড়ে জেলখানার দেয়ালের বৈশিষ্ট্য বিচিত্র । তা চোখে দেখা যায় না। সেজন্য দেয়াল ফুটো করে বেরিয়ে যাওয়ার উপায় থাকে না । উপায় ভাবা সম্ভবও হয় না । 

ভূতুড়ে জেলখানার কয়েদি : জেলখানার কয়েদিদের দিয়ে জেলখানার ঘানি নিরন্তর ঘােরানাে হয় । ঘানিও বিচিত্র । কয়েদির শ্রমজাত পেষণে এক ছটাক তেলও বেরােয় না, যা হাটে বেচে কিছু লভ্যাংশ মিলতে পারে । ঘানি ঘােরানাের  ফলে যা ঘটে থাকে , তা হল প্রাণঘাতী কঠিন পরিশ্রমে কয়েদির শরীর থেকে তেজ বেরিয়ে যায় । এই তেজই হল শক্তি , কর্মোদ্যম , কর্মোদ্যোগ । মূলত মানুষের ওই শক্তিগুলি নষ্ট করে তাকে মৃতবৎ , জড়বৎ করে জীবন্ত অবস্থায় পরিণত করা ভূতশাসনতান্ত্রিক রীতির লক্ষ্য । শরীর থেকে তেজ বেরিয়ে গেলে মানুষ ঠান্ডা হয়ে যায় । তার প্রতিবাদ করার , আন্দোলন ও বিক্ষোভ করার ক্ষমতা থাকে না । তাতে ভূতশাসন হয় নিরুপদ্রব ও শান্ত, সবরকম ঝঞাটমুক্ত । কয়েদির ভবিষ্যৎ পােষা ভেড়ার মতাে ভূতের খোঁটায় বাঁধা থাকে ।

 


বুধবার, ১ জুন, ২০২২

তেলেনাপােতা যাওয়ার কারণ কী ? একে লেখক ‘ আবিষ্কার ’ বলেছেন কেন ?

একাদশ শ্রেণী বাংলা প্রশ্নোত্তর xi class 11 eleventh bengali questions answers তেলেনাপােতা যাওয়ার কারণ কী একে লেখক  আবিষ্কার বলেছেন কেন telenapotha jaoyar karon ki ake lekhok abishkar bolechen keno


উত্তর : তেলেনাপােতা যাওয়ার কারণ : লেখক প্রেমেন্দ্র মিত্র ‘ তেলেনাপােতা আবিস্কার ’ গল্পের শুরুতে তেলেনাপােতার সরলস্বভাবা যামিনীর আভাস দিয়েছেন । তেলেনাপােতা যেন এক আশ্চর্য সরােবর । সরলস্বভাবা যামিনী যেন এক মৎস্যকন্যা । তেলেনাপােতার শহুরে অভিযাত্রী যেন মৎস্য শিকারি । তার বড়শিতে হৃদয়বিদ্ধ করার জন্য মৎস্যকন্যারূপী যামিনী ব্যগ্র । তেলেনাপােতার মৎস্য শিকারিরূপী শহুরে অভিযাত্রী,  যার ভাগ্যে  পুঁটির মতাে অতি সাধারণ ও তুচ্ছ মাছ শিকার করা হয়ে ওঠেনি , সে হঠাৎ একদিন তেলেনাপােতা আবিষ্কার করতেও পারে । এই কারণে বন্ধুসহ শহুরে অভিযাত্রীটির তেলেনাপােতা যাওয়া । 

নামকরণের সার্থকতা : ‘ আবিষ্কৃত’ কথার দুটি ইংরেজি : প্রতিশব্দ হয়— ‘ Discovery ’ ও ‘ Invention ' । যা আছে অথচ আবিষ্কৃত হয়নি , তার আবিষ্কার হল Discovery । আর যা নেই , তার আবিষ্কার হল Invention । ‘ তেলেনাপােতা আবিস্কার ’ গল্পে তেলেনাপােতা গ্রাম সত্যই নেই — অথচ তার আবিষ্কার —এই অর্থে ব্যঞ্জনায় একটি অর্থ পায় । আবার তা না থাকলেও সমস্ত গ্রামই তেলেনাপােতার মতাে । এই অর্থে আর -একটি আবিষ্কারের অর্থ দ্যোতিত হয় । দুই অর্থের ব্যঞ্জনায় ‘তেলেনাপােতা আবিষ্কার’ বড়াে অর্থ পেয়ে যায় । কাজেই গল্পের নামকরণ ‘তেলেনাপােতা আবিষ্কার’ যথাযথ ও সার্থক ।


মঙ্গলবার, ৩১ মে, ২০২২

“কেন না ভবিষ্যৎকে মানলেই তার জন্যে যত ভাবনা , ভূতকে মানলে কোনাে ভাবনা নেই ।” কোন প্রসঙ্গে এই কথাটি বলা হয়েছে ? ভূতকে মানলে ভাবনা নেই কেন ? উদ্ধৃতিটির অন্তর্নিহিত তাৎপর্য ব্যাখ্যা করাে ।

একাদশ শ্রেণী বাংলা প্রশ্নোত্তর xi class 11 eleventh bengali questions answers কেন না ভবিষ্যৎকে মানলেই তার জন্যে যত ভাবনা ভূতকে মানলে কোনাে ভাবনা নেই  কোন প্রসঙ্গে এই কথাটি বলা হয়েছে ভূতকে মানলে ভাবনা নেই কেন উদ্ধৃতিটির অন্তর্নিহিত তাৎপর্য ব্যাখ্যা করাে keno na bhobishotke manlei tar jonno joto vabna bhutke manle kono vabna nei kon prosonge ai kothati bola hoyeche bhutke manle vabna nei keno udhritir antonihito tatporjo bankha koro


উত্তর : বুড়াে কর্তা ভূত হয়ে দেশের লােকের ঘাড়ে চেপে রয়েছে , এ কথা জানতে পেরে দেশের লােক ভারি নিশ্চিত , সেই প্রসঙ্গে এই উক্তি করা হয়েছে । ভূত হল অতীত । অতীতকে মানার ক্ষেত্রে কোনাে দুশ্চিন্তা থাকে না । সেজন্য অতীত নিয়ে ভাবনা থাকে না । লােকাচার আর সংস্কার নিয়ে ধর্মতন্ত্র । প্রাচীন ধর্মতন্ত্রের ওপর অন্ধভাবে নির্ভর করা যায় । তাতে প্রশ্ন ওঠে না । তর্ক বিতর্কের অবকাশ থাকে না । কিন্তু ভবিষ্যৎ নিয়ে যত ভাবনা । কারণ ভবিষ্যৎ নিয়ে যত যুক্তি-তর্ক । যুক্তি-তর্ক নিয়ে যত ঝুট - ঝামেলা , যত অশান্তি । বিপরীতে অতীতকে মেনে নিলে নির্ভাবনায় নিশ্চিন্তে থেকে কথােপকথন করা যায় ।