Breaking News

স্বামী বিবেকানন্দের লেখা ‘ সুয়েজেখালে হাঙ্গার শিকার ’ প্রবন্ধ অবলম্বনে হাঙর শিকারের বর্ণনা দাও ।

একাদশ শ্রেণী বাংলা প্রশ্নোত্তর xi class 11 eleventh bengali questions answers স্বামী বিবেকানন্দের লেখা সুয়েজেখালে হাঙ্গার শিকার প্রবন্ধ অবলম্বনে হাঙর শিকারের বর্ণনা দাও swami vivekanander lekha suyejkhale hangor shikhar probondh abolombone hangor shikharer bornona dao


উত্তর :  সুয়েজ বন্দরে তখন স্বামীজিদের জাহাজ বাঁধা । সকালে খাওয়ার আগে খবর পেলেন জাহাজের পিছনে গভীর জলে বড়াে বড়াে হাঙর ভেসে বেড়াচ্ছে । খবর শুনেই স্বামীজি হাঙর দেখার জন্য হাজির হলেন । জাহাজের পিছন দিকে দ্বিতীয় শ্রেণির কেবিনের বারান্দায় ছেলেমেয়ে ,স্ত্রী , পুরুষের ভিড় । প্রায় পঁয়তাল্লিশ মিনিট অপেক্ষা করার পর দেখা গেল দূরে পাঁচ-সাত ইঞ্চি জলের নীচে একটা প্রকাণ্ড কালাে বস্তু ভেসে আসছে । তার গায়ে কিছু হাঙর -চোষক মাছ লেপটে আছে । তার আগে আড়কাটি মাছ বা পাইলট ফিস । 
 
সেকেন্ড ক্লাসের এক ফৌজি জাহাজে খুঁজে পেতে এক ভীষণ বড়শি জোগাড় করে । তাতে সেরখানেক মাংস শক্ত করে বাঁধে । বড়শির সুতাে হয় একখানা মােটা কাছি । ফাতনার জন্য লাগানাে হয় একখানা মস্ত কাঠ । ফাতনাসুদ্ধ বড়শি জলে নামিয়ে কিছুক্ষণ চুপচাপ থাকার পর জাহাজ থেকে প্রায় দুশাে হাত দূরে বিশাল ভিস্তির মশকের মতাে হাঙর ভেসে ওঠে । বড়শিতে বাঁধা মাংসপিণ্ডটি সে মুখে নেওয়া মাত্র ৪০/৫০ জনে দড়িতে তাড়াহুড়াে করে টান দেওয়ায় মুখ থেকে বড়শি ফসকে গিয়ে হাঙর পালায় । 


স্বামীজির ভাষায় সেটা ছিল ‘বাঘা । এবার আসে ‘থ্যাবড়ামুখো’। শুয়ােরের মাংস -বাঁধা প্রকাণ্ড বড়শির কাছে থ্যাবড়ামুখাে এসে যায় । টোপ মুখে নিয়ে পরখ করে দেখে । টোপ গিলে যেই যাবে বলে টান দিয়েছে অমনি বড়শি মুখে বিঁধে যায় । টানের ফলে হাঙর উঠে আসে ডেকের ওপর । তারপর নির্মম প্রহারে হাঙরের ইহলীলা শেষ । 

কোন মন্তব্য নেই