‘ সেই তেজ বেরিয়ে গেলে মানুষ ঠান্ডা হয়ে যায় ।’ — কী প্রসঙ্গে এই উক্তি ? উক্তিটির তাৎপর্য বুঝিয়ে দাও ।
উত্তর : প্রসঙ্গ : ভূতুড়ে জেলখানার দারােগা হল ভূতের নায়েব । এই জেলখানার বিচিত্র দেয়াল । তা চোখে দেখা যায় না । সেজন্য দেয়াল ফুটো করে বেরিয়ে আসার উপায় নেই । জেলখানার ঘানি সবসময় ঘােরাতে হয় । তাতে এক ছটাক তেল বেরােয় না , যা হাটে বিকোতে পারে । ঘানিতে পেষাই করার ফলে জেলখানার কয়েদির তেজ বেরােয় ।এই আলােচনা প্রসঙ্গে উপরােক্ত উক্তির উপস্থাপনা ।
ভূতশাসনতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য : ভূতুড়ে জেলখানায় বন্দি স্বাধীনতাকামী কয়েদিকে ঘানি চালাতে হয় নিরন্তর । ফলে তাদের বিপুল পরিমাণ শক্তিক্ষয় হয় । ঘানি থেকে তেল বেরােয় না । বেরিয়ে যায় স্বাধীনতাকামী বন্দি মানুষের তেজ । তেজ বা শক্তিই হল মানুষের কর্মক্ষমতা, উৎসাহ - উদ্দীপনার উৎস । তেজহীন মানুষ জড়বৎ । তার দ্বারা অন্ন -বস্ত্র অর্জিত হয় না । তেজহীন মানুষ তাপহীন বস্তুর মতাে ঠান্ডা হয়ে যায় । প্রতিবাদ করার , আন্দোলন করার শক্তি হারায় । স্বাধীনতা অর্জনের জন্য যে কঠিন সংগ্রাম সেই মনােবল হারায় । নিশ্চেষ্ট ও নিস্তেজ হয়ে বেঁচেও মরে থাকে । প্রকৃতপক্ষে ভারতের বিদেশি শাসকের সেটাই ছিল কাম্য ।
কোন মন্তব্য নেই