শনিবার, ২০ আগস্ট, ২০২২

“আমাদের শুকনাে ভাতে লবণের ব্যবস্থা হােক ।” —কে বলেছে ? এ দাবি কার কাছে ? কেন ?

একাদশ শ্রেণী বাংলা প্রশ্নোত্তর xi class 11 Bengali Question answer আমাদের শুকনাে ভাতে লবণের ব্যবস্থা হােক কে বলেছে এ দাবি কার কাছে কেন amader shukno vate loboner babostha hok ke boleche a dabi kar kache keno

উত্তর : প্রখ্যাত কবি জয় গােস্বামীর ‘নুন’ কবিতার কথক শ্রমজীবী হতদরিদ্র মানুষটি । ‘ আমাদের শুকনাে ভাতে লবণের ব্যবস্থা হােক ।’ এই দাবি সেই কর্তাব্যক্তিদের কাছে , সামান্য নুনটুকু জোগান দেওয়ার দায়দায়িত্ব যাঁদের । 

ন্যায্য অধিকার দাবি : ধনতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় সম্পদের অসম বণ্টনের ফলেই সমাজে ধনী ও গরিবের শ্রেণিবৈষম্য । শ্রমজীবী মানুষের শ্রমজাত সম্পদ ধনীর কুক্ষিগত হয় । শােষণ ও বঞ্চনার ফলে ধনী হয় আরও ধনী । গরিব নিঃস্ব থেকে আরও নিঃস্ব ও নিরন্ন হতে থাকে । তাদের আয়ের নিশ্চয়তা থাকে না । তাদের শ্রমের জোগানও থাকে না নিয়মিত । তাদের জীবন চলে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে , ধারদেনা করে । ‘ সাধারণ ভাতকাপড়ে ’ । মাঝে মাঝে আয়ের অঙ্ক শূন্যতে থাকায় বাজার করাও হয় না । সেদিন বাড়ি ফিরতে মাঝরাত গড়িয়ে যায় । উদরপূর্তির জন্য জোটে সকালের ঠান্ডা শুকনাে ভাত । সামান্য নুনটুকুরও সংস্থান না থাকায় আলােনা ভাত মুখে বিস্বাদ ঠেকে । তখনই মাথায় রাগ চড়ে । তা নিয়ে বাপ ব্যাটায় কিংবা ভাইয়ে ভাইয়ে চেঁচামেচি শুরু হয় । চেঁচামেচিতে পাড়া মাথায় করে । ওই অপ্রিয় অসহিষ্ণুতার জন্য পরে তারা নিজেরাও ব্যথিত হয় । তাই তাদের কাতর আবেদন —নিদেনপক্ষে তাদের শুকনাে ভাতে নুনটুকুর ব্যবস্থা হোক । তাদের আর্জি এই সভ্যসমাজে , হতদরিদ্র  , মানুষের বেঁচে থাকার জন্য এই প্রশাসনিক মানবিকতাটুকু তাদের ওপর বর্ষিত হােক । দয়া নয়, করুণা নয়, এ হল ন্যায্য অধিকারের বিনীত দাবি । 

 





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন