‘ শিক্ষার সার্কাস ’ কবিতার উল্লেখযােগ্য বৈশিষ্ট্যগুলি আলােচনা করাে ।
উত্তর : মালয়ালম কবি আইয়াপ্পা পানিকরের লেখা ‘ শিক্ষার সার্কাস ’ কবিতাটি নানা বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ ।
এক - ‘তুমি’ ও ‘আমি ’ দুই ব্যক্তিবাচক সর্বনামের প্রত্যক্ষ ও পরােক্ষ বাচনে শিক্ষা বিষয়ক আলােচনাটি অনেকাংশে যেন সংলাপধর্মী ।
দুই - তাদের পাস করার ব্যাপারটা যেন শর্তসাপেক্ষ । ‘তুমি যদি প্রথম শ্রেণিতে পাস করাে ?/ আমি দ্বিতীয় শ্রেণিতে যেতে পারি ।’ ছ -টি পঙক্তিতে ছ -বার ‘যদি ’- র ব্যবহার শর্তসাপেক্ষ অর্থকে স্পষ্টতর করেছে ।
তিন - একটা অপ্রত্যক্ষ প্রতিযােগিতার চোরা স্রোত আছে শিক্ষার্থীদের পাস করাকে ঘিরে , এক ক্লাস থেকে আর -এক ক্লাসে ওঠার ব্যাপারে ।
চার - কবিতার প্রথমার্ধে এই শিক্ষা ব্যাপারকে ঘিরে কেমন যেন হেঁয়ালির রহস্য আলাে -আঁধারির মতাে ব্যাপ্ত , যা পাঠককে কবিতার বক্তব্য আত্মস্থ করতে কৌতূহলী ও সচেতন করে তােলে ।
পাঁচ - কবিতার ভাষায় কঠিন শব্দের ব্যবহার নেই , সাদামাঠা ,অথচ অর্থবহ । বক্তব্য ঋজু , বর্ণনা সম্পূর্ণ মেদহীন । একটি অনাবশ্যক শব্দের ব্যবহার নেই ।
ছয় - শিক্ষার চলমানতা ও অগ্রগতি কবি মাত্র দুটি পঙক্তিতে চমৎকার স্পষ্ট করে দিয়েছেন- ‘যদি সব শ্রেণি শেষ হয়ে যায়,/ আমি তবু পরের শ্রেণিতে যাব ।’
সাত - এদেশীয় শিক্ষা সম্পর্কে কবির তীক্ষ শ্লেষ ও ব্যঙ্গের পরিচয় ‘ সব শিক্ষা একটি সার্কাস ’। তা ছাড়া জ্ঞানহীন , চেতনাহীন শিক্ষার স্বরূপ ফুটে উঠেছে শেষ দুই পঙক্তিতে ‘ জ্ঞান কোথায় গেল ?/ সে যেখানে গেছে , সেটা ধোকা !
কোন মন্তব্য নেই