মঙ্গলবার, ৯ আগস্ট, ২০২২

‘গুরু’ নাটক অবলম্বনে উপাধ্যায় ও উপাচার্য চরিত্র আলােচনা করাে ।

একাদশ শ্রেণী বাংলা প্রশ্নোত্তর xi class 11 Bengali Question answer গুরু নাটক অবলম্বনে উপাধ্যায় ও উপাচার্য চরিত্র আলােচনা করাে guru natok abolombone upadhyay o uparcharjo choritro alochona koro

উত্তর : ‘গুরু’ নাটকের একটি উল্লেখযােগ্য চরিত্র হল উপাধ্যায় । উপাধ্যায় উপাধি হতে পারে , উপাধ্যায় নাম হিসেবেও প্রযুক্তহতে পারে , আবার পাণ্ডিত্য অর্থে উপাধ্যায় পদের ব্যবহার হয়ে থাকতে পারে । যাই হােক , উপাধ্যায়ের শাস্ত্রীয় বিধান কণ্ঠস্থ । কোথায় কোন শিক্ষার্থী বিধিবিধান ও নিয়মশৃঙ্খলা ভঙ্গ করছে , কিংবা করে থাকলে তার পাপক্ষালনের প্রায়শ্চিত্তের বিধান আওড়ানাের জন্য তিনি সবসময় তৎপর । পঞক তাই বলেছে , “পাপের একটুকু গন্ধ পেলে একেবারে মাছির মতাে ছােটে ।”

[          ]  কুলদত্তের ক্রিয়াসংগ্রহ কিংবা ভরদ্বাজ মিশ্রের প্রয়ােগপ্রজ্ঞপ্তি তাঁর জিভের ডগায় । সুভদ্র ‘ উত্তরদিকের জানালা ’ শব্দ উচ্চারণ করতেই উপাধ্যায় জানতে চেয়েছেন জানালায় সে আঁক কেটেছে কিনা , কেটে থাকলে চৌকোণা না গােলাকার , আর যদি কনুই ঠেকিয়ে থাকে , তাহলে সেদিকে সব যজ্ঞপাত্র অশুচি হওয়ার জন্য ফেলা যাবে , সাত মাসের বাছুরকে দিয়ে জানালা চাটিয়ে শােধন করতে হবে । 



[          ] আয়তনের আচার্যও জানেন উপাধ্যায়  কোন বালক কী নিয়ম লঙ্ঘন করে কী পাপ কাজ করেছে তার খবরাদি রাখেন । তাই আচার্য জিজ্ঞেস করেন , ‘উপাধ্যায় , কোনাে সংবাদ আছে নাকি ?’ উপাধ্যায় পরছিদ্রান্বেষী । শুধু তাই নয়, প্রায়শ্চিত্ত যথাযথ হােক , সে -ব্যাপারে তৎপরও বটে । আবার এই মানুষই কৌতুকরসের ভিয়ান চড়াতে পারেন । প্রথম যুনক যখন বলে , “ অচলায়তনের দরজার কথা বলছ — সে আরাে আকাশের সঙ্গে দিব্যি সমান করে দিয়েছি ।” তখন উপাধ্যায় বলেন , “বেশ করেছ ভাই । আমাদের ভারি অসুবিধা হচ্ছিল । এত তালাচাবির ভাবনাও ভাবতে হত ।”

 [          ]  উপাচার্য আচার্যের সহকারী । তিনি শান্ত,সংযত ও প্রাজ্ঞ মানুষ । আয়তনের দায় - দায়িত্ব ছিল আচার্যের হাতে । তাঁকে এবং তাঁর কাজে সাহায্যকারী মানুষটি হলেন উপাচার্য । নাম সূতসােম । তিনি কিন্তু আয়তনের কর্মধারায় বড়ােই সন্তুষ্ট।তিনি মনে করেন , আয়তন চলছে বড়াে শান্তিতে ।তিনি মনে করেন , তার সার্থকতায় প্রসন্ন হয়ে গুরু দীর্ঘকাল পরে অচলায়তনে আসছেন । তিনি এ কথাও মনে করেন বজ্রশুদ্ধিব্রত এই আয়তনে এবার নিয়ে সাতাত্তর বার পূর্ণ হয়েছে , যা অন্য কোনাে আয়তনে সম্ভবপর হয়নি । এ কৃতিত্ব অচলায়তনের গর্ব । শুধু তাই নয় , উপাচার্য আয়তনে লেশমাত্র ত্রুটি বা বিচ্যুতি দেখতে পান না । তিনি মনে করেন , সমস্ত শিক্ষা এই আয়তনে সমাধা হয়ে গেছে । উপাচার্য এরকম স্বভাব - প্রকৃতির মানুষ ।





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন