Breaking News

‘কর্তার ভূত’ রচনা অবলম্বনে কর্তার চরিত্রের বৈশিষ্ট্যগুলি আলােচনা করাে ।

একাদশ শ্রেণী বাংলা প্রশ্নোত্তর xi class 11 eleventh bengali questions answers কর্তার ভূত রচনা অবলম্বনে কর্তার চরিত্রের বৈশিষ্ট্যগুলি আলােচনা করাে kortar bhut rochona abolombone kortar choritreer boishisto guli alochona koro


উত্তর : কর্তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য : কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘লিপিকা ' গ্রন্থ থেকে সংকলিত ‘কর্তার ভূত ’ রচনার কর্তার ভূত হলেন ভূতেদের কর্তা । রচনাটি রূপকধর্মী । কাজেই ‘কর্তার ভূত ’- এর চরিত্রগুলি রূপকাশ্রয়ী । বুড়াে কর্তা তাদেরই একজন । চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে বুড়াে কর্তা কিছু স্বতন্ত্র গুণের অধিকারী । তিনি নিজের ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন । তার মধ্যে দেখা যায় মানবিকতার প্রকাশ । কিন্তু প্রতি শক্তিমান শাসককে ঘিরে থাকে কিছু স্বার্থান্বেষী পারিষদবর্গ । তারাই স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্যে তাকে আড়ালে রাখে । তার যে ভালাে গুণ তার প্রকাশ ও প্রয়ােগ হয় বিঘ্নিত। দেশের যারা আত্মসচেতন , মানবদরদি , যুক্তিবাদী ও সমাজসেবী , সেসব মানুষজনকে কর্তার ভূতের ভয় দেখিয়ে কর্তার ভূতের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখে । সব জেনেও কর্তামশায় ঠুটো জগন্নাথ হয়ে জনমানবহীন স্থানে ‘রক্তকরবী’- র রাজার মতাে অবস্থান করেন । কর্তামশায়ের ব্যক্তিসত্তার প্রকাশ লক্ষিত হয় না । তিনি জনকল্যাণকর কাজ করতে পারেন না । জনগণকে আত্মসচেতন করার দায়দায়িত্ব পালন করতে অসমর্থ হন । কোনাে বিচ্ছিন্ন লগ্নে নিতান্ত নিরালায় কেউ কেউ তাঁর কাছাকাছি এসে মুক্তি পাওয়ার আবেদন রাখলে , তার পরামর্শ থাকে , ‘ওরে অবােধ ,আমার ধরাও নেই, ছাড়াও নেই , তােরা ছাড়লেই আমার ছাড়া ।’ তাঁর সারকথা হল ভয়ই হল ভূত । ভয় জয় করলেই ভূতও যাবে ছেড়ে ।


কোন মন্তব্য নেই