দর্শন লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
দর্শন লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বুধবার, ৬ জুলাই, ২০২২

দ্রব্য MCQ প্রশ্নোত্তর

 

একাদশ শ্রেণী দর্শন class xi 11 eleven philosophy দ্রব্য MCQ প্রশ্নোত্তর drobo MCQ question answer

১। ‘বিমূর্ত জড়দ্রব্যের অস্তিত্ব নেই ।’ উক্তিটি কার ?


ক) লক 


খ) বার্কলে 


গ) দেকার্ত


ঘ) কান্ট 



উত্তর : খ) বার্কলে


২। ‘দ্রব্য = ঈশ্বর = প্রকৃতি’ বলেছেন ? 


ক) দেকার্ত


খ) স্পিনোজা


গ) লাইবনিজ 


ঘ) লক 



উত্তর : খ) স্পিনোজা


৩। ‘ঈশ্বরই একমাত্র দ্রব্য’ বলেছেন ? 


ক) দেকার্ত


খ) স্পিনোজা


গ) হিউম 


ঘ) কান্ট 



উত্তর : খ) স্পিনোজা


৪। ‘দ্রব্য হল সামান্য ও বিশেষের সম্বন্ধয় ।’ বলেছেন ? 


ক) প্লেটো 


খ) অ্যারিস্টটল 


গ) কান্ট 


ঘ) দেকার্ত



উত্তর : খ) অ্যারিস্টটল


৫। জড়দ্রব্যর অস্তিত্ব অস্বীকার করেন ? 


ক) দেকার্ত


খ) লক


গ) অ্যারিস্টটল 


ঘ) বার্কলে 



উত্তর : ঘ) বার্কলে




৬। দ্রব্য হল ? 


ক) গুণের আশ্রয় 


খ) অভিজ্ঞতার আশ্রয়


গ) ধারণার আশ্রয়


ঘ) নিজের আশ্রয়



উত্তর : ক) গুণের আশ্রয়


৭। দ্রব্য নিজে কি ক্রিয়াশীল ? 


ক) দ্রব্য নিজে ক্রিয়াশীল 


খ) দ্রব্য নিজে ক্রিয়াশীল নয়


গ) দ্রব্য নিজে ক্রিয়াশীল এবং অক্রিয়াশীল উভয়ই


ঘ) সবসময়ই ক্রিয়াশীল



উত্তর : ক) দ্রব্য নিজে ক্রিয়াশীল


৮। ‘দ্রব্য হল কতকগুলি গুণের সমষ্টি’ – কে বলেছেন ? 


ক) অ্যারিস্টটল 


খ) হিউম 


গ) লক 


ঘ) বার্কলে 



উত্তর : খ) হিউম 


৯। গুণ ও ক্রিয়ার আশ্রয়রূপে দ্রব্যকে উল্লেখ করেছেন ? 


ক) প্লেটো 


খ) লক 


গ) কান্ট 


ঘ) হিউম 



উত্তর : খ) লক 


১০। ‘জড়দ্রব্য বলে কিছু নাই’ – বলেছেন ? 


ক) বার্কলে 


খ) হিউম


গ) লক 


ঘ) প্লেটো 



উত্তর : ক) বার্কলে 




১১। সমস্ত প্রকার দ্রব্যকে অস্বীকার করেছেন ? 


ক) লক 


খ) বার্কলে 


গ) হিউম 


ঘ) কান্ট 



উত্তর : খ) বার্কলে


১২। কে তাঁর Metaphysics নামক গ্রন্থে দ্রব্যর আলোচনা করেছেন ? 


ক) প্লেটো 


খ) অ্যারিস্টটল 


গ) কান্ট  


ঘ) বার্কলে



উত্তর : খ) অ্যারিস্টটল


১৩। অ্যারিস্টটল তাঁর Metaphysics গ্রন্থে কয় প্রকার দ্রব্যর উল্লেখ করেছেন ? 


ক) দুই 


খ) চার 


গ) পাঁচ 


ঘ) তিন 



উত্তর : খ) চার


১৪। Meditation গ্রন্থের রচয়িতা হলেন ? 


ক) লক 


খ) কান্ট 


গ) দেকার্ত 


ঘ) বার্কলে



উত্তর : গ) দেকার্ত 


১৫। একজন বহুত্ববাদী দার্শনিক হলেন ? 


ক) স্পিনোজা


খ) লাইবনিজ 


গ) প্লেটো 


ঘ) দেকার্ত 



উত্তর : খ) লাইবনিজ 




১৬। ‘বিশেষ বিশেষ বস্তু বা ব্যাক্তি আকার ও উপাদানের মিলিত ফল’ এ কথা বলেছেন ? 


ক) প্লেটো 


খ) অ্যারিস্টটল 


গ) দেকার্ত 


ঘ) হিউম



উত্তর : খ) অ্যারিস্টটল 


১৭। আত্মার অস্তিত্ব অস্বীকার করেছেন ? 


ক) প্লেটো 


খ) দেকার্ত 


গ) লাইবনিজ 


ঘ) হিউম



উত্তর : ঘ) হিউম


১৮। ‘দ্রব্য সর্বদা বিশেষ্য পদ হয় ।’ এ কথা বলেছেন ? 


ক) প্লেটো 


খ) অ্যারিস্টটল 


গ) লক 


ঘ) কান্ট 



উত্তর : খ) অ্যারিস্টটল


১৯। বিমূর্ত সামান্য ধারণা খন্ডন করেছেন ? 


ক) প্লেটো 


খ) হেসেল 


গ) বার্কলে 


ঘ) হিউম



উত্তর : গ) বার্কলে


২০। ‘দ্রব্য হল অবিভাজ্য , স্বয়ংক্রিয় এবং চেতন’ – এ কথা বলেছেন ? 


ক) লক 


খ) দেকার্ত


গ) লাইবনিজ 


ঘ) স্পিনোজা



উত্তর : গ) লাইবনিজ




২১। ‘যা স্বনির্ভর তা - ই দ্রব্য’ – কে বলেছেন ? 


ক) লক 


খ) বার্কলে 


গ) দেকার্ত


ঘ) হিউম



উত্তর : গ) দেকার্ত


২২। ‘দ্রব্য হল গুণের অজ্ঞাত আধার’ – কে বলেছেন ? 


ক) স্পিনোজা 


খ) লক 


গ) দেকার্ত


ঘ) হিউম



উত্তর : খ) লক


২৩। কোন দার্শনিক স্থায়ী আত্মার অস্তিত্বকে অস্বীকার করেছেন ? 


ক) হিউম


খ) প্লেটো 


গ) বার্কলে 


ঘ) ফিকটে



উত্তর : ক) হিউম


২৪। লকের মতে দ্রব্য মোট কয়টি ? 


ক) তিনটি 


খ) দুটি 


গ) চারটি 


ঘ) ছয়টি 



উত্তর : ক) তিনটি


২৫। দ্রব্য = মনাদ – লাইবনিজের অনুসরণে এ কথাটি হল ? 


ক) যথার্থ 


খ) অযথার্থ


গ) অসম্ভব 


ঘ) অযৌক্তিক



উত্তর : ক) যথার্থ




২৬। হিউমের মতে ধারণা হল ইন্দ্রিয়জের ? 


ক) পূর্বগামী


খ) অনুগামী


গ) মধ্যগামী


ঘ) এদের কোনোটিই নয়



উত্তর : খ) অনুগামী


২৭। মুখ্য ও গৌণ গুণের পার্থক্য অস্বীকার করেছেন ? 


ক) লক 


খ) বার্কলে 


গ) হিউম


ঘ) কান্ট 



উত্তর : খ) বার্কলে


২৮। কার মতে দ্রব্য হল জগৎ ও প্রজাতি ? 


ক) হিউমের 


খ) কান্টের 


গ) প্লেটোর 


ঘ) অ্যারিস্টটলের 



উত্তর : ঘ) অ্যারিস্টটলের


২৯। ‘আত্মসক্রিয়তাই দ্রব্যর লক্ষণ’ – বলেছেন ? 


ক) দেকার্ত 


খ) স্পিনোজা 


গ) লাইবনিজ 


ঘ) কান্ট 



উত্তর : গ) লাইবনিজ 







বৌদ্ধ দর্শন MCQ প্রশ্নোত্তর

 

একাদশ শ্রেণী দর্শন class xi 11 eleven philosophy বৌদ্ধ দর্শন MCQ প্রশ্নোত্তর boudha dorshon MCQ question answer

১। বৌদ্ধ সম্প্রদায় হল ? 


ক) একটি 


খ) তিনটি 


গ) ছয়টি 


ঘ) চারটি 



উত্তর :  ঘ) চারটি


২। ‘প্রতিত্যসনুৎপাদ’ – এই ধারণাটি আছে কোন আর্যসত্য ? 


ক) প্রথম 


খ) দ্বিতীয় 


গ) তৃতীয় 


ঘ) চতুর্থ 



উত্তর : খ) দ্বিতীয়


৩। নির্বানের পথ কয়টি ? 


ক) একটি 


খ) আটটি 


গ) ছয়টি 


ঘ) নয়টি 



উত্তর : খ) আটটি


৪। ‘যা সৎ , তাই ক্ষণিক’ – এ কথা কে বলেছেন ? 


ক) বৌদ্ধদর্শন


খ) মীমাংসাদর্শন


গ) বেদান্তদর্শন


ঘ) জৈনদর্শন



উত্তর : ক) বৌদ্ধদর্শন


৫। বৌদ্ধ দর্শনে আত্মা সম্পর্কিত মতবাদটি কি নামে পরিচিত ? 


ক) নৈরাত্মববাদ 


খ) ক্ষণিকত্ববাদ 


গ) দেহাত্ম্যবাদ 


ঘ) অনিত্যবাদ 



উত্তর : ক) নৈরাত্মববাদ




৬। বৌদ্ধ ক্ষণিকত্ত্ববাদের অর্থ কী ? 


ক) সব কিছুই অনিত্য 


খ) সব কিছুই সত্য 


গ) সব কিছুই শাশ্বত 


ঘ) কোনোটিই নয় 



উত্তর : ক) সব কিছুই অনিত্য


৭। বুদ্ধদেবের বাল্যনাম কি ছিল ? 


ক) বুদ্ধ 


খ) গৌতম 


গ) সিদ্ধার্থ 


ঘ) কপিলানন্দ 



উত্তর : গ) সিদ্ধার্থ


৮। মাধ্যমিক সম্প্রদায়ের মুখ্য প্রবক্তা কে ? 


ক) নাগার্জুন


খ) আর্যদেব 


গ) বুদ্ধপালিত 


ঘ) ধর্মকীর্তি



উত্তর : ক) নাগার্জুন


৯। সম্যক আজীব কি ? 


ক) সৎচিন্তা 


খ) সৎভাবে জীবনযাপন 


গ) সৎ উদ্দেশ্য 


ঘ) সৎসঙ্গ



উত্তর : খ) সৎভাবে জীবনযাপন 


১০। বৌদ্ধদের কার্যকারণ তত্ত্বটি কি নামে পরিচিত ? 


ক) প্রতিত্যসনুৎপাদ 


খ) অর্থক্রিয়াকারিত্ত্ববাদ 


গ) কর্মবাদ 


ঘ) ক্ষণিকত্ত্ববাদ



উত্তর : ক) প্রতিত্যসনুৎপাদ




১১। বৌদ্ধ মতে , সদবস্তু মাত্র ?


ক) নিত্য 


খ) ক্ষণিক 


গ) দ্বিক্ষণস্থায়ী 


ঘ) অনেকক্ষণ স্থায়ী 



উত্তর : খ) ক্ষণিক 


১২। বৌদ্ধদের আত্মা সম্পর্কিত মতের নাম______।


ক) দেহাত্মবাদ 


খ) মনাত্মবাদ 


গ)  অনাত্মবাদ 


ঘ) অদ্বৈতবাদ 



উত্তর : গ)  অনাত্মবাদ


১৩। কোন দর্শনে ত্রিপিটক হল আকর গ্রন্থ ?


ক) বৌদ্ধদর্শনে 


খ) চার্বাকদর্শনে


গ) ন্যায়দর্শনে


ঘ) যোগদর্শনে



উত্তর : ক) বৌদ্ধদর্শনে


১৪। বৌদ্ধ মতে দুঃখের কারণ কী ? 


ক) বেদনা 


খ) অবিদ্যা 


গ) স্পর্শ 


ঘ) সংস্কার 



উত্তর : খ) অবিদ্যা


১৫। বৌদ্ধ দর্শনে ‘ভব’ শব্দের অর্থ হল ? 


ক) জন্মের ইচ্ছা 


খ) জন্মের বিতৃষ্ণা 


গ) জন্মের সময় 


ঘ) জন্মের পরিণতি 



উত্তর : ক) জন্মের ইচ্ছা 




১৬। বুদ্ধচরিত গ্রন্থের রচয়িতা হলেন ? 


ক) নাগাজুন 


খ) অশ্বঘোষ 


গ) বসুবন্ধু 


ঘ) কমলশীল



উত্তর : খ) অশ্বঘোষ


১৭। বৌদ্ধ দর্শনে মোক্ষকে বলা হয় ? 


ক) কৈবল্য 


খ) অপবর্গ


গ) যুক্তি 


ঘ) নির্বাণ 



উত্তর : ঘ) নির্বাণ


১৮। ‘রূপ’ এবং ‘নাম’ নিয়ে গঠিত হয় ? 


ক) কামরূপ


খ) নামরূপ


গ) ধামরূপ


ঘ) বাসনারূপ



উত্তর : খ) নামরূপ 


১৯। দুঃখের কারণ আছে মতটি হল ______দার্শনিকের ।


ক) চার্বাক 


খ) ন্যায় 


গ) বৌদ্ধ 


ঘ) বেদান্ত 



উত্তর : গ) বৌদ্ধ


২০। ‘ক্ষণিকত্ত্বই সৎ এর লক্ষণ’ – এ কথা বলেন ?


ক) চার্বাক 


খ) বৌদ্ধ 


গ) ন্যায় 


ঘ) অদ্বৈত বেদান্ত 



উত্তর : খ) বৌদ্ধ 




২১। বৌদ্ধ কার্যকারণ তত্ত্ব হল ?


ক) দেহাত্মবাদ 


খ) ক্ষণিকবাদ 


গ) প্রতিত্যসনুৎপাদ 


ঘ) মায়াবাদ 



উত্তর : গ) প্রতিত্যসনুৎপাদ


২২। বৌদ্ধরা কোন আত্মা স্বীকার করেন না ?


ক) নিত্য 


খ) অনিত্য 


গ) ক্ষণিক 


ঘ) চেতনাপ্রবাহের 



উত্তর : ক) নিত্য 


২৩। আর্যসত্য চতুষ্টয় মেনেছেন ? 


ক) চার্বাক 


খ) ন্যায় 


গ) বৌদ্ধ 


ঘ) বেদান্ত 



উত্তর : গ) বৌদ্ধ


২৪। বৌদ্ধ দর্শন অনুসারে দুঃখের কারণ হল ?


ক) অবিদ্যা 


খ) বিজ্ঞান 


গ) জাতি 


ঘ) জন্ম 



উত্তর : ক) অবিদ্যা 



২৫। বৌদ্ধদর্শনে পঞ্চস্কন্দের সমষ্টিকে কি বলা হয় ? 


ক) মন 


খ) দেহ 


গ) আত্মা 


ঘ) জড় 



উত্তর : গ) আত্মা




২৬। বৌদ্ধদর্শনে আর্যসত্যের সংখ্যা হল ? 


ক) দুটি 


খ) তিনটি 


গ) চারটি 


ঘ) পাঁচটি 



উত্তর : গ) চারটি


২৭। ক্ষনিকত্ত্ববাদ স্বীকৃত হয়েছে ? 


ক) চার্বাকদর্শনে


খ) ন্যায়দর্শনে


গ) বৌদ্ধদর্শনে


ঘ) বেদান্তদর্শনে



উত্তর : গ) বৌদ্ধদর্শনে


২৮। হীনযানিরা যে সম্প্রদায়ভুক্ত তার নাম কী ? 


ক) ভাববাদী


খ) শূন্যবাদী


গ) বস্তুবাদী


ঘ) বিজ্ঞানবাদী



উত্তর : গ) বস্তুবাদী


২৯। ‘বাহ্যবস্তুর অস্তিত্ব প্রত্যক্ষলব্ধ নয় , অনুমানলব্ধ’ এই মত হল ? 


ক) বৈজ্ঞানিকদের 


খ) সৌত্রান্তিকদের


গ) মাধ্যমিকদের


ঘ) যোগাচারবাদীদের 



উত্তর : খ) সৌত্রান্তিকদের 


৩০। বৌদ্ধরা মোট কয়টি সম্প্রদায়ের বিভক্ত ?


ক) তিনটি 


খ) দুটি 


গ) চারটি 


ঘ) ছয়টি 



উত্তর : গ) চারটি




৩১। ‘হীনযান’ সম্প্রদায়ের অপর নাম হল ? 


ক) থেরবাদ 


খ) হেরবাদ


গ) গেরবাদ


ঘ) সংবাদ 



উত্তর : ক) থেরবাদ 


৩২। ‘বাহ্যবস্তুর অস্তিত্ব প্রত্যক্ষলব্ধ নয় অনুমানলব্ধ’ – এই মতটি হল ? 


ক) মাধ্যমিকদের 


খ) বৈভাষিকদের 


গ) সৌত্রান্তিকদের


ঘ) যোগাচারদের 



উত্তর : গ) সৌত্রান্তিকদের


৩৩। সৌত্রান্তিক মতবাদ হল ? 


ক) বাহ্যপ্রত্যক্ষবাদ 


খ) বাহ্য অনুমেয়বাদ 


গ) ভাববাদ 


ঘ) মায়াবাদ 



উত্তর : খ) বাহ্য অনুমেয়বাদ


৩৪। সৌত্রান্তিক দর্শনের প্রতিষ্ঠাতা হলেন ? 


ক) মৈত্রেয়নাথ 


খ) কুমারিলভট্ট


গ) কুমারলব্ধ 


ঘ) বসুমিত্র 



উত্তর : গ) কুমারলব্ধ


৩৫। বস্তুবাদী বৌদ্ধদর্শনের সংখ্যা হল ? 


ক) এক 


খ) দুই 


গ) তিন 


ঘ) চার 



উত্তর : খ) দুই





অদ্বৈত বেদান্ত MCQ প্রশ্নোত্তর

 


১। ব্রহ্মসূত্র গ্রন্থটির রচয়িতা ? 


ক) মহর্ষি গৌতম 


খ) মহর্ষি বাৎস্যায়ন 


গ) মহর্ষি কপিল 


ঘ) শংকরাচার্য



উত্তর : খ) মহর্ষি বাৎস্যায়ন 


২। শ্রীভাষ্য গ্রন্থটি কার রচনা ? 


ক) মাধবাচার্য


খ) রামানুজ 


গ) শংকর 


ঘ) গোবিন্দাচার্য



উত্তর : খ) রামানুজ


৩। অদ্বৈতবাদের প্রথম প্রবক্তা কে ? 


ক) বল্লভাচার্য


খ) গৌড়পাদ


গ) নিম্বার্ক 


ঘ) মধব 



উত্তর : খ) গৌড়পাদ


৪। পদ্মপাদাচার্যের গুরু কে ? 


ক) শংকর 


খ) গৌড়পাদ


গ) রামানুজ 


ঘ) বল্লভাচার্য



উত্তর : ক) শংকর


৫। আচার্য শংকরের গুরু কে ? 


ক) গৌড়পাদ


খ) গোবিন্দ 


গ) বদরায়ন


ঘ) বল্লভাচার্য



উত্তর : খ) গোবিন্দ




৬। আচার্য গোবিন্দের গুরু কে ? 


ক) বদরায়ন


খ) বল্লভাচার্য


গ) গৌড়পাদ


ঘ) নিম্বার্ক



উত্তর : গ) গৌড়পাদ


৭। অদ্বৈত মতে প্রমাণ কয় প্রকার ? 


ক) পাঁচ প্রকার


খ) ছয় প্রকার


গ) চার প্রকার 


ঘ) তিন প্রকার



উত্তর : খ) ছয় প্রকার


৮। ব্রহ্মসূত্র এর শ্লোক সংখ্যা কয়টি ? 


ক) ৫৫৫ টি 


খ) ৬৫৫ টি 


গ) ৩৩৩ টি 


ঘ) ৭৭৭ টি 



উত্তর : ক) ৫৫৫ টি


৯। ‘পঞ্চমবেদ’ কাকে বলা হয় ? 


ক) ইতিহাস পুরানকে 


খ) গণিতশাস্ত্রকে 


গ) দেববিদ্যাকে 


ঘ) ব্রহ্মসূত্রকে 



উত্তর : ক) ইতিহাস পুরানকে 


১০। সমস্ত বেদের বেদ কি ? 


ক) দেববিদ্যা


খ) ব্যাকরণ 


গ) ইতিহাস পুরাণ 


ঘ) গীতা 



উত্তর : খ) ব্যাকরণ 




১১। বেদের অপর নাম কী ? 


ক) শ্রুতি 


খ) সংহিতা 


গ) বেদান্ত 


ঘ) মন্ত্র 



উত্তর : ক) শ্রুতি


১২। ‘বেদান্ত’ শব্দের অর্থ কী ? 


ক) বেদের আগে 


খ) বেদের অন্তে বা শেষে 


গ) বেদের মধ্যে 


ঘ) সমগ্র বেদের মধ্যে 



উত্তর : খ) বেদের অন্তে বা শেষে


১৩। আচার্য শংকরের ভাষ্য গ্রন্থটি কি ? 


ক) শ্রীভাষ্য


খ) শারীরিকভাষ্য


গ) পূর্ণভাষ্য


ঘ) দ্বৈতাদ্বৈতভাষ্য



উত্তর : খ) শারীরিকভাষ্য


১৪। বেদের কয়টি অংশ ও কী কী ? 


ক) দুটি অংশ - ব্রহ্ম ও মন্ত্র 


খ) দুটি অংশ - মন্ত্র বা সংহিতা ও আরন্যক 


গ) তিনটি অংশ - মন্ত্র , ব্রাহ্মণ ও আরন্যক 


ঘ) চারটি অংশ - মন্ত্র না সংহিতা , ব্রাহ্মণ , আরন্যক ও উপনিষদ 



উত্তর : ঘ) চারটি অংশ - মন্ত্র না সংহিতা , ব্রাহ্মণ , আরন্যক ও উপনিষদ 


১৫। শংকরাচার্যের মতবাদ কি নামে পরিচিত ? 


ক) বিশিষ্টদ্বৈতবাদ


খ) দ্বৈতবাদ 


গ) শূন্যবাদ 


ঘ) অদ্বৈতবাদ 



উত্তর : ঘ) অদ্বৈতবাদ




১৬। সর্বদর্শনসংগ্রহ গ্রন্থের রচয়িতা কে ? 


ক) উদয়ন 


খ) বল্লভাচার্য


গ) মাধবাচার্য


ঘ) রামানুজ



উত্তর : গ) মাধবাচার্য


১৭। উপনিষদকে বলা হয় ? 


ক) বেদ 


খ) বেদাঙ্গ


গ) বেদান্ত 


ঘ) বিদ্যা 



উত্তর : গ) বেদান্ত


১৮। পূর্ণভাষ্য রচনা করেছেন ? 


ক) শংকরাচার্য


খ) রামানুজাচার্য


গ) মাধবাচার্য


ঘ) শ্রীজীবাচার্য



উত্তর : গ) মাধবাচার্য


১৯। ‘ব্রহ্ম সত্য জগৎ মিথ্যা’ – বলেছেন ? 


ক) শংকরাচার্য 


খ) রামানুজ 


গ) গৌতম বুদ্ধ 


ঘ) মহর্ষি গৌতম 



উত্তর : ক) শংকরাচার্য


২০। আবরণ ও বিক্ষেপ এই দুটি কাজ হল ? 


ক) ব্রহ্মের 


খ) জীবের 


গ) জগতের 


ঘ) মায়ার 



উত্তর : ঘ) মায়ার




২১। অদ্বৈত বেদান্ত মতে মায়া ? 


ক) সৎ


খ) অসৎ


গ) সদসৎ


ঘ) অনিবচনীয়



উত্তর : ঘ) অনিবচনীয়


২২। ব্রহ্মসূত্র গ্রন্থটির রচয়িতা হলেন ? 


ক) মহর্ষি গৌতম 


খ) মহর্ষি কপিল 


গ) শংকরাচার্য


ঘ) মহর্ষি বাদরায়ন 



উত্তর : ঘ) মহর্ষি বাদরায়ন


২৩। শংকরাচার্যের বেদান্ত দর্শন কি নামে পরিচিত ? 


ক) অদ্বৈতবাদ 


খ) দ্বৈতবাদ


গ) বিশিষ্টদ্বৈতবাদ


ঘ) দ্বৈতাদ্বৈতবাদ



উত্তর : ক) অদ্বৈতবাদ


২৪। আচার্য শংকর হলেন _______দার্শনিক ।


ক) বৈশেষিক 


খ) বেদান্ত 


গ) ন্যায় 


ঘ) সাংখ্য



উত্তর : খ) বেদান্ত


২৫। কার মতে – ‘জগৎ হল মায়ার সৃষ্টি’ ? 


ক) শংকর 


খ) রামানুজ 


গ) গোবিন্দপাদ


ঘ) মধব



উত্তর : ক) শংকর




২৬। ‘জীব ও ব্রহ্ম অভিন্ন’ – এ কথা বলেছেন ? 


ক) বৌদ্ধদর্শন সম্প্রদায় 


খ) অদ্বৈত বেদান্তদর্শন সম্প্রদায়


গ) ন্যায়দর্শন সম্প্রদায়


ঘ) যোগদর্শন সম্প্রদায়



উত্তর : খ) অদ্বৈত বেদান্তদর্শন সম্প্রদায়





পাশ্চাত্য দর্শনের ধারণা MCQ প্রশ্নোত্তর

 

একাদশ শ্রেণী দর্শন class xi 11 eleven philosophy পাশ্চাত্য দর্শনের ধারণা MCQ প্রশ্নোত্তর paschaat dorshoner dharona MCQ question answer

১। নিচের কোনটি দর্শনের শাখা হিসেবে গণ্য হতে পারে না ? 


ক) ভৌতবিজ্ঞান 


খ) নীতিবিজ্ঞান 


গ) অধিবিদ্যা 


ঘ) কলাবিদ্যা



উত্তর : ক) ভৌতবিজ্ঞান


২। ‘Metaphysics’ শব্দটি প্রথম ব্যাবহার করেন ? 


ক) লক


খ) বার্কলে 


গ) হিউম


ঘ) অ্যারিস্টটল



উত্তর : ঘ) অ্যারিস্টটল


৩। ‘Ethics’ শব্দটি কী শব্দ ? 


ক) গ্রিক শব্দ 


খ) লাতিন শব্দ


গ) ফরাসী শব্দ


ঘ) জার্মান শব্দ



উত্তর : ক) গ্রিক শব্দ


৪। কার মতে যুক্তিবিজ্ঞান ও দর্শন অভিন্ন ? 


ক) হোয়াইটহেড 


খ) লাইবনিজ 


গ) কান্ট 


ঘ) রাসেল 



উত্তর : ঘ) রাসেল


৫। কার মতে , দর্শন হল জ্ঞান সম্পর্কিত বিজ্ঞান ? 


ক) ফিকটে


খ) পলসন 


গ) পেরি


ঘ) স্পেনসার 



উত্তর : ক) ফিকটে




৬। সত্য , শিব ও সুন্দর এই তিনটি হল মানব জীবনের ? 


ক) আপেক্ষিক মূল্য 


খ) অনিত্য মূল্য


গ) চরম মূল্য


ঘ) ব্যাবহারিক মূল্য



উত্তর : গ) চরম মূল্য


৭। অধিবিদ্যাকে ‘First Philosophy’ বলেছেন ? 


ক) প্লেটো 


খ) অ্যারিস্টটল 


গ) সক্রেটিস 


ঘ) থেলস



উত্তর : গ) সক্রেটিস


৮। দর্শনের যে শাখা জ্ঞানের স্বরূপ , সম্ভবনা , প্রকৃতি নিয়ে আলোচনা করে , তাহল ? 


ক) জ্ঞানবিদ্যা 


খ) অধিবিদ্যা


গ) নীতিবিদ্যা


ঘ) তর্কবিদ্যা



উত্তর : ক) জ্ঞানবিদ্যা



৯। ‘অধিবিদ্যা সম্ভব নয়’ এ কথা বলেছেন ? 


ক) দেকার্ত


খ) স্পিনোজা


গ) হিউম


ঘ) এয়ার



উত্তর : গ) হিউম


১০। অধিবিদ্যার জ্ঞান হল ? 


ক) ধারণার সম্বন্ধ বিষয়ক জ্ঞান 


খ) তথ্য সংক্রান্ত জ্ঞান 


গ) অতীন্দ্রিয় সত্তার জ্ঞান 


ঘ) এদের কোনোটিই নয় 



উত্তর : গ) অতীন্দ্রিয় সত্তার জ্ঞান




১১। ‘আমি কে’ – এরূপ প্রশ্নটি হল ? 


ক) জ্ঞানবিদ্যার 


খ) অধিবিদ্যার


গ) তর্কবিদ্যার


ঘ) নীতিবিদ্যার



উত্তর : খ) অধিবিদ্যার


১২। Metaphysics গ্রন্থটির রচয়িতা হলেন ? 


ক) সক্রেটিস 


খ) প্লেটো 


গ) অ্যারিস্টটল 


ঘ) জেনো



উত্তর : গ) অ্যারিস্টটল


১৩। The Republic  গ্রন্থটির রচয়িতা হলেন ? 


ক) সক্রেটিস


খ) প্লেটো


গ) অ্যারিস্টটল


ঘ) হেরাক্লিটাস



উত্তর : খ) প্লেটো


১৪। Theaetetus গ্রন্থটির রচয়িতা হলেন ? 


ক) অ্যারিস্টটল


খ) সক্রেটিস


গ) প্লেটো


ঘ) পারমিনাইডিস



উত্তর : গ) প্লেটো


১৫। প্লেটো হলেন একজন ? 


ক) গ্রিক দার্শনিক 


খ) ইংরেজ দার্শনিক


গ) ফরাসী দার্শনিক


ঘ) জার্মান দার্শনিক



উত্তর : ক) গ্রিক দার্শনিক




১৬। ভারতীয় দার্শনিক হলেন ?


ক) রামানুজ 


খ) এয়ার


গ) বার্গসো


ঘ) থেলস



উত্তর : ক) রামানুজ


১৭। সমাজ হল ? 


ক) অচেতন জনগোষ্ঠী 


খ) জনগোষ্ঠী


গ) সচেতন জনগোষ্ঠী


ঘ) ধর্মীয় জনগোষ্ঠী



উত্তর : গ) সচেতন জনগোষ্ঠী


১৮। ‘দর্শনের কাজ হল ভাষার বিশ্লেষন’ – এ কথা বলেছেন ? 


ক) দেকার্ত


খ) হিউম


গ) ভিতগেনস্টাইন 


ঘ) কান্ট 



উত্তর : গ) ভিটগেনস্টাইন


১৯। ‘দর্শন ও জ্ঞানবিদ্যা অভিন্ন’ – এ কথা বলেছেন ? 


ক) হিউম


খ) বার্কলে 


গ) দেকার্ত


ঘ) কান্ট 



উত্তর : ঘ) কান্ট


২০। ‘দর্শন = অধিবিদ্যা’ – অভিমতটি হল ? 


ক) কান্টের 


খ) হিউমের 


গ) দেকার্তের


ঘ) প্লেটোর 



উত্তর : ঘ) প্লেটোর




২১। ‘দর্শন ও জ্ঞানবিদ্যা অভিন্ন নয়’ – এ কথা বলেছেন ? 


ক) পেরি


খ) লক 


গ) এয়ার


ঘ) সাত্রে



উত্তর : ক) পেরি


২২। ‘Metaphysics’ শব্দটির অর্থ কী ?


ক) অধিবিদ্যা 


খ) জ্ঞানবিদ্যা


গ) নীতিবিদ্যা


ঘ) সমাজবিদ্যা



উত্তর : ক) অধিবিদ্যা 


২৩। কার মতে দর্শন ও অধিবিদ্যা অভিন্ন ? 


ক) দেকার্ত


খ) প্লেটো 


গ) হুসাল 


ঘ) হিউম



উত্তর : খ) প্লেটো 


২৪। অধিবিদ্যার আলোচ্য বিষয় হল ? 


ক) জ্ঞান 


খ) রাজনীতি


গ) সমাজ 


ঘ) পরমতত্ত্ব



উত্তর : ঘ) পরমতত্ত্ব


২৫। অধিবিদ্যাকে প্রথম দর্শন আখ্যা দিয়েছিলেন ? 


ক) প্লেটো 


খ) অ্যারিস্টটল 


গ) কান্ট


ঘ) দেকার্ত



উত্তর : ঘ) দেকার্ত




২৬। দর্শনের যে শাখা যুক্তির বৈধতা নিয়ে আলোচনা করে তা হল ? 


ক) অধিবিদ্যা 


খ) তর্কবিদ্যা 


গ) জ্ঞানবিদ্যা 


ঘ) ধর্মদর্শন 



উত্তর : খ) তর্কবিদ্যা


২৭। Critique of Pure Reason গ্রন্থটি কার লেখা ? 


ক) হিউম


খ) লক


গ) প্লেটো


ঘ) কান্ট



উত্তর : ঘ) কান্ট


২৮। দর্শন ছাড়া বিজ্ঞান ? 


ক) স্বপ্নহীন


খ) আত্মাহীন


গ) দেহহীন


ঘ) অলীক



উত্তর : খ) আত্মাহীন


২৯। ‘দর্শনের পদ্ধতি হল গাণিতিক পদ্ধতি’ – এ কথা মনে করেন ? 


ক) অভিজ্ঞতাবাদীরা


খ) বুদ্ধিবাদীরা


গ) ভাববাদীরা


ঘ) বস্তুবাদীরা



উত্তর : খ) বুদ্ধিবাদীরা


৩০। ‘ধারণার উৎস হল মুদ্রণ’ বলেছেন ? 


ক) দেকার্ত


খ) হিউম


গ) বার্কলে 


ঘ) লাইবনিজ 



উত্তর : খ) হিউম




৩১। দর্শন ও বিজ্ঞান হল পারস্পরিকভাবে ? 


ক) বিরুদ্ধে 


খ) সমগোত্রীয়


গ) পরিপূরক 


ঘ) সংশয়াত্মক



উত্তর : গ) পরিপূরক 


৩২। গুরুশিষ্যর পরম্পরা হল ? 


ক) সক্রেটিস → প্লেটো →অ্যারিস্টটল 


খ) প্লেটো → সক্রেটিস → অ্যারিস্টটল 


গ) অ্যারিস্টটল → প্লেটো → সক্রেটিস


ঘ) সক্রেটিস → অ্যারিস্টটল → প্লেটো



উত্তর : ক) সক্রেটিস → প্লেটো →অ্যারিস্টটল 


৩৩। ‘সামান্যের ধারণা আগে , পরে আসে বিশেষের ধারণা’ এ কথা বলেছেন ? 


ক) কান্ট 


খ) হিউম


গ) প্লেটো 


ঘ) অ্যারিস্টটল 



উত্তর : গ) প্লেটো


৩৪। ‘বিশেষের ধারণা আগে আসে , পরে আসে সামান্যের ধারণা’ – এ কথা বলেছেন ? 


ক) প্লেটো 


খ) অ্যারিস্টটল 


গ) মারভিন


ঘ) হেগেল 



উত্তর : খ) অ্যারিস্টটল


৩৫। দর্শনকে বিজ্ঞানের ঐক্যবদ্ধ জ্ঞান বলেছেন ? 


ক) মারভিন


খ) পেরি 


গ) স্পেনসার 


ঘ) ওয়েবার



উত্তর : গ) স্পেনসার 




৩৬। বিজ্ঞানের দৃষ্টিভঙ্গি হল ? 


ক) সামগ্রিক 


খ) আংশিক 


গ) কাল্পনিক 


ঘ) আনুমানিক 



উত্তর : খ) আংশিক


৩৭। দর্শনের দৃষ্টিভঙ্গি হল ? 


ক) সামগ্রিক 


খ) আংশিক 


গ) কাল্পনিক 


ঘ) আনুমানিক 



উত্তর : ক) সামগ্রিক 


৩৮। ‘ধারণার জগৎ হল পরমতত্ত্বের জগৎ’ – এ কথা বলেছেন ? 


ক) সক্রেটিস 


খ) প্লেটো 


গ) হিউম


ঘ) লক 



উত্তর : খ) প্লেটো


৩৯। সাধারণ জ্ঞান , বিজ্ঞান ও দর্শনের পার্থক্য হল ? 


ক) প্রত্যক্ষগত


খ) অনুমানগত


গ) প্রকৃতিগত


ঘ) মাত্রাগত



উত্তর : ঘ) মাত্রাগত



৪০। ‘দর্শন হল বিশ্ব সম্বন্ধে সম্পূর্ন ঐক্যবদ্ধ জ্ঞান’ – এটি কার মত ? 


ক) কান্ট


খ) দেকার্ত


গ) স্পেন


ঘ) প্লেটো 



উত্তর : গ) স্পেনসার







শুক্রবার, ২০ আগস্ট, ২০২১

মানবতাবাদ কী ? রবীন্দ্রনাথের দৃষ্টিতে বিশ্ব মানবতাবাদের তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর ?

 

একাদশ শ্রেণী দর্শন class xi 11 eleven philosophy মানবতাবাদ কী রবীন্দ্রনাথের দৃষ্টিতে বিশ্ব মানবতাবাদের তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর manobotabad ki robindronather drishtitey bisw manobotabader tatporjo bakkha koro

 প্রশ্ন: মানবতাবাদ কী ? রবীন্দ্রনাথের দৃষ্টিতে বিশ্ব মানবতাবাদের তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর ?


উত্তর:- মানবের যে ধর্ম তাই মানবধর্ম । ধর্ম হল তাই যে বিশেষ পরিবেশ ও পরিস্থিতিতে মানুষকে ঘিরে থাকে । " মনুষ্যত্ব " এর সমার্থক শব্দ হল মানবতাবাদ , মানুষের মধ্যে যে দয়া ,মায়া , প্রেম ,ভালোবাসা প্রভৃতি গুন বর্তমান , তাকেই মানবতাবাদ বলা হয় । যুগে যুগে আবির্ভূত হয়েছেন মনীষীরা । তাঁরা ব্যক্ত করেছেন মানবসেবায় বিচিত্র পথের কথা ।

সব মানুষের মধ্যে যে " সমান ধর্ম " থাকে তাকে " মনুষ্যত্ব " বলে । এই মনুষ্যত্ব ধর্মের জন্যই আমরা অন্যান্য প্রাণী থেকে ভিন্ন বলে দাবী করি । মানুষের মনের ভিতরে যে দয়া , মায়া , প্রেম , প্রীতি ও ভালোবাসা প্রভৃতি মানবোচিত গুন বা বিশিষ্টতা তাকেই মনুষ্যত্ব বা মানবতা বলে । আর মানবতা সম্পর্কিত যে মতবাদ , তাই মানবতাবাদ । 


রবীন্দ্রনাথের দৃষ্টিতে বিশ্বমানবতাবাদ : রবীন্দ্রনাথের জীবন দর্শনেও মানবতাবাদের একটা বিশেষ ভূমিকা আমরা লক্ষ করি । তবে " জাগতিক বিবর্তনেও যে কাহিনী বিজ্ঞান আমাদের গোচরে এনেছে , অথবা মানুষের আবির্ভাব , ক্রমবিকাশ প্রভৃতির পশ্চাতে জৈবিক বিবর্তনের যে বিচিত্র ইতিহাস বিজ্ঞান আবিস্কার করেছে রবীন্দ্রনাথের মানবিক উপলব্ধি সেই সত্যকে আশ্রয় করে গঠিত বা বিকশিত হয়নি অথবা আধুনিক কালে দর্শন চিন্তা মানুষকে তাঁর সমগ্র কর্মের কর্তা , তার সমগ্র অস্তিত্বের নিয়ামক রূপে নির্ধারণ করে তাকে যে মর্যাদা দান করেছে , রবীন্দ্র মানস সেই ভাবনা দ্বারাও প্রভাবিত হয়নি । তাঁর উপলব্ধিতে মানবিক ঐশ্বযের স্বরূপ অন্য প্রকার । উনিশ শতকে বাংলা সাহিত্যে মানবতাবাদ শব্দটি এসেছে । 

মানুষের ধর্ম Religion of Man ও গ্রন্থে রবীন্দ্রনাথ মানুষ , মনুষ্যত্ব ও মানবতা বিষয়ে তাঁর অভিনব অভিমত ব্যক্ত করেছেন । বইটির ভূমিকায় তিনি জানিয়েছেন , মানুষের দুটি দিক আছে । একটা দিক বিষয় বুদ্ধি নিয়ে নিজের সিদ্ধি খোঁজে সেখানে সে জীব হয়েই বাঁচতে চায় । আর একটা দিক ব্যাক্তিগত প্রয়োজনের সীমা ছাড়িয়ে ব্যক্তিস্বার্থের প্রবর্তনাকে অস্বীকার করে । সেখানে সে নিজের ব্যক্তিগত জীবনের চেয়ে বড়ো জীবন বাঁচতে চায় । স্বার্থ আমাদের যেদিকে ঠেলে নিয়ে যায় , তাঁর মূল প্রেরণা মেলে সমস্ত জীব প্রকৃতিতে , কিন্তু মানুষ মরণশীল ও মুনি বলেই সে বুঝেছে যা আমাদের ত্যাগের ও তপস্যার দিক নিয়ে যায় , তাই হল মনুষ্যত্ব অর্জন করার জন্য সাধনার প্রয়োজন ।


আদর্শ মানুষের স্বরূপ : রবীন্দ্রনাথ মনে , মানুষের দায় হল মহামানবের দায় কোথাও তার সীমা নেই । মহামানব হল আদর্শ মানুষ বা আদর্শ মানবতা মানুষ তার সীমার গন্ডি পেরিয়ে যা হতে চায় , তাই । আদর্শ মানুষ বা মানবতা বিশেষ কোনো এককালে ব্যাপ্ত নয় , তা ত্রিকাল ব্যাপ্ত । মানুষের বিশ্বাস যে , ব্যক্তি মানুষ রূপে তার মৃত্যু হলেও , যে আদর্শ মানবতার জন্য তার নিরলস প্রচেষ্টা , নিরলস সাধনা , তার মৃত্যু নেই । সর্বকালের সকল মানুষের মধ্যে সেই এক আদর্শ মানুষ বা মানবতা নিত্যকাল বিরাজিত । সেই আদর্শ মানবকে উপলব্ধি করাই হল এযাবৎ মানুষের সাধনা , তার ধর্ম । এই আদর্শ মানব ব্যক্তিমানব থেকে স্বতন্ত্র । তিনি মানুষের অন্তরে আছেন , কিন্তু ব্যক্তি মানব কে অতিক্রম করে আছেন । তিনি সকল মানুষের মধ্যে বিরাজমান ।

পূর্ন মানব স্বরূপের মধ্যেই আছে মনুষ্যত্ব ও মানবতা : এ বিষয়ে রবীন্দ্রনাথের বক্তব্য হল " আমাদের অন্তরে এমন কেউ আছেন যিনি মানব , অথচ যিনি ব্যাক্তিগত মানবকে অতিক্রম করে সর্বজনীন সর্বকালীন মানব । সর্বজনীনতার আবির্ভাব ।" মনীষীরা তাঁকে সব মানুষের মধ্যে অনুভব করেন । তাঁকে ভালোবেসে জীবন দিতে পারেন । সেটা না পারলে মানুষ সত্যিকার মানুষ হয় না । তাঁর আকর্ষণে মানুষ অন্তর থেকে কাজ করছে বলেই নিজেকে সঠিকভাবে প্রকাশ করতে গিয়ে বার বার সীমাকে অস্বীকার করছে । সেই অন্তর মানবকেই মানুষ বিভিন্ন নামে পূজা করছে । নিজের বিচ্ছিন্নতাকে অতিক্রম করে সমস্ত মানুষের ঐক্যের মধ্যে তাঁকে পাবে বলে মানুষ প্রাথনা জানিয়ে চলেছে বলে সেই মানব , সেই দেবতা , যিনি এক ও অদ্বিতীয় । " মানুষের ধর্ম " গ্রন্থে রবীন্দ্রনাথ মানুষের অন্তর দেবতার স্বরূপ সেই এক ও অদ্বিতীয় মানুষের কথাই নানাভাবে ব্যক্ত করেছেন ।


মানবতার গুরুত্ব : রবীন্দ্রনাথ মনে করেন যে , মানবতার উপলব্ধির মাধ্যমে মনুষ্যত্ব অর্জন করে খন্ড সীমাকে ছাড়িয়ে অখন্ড অসীমের দিকে ধাবিত হয় । সে  নিজের সম্পর্কে ভাবে সহহম অর্থাৎ আমিই সেই । এই সেই আসলে বিশ্বমানব , সর্বজনীন ও সর্বকালীন মানব । এই মানবতার উপলব্ধি হলেই মানুষ তার সংক্রিন গন্ডি অতিক্রম করে বিশ্বমৈথির প্রাঙ্গণে পৌঁছে যায় ।

রবীন্দ্রনাথের প্রতিটি লেখায় আমরা এই মানবতাকে বা মানব ধর্ম কে খুঁজে পায় । মানুষের ব্যাথা ও বেদনার অনেক কারণ , এই দুঃখ বেদনা শুধুমাত্র সরকারী দাক্ষিণ্য বা আইন প্রণয়ন করে দূরে করা সম্ভব নয় । এ জন্য ভালো মানুষের দরকার । মানব সেবার কাজে সবাইকে নিযুক্ত হতে হবে । আইন করে মানব ধর্ম রক্ষা করা যায় না , তার জন্য হৃদয়ের প্রসার দরকার । আমরা সবাই ছোটোবেলা থেকে জাতীয় সংগীত " জনগনমন অধিনায়ক ...." গানটির সঙ্গে পরিচিত , এই গানটির আসল অর্থ অনুধাবন করতে পারলে আমাদের অনেক দুঃখ কষ্ট দূর হওয়া সম্ভব । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই গানের মাধ্যমে জনগণ কে অধিনায়ক মনে করেছেন , জনগণের মধ্যে এক অফুরন্ত শক্তি আছে , যা আমাদের সমাজকে তথা আমাদের ভারতবর্ষ কে উন্নত জায়গায় নিয়ে যেতে পারে । আর এ চেষ্টা আমাদেরকেই করতে হবে । আসলে মানব ধর্মের চরমোৎকর্ষের পরিচয় সেখানেই পাওয়া যায় যেখানে মানুষ ভাবতে পারে -


       “ সকলের তরে সকলে আমরা 

        প্রত্যকে আমরা পরের তরে ।”



বুধবার, ১৮ আগস্ট, ২০২১

বিবেকানন্দের কর্ম যোগের ধারণায় কীভাবে প্রয়োগ মূলক বেদান্ত প্রতিফলিত হয়েছে ?

 

একাদশ শ্রেণী দর্শন class xi 11 eleven philosophy বিবেকানন্দের কর্ম যোগের ধারণায় কীভাবে প্রয়োগ মূলক বেদান্ত প্রতিফলিত হয়েছে vivekananda kormo yoger dharonai kivabe proyogmulol bedanto protifolito hoyeche

প্রশ্ন: বিবেকানন্দের কর্ম যোগের ধারণায় কীভাবে প্রয়োগ মূলক বেদান্ত প্রতিফলিত হয়েছে ?

উত্তর:- স্বামী বিবেকানন্দ কর্মের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে গীতা বা ভগবদগীতায় যে নিষ্কাম কর্মের কথা বলা হয়েছে তার কথা বলেছেন । তাঁর মতে কর্ম মানুষ যেন করে ফলাকাঙ্খা না নিয়ে । শুধুমাত্র কর্মের জন্যই কর্ম করা উচিত । কোন কিছু লোভ , কামনাও বাসনা থাকবে না ।

বিবেকানন্দ বলেছিলেন , আমাদের প্রথম কতব্য হল নিজের প্রতি ঘৃনা নয় , নিজেকে ভালোবাসতে হবে । নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখতে হবে , নিজের প্রতি বিশ্বাস না থাকলে ভগবান কে বিশ্বাস করা যায় না । তিনি বলেছেন ভয় হল দুর্বলতার প্রধান কারণ । গীতায় কথিত কর্ম যোগের এই আদর্শকেই স্বামী বিবেকানন্দ আমাদের কাছে তুলে ধরেছেন এবং বলেছেন ফলাকাঙ্খা বর্জন করে কর্মসাধণাই হল আমাদের প্রধান লক্ষ্য ।


বেদান্তের মূল তত্ত্ব : বেদান্তের সুমহান বাণী , যাকে আবিষ্কার করে সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য বিবেকানন্দ মানব শক্তিকে আহ্বান করেছেন সেটি হল " সোহহম্ " আমিই সেই । স্বামীজির মতে  , এই সূত্রের ব্যাখ্যার সঠিক প্রয়োগ হলে বিশ্ববাসী একটি বৃহৎ মালায় পরিণত হবে । বেদান্তের মূল তত্ত্ব তিনটি একত্ত্ব , অন্তনিহিত দেবত্ব ও স্বাধীনতা । বিবেকানন্দ " সোহহম্ " পদের ব্যাখ্যার দ্বারা এই তিনটি তত্ত্ব কে একত্রিত করেছেন । এই ব্যাখ্যার মাধ্যমে তিনি প্রয়োগমূলক বেদান্ত বা ফলিত বেদান্তের স্বরূপ তুলে ধরেছেন ।

একত্ব : বেদান্তের মূল কথা হল একত্ব , অভেদ বা অখন্ডভাব । এই বিশ্বে একটিমাত্র সত্তার অস্তিত্ব আছে । তা হল ব্রহ্ম বা ঈশ্বর । বিবেকানন্দ বেদান্তের মূল সূত্রের ব্যাখ্যার এই সত্য তুলে ধরেছেন " সোহহং " পদের দ্বারা । তাঁর মতে , জীবাত্মা ও পরমাত্মার মধ্যে কোন ভেদ নেই । সব মানুষ সমভাবে ব্রহ্মের সঙ্গে অভিন্ন । জাতি , ধর্ম , সম্প্রদায় নির্বিশেষে সবাই সমান । এ খানে কেউ পাপী নয় , কেউ অপবিত্র বা দুর্বল নয় । মানুষের যে পার্থক্য তা পরিমাণগত , প্রকারগত নয় ।


অন্তনিহীত দেবত্ব : আত্মামাত্রই অব্যক্ত ব্রহ্ম । সব মানুষের হৃদয়ে এক অখন্ড আত্মা বিরাজমান , একই ব্রহ্মসত্তার বিকাশ । তাই বিশ্বের সব মানুষ পরস্পরের ভাই । আমরা সবাই সচ্চিদানন্দ ব্রহ্ম বা মহামানবের তরঙ্গ থেকে উদ্ভূত । ব্যক্তিসত্তার সঙ্গে সমভাবে অভিন্ন । সব মানুষই ঈশ্বর । ব্রহ্ম বহুর মধ্যে এক । আবার এক হয়েও বহুরূপে সামনে রয়েছেন ।

স্বাধীনতা : বেদান্তের তৃতীয় তত্ত্ব হল স্বাধীনতা , যার আর এক নাম মুক্তি । এ খানে মুক্তি বলতে বন্ধন থেকে মুক্তি কে বোঝায় । মুক্তি হল আত্মার স্বরূপে অবস্থান , আত্মার ব্রহ্মভাবের পরিপূর্ন বিকাশ , দেবত্ব উত্তরণ । কিন্তু অজ্ঞানের বশবর্তী হয়ে সচ্চিদানন্দ ব্রহ্মস্বরূপ জীব সংসার বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে অশেষ দুঃখ , কষ্ট ভোগ করে । একেই বলে আত্মার বন্ধন , আর বন্ধন থেকে মুক্তি পাওয়াই স্বাধীনতা ।


স্বামী বিবেকানন্দ গীতার কর্মযোগের আদর্শকেই আমাদের কাছে তুলে ধরেছেন । তিনি বলেছেন আমাদের প্রথম কর্তব্য হল নিজের প্রতি ঘৃনা নয় , নিজের প্রতি বিশ্বাস প্রদর্শন করা , তবেই ঈশ্বর কে বিশ্বাস করা সম্ভব হয় । বিবেকানন্দের বাণী আমরা আমাদের জীবনে যদি কিছুটা হলেও পালন করতে সক্ষম হয় , তাহলে এই ভারতবর্ষে কিছুটা হলেও শান্তি ফিরে আসতে পারে । তিনি বলেছেন ভয়ই আমাদের দুর্বলতার প্রধান কারণ । 

সর্বশেষে , বিবেকানন্দের একটি বাণী বলে শেষ করব - " তমি যাহা চিন্তা করিবে , তাহাই হইয়া যাইবে । যদি তুমি নিজেকে দুর্বল ভাব , তবে দুর্বল হইবে । তেজস্বী ভাবিলে তেজস্বী হইবে ।" 

বেদান্ত দর্শনের আদর্শ দ্বারা প্রভাবিত হয়েও কর্মযোগের সমন্বয়ে কর্মযজ্ঞের সূচনা করেছিলেন বিবেকানন্দ । এরই ফলস্বরূপ বিভিন্ন সমাজ সংস্কার মূলক কর্মকান্ড , আত্মমুক্তির থেকেও বহুর কল্যাণসাধনের গুরুত্ব ইত্যাদি ধারণার দ্বারা প্রায়োগিক বেদান্তের সূচনা ।