‘গুরু’ নাটক অবলম্বনে ‘গুরু’ চরিত্রের স্বরুপ বিশ্লেষণ করাে ।
উত্তর : ‘ গুরু ’ নাটকে গুরুর উপস্থিতি নেপথ্যে কিংবা স্বশরীরে নাটকের শুরু থেকে শেষ অবধি । তাঁরই নামে নাটকের নামকরণ । তিনি অসীম , অনন্ত ও সর্বশক্তির আধার । অন্যায়- অবিচারের বিরুদ্ধে, জীর্ণ প্রাণহীন সমাজকে ধ্বংস করার কাজে তিনি খরগহস্ত রুদ্র । জ্ঞান-কর্ম ভক্তির সমন্বয়ে সাধনাকে সফল করে জগৎ ও জীবনকে গতিশীল করার কাজে তিনি শক্তিমান পরমসুন্দর । একাধিক রূপে তাঁর প্রকাশ । তিনি গুরু, তিনি দাদাঠাকুর , তিনিই গোঁসাই । অথচ তিনি একই । জ্ঞানমার্গের আয়তনিকদের কাছে তিনি গুরু, কর্মমার্গের যুনকদের কাছে তিনি দাদাঠাকুর , আর ভক্তিমার্গের দর্ভকদের কাছে তিনি গোঁসাই । প্রকৃতপক্ষে তিন মার্গের মানুষই নিজ নিজ ক্ষেত্রে অচলায়তনের ঘেরাটোপে আবদ্ধ । গুরু তিন রূপে হাজির হয়ে তিনেরই সাধনপথের বাধা সরিয়ে জ্ঞান-কর্ম- ভক্তির ত্রিবেণি সংগম ঘটিয়েছেন । তিনি জ্ঞানমার্গীদের অচলায়তনের পাষাণ প্রাচীর গুঁড়িয়ে দিয়েছেন যােদ্ধৃবেশে । দীর্ঘদিনের প্রথা ও সংস্কারের মূল উপড়ে ফেলেন তিনি । বাইরের জগৎ ও জীবনের সঙ্গে মিলন ঘটিয়ে শুষ্ক প্রাণহীন জ্ঞানচর্চায় তিনি এনেছেন সরসতা ও জীবনের প্রাণােচ্ছ্বাস।
কোন মন্তব্য নেই