‘ওঝাকেই আগেভাগে ভূতে পেয়ে বসেছে’ —ওঝা কে ? তার স্বরূপ পরিস্ফুট করাে ।
উত্তর : ‘ওঝা ' শব্দ এসেছে সংস্কৃত ‘উপাধ্যায়’ শব্দ থেকে । ওঝা চিকিৎসক হলেও সাধারণ চিকিৎসক নন । মূলত সাপেকাটা রােগী ,ভূতে পাওয়া রােগীর চিকিৎসা করেন ।
ওঝার স্বরূপ বিশ্লেষণ : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘ কর্তার ভূত ' একটি রূপক রচনা । ওঝারা যখন উপাধ্যায় ছিলেন , তখন ছিলেন তত্ত্বজ্ঞানী, যুক্তিবাদী দার্শনিক । জ্ঞানীগুণী মানুষ । ওঝারা ঝাড় - ফুঁক, তুক -তাকে বিশ্বাসী, অনেকটাই কুসংস্কারাচ্ছন্ন । তাদের দাওয়াই জড়ি- বুটি,গাছগাছড়া । লেখক বলেছেন ভূতগ্রস্ত দেশে ওঝারা নিজেরাই ভূতগ্রস্ত । তারা ভূতে পাওয়া মানুষের কী চিকিৎসা করবে । ভূতে পাওয়া মানুষকে ভূতমুক্তির কী পথ দেখাবে ? পরাধীনতার ফলে দেশের মানুষ পরনির্ভর ও পরমুখাপেক্ষী হয়ে যে নিশ্চেষ্ট ও নিশ্চেতন অবস্থায় নিষ্কর্মা হয়ে জড়জীবন যাপন করছে , সেই ভূতগ্রস্ত দুরবস্থা থেকে কীভাবে রক্ষা করবে ?
কোন মন্তব্য নেই