ইতিহাস লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
ইতিহাস লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২২

একাদশ শ্রেণী ইতিহাস সাজেশন

একাদশ শ্রেণী ইতিহাস সাজেশন একাদশ শ্রেণী কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন আদিম মানব থেকে প্রারম্ভিক সত্যতাসমূহ রাষ্ট্রের প্রকৃতি  এবং এর উপাদান ধর্ম সামাজিক


[ আদিম মানব থেকে প্রারম্ভিক সভ্যতাসমুহ ]

                   ( প্রশ্নের মান - ৮ ) 

১। মধ্যপ্রস্তর যুগের মূল বৈশিষ্ট্যগুলি কী ছিল ? 

২। নব্য প্রস্তর বা নতুন পাথরের যুগের মানবজীবনের নানা দিকগুলি উল্লেখ করো ।

৩। কীভাবে বিবর্তনের মধ্যে দিয়ে আদিম মানুষ শিকারী খাদ্য সংগ্রাহক থেকে স্থায়ী বসবাসকারীতে পরিণত হয় ? 

৪। মেহেরগড় সভ্যতার বৈশিষ্ট্যগুলি সম্পর্কে আলোচনা করো ।

৫। হরপ্পা সভ্যতার বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো । 

৬। সিন্ধু সভ্যতাকে হরপ্পা সভ্যতা কেন বলা হয় ? এই সভ্যতার মানুষের সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবনের বর্ণনা দাও ।

৭। সুমেরীয় সভ্যতার নগর পরিকল্পনা ও জীবনযাত্রা কেমন ছিল ? 





[ রাজনীতির বিবর্তন - শাসনতান্ত্রিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক ধারণা ] 

                ( প্রশ্নের মান - ৮ )  

১। পলিস বা নগর রাষ্ট্র বলতে কি বোঝায় ? পলিসের বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো । 

২। ষোড়শ মহাজনপদ বলতে কি বোঝ ? মগধের উত্থানের কারণগুলি লেখো ।

৩। গুপ্ত সম্রাট সমুদ্রগুপ্তের কৃতিত্ব আলোচনা করো ।





          [ রাষ্ট্রের প্রকৃতি এবং এর উপাদান ] 

                      ( প্রশ্নের মান - ৮ ) 

১। অর্থশাস্ত্রে রাজার ক্ষমতা , গুণাবলী এবং কার্যাবলী সম্পর্কে কি বলা হয়েছে ? 

২। টমাস ক্রমওয়লের সংস্কারগুলি আলোচনা করো ।

৩। আকবর কেন মনসবদারি প্রথা প্রবর্তন করেন ? এর গুরুত্ব কি ছিল ? 





               [ অর্থনীতির বিভিন্ন দিক ] 

                   ( প্রশ্নের মান - ৮ ) 

১। প্রাচীন রোমের ক্রীতদাসরা কোন কোন কাজে নিযুক্ত হত ? রোমে ক্রীতদাসদের জীবন কেমন ছিল ? 

২। প্রাচীন মিশরে কি কি উপায়ে ক্রীতদাস সৃষ্টি হত ? প্রাচীন মিশরের ক্রীতদাস ব্যাবসা কেমন ছিল ? 

৩। ভারতে সুলতানী আমলে ক্রীতদাসরা কোন কোন কাজে নিযুক্ত হত ? সুলতানী যুগের অর্থনীতিতে ক্রীতদাস প্রথার কতটা ভূমিকা ছিল ? 

৪। মধ্যযুগে ইউরোপে সামন্তপ্রভূদের প্রধান ক্ষমতা ও কার্যাবলী উল্লেখ করো ।

৫। ‘সামন্ত’ বলতে কি বোঝ ? ভারতের সামন্ত প্রথার বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো ।





                  [ সামাজিক ঘটনাস্রোত ] 
       
                       ( প্রশ্নের মান - ৮ ) 

১। বৈদিক যুগের বর্ণপ্রথার উদ্ভবের পটভূমি ও কারণ উল্লেখ করো ।

২। প্রাচীন ভারতে ‘বর্ণ’ ও ‘জাতি’ প্রথা সম্পর্কে বিশদভাবে আলোচনা করো ।

৩। প্রাচীন ভারতে নারীশিক্ষার বর্ণনা দাও ।

৪। প্রাচীন মিশরে ক্লিওপেট্রার পরিচয় ও কার্যাবলী সম্পর্কে আলোচনা করো ।

৫। রানী দুর্গাবর্তীর পরিচয় ও কার্যাবলী আলোচনা করো ।





                            [ ধর্ম ] 

                  ( প্রশ্নের মান - ৮ ) 

১। ক্রুসেডের কারণগুলি আলোচনা করো ।

২। খলিফা যুগ শুরু হওয়ার প্রেক্ষাপট বর্ণনা করো ।

৩। বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মের সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য গুলি উল্লেখ করো ।

৪। ইউরোপের ধর্মসংস্কার আন্দোলনে মার্টিন লুথারের অবদান আলোচনা করো ।







বুধবার, ৫ অক্টোবর, ২০২২

ধর্ম MCQ প্রশ্নোত্তর

একাদশ শ্রেণী xi class history ইতিহাস ধর্ম MCQ প্রশ্নোত্তর dhormo mcq questions answers


১। অশোক সিংহলে ধর্মপ্রচারে পাঠিয়েছিলেন ? 

ক) মহেন্দ্র ও সংঘমিত্রাকে 

খ) শীলভদ্রকে 

গ) কুমারজিবকে

ঘ) মহারক্ষিতকে


উত্তর : ক) মহেন্দ্র ও সংঘমিত্রাকে 

২। অশোক বৌদ্ধধর্মের দীক্ষা নিয়েছিলেন ? 

ক) শ্যামগুপ্তের কাছে 

খ) রামগুপ্তের কাছে

গ) বিষ্ণুগুপ্তের কাছে

ঘ) উপগুপ্তের কাছে


উত্তর : খ) রামগুপ্তের কাছে

৩। কলিঙ্গ যুদ্ধের পর সম্রাট অশোক যে ধর্ম গ্রহণ করেন ? 

ক) হিন্দুধর্ম

খ) জৈনধর্ম

গ) পারসিকধর্ম

ঘ) বৌদ্ধধর্ম


উত্তর : ঘ) বৌদ্ধধর্ম

৪। অশোক নিম্নলিখিত কোন লিপিতে সর্বপ্রথম ‘ধম্ম’ কথাটি ব্যাবহার করেন ? 

ক) সারনাথ লিপি

খ) মাস্কি লিপি

গ) সাঁচি লিপি

ঘ) জুনাগড় লিপি


উত্তর : খ) মাস্কি লিপি

৫। ‘ধম্ম’ পালনের জন্য অশোক যেসব নিয়মবিধি উল্লেখ করেছেন তা কোন শিলালেখের অন্তর্ভুক্ত ? 

ক) প্রথম 

খ) দ্বিতীয় 

গ) তৃতীয় 

ঘ) চতুর্থ 


উত্তর :  গ) তৃতীয়



৬। সম্রাট অশোক তৃতীয় বৌদ্ধ সংগীতি আহ্বান করেন ? 

ক) পাটলিপুত্রে 

খ) কলিঙ্গ

গ) বৈশালীতে

ঘ) সারনাথে


উত্তর : ক) পাটলিপুত্রে

৭। ‘মাহজারনামা’ শীর্ষক ঘোষণাপত্রটি জারি করেছিলেন ? 

ক) সম্রাট জাহাঙ্গীর 

খ) সম্রাট শাহজাহান 

গ) সম্রাট আকবর 

ঘ) সম্রাট ঔরঙ্গজেব


উত্তর : গ) সম্রাট আকবর

৮। কে নিজেকে ‘কোরানের চূড়ান্ত ব্যাখ্যাকারী’ ঘোষণা করেন ? 

ক) সম্রাট বাবর 

খ) সম্রাট আকবর 

গ) সম্রাট হুমায়ূন 

ঘ) সম্রাট ঔরঙ্গজেব 


উত্তর : খ) সম্রাট আকবর

৯। সম্রাট শালাম্যানকে অভিষিক্ত করেন ? 

ক) পোপ হার্ডিয়ান 

খ) পোপ তৃতীয় লিও 

গ) পোপ সপ্তম গ্রেগরি 

ঘ) পোপ তৃতীয় ক্লিমেন্ট


উত্তর : খ) পোপ তৃতীয় লিও

১০। সর্বপ্রথম খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেন যে রোমান সম্রাট ? 

ক) কনস্টানটাইন 

খ) জুলিয়াস সিজার 

গ) অগাস্টাস সিজার 

ঘ) থিওজেসিয়াস 


উত্তর : ক) কনস্টানটাইন



১১। ‘ক্রুসেড’ কথাটির অর্থ হল ? 

ক) ক্রুস চিহ্ন 

খ) ধর্মযুদ্ধ

গ) খ্রিস্টান যুদ্ধ

ঘ) ধর্মস্থান 


উত্তর : খ) ধর্মযুদ্ধ 

১২। ইংল্যান্ডে সর্বপ্রথম খ্রিষ্টান ধর্মের প্রচার ( ৫৯৭ খ্রি ) করেন ? 

ক) প্রথম লিও 

খ) সেন্ট অগাস্টাইন

গ) প্রথম গ্রেগরি 

ঘ) দ্বিতীয় গ্রেগরি


উত্তর : গ) প্রথম গ্রেগরি

১৩। ক্রুসেডের ফলে রাষ্ট্রে ক্ষমতা বৃদ্ধি ঘটেছিল ? 

ক) রাজার 

খ) অভিজাতদের 

গ) বণিকদের 

ঘ) পোপের 


উত্তর : ঘ) পোপের

১৪। প্রথম খলিফা হলেন ? 

ক) ওমর

খ) আবু বকর 

গ) ওসমান 

ঘ) আলি


উত্তর : খ) আবু বকর

১৫। আরবে খলিফাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা করেন ? 

ক) হজরত আলি 

খ) হজরত আবু বকর

গ) হজরত ওমর ফারুক

ঘ) হজরত ওসমান গনি 


উত্তর : খ) হজরত আবু বকর



১৬। কোন শহরকে কেন্দ্র করে হজরত মুহাম্মদের ইসলামিক গোষ্ঠী প্রতিষ্ঠিত হয় ? 

ক) মক্কা 

খ) মদিনা 

গ) কৃষ্ণা 

ঘ) বাগদাদ 


উত্তর : খ) মদিনা

১৭। কোন খলিফা সর্বপ্রথম জেরুজালেম দখল করেন ? 

ক) ওমর

খ) আবু বকর

গ) ওসমানগনি

ঘ) হজরত আলি 


উত্তর : ক) ওমর

১৮। কবে বাগদাদের খলিফাতন্ত্রের পতন ঘটে ? 

ক) ১১৯২ খ্রি:

খ) ১২০৬ খ্রি:

গ) ১২৫৮ খ্রি:

ঘ) ১২৯৬ খ্রি:


উত্তর : গ) ১২৫৮ খ্রি:

১৯। ‘খলিফা’ কথাটির অর্থ ? 

ক) গোষ্ঠী প্রধান 

খ) রাজা 

গ) প্রতিনিধি 

ঘ) প্রভু 


উত্তর : গ) প্রতিনিধি

২০। ইউরোপের প্রাচীন ধর্মের নাম ? 

ক) শিখধর্ম

খ) অগ্নিধর্ম

গ) পেগানধর্ম

ঘ) ইহুদিধর্ম


উত্তর : গ) পেগানধর্ম



২১। সত্যের সন্ধানে বুদ্ধদেবের গৃহত্যাগকে বৌদ্ধশাস্ত্রে বলা হয় ? 

ক) মহাপরিনিবার্ন

খ) অস্টাঙ্গিক মার্গ 

গ) ধর্মচক্র প্রবর্তন 

ঘ) মহাভিনিষ্ক্রিমণ


উত্তর : ঘ) মহাভিনিষ্ক্রিমণ

২২। গৌতম বুদ্ধ প্রথম ধর্মপ্রচার করেন ? 

ক) কাশীতে 

খ) সারনাথে

গ) কাঞ্চিতে

ঘ) পাটলিপুত্রে


উত্তর : খ) সারনাথে

২৩। ‘ধর্মচক্র প্রবর্তন’ বলতে বোঝায় ? 

ক) ধর্মপ্রচার 

খ) বুদ্ধের গৃহত্যাগ

গ) সিদ্ধিলাভ 

ঘ) মহাপরিনিবার্ন


উত্তর : ক) ধর্মপ্রচার 

২৪। জৈন ধর্মের শেষ প্রবর্তক ছিলেন ?

ক) মহাবীর 

খ) ঋষভদেব

গ) পাস্বনাথ

ঘ) অশ্বসেন


উত্তর : ক) মহাবীর 

২৫। মধ্যযুগের ইউরোপের স্বর্গের টিকিট বিক্রি হত ? 

ক) পাপ মুক্তির জন্য 

খ) বিমানে চড়ার জন্য 

গ) ফুটবল খেলা দেখার জন্য 

ঘ) ধমাচারণ করার জন্য 


উত্তর : ক) পাপ মুক্তির জন্য



২৬। ‘৯৫ থিসিস’ প্রচলন করেন ? 

ক) মাটিন লুথার 

খ) ইরাসমাস 

গ) টেটজেল 

ঘ) জন হাস


উত্তর : ক) মাটিন লুথার

২৭। ইংল্যান্ডে ধর্মসংস্কার আন্দোলনের প্রথম উদ্যোগ নেন ? 

ক) সপ্তম হেনরি 

খ) অষ্টম হেনরি 

গ) মেরি স্টুয়ার্ট 

ঘ) প্রথম এলিজাবেথ 


উত্তর : খ) অষ্টম হেনরি

২৮। খ্রিস্টধর্মের কুসংস্কার গুলি দূর করে ধর্ম সংস্কার আন্দোলনের প্রথম ডাক দিয়েছিলেন ? 

ক) জুইংলি

খ) ওয়াট টাইলার 

গ) মাটিন লুথার 

ঘ) জন ওয়াইক্লিক


উত্তর : গ) মাটিন লুথার

 


মঙ্গলবার, ৪ অক্টোবর, ২০২২

সামাজিক ঘটনাস্রোত MCQ প্রশ্নোত্তর

একাদশ শ্রেণী xi class history ইতিহাস সামাজিক ঘটনাস্রোত MCQ প্রশ্নোত্তর samajik ghotonasrot mcq questions answers


১। স্পাটার ক্রীতদাসদের বলা হত ? 

ক) হেলট

খ) পেনেসটাই

গ) মেটিক

ঘ) পেরিওকয়


উত্তর : ক) হেলট

২। থেসালির ক্রীতদাসদের বলা হত ? 

ক) পেনেসটাই

খ) হেলট

গ) ক্লারোটাই

ঘ) এগুলির কোনোটিই নয়


উত্তর : ক) পেনেসটাই

৩। প্রাচীন গ্রিসের অধিকাংশ ক্রীতদাস আসত ? 

ক) যুদ্ধবন্দীদের মধ্য থেকে 

খ) জলদস্যুদের আক্রমণে বন্দি হওয়া মানুষদের মধ্য থেকে 

গ) ঋণ পরিশোধে অক্ষম ব্যাক্তিদের মধ্য থেকে 

ঘ) বিদেশে থেকে আমদানি করে 


উত্তর : ক) যুদ্ধবন্দীদের মধ্য থেকে

৪। বিক্রয়যোগ্য ক্রীতদাসদের মাথায় চিহ্ন থাকত ? 

ক) মালা 

খ) তির

গ) যাতা

ঘ) বল্লম


উত্তর : ক) মালা

৫। গ্রিসের ক্রীতদাসদের বেশিরভাগ ছিল ? 

ক) ক্রীতদাসের সন্তান 

খ) যুদ্ধবন্দি

গ) বিদেশ থেকে আমদানিকৃত 

ঘ) খনির শ্রমিকরা


উত্তর : খ) যুদ্ধবন্দি



৬। স্পাটার স্বাধীন নাগরিকদের বলা হত ? 

ক) পেরিওকয়

খ) হেলট

গ) স্পাটিয়েট

ঘ) মেটিক


উত্তর : গ) স্পাটিয়েট

৭। স্পাটার সমাজে সর্বোচ্চ স্থানে প্রতিষ্ঠিত ছিল ? 

ক) হেলট

খ) পেরিওসি

গ) স্পাটান

ঘ) মেটিক


উত্তর : গ) স্পাটান

৮। স্পাটার নগর রাষ্ট্রের সর্বনিম্ন স্তরে ছিল ? 

ক) ক্রীতদাস 

খ) হেলট

গ) পেরিতসিগণ

ঘ) পেরিয়সি


উত্তর : খ) হেলট

৯। স্পাটার শাসন কাঠামো কেমন ছিল ? 

ক) রাজতান্ত্রিক 

খ) প্রজাতান্ত্রিক

গ) গণতান্ত্রিক

ঘ) অভিজাততান্ত্রিক


উত্তর : ঘ) অভিজাততান্ত্রিক 

১০। গ্রীক পলিস গুলির ক্রীতদাসদের মধ্যে অন্যতম ছিল ? 

ক) মেটিক

খ) থেটিস

গ) হেলট

ঘ) ইয়ার 


উত্তর : গ) হেলট



১১। স্পাটাকাস ছিলেন ? 

ক) কৃষকবিদ্রোহের নেতা 

খ) শ্রমিক বিদ্রোহের নেতা

গ) দাস বিদ্রোহের নেতা

ঘ) সাঁওতাল বিদ্রোহের নেতা


উত্তর : গ) দাস বিদ্রোহের নেতা

১২। ঋগবৈদিক যুগে বর্ণব্যাবস্থা কীসের ভিত্তিতে গড়ে উঠেছিল ? 

ক) ধর্ম 

খ) কর্ম 

গ) বংশমর্যাদা

ঘ) গায়ের রং 


উত্তর : খ) কর্ম

১৩। ‘বর্ণপ্রথা’ ও ‘জাতিপ্রথা’ যে দেশের বৈশিষ্ট্য ছিল ? 

ক) ভারত 

খ) মিশর 

গ) এথেন্স

ঘ) চিনের


উত্তর : ক) ভারত

১৪। ঋগবেদ ‘দাস’ বা ‘দস্যু’ বলা হয়েছে ?

ক) ক্ষত্রিয়দের 

খ) অনার্যদের

গ) শূদ্রদের

ঘ) বৈশ্যদের


উত্তর : খ) অনার্যদের

১৫। পতিত ক্ষত্রিয় বলা হল ? 

ক) রাজপুতদের

খ) বহিরাগত কয়েকটি অনার্য জাতিকে 

গ) চন্ডালদের

ঘ) পঞ্চমগণকে


উত্তর : খ) বহিরাগত কয়েকটি অনার্য জাতিকে



১৬। নিষাদ হল ?

ক) শূদ্র 

খ) অরণ্যভূমির উপজাতি 

গ) পার্বত্য উপজাতি 

ঘ) দ্রাবিড় জাতি 


উত্তর : খ) অরণ্যভূমির উপজাতি

১৭। গ্রীক দূত মেগাস্থিনিস মৌর্য যুগে ভারতীয় সমাজে কটি জাতির উল্লেখ করেছেন ? 

ক) ৪টি

খ) ৫টি

গ) ৬টি

ঘ) ৭টি


উত্তর : ঘ) ৭টি

১৮। প্রণয়মূলক বিবাহ নিম্নলিখিত কোন শ্রেণীর বিবাহের অন্তভূক্ত ? 

ক) দৈব 

খ) অসুর

গ) গান্ধব

ঘ) প্রজাপত্য


উত্তর : গ) গান্ধব

১৯। দেব বিবাহ নিধারিত ছিল কাদের জন্য ? 

ক) বৈশ্য 

খ) শূদ্র 

গ) ব্রাহ্মণ 

ঘ) ক্ষত্রিয় 


উত্তর : গ) ব্রাহ্মণ

২০। ‘অর্থশাস্ত্রে’ কত প্রকার বিবাহ রীতির উল্লেখ আছে ? 

ক) ৪ প্রকার 

খ) ৫ প্রকার

গ) ৮ প্রকার

ঘ) ১০ প্রকার


উত্তর : গ) ৮ প্রকার



২১। অর্থশাস্ত্রে কয় প্রকার স্ত্রীধনের কথা বলা হয়েছে ? 

ক) ছয় প্রকার

খ) চার প্রকার

গ) সাত প্রকার

ঘ) পাঁচ প্রকার


উত্তর : খ) চার প্রকার

২২। ভারতে নারীশিক্ষার প্রচলন শুরু হয় ? 

ক) মৌর্য যুগে

খ) গুপ্ত যুগে

গ) সুলতানী যুগে

ঘ) বৈদিক যুগে


উত্তর : ঘ) বৈদিক যুগে 

২৩। প্রাচীন মিশরীয় রানি নেফারতিতি ? 

ক) পিতাকে হত্যা করে সিংহাসনে বসেন 

খ) মিশরের শেষ ফ্যারাও ছিলেন 

গ) আখেনাতেন শহর নির্মাণ করেন 

ঘ) আখেনাতেনর প্রধানা মহিষী ও সহশাসক ছিলেন 


উত্তর : ঘ) আখেনাতেনর প্রধানা মহিষী ও সহশাসক ছিলেন

২৪। মিশরের প্রথম ফ্যারাও ছিলেন ?

ক) মেনেস

খ) আমেনহোটেপ

গ) তুতেনখামেন

ঘ) রামোসিস


উত্তর : ক) মেনেস 

২৫। মিশরের সর্বশেষ ফ্যারাও ছিলেন ? 

ক) নেফারতিতি

খ) টুটেনখামেন 

গ) এয়োদশ টলেমি 

ঘ) সপ্তম ক্লিওপ্রেটা


উত্তর : ঘ) সপ্তম ক্লিওপ্রেটা



২৬। মিশরের প্রথম কতৃত্বশালী মহিলা হলেন ? 

ক)  আখেনাতেন

খ) ক্লিওপ্রেটা

গ) দূর্গাবর্তী

ঘ) রাজিয়া 


উত্তর : খ) ক্লিওপ্রেটা 

২৭। ‘মিশরের নেপোলিয়ন’ কাকে বলা হয় ? 

ক) দ্বিতীয় থুতমোসকে

খ) তৃতীয় থুতমোসকে

গ) প্রথম থুতমোসকে

ঘ) চতুর্থ থুতমোসকে


উত্তর : খ) তৃতীয় থুতমোসকে 

২৮। মিশরে ধর্মবিপ্লব ঘটিয়েছিলেন ? 

ক) খুফু 

খ) নেফারতিতি

গ) ক্লিওপ্রেটা 

ঘ) আখেনাতেন


উত্তর : ঘ) আখেনাতেন 

২৯। রানি দূর্গাবতীর সময়ে মোগল সম্রাট ছিলেন ? 

ক) আকবর 

খ) জাহাঙ্গীর 

গ) শাহজাহান 

ঘ) বাবর 


উত্তর : ক) আকবর

৩০। গন্ডোয়ানা রাজ্যের রাজধানী স্থানান্তরিত হয়েছিল ? 

ক) ঔরঙাবাদে 

খ) দিল্লিতে 

গ) সিঙ্গারগড়ে 

ঘ) চোরাগড়ে 


উত্তর : ঘ) চোরাগড়ে 



৩১। গন্ডোয়ানা অভিযানে মোগল বাহিনীর পক্ষে নেতৃত্ব দেন ? 

ক) জয়সিংহ 

খ) আসফ খাঁ

গ) টোডরমল 

ঘ) মান সিংহ 


উত্তর : খ) আসফ খাঁ

৩২। নূরজাহানের প্রকৃত নাম ছিল ? 

ক) নূর এ আলম 

খ) লাডলি বেগম 

গ) মেহেরুন্নিসা

ঘ) অর্জুমন্দ বানুবেগম 


উত্তর : গ) মেহেরুন্নিসা

৩৩। নূরজাহান কান্দাহার পুনরুদ্ধারের নির্দেশ দেন ? 

ক) শাহরিয়ারকে 

খ) জাহাঙ্গীরকে 

গ) আকবরকে

ঘ) শাহজাহানকে


উত্তর : ঘ) শাহজাহানকে




সোমবার, ৩ অক্টোবর, ২০২২

রাজনীতির বিবর্তন শাসনতান্ত্রিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক ধারণা MCQ প্রশ্নোত্তর

একাদশ শ্রেণী xi class history ইতিহাস রাজনীতির বিবর্তন শাসনতান্ত্রিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক ধারণা MCQ প্রশ্নোত্তর rajnitir biborton shashontantrik abong pratishthanik dharona mcq questions answers


১। নগর রাষ্ট্রের অপর নাম ? 

ক) অ্যাপেলা

খ) ইফোর 

গ) আক্কাদ 

ঘ) পলিস 


উত্তর : ঘ) পলিস

২। প্লেটোর মতে , একটি আদর্শ পলিসের জনসংখ্যা হওয়া উচিত ? 

ক) ১০,০০০

খ) ২০,০০০

গ) ৪,০০০

ঘ) ৫,০০০


উত্তর : ঘ) ৫,০০০ 

৩। এথেন্সে বিদেশিরা পরিচিত ছিল ? 

ক) থেটিস 

খ) হেলট 

গ) মেটিক 

ঘ) ইয়ার নামে 


উত্তর : গ) মেটিক 

৪। এথেন্সের শাসনকাঠামো ছিল ? 

ক) রাজতান্ত্রিক 

খ) প্রজাতান্ত্রিক

গ) অভিজাততান্ত্রিক

ঘ) গণতান্ত্রিক


উত্তর : ঘ) গণতান্ত্রিক

৫। প্রাচীন গ্রিসে ‘অক্টোপলিস’ স্থাপিত হয় ? 

ক) পাহাড়ের শিখরে 

খ) নদীর তীরে 

গ) দুর্গের অভ্যন্তরে 

ঘ) দ্বীপের মধ্যভাগে 


উত্তর : ক) পাহাড়ের শিখরে 



৬। প্রাচীন এথেন্সের আদালতকে বলা হত ? 

ক) ইফর

খ) গেরুসিয়া 

গ) হেলাইয়া 

ঘ) আরকন


উত্তর : গ) হেলাইয়া 

৭। স্পাটার শাসনকাঠামো কেমন ছিল ? 

ক) রাজতান্ত্রিক

খ) প্রজাতান্ত্রিক

গ) গণতান্ত্রিক

ঘ) অভিজাততান্ত্রিক


উত্তর : ঘ) অভিজাততান্ত্রিক

৮। ভারতে ঋগবৈদিক যুগের আর্যরা ছিল ? 

ক) যাযাবর 

খ) পশুশিকারী

গ) পশুচারণকারী

ঘ) অর্ধ যাযাবর 


উত্তর : খ) পশুশিকারী

৯। গ্রামের শাসনকার্য পরিচালনাকারিকে বলা হত ? 

ক) গ্রামনী 

খ) গোষ্ঠীপতি 

গ) গ্রামপতি

ঘ) রাজা 


উত্তর : ক) গ্রামনী

১০। কয়েকটি গ্রাম নিয়ে গড়ে উঠেছিল ? 

ক) বিশ বা জন 

খ) মহাজনপদ 

গ) পরিবার 

ঘ) জনপদ 


উত্তর : ক) বিশ বা জন



১১। মহাভারতে কয়টি জন পদের উল্লেখ আছে ? 

ক) ২০

খ) ২৫

গ) ৩০

ঘ) ৩৫


উত্তর : খ) ২৫

১২। মহাজনপদ গুলির উত্থান হয় ? 

ক) খ্রি . পূ . ষষ্ট শতকে 

খ) খ্রি . পূ . ষোড়শ শতকে

গ) খ্রি . পূ . চতুর্থ শতকে

ঘ) খ্রি . পূ . পঞ্চম শতকে


উত্তর : ক) খ্রি . পূ . ষষ্ট শতকে

১৩। কোশল মহাজনপদটির রাজধানী ছিল ? 

ক) বারাণসী 

খ) শ্রাবস্তী

গ) অস্মক

ঘ) বৃজি 


উত্তর : খ) শ্রাবস্তী

১৪। খিষ্ট্রপূর্ব ষষ্ট শতকে মূলত উত্তর ভারতে সামান্য কটি যে গঠনমূলক মহাজনপদ গড়ে উঠেছিল তার মধ্যে অন্যতম হলো ? 

ক) মগধ 

খ) মল্লে 

গ) গান্ধার 

ঘ) অবন্তী 


উত্তর : ক) মগধ

১৫। মহাজনপদ গুলির মধ্যে অধিকাংশই ছিল ? 

ক) গণতান্ত্রিক 

খ) প্রজাতান্ত্রিক

গ) স্বৈরতান্ত্রিক

ঘ) রাজতান্ত্রিক


উত্তর : ঘ) রাজতান্ত্রিক 



১৬। ভারতের প্রথম ঐতিহাসিক সম্রাট হলেন ? 

ক) বিম্বিসার 

খ) অজাতশত্রু 

গ) চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য 

ঘ) অশোক 


উত্তর : গ) চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য 

১৭। প্রাচীন যুগে ভারতে সর্বপ্রথম যে সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা হয় তা হল ? 

ক) মৌর্য সাম্রাজ্যে

খ) কুষাণ সাম্রাজ্যে

গ) গুপ্ত সাম্রাজ্যে

ঘ) পাল সাম্রাজ্যে


উত্তর : ক) মৌর্য সাম্রাজ্যে 

১৮। আলেকজান্ডার ভারত অভিযান করেছিলেন ? 

ক) ৩২০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ

খ) ৩২৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দ

গ) ৩২৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দ

ঘ) ৩৩০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ


উত্তর : গ) ৩২৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দ 

১৯। গ্রীক দূত মেগাস্থিনিস মৌর্য যুগে ভারতীয় সমাজে কটি জাতির উল্লেখ করেছেন ? 

ক) ৪টি 

খ) ৫টি 

গ) ৬টি 

ঘ) ৭টি 


উত্তর : ঘ) ৭টি

২০। অশোক যেসব ধর্মদূত পাঠিয়েছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ? 

ক) সংঘমিত্রা 

খ) রক্ষিত 

গ) ধর্মরক্ষিত

ঘ) মহারক্ষিত


উত্তর : ক) সংঘমিত্রা



২১। মৌর্য বংশের শেষ সম্রাট ছিলেন ?

ক) পুস্যমিত্র 

খ) বৃহদ্রথ

গ) বিন্দুসার 

ঘ) বিম্বিসার


উত্তর : খ) বৃহদ্রথ 

২২। মৌর্য বংশের পতন ঘটান ? 

ক) বৃহদ্রথ

খ) ধননন্দ

গ) পুস্যমিত্র শুঙ্গ

ঘ) মহাপদ্মনন্দ


উত্তর : গ) পুস্যমিত্র শুঙ্গ 

২৩। উত্তর ভারতের প্রথম ঐতিহাসিক রাজা হলেন ? 

ক) বিম্বিসার

খ) অজাতশত্রু 

গ) মহাপদ্ম নন্দ

ঘ) চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য 


উত্তর : গ) মহাপদ্ম নন্দ 

২৪। সুপ্রাচীন রোম নগরীর প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ? 

ক) ৭৫৩ খ্রি.পূ.

খ) ৩২৩ খ্রি.পূ.

গ) ২৪৩ খ্রি.পূ.

ঘ) ১৮৫ খ্রি.পূ.


উত্তর : ক) ৭৫৩ খ্রি.পূ. 

২৫। মেগাস্থিনিস ছিলেন ? 

ক) আলেকজান্ডার দূত 

খ) পুরুর দূত

গ) সিজারের দূত

ঘ) সেলুকাসের দূত


উত্তর : ঘ) সেলুকাসের দূত



২৬। সীতা হল মৌর্য যুগের একটি ? 

ক) প্রথা 

খ) দেবী 

গ) কর 

ঘ) দল 


উত্তর : গ) কর 

২৭। এথেন্সের দেবদেবীদের মধ্যে শ্রেষ্ট ছিলেন ? 

ক) অ্যাপোলো

খ) এথেনা 

গ) জিউস

ঘ) ডিমিটার


উত্তর : গ) জিউস 

২৮। পূর্ব রোমান সাম্রাজ্যের পতন ঘটেছিল ? 

ক) ১৫২৬ খ্রি.

খ) ১৪৫৩ খ্রি.

গ) ১৩৫৩ খ্রি.

ঘ) ১২০৯ খ্রি.


উত্তর : খ) ১৪৫৩ খ্রি.

২৯। প্যাক্স রোমানা বলতে বোঝায় ? 

ক) রোমান আইন 

খ) রোমান রাজধানী 

গ) রোম সম্রাটের উপাধি 

ঘ) রোমের সৈন্যবাহিনী 


উত্তর : ক) রোমান আইন 

৩০। সর্বপ্রথম খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেছিলেন রোমান সম্রাট ? 

ক) থিওডোরাস

খ) জুলিয়াস 

গ) কনস্টানটাইন

ঘ) অগাস্টাস


উত্তর : গ) কনস্টানটাইন



৩১। রোমান সাম্রাজ্যে প্রথম দাস বিদ্রোহ ঘটে ? 

ক) সিসিলিতে 

খ) রোমে 

গ) গ্রিসে 

ঘ) পারস্য


উত্তর : ক) সিসিলিতে 

৩২। ভারতের নেপোলিয়ন বলা হয় ? 

ক) শ্রীগুপ্তকে 

খ) স্কন্দগুপ্তকে

গ) সমুদ্রগুপ্তকে

ঘ) অশোকগুপ্তকে


উত্তর : গ) সমুদ্রগুপ্তকে 

৩৩। গুপ্ত বংশের শ্রেষ্ট সম্রাট ছিলেন ? 

ক) শ্রীগুপ্ত

খ) সমুদ্রগুপ্ত 

গ) চন্দ্রগুপ্ত 

ঘ) স্কন্দগুপ্ত


উত্তর : খ) সমুদ্রগুপ্ত 

৩৪। এলাহাবাদ প্রশস্তি রচনা করেন ? 

ক) সমুদ্রগুপ্ত 

খ) বীরসেন 

গ) হরিষেন

ঘ) রুদ্রদামন


উত্তর : গ) হরিষেন

৩৫। ‘সূর্যসিদ্ধান্ত’ গ্রন্থটি রচনা করেন ? 

ক) মেগাস্থিনিস

খ) বরাহমিহির 

গ) কৌটিল্য 

ঘ) আর্যভট্ট


উত্তর : ঘ) আর্যভট্ট



৩৬। আর্যভট্ট ও বরাহমিহির ছিলেন ? 

ক) বৈদিক যুগের বিজ্ঞানী 

খ) মৌর্য যুগের বিজ্ঞানী

গ) গুপ্তযুগের বিজ্ঞানী

ঘ) কুষাণ যুগের বিজ্ঞানী


উত্তর : গ) গুপ্তযুগের বিজ্ঞানী 

৩৭। জাবতি প্রথার প্রবর্তন করেন ? 

ক) শেরশাহ 

খ) আকবর 

গ) শাহজাহান 

ঘ) ঔরঙ্গজৈব


উত্তর : ক) শেরশাহ

৩৮। ‘মোগল সুবার’ শাসনকর্তাদের বলা হত ? 

ক) দেওয়ান 

খ) কাজী 

গ) সুবাদার 

ঘ) মন্ত্রীন


উত্তর : গ) সুবাদার

৩৯। দিল্লীর পুরানো কেল্লা কে নির্মাণ করেন ? 

ক) বাবর 

খ) শেরশাহ 

গ) হুমায়ূন 

ঘ) আকবর 


উত্তর : খ) শেরশাহ

৪০। পানিপথের প্রথম যুদ্ধ হয় ? 

ক) ১৫২৬ খ্রিস্টাব্দে

খ) ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দে

গ) ১৭৬১ খ্রিস্টাব্দে

ঘ) ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে


উত্তর : ক) ১৫২৬ খ্রিস্টাব্দে




শনিবার, ১ অক্টোবর, ২০২২

দিগন্তের প্রসার MCQ প্রশ্নোত্তর

একাদশ শ্রেণী xi class history ইতিহাস দিগন্তের প্রসার MCQ প্রশ্নোত্তর digontter prosar mcq questions answers


১। অপরসায়ন চর্চার সূত্রপাত ঘটেছিল ? 

ক) চিনে 

খ) মিশরে 

গ) গ্রিসে 

ঘ) রোমে 


উত্তর : খ) মিশরে

২। আধুনিক পরমাণুবাদের জনক হলেন ? 

ক) নিউটন 

খ) জন ডালটন

গ) গ্যালিলিয়ো

ঘ) ফ্রান্সিস বেকন 


উত্তর : খ) জন ডালটন

৩। সাধারণ ধাতু থেকে সোনা তৈরির প্রচেষ্টা যে নামে পরিচিত ছিল , তাহলো ? 

ক) রসায়নবিদ্যা

খ) অপরসায়নবিদ্যা

গ) পদার্থবিদ্যা

ঘ) জীববিদ্যা


উত্তর : খ) অপরসায়নবিদ্যা

৪। আধুনিক রসায়নের উদ্ভব হয় ? 

ক) পদার্থবিদ্যা থেকে

খ) জ্যোতিবিদ্যা থেকে

গ) অপরসায়ন থেকে

ঘ) ম্যাজিক থেকে


উত্তর : গ) অপরসায়ন থেকে

৫। অক্সিজেন গ্যাস আবিষ্কার করেন ? 

ক) বিজ্ঞানী প্রিষ্টলি 

খ) বিজ্ঞানী জন ডালটন 

গ) বিজ্ঞানী নিউটন 

ঘ) ল্যাভয়েসিয়র


উত্তর : ক) বিজ্ঞানী প্রিষ্টলি 



৬। আধুনিক জ্যোতিবিদ্যার জনক হলেন ? 

ক) কোপারনিকাস 

খ) কেপলার 

গ) গ্যালিলিয়ো 

ঘ) টাইকো ব্রাহে 


উত্তর : ক) কোপারনিকাস 

৭। সৌরকেন্দ্রিক মহাবিশ্বের ধারণার আধুনিক প্রবক্তা ছিলেন ? 

ক) টলেমি 

খ) অ্যারিস্টটল 

গ) কোপারনিকাস 

ঘ) কেপালার


উত্তর : গ) কোপারনিকাস 

৮। বিশ্বের বিন্যাস সম্পর্কে ভুকেন্দ্রিক মতবাদের উদগাতা কে ছিলেন ? 

ক) নাগাজুন 

খ) টলেমি 

গ) বেকন 

ঘ) কোপারনিকাস 


উত্তর : ঘ) কোপারনিকাস 

৯। আধুনিক বিজ্ঞানের বাইবেল বলে ?

ক) প্রিন্সিপিয়া গ্রন্থকে

খ) দ্য প্রিন্স গ্রন্থকে

গ) দে লোভা স্তেলা গ্রন্থকে

ঘ) পঞ্চসিদ্ধান্তিকা গ্রন্থকে


উত্তর : ক) প্রিন্সিপিয়া গ্রন্থকে

১০। পৃথিবীকেন্দ্রিক ব্রহ্মাণ্ডের ধারণা প্রচার করেন ?

ক) ব্রুনো 

খ) কেপলার 

গ) টাইকো ব্রাহে

ঘ) অ্যারিস্টটল 


উত্তর : গ) টাইকো ব্রাহে 



১১। ‘পঞ্চসিদ্ধান্ত’ গ্রন্থটি রচনা করেন ? 

ক) আর্যভট্ট

খ) বরাহমিহির 

গ) ব্রহ্মগুপ্ত

ঘ) দ্বিতীয় আর্যভট্ট


উত্তর : খ) বরাহমিহির 

১২। পাতন প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা প্রতিষ্ঠান হল ? 

ক) লাইব্রেরী 

খ) ক্লিনিক 

গ) ল্যাবরেটরি 

ঘ) বিদ্যালয় 


উত্তর : গ) ল্যাবরেটরি 

১৩। উড়ন্ত মাকু আবিষ্কার করেন ? 

ক) জেমস হারগ্রিভস

খ) হামফ্রে ডেভি

গ) জন কে 

ঘ) জেমস ওয়াট 


উত্তর :  গ) জন কে

১৪। টেলিফোনের আবিষ্কারক হলেন ? 

ক) গ্রাহাম বেল 

খ) কেপলার 

গ) জেমস লং 

ঘ) মার্কনি


উত্তর : ক) গ্রাহাম বেল

১৫। নিরাপত্তা বাতি আবিষ্কার করেন ? 

ক) স্পিনিং জেনি 

খ) হামফ্রে ডেভি 

গ) জেমস ওয়াট 

ঘ) জন কে 


উত্তর : খ) হামফ্রে ডেভি 



১৬। প্রথম শস্য ঝারাই যন্ত্র আবিষ্কার করেন ? 

ক) ওয়াল্টার মিল 

খ) ফুলটন 

গ) জনকে 

ঘ) জন স্মিটন 


উত্তর : ক) ওয়াল্টার মিল

১৭। কোন দেশে বারুদ তৈরির কৌশল উদ্ভাবন হয় ? 

ক) চিনে 

খ) আরবে 

গ) ভারতে 

ঘ) জার্মানিতে 


উত্তর : ক) চিনে 

১৮। ধাতুনির্মিত গোলা বা হাতকামানের ব্যাবহার প্রথম যে দেশে চালু হয়েছিল ? 

ক) ফ্রান্সে 

খ) চিনে 

গ) ভারতে 

ঘ) ইংল্যান্ডে 


উত্তর : খ) চিনে

১৯। ‘বিস্ময়কর ডাক্তার’ বলা হয় ? 

ক) ফ্রান্সিস বেকনকে 

খ) রজার বেকনকে

গ) কেপলারকে

ঘ) গ্যালিলিওকে


উত্তর : খ) রজার বেকনকে

২০। কোন দেশে প্রথম মুদ্রণযন্ত্র আবিষ্কার হয় ? 

ক) ইংল্যান্ড 

খ) জার্মানি 

গ) ভারত 

ঘ) চিন 


উত্তর : খ) জার্মানি



২১। ‘জাতক পদ্ধতি’ গ্রন্থের রচয়িতা ? 

ক) আর্যভট্ট

খ) বরাহমিহির

গ) অ্যারিস্টটল 

ঘ) শ্রীপতি


উত্তর : ঘ) শ্রীপতি

২২। আমেরিকা আবিষ্কৃত হয় ? 

ক) ১৪৫৩ খ্রিস্টাব্দে

খ) ১৪৯২ খ্রিস্টাব্দে

গ) ১৫২০ খ্রিস্টাব্দে

ঘ) ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দে


উত্তর : খ) ১৪৯২ খ্রিস্টাব্দে

২৩। ইউরোপ থেকে ভারতবর্ষে আসার জলপথ আবিষ্কার করেন ? 

ক) বাথোলোমিউ

খ) ভাস্কো দা গামা 

গ) কলম্বাস 

ঘ) জন কেব্রাল 


উত্তর : খ) ভাস্কো দা গামা

২৪। আফ্রিকার কঙ্গো আবিষ্কার করেন ? 

ক) দিয়োগা ক্যাও

খ) রাজকুমার হেনরি 

গ) বাথোলোমিউ দিয়াজ 

ঘ) ভাস্কো দা গামা 


উত্তর : ক) দিয়োগা ক্যাও

২৫। প্রশান্ত মহাসাগরের নামকরণ করেন ? 

ক) বালবোয়া

খ) কলম্বাস 

গ) ম্যাগেলান

ঘ) আমেরিগো ভেসপুচি 


উত্তর : গ) ম্যাগেলান



২৬। আমেরিকা মহাদেশ আবিষ্কার করেন ? 

ক) কলম্বাস 

খ) মার্কোপোলো 

গ) বালবোয়া

ঘ) ভাস্কো দা গামা 


উত্তর : ক) কলম্বাস




মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই, ২০২২

ভারতীয় উপমহাদেশের অর্থনীতিতে ইন্দো রোম বাণিজ্যের প্রভাব কী ছিল ? তৃতীয় নগরায়ণের কারণ কী ছিল ?

একাদশ শ্রেণী ইতিহাস প্রশ্নোত্তর xi class 11 history Question answer ভারতীয় উপমহাদেশের অর্থনীতিতে ইন্দো রোম বাণিজ্যের প্রভাব কী ছিল তৃতীয় নগরায়ণের কারণ কী ছিল bharotiyo upomohadesher arthonoitite indorom bannijer provab ki chilo tritiyo nogorayoner karon ki chilo


উত্তর : ইন্দো  রােম বাণিজ্যের প্রভাব পড়েছিল ভারত এবং রােম উভয় দেশের ওপরই । ভারত ও পাশ্চাত্য উভয় দেশই মূলত মৌর্যোত্তর যুগের সময়কালে বাণিজ্যের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল ।  

[       ] ভারতের ওপর 

i) সমৃদ্ধশালী নগরের উদ্ভব : ইন্দো রােম অর্থাৎ ভারত রােম বাণিজ্যের সুবাদে সাতবাহন শাসনাধীন দাক্ষিণাত্যে ও কুষাণ শাসনাধীন উত্তর ভারতে বেশ কিছু সমৃদ্ধশালী নগরের উদ্ভব ঘটে । দক্ষিণ ভারতে উদ্ভব ঘটেছিল এমন কয়েকটি নগর হল অমরাবতী , পৈঠান , সােপারা , কাবেরীপত্তনম প্রভৃতি । উত্তর ভারতে উদ্ভব ঘটেছিল এমন কয়েকটি নগর হল - মথুরা , কৌশাম্বী ,বারাণসী । 


ii) শিল্পসংস্কৃতি : বাণিজ্যের ফলে রােমান শিল্প সংস্কৃতির দ্বারা ভারতীয় শিল্প সংস্কৃতি প্রভাবিত হয় ।বিশেষত শিল্পের ওপর গ্রিক রােমান শিল্প ও স্থাপত্যশৈলীর যথেষ্ট প্রভাব পড়ে । ফলে ভারতে গান্ধার শিল্প নামে এক নতুন শিল্পরীতির উদ্ভব ঘটে । 
[        ] রােমের ওপর 

i) চিকিৎসাবিজ্ঞানে : রােম ভারত বাণিজ্যের সুবাদে রােমে ভারতীয় চিকিৎসাবিজ্ঞান বিষয়ক ধারণার অনুপ্রবেশ ঘটে । ভারতীয়দের লতা গুল্মভিত্তিক ভেষজ চিকিৎসাজ্ঞানের পরিচয় লাভ করে রােমানরা । 

ii) মশলার ব্যবহার : রােম ভারত বাণিজ্যের সুবাদে রােমের বণিকরা দক্ষিণ ভারত থেকে মশলা কিনে দেশে নিয়ে যেত । রােমে ভারতীয় মশলার বিশেষ চাহিদা ছিল । ভারত থেকে বিভিন্ন প্রকারের মশলা রােমে রপ্তানি হওয়ার ফলে রােমানদের রন্ধনপ্রণালী এবং খাদ্য তৈরিতে উল্লেখযােগ্য পরিবর্তন আসে ।  

[         ] প্রাচীন ভারতে সর্বপ্রথম হরপ্পা সভ্যতার যুগে নগর সভ্যতার সূচনা হয় । দ্বিতীয় পর্যায়ে যােড়শ মহাজনপদের যুগে এবং তৃতীয় পর্যায়ে আদিমধ্যযুগে বহু নতুন নতুন নগরের উদ্ভব হয় । প্রাচীন ভারতে নগরের উদ্ভবের বিভিন্ন কারণ ছিল । যেমন  


(১) গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র গড়ে ওঠা : ড .রামশরণ শর্মার মতে , সামরিক ছাউনি , প্রশাসনিক কেন্দ্র, যাতায়াতের কেন্দ্র, শিল্পী ও কারিগরদের বসবাস প্রভৃতি স্থানে জনসমাগম বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে সেখানে ক্রমে নগরের বিকাশ ঘটে । 

(২) ধর্মথনের আকর্ষণ : প্রাচীন ভারতে ধর্মীয় কারণে বিভিন্ন ধর্মস্থানগুলিকে কেন্দ্র করে নগরজীবন প্রতিষ্ঠিত হয় । শ্রাবস্তী , বারাণসী , গয়া, রাজগৃহ , নালন্দা , পাটলিপুত্র প্রভৃতি স্থানগুলির সঙ্গে বুদ্ধের ধর্মপ্রচার ও নির্মাণের বিষয় যুক্ত হয়ে এগুলি জনপ্রিয় নগরে পরিণত হয় । 


(৩) কৃষি , বাণিজ্য ও শিল্পের বিকাশ : ড , কোশাম্বী ও ড . শর্মা দেখিয়েছেন যে , লােহার লাঙল ব্যবহারের ফলে কৃষিক্ষেত্রে উদবৃত্ত উৎপাদন সম্ভব হয় । উদ্বৃত্ত কৃষি পণ্যের ওপর ভিত্তি করে ব্যাবসাবাণিজ্য ও কারিগরি শিল্পের সূচনা এবং এই কেন্দ্রগুলিতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে সেখানে নগরের উন্মেষের পটভূমি তৈরি হয় । 


(৪) রাজনৈতিক আধিপত্য : ঐতিহাসিক অমলানন্দ ঘােষ মনে করেন যে , রাজতন্ত্রের সূচনার পর রাজা তার শক্তিকে কাজে লাগিয়ে কৃষকের উদ্বৃত্ত পণ্যের বড়াে অংশ দখল করে নেয় । এভাবেই গাঙ্গেয় উপত্যকায় রাজার রাজনৈতিক আধিপত্য বৃদ্ধিপায় । বিভিন্ন স্থানে রাজকীয় প্রশাসনিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয় । এই কেন্দ্রগুলি ক্রমে নগরায়ণের পথ প্রশস্ত করে ।






সোমবার, ১৮ জুলাই, ২০২২

বৈদিক যুগের বর্ণপ্রথার উদ্ভবের পটভূমি ও কারণ উল্লেখ করো ।

একাদশ শ্রেণী ইতিহাস প্রশ্নোত্তর xi class 11 history Question answer বৈদিক যুগের বর্ণপ্রথার উদ্ভবের পটভূমি ও কারণ উল্লেখ করো broidikyuger bornoprothar udvober potobhumi o karon ullekh koro


উত্তর :  আর্যরা যখন ভারতে আসে তখন তাদের সমাজে কোনােরূপ বর্ণব্যবস্থার অঞলে ছিল না । তারা ভারতে নিজেদের ‘সপ্তসিন্ধু’ অস্তিত্ব অঞ্চলে স্থায়ীভাবে নিজেদের বসতি স্থাপন করলেও ক্রমে তাদের বসতি অঞ্চল প্রসারিত হলে তাদের সঙ্গে ভারতীয় অনার্যদের দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে ।
বর্ণভেদপ্রথা বিষয়ক ধারণা : আর্যদের গায়ের রং ছিল ফরসা এবং অনার্যদের ছিল কালাে । এই ব্যবধানকে স্থায়ী করার উদ্দেশ্যে আর্যরা সমাজজীবনে বিভিন্ন পেশা বা বৃত্তি অনুসারে বিভিন্ন গােষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের সৃষ্টি করে । এভাবে বৈদিক সমাজে বর্ণভেদ প্রথার উত্থান ঘটে । তাই ইতিহাসবিদ রাপসন বলেছেন যে, আর্য সমাজে ‘বর্ণ’ শব্দটি গায়ের রং বােঝাতেই ব্যবহৃত হত । আর্যরা ভারতীয় কৃষ্ণাঙ্গদের অনার্য বা দস্যু বলত । তারা নিজেদের বর্ণের শ্রেষ্ঠত্ব এবং সপ্তসিন্ধু অঞ্চলে নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখার জন্য সামাজিক রীতিনীতি , বিবাহ প্রভৃতি সম্পর্ক নিজেদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখেছিল । 


চতুর্বর্ণের উৎপত্তি : ঋগবেদের দশম মণ্ডলের পুরুষসুক্তে একটি শ্লোকে বলা হয়েছে যে ,আদি পুরুষ ব্ৰত্মারমুখমণ্ডল থেকে ব্রাত্মণ, বাহুদ্বয় থেকে ক্ষত্রিয়,উরুদেশ থেকে বৈশ্য ও চরণযুগল থেকে শূদ্রের উৎপত্তি হয়েছে । এভাবে আর্য সমাজে ব্রাক্ষ্মণ,ক্ষত্রিয়,বৈশ্য ও শূদ্র—এই চারটি বর্ণের  সৃষ্টির কথা জানা যায় ।

[        ] ঋবৈদিক যুগে আর্য সমাজে বর্ণ প্রথার উদ্ভব ঘটে । পরবর্তী বৈদিক যুগ থেকে এই বর্ণপ্রথার তীব্রতা ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকে । ঐতিহাসিকদের মতে , আর্য সমাজে বর্ণভেদ প্রথার উদ্ভব ঘটার বিভিন্ন কারণ ছিল । এই কারণগুলি হল  


i) অনার্যদের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখা : গৌরবর্ণ ও দীর্ঘকায় আর্যদের চোখে খর্বকায় ও কৃয়বর্ণ অনার্যরা ছিল হীন বা নিকৃষ্ট । ক্রমে কৃষ্ণকায় অনার্যদের সঙ্গে গৌরবর্ণ আর্যদের সহাবস্থানের ফলে তাদের মধ্যে সামাজিক রীতিনীতির সংমিশ্রণ ঘটতে থাকে । সেই কারণেই অনার্যদের থেকে নিজেদের পৃথক অস্তিত্ব বজায় রাখার জন্য আর্যরা তাদের সমাজে বর্ণভেদ প্রথা চালু করার প্রয়ােজন বােধ করে ।  

ii) শ্রমবিভাজনের প্রয়ােজন : আর্যদের বসতির ক্রমশ প্রসার ঘটতে থাকলে কোনাে একজন আর্য পুরুষের পক্ষে জীবন জীবিকার প্রয়ােজনীয় সব কাজ করে ওঠা সম্ভব হচ্ছিল না । যে সারাদিন যুদ্ধের কাজে নিযুক্ত থাকত তার পক্ষে কৃষি বা বাণিজ্যের কাজ করা সম্ভব ছিল না । এভাবে প্রয়ােজনের তাগিদে আর্য সমাজে শ্রমবিভাজনের সূচনা হয় এবং এক একজন ব্যক্তি বংশানুক্রমিকভাবে নির্দিষ্ট একটি পেশা বা বৃত্তির সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ে । এভাবে বিভিন্ন পেশার মানুষের মধ্যে সামাজিক ভেদাভেদ আরও বৃদ্ধি পায় । আর্যদের মধ্যে এভাবে ব্রাত্মণ,ক্ষত্রিয় ও বৈশ্য নামে তিনটি শ্রেণির সৃষ্টি হয় । অনার্যরা শূদ্রবলে পরিচিত হয় ।

উপসংহার : বর্ণভেদ প্রথার শুরু হওয়ার পর আর্য সমাজের এই প্রথায় আরও নানা পরিবর্তন ঘটে । পরবর্তীকালে বর্ণ বা জাতিভেদপ্রথায় কঠোরতা বৃদ্ধি পায় । কিন্তু তা সত্ত্বেও বৈদিক সমাজের চারটি বর্ণের মধ্যে নানা ধরনের সামাজিক সম্পর্ক স্থাপিত হয় । 



রবিবার, ১৭ জুলাই, ২০২২

মধ্যযুগে ইউরােপে ‘গিল্ড’ প্রতিষ্ঠার কারণ আলোচনা করো ।

একাদশ শ্রেণী ইতিহাস প্রশ্নোত্তর xi class 11 history Question answer মধ্যযুগে ইউরােপে গিল্ড প্রতিষ্ঠার কারণ আলোচনা করো modheyyuge europe gild protisthar karon alochona koro


উত্তর :  i) বিধান : মধ্যযুগে সর্বদা ব্যাবসাবাণিজ্যে নিরাপত্তার অভাব , অনিশ্চয়তা ও ঝুঁকি বণিকদের চিন্তিত করত । বাণিজ্যের নিরাপত্তা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে ব্যবসায়ীরা নিজেদের ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী করতে গিল্ড বা সংঘ গড়ে তুলেছিল । 
ii) বেহিনি কর আদায় রােধ : সামন্তপ্রভুরা বিভিন্ন অজুহাতে বণিকদের কাছ থেকে সর্বদা বিভিন্ন বেআইনি বা অন্যান্য কর আদায় করত । এ ধরনের কর আদায় প্রতিরােধ করতে ব্যবসায়ীরা গিল্ডের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল । 

iii) দস্যুদের মোকাবিলা : বাণিজ্যপথে দস্যুদের আক্রমণ প্রতিহত করার উদ্দেশ্যে বণিকরা নিজেদের খরচে ভাড়াটে রক্ষীবাহিন । নিয়ােগ করত । এই কাজ তদারকির উদ্দেশ্যে গিল্ড প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয় । 

iv) নগর ও বন্দরগুলিতে আধিপত্য : কুসেডের পরবর্তীকালে সামন্ততন্ত্রের দুর্বলতার সুযােগে বণিকরা নগর ও বন্দরগুলিতে নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে । এই আধিপত্যকে আরও শক্তিশালী ও দীর্ঘস্থায়ী করার উদ্দেশ্যে বণিকরা গিল্ড প্রতিষ্ঠার প্রয়ােজন অনুভব করে । 

[        ] কারিগরদের গিল্প প্রতিষ্ঠারকারণ 

i) শ্রেণিস্বার্থ রক্ষা : বণিকরা যাতে কারিগরদের পণ্যের মূল্য বা শ্রমের মজুরি কম না দিতে পারে তার জন্য কারিগররা ঐক্যবদ্ধ সংগঠন গড়ে তােলে ।

ii) প্রতিদ্বন্দ্বিতারােধ : কোনাে কোনাে কারিগর অন্যের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে নিজের পণ্য কম দামে বিক্রি করত । ফলে উভয় প্রতিপক্ষেরই ক্ষতি হত । এই প্রবণতা রােধ করে পণ্যের দাম বেঁধে দিয়ে রেষারেষি বন্ধের উদ্দেশ্যে গিল্ডের প্রতিষ্ঠা হয় । 

iii) কাঁচামালের জোগান অব্যাহত রাখা : সব কারিগরের পক্ষে সবসময় কাঁচামাল জোগাড় করে ওঠা সম্ভব হত না । তাই কাচামাল ও পণ্যের জোগান নিয়মিত রেখে উৎপাদন ব্যবস্থাকে সচল রাখতে গিল্ড গঠনের প্রয়ােজন হয় । 

iv) ক্রেতাস্বার্থ রক্ষা : অসাধু কারিগরদের হাত থেকে ক্রেতাদের রক্ষা করতে গিল্ড গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয় । অসাধু কারিগরদের চিহ্নিত করে যাতে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করা যায়, সে ব্যাপারে গিল্ড সতর্ক দৃষ্টি রাখত । 

উপসংহার : গিল্ডগুলি প্রতিষ্ঠার নেপথ্যে নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠার তাগিদটি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ছিল । কিন্তু গিল্ডের কর্মকর্তারা বাস্তবক্ষেত্রে শিল্পের চিরাচরিত প্রথার দিকে বেশি নজর দেওয়ার ফলে উৎপাদনের ক্ষেত্রে নতুন আবিষ্কার ও উন্নত বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির ব্যবহার বিশেষভাবে ব্যাহত হয়েছিল ।





শনিবার, ১৬ জুলাই, ২০২২

গুপ্তযুগে ভারতীয় উপমহাদেশে সামন্তপ্রথা উত্থানের পটভূমি লেখো ।

একাদশ শ্রেণী ইতিহাস প্রশ্নোত্তর xi class 11 history Question answer গুপ্তযুগে ভারতীয় উপমহাদেশে সামন্তপ্রথা উত্থানের পটভূমি লেখো guptoyuge bharotiyo upomohadeshe samantaprotha uthaner potobhumi lekho


উত্তর : গুপ্তযুগে, বিশেষ করে আদিমধ্যযুগে ভারতের কৃষকসমাজ ভূমির মালিকানা হারিয়ে প্রভুর জমিতে শ্রমদানে বাধ্য হয়েছিল বলে অনেকে মনে করেন । ড , যাদব দেখিয়েছেন যে, আদি মধ্যযুগে ‘হালকর’ ‘বদ্ধহল’ প্রভৃতি শব্দগুলি কৃষকের প্রতিশব্দ হিসেবে ব্যবহৃত হতে থাকে । এর থেকে তিনি অনুমান করেন যে, সে যুগে কৃষকরা নিজস্ব অধিকার হারিয়ে প্রভুর জমিতে আবদ্ধ হয়ে পড়েছিল । 
বাণিজ্যের অবনতি : সামন্ততন্ত্রের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল কৃষি অর্থনীতির ওপর বেশি নির্ভরতা এবং বাণিজ্যের অবনতি । ড . রামশরণ শর্মা ও ড .যাদব দেখিয়েছেন যে ,গুপ্তযুগে অগ্রহার ব্যবস্থার বিকাশের ফলে স্বনির্ভর গ্রামীণ কৃষি অর্থনীতিই মুখ্য হয়ে ওঠে । রােমান সাম্রাজ্যের পতনের সঙ্গে সঙ্গে ভারতের সঙ্গে রােমের সক্রিয় বাণিজ্যিক সম্পর্কও শেষ হয়ে যায় । ফলে ভারতের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয় । 


নগরের অবক্ষয় : অগ্রহার প্রথাকে ভিত্তি করে গুপ্তযুগে উদ্ভূত নতুন ভূস্বামীরা কৃষি উৎপাদনে শ্রমের ওপর জোর দিলে শিল্প ও বাণিজ্য অবহেলিত হয় । ফলে নগরগুলির অবক্ষয় শুরু হয় । এসময় প্রাচীন নগরজীবনের অবক্ষয় এবং গ্রামজীবনের প্রসার সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থার অন্যতম বৈশিষ্ট্য ।  


সম্রাট ও কৃষকের মধ্যবর্তী শাসকগােষ্ঠী : ড . কোশাম্বীর মতে , খ্রিস্টীয় তৃতীয় শতকের মধ্যে ভারতে সম্রাট তার অধীনস্থ বিভিন্ন স্থানীয় শাসকদের নিজেদের এলাকায় রাজস্ব আদায় ,শাসন পরিচালনা , আইনশৃঙ্খলা রক্ষা প্রভৃতি বিষয়ে কিছু কিছু অধিকার দেন । উর্ধ্বতন সম্রাট কর্তৃক স্থানীয় শাসকদের এরূপ অধিকারদানকে ড . কোশাম্বী ‘ওপর থেকে সামন্ততন্ত্র’ বলে অভিহিত করেছেন । ড . কোশাম্বীর মতে , খ্রিস্টীয় সপ্তম অষ্টম শতক নাগাদ সম্রাট ও কৃষকের মধ্যবর্তী স্তরে নতুন ভূম্যধিকারী গােষ্ঠীর উত্থান ঘটে যারা কৃষকদের ওপর বলপ্রয়ােগ করে কৃষি উৎপাদনকে সচল রাখত । ড . কোশাম্বী একে ‘নীচু থেকে সামন্ততন্ত্র’ বলে অভিহিত করেছেন । 

গুপ্তযুগে সামন্ততন্ত্রের উত্থানে অগ্রহার প্রথার ভূমিকা : ভারতে গুপ্তযুগে সম্রাট এবং বিভিন্ন ধনী ব্যক্তি পুণ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বা ব্রাত্মণদের নিষ্কর জমি দান করতেন । দানগ্রহীতা স্বয়ং প্রাপ্ত জমি বা গ্রামের রাজস্ব আদায় , আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, প্রশাসন ও বিচারকার্য পরিচালনা প্রভৃতি যাবতীয় বিষয়ের অধিকারী হতেন । এটি ‘অগ্রহার’ বা ‘ব্ৰন্থদেয়’ প্রথা নামে পরিচিত । এই প্রথার দ্বারা জমির যাবতীয় অধিকার চলে যেত দানগ্রহীতা অর্থাৎ জমির প্রাপকের হাতে । জমির প্রাপক এই দানপ্রাপ্ত জমির যাবতীয় রাজস্ব আদায় ও ভােগ করতেন । এই জমিতে বসবাসকারী মানুষের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, বিচারকার্য পরিচালনা প্রভৃতি অধিকারও জমির প্রাপকের হাতে চলে যেত । দান প্রাপ্ত ভূমির ওপর অবস্থিত যাবতীয় সম্পদ , এমনকি ভূমির নীচে অবস্থিত খনিজ সম্পদেও জমির প্রাপকের অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত হত । এভাবে ভূমিদান ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশে স্থানীয় বিভিন্ন ভূস্বামীর আবির্ভাব ঘটে যা সামন্ততন্ত্রের ভিত্তি রচনা করে । 


উপসংহার : গুপ্তযুগে ভারতে যেসব সামন্ততান্ত্রিক উপাদান সক্রিয় হয়ে উঠেছিল সেগুলি পরিণামে সামন্ত প্রথার জন্ম দেয় । এ প্রসঙ্গে ‘অগ্রহার’ বা নিষ্কর জমিদান প্রথা গুপ্তযুগে সামন্তপ্রথা উদ্ভবের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করেছিল ।




শুক্রবার, ১৫ জুলাই, ২০২২

‘সামন্ততন্ত্র’ বলতে কী বােঝ ? ভারতের সামন্তপ্রথার বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো ।

একাদশ শ্রেণী ইতিহাস প্রশ্নোত্তর xi class 11 history Question answer সামন্ততন্ত্র বলতে কী বােঝ ভারতের সামন্তপ্রথার বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো samantatonro bolte ki bojho bharoter samantaprothar boishisto ullekh koro

উত্তর : ইংরেজি ‘ফিউডালিজম’ কথাটির বাংলা প্রতিশব্দ হল ‘সামন্ততন্ত্র’ বা ‘সামন্তপ্রথা’ । ‘ফিউডালিজম’ কথাটি এসেছে লাতিন শব্দ  ‘ফিওডালিস’ এবং ফরাসি শব্দ ‘ফেডালিতে থেকে । সামন্ততন্ত্র বলতে কী বােঝায় তা বিভিন্ন পণ্ডিত বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করেছেন ।

সাধারণ অর্থ : সাধারণভাবে সামন্ততন্ত্র বলতে এক বিশেষ ধরনের শাসনতান্ত্রিক কাঠামাে বােঝায় যেখানে কেন্দ্রীর শক্তির অধীনে বিভিন্ন আঞ্চলিক শক্তির বিকাশ ঘটে এবং কেন্দ্রীয় প্রশাসনের পরিবর্তে স্থানীয় ভূস্বামীদের হাতে রাজনৈতিক ক্ষমতা বিকেন্দ্রীভূত হয়ে থাকে । অন্যভাবে বলা যায় ,ভূমি মালিকানা ও ভূমি নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা এক বিশেষ আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থাই হল সামন্ততন্ত্র । 


বােলাভিয়ের - এর অভিমত : বােলাঁভিয়ের এর মতে , “সামন্ততন্ত্র হল সার্বভৌম অধিকারের বিভাজন যেখানে প্রশাসনকে খণ্ডিত ও বিকেন্দ্রীভূত করে স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা , স্বাধীনতা ও সম্পত্তির সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয় ।” 


কার্ল মার্কসের অভিমত : কার্ল মার্কসের মতে , “স্বাধীনতাহীন শ্রমজীবী মানুষের দ্বারা বৃহৎ ভূসম্পত্তিতে কৃষি ও হস্তশিল্পজাত পণ্যসামগ্রী উৎপাদন করার ব্যবস্থাই হল সামন্তব্যবস্থা ।”

পি ভি মায়ার্স - এর অভিমত : পি ভি মায়ার্স-এর মতে , সামন্ততন্ত্র হল এক বিশেষ সমাজ ও সরকার -পরিচালনা ব্যবস্থা যা বিশেষভাবে অনুশীলিত এক ভূমিস্বত্ব ব্যবস্থার ওপর ভিত্তিকরে গড়ে উঠেছে , যেটি মধ্যযুগের শেষ পর্বে ইউরােপে বিকাশ লাভ করেছিল এবং যা একাদশ , দ্বাদশ ও ত্রয়ােদশ শতকে ইউরােপে বিরাজ করছিল । 

এ কে নাজমুল করিম -এর অভিমত : অধ্যাপক এ কে নাজমুল করিম সামন্ততন্ত্রের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেছেন যে , “সামন্তপ্রথা বলতে এমন একটি সমাজ ও সংস্কৃতিকে বােঝায় যেখানে ভূমিই হচ্ছে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতার ভিত্তি ।”  


[           ] প্রাচীন ও মধ্যযুগে ইউরােপে সামন্ততান্ত্রিক অর্থনৈতিক কাঠামাে অত্যন্ত শক্তিশালী হয়ে ওঠে ।ইউরােপের কাঠামাের মতাে না হলেও প্রাচীন এবং মধ্যযুগের ভারতে সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থার বিকাশ ঘটে বলে বিভিন্ন ঐতিহাসিক যুক্তি দিয়ে দেখিয়েছেন । ভারতে সামন্তপ্রথার বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য লক্ষ করা যায় । যেমন 

স্বয়ংসম্পূর্ণ গ্রামজীবন : সামন্ততান্ত্রিক সমাজের একটি উল্লেখযােগ্য বৈশিষ্ট্য হল স্বয়ংসম্পূর্ণ গ্রাম্যজীবন । অর্থাৎ গ্রামে বসবাসকারী সকলের প্রয়ােজনীয় সামগ্রী গ্রামেই উৎপাদিত হত । ভারতীয় সামন্ততন্ত্রের যুগে এদেশে স্বয়ংসম্পূর্ণ গ্রাম জীবনের অস্তিত্ব ছিল ।


নগরায়ণের অভাব : কৃষি উৎপাদনের জন্য গ্রাম,কৃষক , খামারবাড়ি প্রভৃতি অপরিহার্য । নগরের প্রতিষ্ঠা ও প্রসার সামন্ততন্ত্রের বিরােধী । ভারতীয় সামন্ততন্ত্রের যুগেও গ্রামগুলির বিকাশ ঘটে এবং   নগরায়ণের বিকাশ ব্যাহত হয় । 

কৃষিভিত্তিক সমাজ : ভারতীয় সামন্তপ্রথায় সমাজ ছিল মূলত কৃষিভিত্তিক । সমাজের নিম্নস্তরের বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল । কৃষিকাজকে কেন্দ্র করে দেশের গােটা অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রিত হত । দেশে শিল্প ও বাণিজ্য ছিল গৌণ । শিল্প ও বাণিজ্য যেটুকু ছিল তা মূলত কৃষিপ্রসূত । 

ভূমি ও মানুষের সম্পর্ক : ভারতীয় সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থায় উৎপাদন ব্যবস্থার মূল উপকরণ ছিল ভূমি । ভূমিকে কেন্দ্র করেই সমগ্র কৃষিকাজ চলত । তাই স্বাভাবিকভাবেই মানুষ ভূমির সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত ছিল । 

জমিতে ব্যক্তিগত মালিকানার অভাব : জমিতে কৃষক উৎপাদকের কাজে নিযুক্ত থাকলেও সেই জমিতে কৃষকের ব্যক্তিগত মালিকানা ছিল না । জমির প্রকৃত মালিক ছিল ভূস্বামী বা সামন্তপ্রভু এবং চূড়ান্ত মালিক ছিল রাষ্ট্র ।

সেচ ব্যবস্থায় রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ : কৃষিকাজের জন্য কৃষকের জমিতে জলসেচের প্রয়ােজন ছিল । ভারতীয় সামন্ততন্ত্রে এই সেচ ব্যবস্থায় কৃষকের ব্যক্তিগত অধিকার ছিল না । তা রাষ্ট্রের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হত । 

প্রভুর শ্রেষ্ঠত্ব : ভারতীয় সামন্ততন্ত্রে কৃষিজমির মালিকানা ছিল সামন্তপ্রভুর হাতে । তাই উৎপাদন ব্যবস্থা তথা সমগ্র অর্থনৈতিক কাঠামােতে স্বাভাবিকভাবেই প্রভুর শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল । 

উপসংহার : প্রাচীন ভারতে গুপ্তযুগে ভারতের সামন্ততান্ত্রিক বৈশিষ্ট্যগুলি ক্রমশ স্পষ্ট হতে শুরু করে । তবে ভারতীয় সামন্ততন্ত্র কখনােই ইউরােপের সামন্ততন্ত্রের মতাে তীব্র ছিল না ।






বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই, ২০২২

প্রাচীন রােমের ক্রীতদাসরা কোন কোন কাজে নিন্মুক্ত হত ? রোমে ক্রীতদাসদের জীবন কেমন ছিল ?

একাদশ শ্রেণী ইতিহাস প্রশ্নোত্তর xi class 11 history Question answer প্রাচীন রােমের ক্রীতদাসরা কোন কোন কাজে নিন্মুক্ত হত রোমে ক্রীতদাসদের জীবন কেমন ছিল prachin romer kritodasra kon kon kaje nimnukto hoto rome kritodasder jibon kemon chilo


উত্তর : প্রাচীন রােমে ক্রীতদাস ব্যবস্থা সেখানকার অর্থনীতির সঙ্গে ওতপ্রােতভাবে জড়িত ছিল । রােমের ক্রীতদাসরা তাদের প্রভুর রাষ্ট্রেরও বিভিন্ন কাজ করত । 
গৃহকার্য : ক্রীতদাসরা তাদের প্রভুর পরিবারের যাবতীয় কাজ করে দিত । পরিবারের রান্নাবান্না, ঘরদোর পরিষ্কার, উদ্যান পরিচর্যা প্রভৃতি গৃহের যাবতীয় কাজ ক্রীতদাসদের করতে হত । ফলে প্রভুর পরিবারে সুখ স্বাচ্ছন্দ্য ও বিলাসিতা বৃদ্ধি পেত ।  

কৃষি ও খামারের কাজ : ক্রীতদাসরা তাদের প্রভুর কৃষিকাজে নিযুক্ত থেকে খাদ্যশস্য ও বিভিন্ন ধরনের পণ্য উৎপাদন করত । রােমান সাম্রাজ্যের শহরগুলি ক্রীতদাসদের উৎপাদিত পণ্যের ওপর নির্ভরশীল ছিল । 


ব্যাবসা বাণিজ্যের কাজ : ক্রীতদাসরা প্রভুর অনুপস্থিতিতে প্রভুর দোকান পরিচালনা করত , ক্ষৌরকর্ম করত,সুদে টাকা ধার দিত ইত্যাদি ।  


নির্মাণকার্য : ক্রীতদাসদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিল সাধারণ গৃহ , অট্টালিকা , পাকা পয়ঃপ্রণালী , রাস্তাঘাট, মল্লভূমি বা ক্রীড়াক্ষেত্র, সেতু প্রভৃতি নির্মাণ করা । এইসব পরিশ্রমসাধ্য কাজগুলি ক্রীতদাসরা সম্পন্ন করার ফলে রােম সুন্দরভাবে সেজে উঠেছিল । 
কর্মকারের কাজ : ক্রীতদাসরা কাঠ মিস্ত্রিএবং কামার হিসেবেও কাজ করত । তারা বিভিন্ন ভাঙা সামগ্রী, ঠেলাগাড়ি ইত্যাদি সারাই করত এবং ভেড়ার লােম পাকিয়ে বিভিন্ন বস্ত্র উৎপাদন করত ।  


সৈন্যবাহিনীতে কাজ : শত্রুপক্ষের বহু সৈন্য বন্দি হয়ে রােমে ক্রীতদাসে পরিণত হয়েছিল । এরূপ ক্রীতদাসদের অনেককেই যােচ্ছা হিসেবে রােমান সেনাবাহিনীতে কাজ করতে হত । 


[         ]  অত্যন্ত পরিশ্রমসাধ্য কাজ করা , প্রচণ্ড শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হওয়ার ফলে ক্রীতদাসদের জীবন অতিষ্ট হয়ে উঠেছিল ।  


বিক্রি ও হত্যা : ক্রীতদাসরা ছিল তাদের প্রভুর ব্যক্তিগত সম্পত্তি । প্রভু ইচ্ছা করলে তাদের বাজারের পণ্যের মতাে বিক্রি করতে বা পশুর মতাে হত্যাও করতে পারত । 

শারীরিক নির্যাতন : ক্রীতদাসের মালিক তার অধীনস্থ ক্রীতদাসকে দিয়ে বেশি কাজ করানাের উদ্দেশ্যে তার ওপর সর্বদা শারীরিক নির্যাতন চালাত । এর ফলে ক্রীতদাসের দেহে সারা বছরই ও কালচে দাগ হয়ে থাকত । 


শৃঙ্খলিত পশুর জীবন : ক্রীতদাসরা যাতে পালাতে না পারে সেজন্য বাড়ির গৃহপালিত পশুর মতাে ক্রীতদাসের হাতে পায়ে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হত । 
 

পতিতাবৃত্তিতে নিয়োগ : কোনাে কোনাে ক্ষেত্রে প্রভুরা তাদের অধীনস্থ যুবতি ক্রীতদাসীদের পতিতালয়ে বিক্রি করে তাদের পতিতাবৃত্তির কাজে লাগিয়ে প্রভূত অর্থ উপার্জন করত । 

পালানাের চেষ্টার শাস্তি : কোনাে ক্রীতদাস পালানাের চেষ্টা করলে তাকে চাবুক দিয়ে পেটানাে বা উত্তপ্ত লােহার ছ্যাকা দেওয়া হত । 

গ্ল্যাডিয়েটরের জীবন : রােমের নাগরিকদের আনন্দ দানের উদ্দেশ্যে গ্ল্যাডিয়েটর নামের ক্রীতদাস যােদ্ধাদের ক্ষুধার্ত হিংস্র পশুর সঙ্গে লড়তে হত । অধিকাংশ ক্ষেত্রে গ্ল্যাডিয়েটরদের মৃত্যু হত ।  


ক্রীতদাস পরিবারের দুর্ভোগ : ক্রীতদাসের পরিবারের সদস্যরাও প্রভুর দাসে পরিণত হত এবং তারাও একই ধরনের শাস্তি ও নির্যাতন ভােগ করত । 


উপসংহার : সর্বদা অত্যাচার ও নির্যাতনের শিকার এসব ক্রীতদাসদের জীবন ছিল অন্ধকারে ঢাকা । তবে বিরল ক্ষেত্রে প্রভূ ও ক্রীতদাসের ভালাে সম্পর্কও দেখা যেত ।