মঙ্গলবার, ২১ জুন, ২০২২
সোমবার, ২০ জুন, ২০২২
রবিবার, ১৯ জুন, ২০২২
শনিবার, ১৮ জুন, ২০২২
শুক্রবার, ১৭ জুন, ২০২২
বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন, ২০২২
বৃহস্পতিবার, ১২ মে, ২০২২
মঙ্গলবার, ১২ অক্টোবর, ২০২১
সূচনা : রাজপুত জাতির উৎপত্তি সম্পর্কে ঐতিহাসিক গবেষকদের মধ্যে তীব্র মত পার্থক্য আছে যেমন
১। রাজপুতদের দাবি : রাজপুতরা দাবী করেন যে , তাঁরা বৈদিক যুগের উচ্চবংশীয় ক্ষত্রিয়দের বংশধর । হর্ষবধনের সভাকবি বান ভট্টের মতে, রাজপুতরা ছিলেন সূর্য বা চন্দ্রের বংশ জাত ।
২। অগ্নিকুল তত্ত্ব : কবি চাঁদ বরদাই তাঁর বিখ্যাত কাব্য ‘ পৃথ্বীরাজ রাসো ’ গ্রন্থে বলেছেন যে বলিষ্ঠ মুনি মাউন্ট আবু পাহাড়ে ২৪ দিন ধরে যজ্ঞ করে বীরের প্রাথনা করেছিলেন । বলিষ্ঠ মুনির এই যজ্ঞের আগুন থেকেই রাজপুত জাতির উৎপত্তি হয়েছে বলে চাঁদ বরদাই উল্লেখ করেছেন ।
৩। জায়গীদারদের অবৈধ সন্তান : ড: ভিনসেন্ট স্মিথ এর মতে , রাজস্থানের অভিজাত ক্ষত্রিয় জায়গীদারদের অবৈধ সন্তান বলে উল্লেখ করেছেন ।
৪। কর্নেল টডের মত : ব্রিটিশ ঐতিহাসিক কর্নেল টর্ড তাঁর ‘ Annals and Antiquities of Rajasthan ’গ্রন্থে বলেছেন যে , শক , হুন , কুষাণ , গুজর প্রভৃতি বৈদেশিক জাতি ভারতে এসে স্থায়ীভাবে বসবাস করে , এদের সন্তান সন্ততিদের রাজপুত বলা হয় ।
৫। উইলিয়াম কুকের মত : রাজপুত গণ নিজেদের বৈদিক যুগের ক্ষত্রিয়দের বংশধর রূপে প্রমাণ করার জন্য রাজপুতদের মধ্যে দুটি বিখ্যাত পরিবারের সঙ্গে সূর্য ও চন্দ্রকে যুক্ত করেছিল ।
৬। বৈদেশিক জাতি নয় : ঐতিহাসিক গৌরীশঙ্কর হীরাচাঁদ ওঝা তাঁর ‘ ’ গ্রন্থে বলেছেন যে , রাজপুতরা কোনো বৈদেশিক জাতির অংশ নয় । রাজপুতরা হল খাঁটি আর্য জাতির সন্তান ।
৭। মিশ্র জাতি : ড: ভিনসেন্ট স্মিথের মতে , রাজপুত গণ একটি মিশ্র জাতি । তিনি রাজপুতদের আর্য জাতির বংশধর বলে মনে করেন না । কিন্তু সংখ্যক রাজপুত বিদেশী হুন , শক ও কুষানদের বংশধর আর ক্ষত্রিয় গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত ।
৮। বৃত্তিভিত্তিক গোষ্ঠী : ক্ষত্রিয় বা রাজপুত গণ ছিল একই বৃত্তিতে নিযুক্ত একটি গোষ্ঠী যারা শাসন ব্যাবস্থা ও যুদ্ধ পরিচালনা করত । ফলে বিভিন্ন গোষ্ঠী ও লোকদের নিয়ে রাজপুত জাতির উদ্ভব হয় ।
[ ] সামগ্রিক ভাবে বিশ্লেষণ করে ঐতিহাসিকরা মনে করেন যে , ভারতের শাসক ও যোদ্ধা গোষ্ঠী সম্মিলিত ভাবে ক্ষত্রিয় নামে পরিচিত ছিল কোথাও তাদের রাজপুত বলা হয়নি । উপরিউক্ত আলোচনা থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে বিভিন্ন গোষ্ঠী ও বর্ন থেকে উদ্ভুত রাজপুত গণ বৃত্তি হিসাবে যুদ্ধ কে গ্রহণ করার ফলে ক্ষত্রিয় বর্ণের মধ্যে স্থান লাভ করেছে । যদিও তা বিতর্কের উল্লেখ নয় ।
সোমবার, ১১ অক্টোবর, ২০২১
উত্তর :-
নেফারতিতি : নেফারতিতি প্রাচীণ মিশরের অন্যতম খ্যাতনামা মহিলা ছিলেন । তিনি ছিলেন খিষ্টপূর্ব চতুর্দশ শতকের মিশরীয় ফ্যারাও আখেনাটেন বা চতুর্থ আমেন হোটেপের অন্যতম প্রধান পত্নী । তিনি মিশরের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক জীবনে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা নিয়েছিলেন ।
নেফারতিতির কার্যাবলী
প্রশাসনে অংশগ্রহণ : মিশরের প্রশাসন , রাজনীতি ও ধর্মীয় ক্ষেত্রে নেফারতিতি তাঁর স্বামীর সহকারী হিসাবে যথেষ্ঠ দায়িত্ববান ছিলেন । যা সমকালীন মিশরের রাজনীতিতে যথেষ্ঠ প্রভাব ফেলেছিল । তিনি ১৩৫৩ খিষ্টপূর্ব থেকে ১৩৩৬ খ্রি: পূর্ব্বাদ পর্যন্ত ফ্যারাও আখেনাটেনের সহকারী হিসেবে শাসন কার্য পরিচালনা করেছিলেন ।
শান্তিশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা : ধর্মীয় ক্ষেত্রে একেশ্বর বাদী ধর্মীয় ভাবনার প্রতিষ্ঠাকে কেন্দ্র করে মিশরে প্রাচীনকালে ফ্যারাও আখেনাটেনের সময় যে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছিল নেফারতিতি সেই অবস্থা থেকে মিশরে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনেছিলেন ।
রাষ্ট্রীয় নীতি নিধারণ : প্রশাসনে নেফারতিতি স্বামীর সঙ্গে সহাবস্থান করে মিশরের ধর্মীয় জীবন , রীতিনীতি , রাজকীয় পোশাক প্রভৃতি বিষয়ে পরিবর্তন আনতে তিনি সক্ষম হয়েছিলেন । প্রাচীন মিশরে রাষ্ট্রীয় নীতি নিধারন ছাড়াও তিনি আখেন , থিবসসহ বিভিন্ন নগরে বহু মন্দির নির্মাণ করেন । এছাড়া নেফারতিতির একটি অনন্য কৃতিত্ব ছিল আখেণ নগরীতে রাজধানী স্থানান্তরে তিনি অন্যতম দায়িত্ব পালন করেছিলেন ।
রহস্যময় অন্তধান : স্বামী আখেনাটেনের সঙ্গে সহকারী হিসাবে শাসন করলেও আখেনাটেনের রাজত্বের দ্বাদশ বর্ষে ইতিহাস থেকে নেফারতিতির নাম অদৃশ্য হয়ে যায় । এই সময় তাঁর মৃত্যু হয় নাকি অন্য কোনো ঘটনা ঘটে , তা সঠিকভাবে জানা যায় না । অনেকে মনে করেন যে , ১৩৩৬ খ্রীষ্ট পূর্বাবদে স্বামীর মৃত্যুর পর নেফারতিতি স্বাধীনভাবে শাসন পরিচালনা করেছিলেন ।
উপসংহার : নেফারতিতি ছিলেন অত্যন্ত বিচক্ষণ নারী । তিনি ফ্যারাও আখেনাটেনকে সর্বদা তাঁর নিয়ন্ত্রণে রাখতেন , মিশরের ঐতিহাসিক উপাদানে নেফারতিতির মূর্তি এবং চিত্র তাঁর স্বামী আখেনাটেনের চেয়ে বেশী সংখ্যায় পাওয়া যায় । এ থেকেই মিশরীয় প্রশাসনে তাঁর গুরুত্ব উপলব্ধি করা যেতে পারে ।
ক্লিওপেট্রা: মিশরের ইতিহাসে যে ক্লিওপেট্রার নাম সর্বাধিক প্রসিদ্ধ । তিনি হলেন মিশরের টলেমি বংশের শেষ শাসক সপ্তম ক্লিওপেট্রা । ক্লিওপেট্রা ৬৯ খ্রীষ্টপুর্বাব্দে গ্রিসে জন্ম গ্রহণ করেন , দ্বাদশ টলেমির কন্যা ক্লিওপেট্রা ছিলেন অসাধারণ বুদ্ধিমতী এবং উচ্চশিক্ষিতা নারী ।
সিংহাসন লাভ : সুন্দরী অষ্টাদশী ক্লিওপেট্রা প্রথম দিকে তাঁর পিতার সহ্য শাসন হিসাবে শাসন করলেও পিতার মৃত্যুর পর তাঁর চেয়ে বয়সে আট বছরের ছোটো ভাই এয়োদশ টলেমিকে বিবাহ করে মিশরে নিজের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেন । এর কারণ হল , মিশরের প্রচলিত রীতি ছিল কোনো সঙ্গীর সঙ্গে যৌথভাবে দেশ শাসন করতে হবে ।
শাসন ক্ষমতা দখল : ৪৩ খ্রীষ্টপুর্বাব্দে ক্লিওপেট্রা নিজ ভাই ও তাঁর স্বামী চতুর্দশ টলেমি কে হত্যা করে জুলিয়াস সিজারের ঔরসজাত সন্তান সীজারিয়ানকে সিংহাসনে বসিয়ে মিশরে একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী হন ।
অ্যাকটিয়ামের যুদ্ধে সম্পূর্ন পারাজয় : ক্লিওপেট্রা ও অ্যান্টনির মিলিত বাহিনী শীঘ্রই অ্যাকটিয়ামের যুদ্ধে রোমান শাসক অক্টাভিয়াস সিজারের মুখোমুখি হয় । ক্লিওপেট্রা অ্যাকটিয়ামের যুদ্ধে পরাজয়ের সম্মুখীন হয়ে সৈন্যদল নিয়ে পিছনে এলে অ্যান্টনি ও সেনাদলকে ফেলে যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে পালিয়ে আসেন । ফলে রোমান শাসক অক্টাভিয়াসের বাহিনী যুদ্ধে চূড়ান্ত ভাবে জয়লাভ করে এর ফলে মিশরের স্বাধীনতা লুপ্ত হয় এবং মিশর সাম্রাজ্যের একটি প্রদেশে পরিণত হয় ।
উপসংহার : এরপর অক্টাভিয়াস সিজার রানী ক্লিওপেট্রার দুই সন্তান কে হত্যা করেন এবং ক্লিওপেট্রাকে বিবাহ করতে চান । কিন্তু ক্লিওপেট্রা এই বিবাহে অসম্মত হন এবং আত্মহত্যার পথ বেছে নেন । তিনি ৩০ খ্রি:পুর্বাব্দের ১২ আগস্ট স্বেচ্ছায় অ্যাম্প বিষাক্ত সাপের কামড় খেয়ে মাত্র ৩১ বছর বয়সে আত্মহত্যা করেন ।
রবিবার, ৮ আগস্ট, ২০২১
১। " রিপাবলিক " গ্রন্থের রচয়িতা হলেন ?
ক) হেসিয়ড
খ) হোমার
গ) এরিস্টটল
ঘ) প্লেটো
উত্তর:- ঘ) প্লেটো
২। স্পাটার সমাজে সর্বোচ্চ স্থানে প্রতিষ্ঠিত ছিল ?
ক) হেলট
খ) পেরিওসি
গ) স্পাটান
ঘ) মেটিক
উত্তর:- গ) স্পাটান
৩। অ্যাথেন্সের শাসন কাঠামো ছিল ?
ক) রাজতান্ত্রিক
খ) প্রজাতান্ত্রিক
গ) অভিজ্ঞাত তান্ত্রিক
ঘ) গণতান্ত্রিক
উত্তর:- ঘ) গণতান্ত্রিক
৪। প্লেটোর মতে , একটি আদর্শ পলিশের জন সংখ্যা হওয়া উচিত ?
ক) ৮ হাজার
খ) ৫ হাজার
গ) ১০ হাজার
ঘ) ২০ হাজার
উত্তর:- খ) ৫ হাজার
৫। পলিশের মূল কেন্দ্র ছিল ?
ক) আক্রপলিস
খ) আগোরা
গ) কাউন্সিল
ঘ) বুলে
উত্তর:- ক) আক্রপলিস
৬। প্রাচীন অ্যাথেন্সের আদালত কে বলা হত ?
ক) ইফোর
খ) গেরুসিয়া
গ) হেলাইয়া
ঘ) আরকন
উত্তর:- গ) হেলাইয়া
৭। রামায়ণে কয়টি জন পদের উল্লেখ আছে ?
ক) ১৬ টি
খ) ১৮ টি
গ) ২৫ টি
ঘ) ২৭ টি
উত্তর:- ঘ) ২৭ টি
৮। আর্যাবর্তের ১৬ টি মহাজন পদের নাম পাওয়া যায় ?
ক) অঙ্গুও রণিকায়
খ) মহাভারতে
গ) চারিতাভিযানে
ঘ) বেদে
উত্তর:- ক) অঙ্গুও রণিকায়
৯। মহাজন পদ গুলির মধ্যে অধিকাংশই ছিল ?
ক) গণতান্ত্রিক
খ) প্রজাতান্ত্রিক
গ) সৈরতান্ত্রিক
ঘ) রাজতান্ত্রিক
উত্তর:-ঘ) রাজতান্ত্রিক
১০। ভারতের প্রথম ঐতিহাসিক সম্রাট হলেন ?
ক) বিম্বিসার
খ) অজাতশত্রু
গ) চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য
ঘ) অশোক
উত্তর:-গ) চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য
১১। প্রাচীন যুগে ভারতে সর্ব প্রথম যে সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা হয় তা হল ?
ক) মৌর্য সাম্রাজ্যে
খ) কুষাণ সাম্রাজ্যে
গ) গুপ্ত সাম্রাজ্যে
ঘ) পাল সাম্রাজ্যে
উত্তর:-ক) মৌর্য সাম্রাজ্যে
১২। উত্তর ভারতের প্রথম ঐতিহাসিক রাজা হলেন ?
ক) বিম্বিসার
খ) অজাতশত্রু
গ) মহাপদ্ম নন্দ
ঘ) চন্দ্র গুপ্ত মৌর্য
উত্তর:-গ) মহাপদ্ম নন্দ
১৩। সুপ্রাচীন রোম নগরীর প্রতিষ্ঠাতা হয়েছিলেন ?
ক) ৭৫৩ খ্রিস্ট : পূর :
খ) ৩২৩ খ্রিস্ট : পূর :
গ) ২৪৩ খ্রিস্ট : পূর :
ঘ) ১৪৫ খ্রিস্ট : পূর :
উত্তর:-ক) ৭৫৩ খ্রিস্ট : পূর :
১৪। অশোক যেসব ধর্ম দূত পাঠিয়েছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ?
ক) সংঘমিতা
খ) রক্ষিত
গ) ধর্মরক্ষিত
ঘ) মহারক্ষিত
উত্তর:-ক) সংঘমিতা
১৫। মেঘাস্থিনিস ছিলেন ?
ক) আলেকজান্ডারের দূত
খ) পুরুর দূত
গ) সিজারের দূত
ঘ) সেলুকাসের দূত
উত্তর:-ঘ) সেলুকাসের দূত
১৬। " ভারতের নেপোলিয়ন " নামে কে পরিচিত ছিলেন ?
ক) চন্দ্র গুপ্ত মৌর্য
খ) অশোক
গ) স্কন্দ গুপ্ত
ঘ) সমুদ্র গুপ্ত
উত্তর:-ঘ) সমুদ্র গুপ্ত
১৭। এলাহাবাদ প্রশস্তি রচনা করেন ?
ক) সমুদ্র গুপ্ত
খ) বিরসেন
গ) হরিষেন
ঘ) রুদ্র দমন
উত্তর:-গ) হরিষেন
১৮। রোমান সাম্রাজ্য প্রথম দাস বিদ্রোহ ঘটে ?
ক) সিসিলিতে
খ) রোমে
গ) গ্রিসে
ঘ) পারস্য
উত্তর:-ক) সিসিলিতে
১৯। আর্যভট্ট ও বরাহমিহির ছিলেন ?
ক) বৈদিক যুগের বিজ্ঞানী
খ) মৌর্য যুগের বিজ্ঞানী
গ) গুপ্ত যুগের বিজ্ঞানী
ঘ) কুষাণ যুগের বিজ্ঞানী
উত্তর:-গ) গুপ্ত যুগের বিজ্ঞানী
২০। অটোমান শাসকদের বলা হত ?
ক) সুলতান
খ) খলিফা
গ) জার
ঘ) নিজাম
উত্তর:-ক) সুলতান
২১। হিন্ধুস্থানের তোতাপাখি নামে পরিচিত ?
ক) আবুল ফজল
খ) আমির খসরু
গ) জিয়াউদ্দিন বারণি
ঘ) তানসেন
উত্তর:-খ) আমির খসরু
২২। পানি পথের প্রথম যুদ্ধ হয় ?
ক) ১৫২৬ খ্রিস্ট :
খ) ১৫৫৬ খ্রিস্ট :
গ) ১৭৬১ খ্রিস্ট :
ঘ) ১৮৭৬ খ্রিস্ট :
উত্তর:-ক) ১৫২৬ খ্রিস্ট :