Breaking News

স্বামী বিবেকানন্দের নাম দেওয়া ‘থ্যাবড়া মুখাে’ হাঙর শিকারের বর্ণনা দাও ।

একাদশ শ্রেণী বাংলা প্রশ্নোত্তর xi class 11 eleventh bengali questions answers স্বামী বিবেকানন্দের নাম দেওয়া থ্যাবড়া মুখাে হাঙর শিকারের বর্ণনা দাও swami vivekanander nam deoya thabra mukho hangor shikharer bornona dao

উত্তর :  স্বামী বিবেকানন্দ ‘সুয়েজ খালে হাঙ্গর শিকার' প্রবন্ধে তাঁর নাম দেওয়া ‘থ্যাবড়ামুখাে’ হাঙর শিকারের অপূর্ব বর্ণনা দিয়েছেন । ‘বাঘা’ হাঙর বড়শি ফসকে পালিয়ে যাওয়ার পরে ‘থ্যাবড়ামুখাে’ হাঙর আসে । হাঙরের মুখে যদি মানুষের ভাষা থাকত , তাহলে বাঘা বড়শির টোপের ব্যাপার নিয়ে সাবধান করত ‘থ্যাবড়ামুখাে’কে । পাইলট ফিস আসছিল আগে আগে । তার পিছনে প্রকাণ্ড শরীর নাড়িয়ে আসছিল থ্যাবড়া । তার আশেপাশে হাঙর -চোষা নৃত্য করছিল । জলের মধ্যে দোল খাচ্ছিল বড়শিতে বাঁধা শুয়ােরের মাংসপিণ্ড । দেখা গেল পাইলট ফিসকে অনুসরণ করে ‘থ্যাবড়ামুখাে’ আসছে । শুয়ােরের মাংসবাঁধা প্রকাণ্ড বড়শি জলের ঢেউয়ে জলের মধ্যে দোল খাচ্ছে । বড়শির কাছে ‘থ্যাবড়ামুখাে’ এসে গেছে । টোপ মুখে নিয়ে পরখ করে দেখছে । টোপ গিলে যেই যাবে বলে টান দিয়েছে অমনি বড়শি মুখে বিঁধে গেল । থ্যাবড়া চাইল মুখ ঝেড়ে টোপটা ফেলে দিতে । কিন্তু বড়শি তাে মুখে বিঁধে গেছে । এরপর কাছিতে টান আর টান । জল ছেড়ে ওপরে উঠছে হাঙর । কিছুটা ওঠার পর ল্যাজও দড়ি দিয়ে বেঁধে কাছিতে টান দিয়ে দিয়ে জাহাজের ডেকের ওপর হাঙরকে তুলে এনে ফেলা হল । তারপর ফৌজি লােকটি কড়িকাঠ দিয়ে হাঙরের মাথায় দুমদাম প্রহার দিতে লাগল । হাঙরের মাথা আর শরীর থেকে রক্তের স্রোত বইতে লাগল । মেয়েরা ‘আহা কী নিষ্ঠুর! মেরাে না’ বলে  চিৎকার করতে লাগল । অথচ দেখতেও তারা ছাড়ল না । সেদিন স্বামীজির খাওয়াদাওয়ার দফা মাটি হয়ে গিয়েছিল । কারণ সব কিছুতে হাঙরের গন্ধ বােধ হচ্ছিল ।


কোন মন্তব্য নেই