স্বামী বিবেকানন্দের নাম দেওয়া ‘থ্যাবড়া মুখাে’ হাঙর শিকারের বর্ণনা দাও ।
উত্তর : স্বামী বিবেকানন্দ ‘সুয়েজ খালে হাঙ্গর শিকার' প্রবন্ধে তাঁর নাম দেওয়া ‘থ্যাবড়ামুখাে’ হাঙর শিকারের অপূর্ব বর্ণনা দিয়েছেন । ‘বাঘা’ হাঙর বড়শি ফসকে পালিয়ে যাওয়ার পরে ‘থ্যাবড়ামুখাে’ হাঙর আসে । হাঙরের মুখে যদি মানুষের ভাষা থাকত , তাহলে বাঘা বড়শির টোপের ব্যাপার নিয়ে সাবধান করত ‘থ্যাবড়ামুখাে’কে । পাইলট ফিস আসছিল আগে আগে ।
তার পিছনে প্রকাণ্ড শরীর নাড়িয়ে আসছিল থ্যাবড়া । তার আশেপাশে হাঙর -চোষা নৃত্য করছিল । জলের মধ্যে দোল খাচ্ছিল বড়শিতে বাঁধা শুয়ােরের মাংসপিণ্ড । দেখা গেল পাইলট ফিসকে অনুসরণ করে ‘থ্যাবড়ামুখাে’ আসছে । শুয়ােরের মাংসবাঁধা প্রকাণ্ড বড়শি জলের ঢেউয়ে জলের মধ্যে দোল খাচ্ছে । বড়শির কাছে ‘থ্যাবড়ামুখাে’ এসে গেছে । টোপ মুখে নিয়ে পরখ করে দেখছে । টোপ গিলে যেই যাবে বলে টান দিয়েছে অমনি বড়শি মুখে বিঁধে গেল । থ্যাবড়া চাইল মুখ ঝেড়ে টোপটা ফেলে দিতে । কিন্তু বড়শি তাে মুখে বিঁধে গেছে । এরপর কাছিতে টান আর টান । জল ছেড়ে ওপরে উঠছে হাঙর । কিছুটা ওঠার পর ল্যাজও দড়ি দিয়ে বেঁধে কাছিতে টান দিয়ে দিয়ে জাহাজের ডেকের ওপর হাঙরকে তুলে এনে ফেলা হল । তারপর ফৌজি লােকটি কড়িকাঠ দিয়ে হাঙরের মাথায় দুমদাম প্রহার দিতে লাগল । হাঙরের মাথা আর শরীর থেকে রক্তের স্রোত বইতে লাগল । মেয়েরা ‘আহা কী নিষ্ঠুর! মেরাে না’ বলে চিৎকার করতে লাগল । অথচ দেখতেও তারা ছাড়ল না । সেদিন স্বামীজির খাওয়াদাওয়ার দফা মাটি হয়ে গিয়েছিল । কারণ সব কিছুতে হাঙরের গন্ধ বােধ হচ্ছিল ।
কোন মন্তব্য নেই