“ছেলের নামে কলঙক এনেছে সে । ” — কে ছেলের নামে কলঙ্ক এনেছে ? কলঙ্ক শব্দটি ব্যবহারের কারণ কী ?
উত্তর : সৌখীর মা ছেলে সৌখীর নামে কলঙ্ক এনেছে ।
সৌখী জেল থেকে ছাড়া পেয়ে রাতে ঘরে এসেছে । তাকে রাতে সৌখীর মা সামান্য মুড়ি খই ছাড়া কিছুই খেতে দিতে পারেনি । তা নিয়ে মায়ের মনে কষ্ট । সকালে ছেলেকে কি খেতে দেবে সে-ভাবনায় মা অস্থির । সৌখীর জেল থেকে আনা নতুন কম্বলখানা গায়ে দিয়েও ঘুম আসেনি বুড়ির । আলুর চচ্চড়ি আর ভাত অন্তত এটুকু ছেলের জন্যে ব্যবস্থা করতে হবে ।
কিন্তু সে-পয়সা কোথায় ? সকালে উঠেই ছেলেকে তাে পয়সা চাওয়া যায় না । রাত তখন দুটো । বুড়ি,মাতাদিন পেশকারের বারান্দার দোরগােড়ায় গুছিয়ে রাখা জলভরা ঘটি চুরি করে আনে । বাসনের দোকানে ঘটি বেচে বুড়ি চাল ডাল আলু তেল কিনে আনে । সৌখী তখনও বিছানায় ঘুমােচ্ছে । বুড়ি উনুনে আলুর চচ্চড়ি বসিয়েছে । আলুর চচ্চড়ি ছেলের বড়াে প্রিয় । এমন সময় দারােগার সঙ্গে মাতাদিন পেশকার আর বাসনওয়ালা এসে হাজির । তাদের দেখেই বুড়ির বুক কেঁপে ওঠে । বুড়ি পুলিশ দেখে কখনােই ভয় পায় না । কারণ এতকাল তার স্বামী ও পুত্রের ডাকাতি করা হকের পেশা বলে সে গর্ব করে এসেছে । ছিঁচকে চোরকে সে কেন , সৌখীও অপছন্দ করে । অথচ ঘটি চুরি করে সে ছিঁচকে চোরের মতাে নিকৃষ্ট কাজ করেছে । লজ্জায় দারােগার অভিযােগও সে অস্বীকার করতে ভুলে যায় । সৌখী ঘুম থেকে উঠে সমস্ত ব্যাপারটা জানার পর মায়ের চুরির নিকৃষ্ট কাজের অপরাধ নিজের কাঁধে তুলে নেয় । বুড়ির তখন মনে হয় নিরপরাধ ছেলেকে সে চুরির কলঙ্কে কলঙ্কিত করেছে । ‘ কলঙ্ক ’ শব্দ ব্যবহারের এই হল কারণ ।
ধন্যবাদ
উত্তরমুছুন