সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আচার্য চরিত্রটি ‘গুরু’ নাটক অবলম্বনে বিশ্লেষণ করাে ।

একাদশ শ্রেণী বাংলা প্রশ্নোত্তর xi class 11 Bengali Question answer আচার্য চরিত্রটি গুরু নাটক অবলম্বনে বিশ্লেষণ করাে acharjya choritroti guru natok abolombone bishleshon koro


উত্তর : অচলায়তনের আচার্য হলেন অদীনপুণ্য । তিনি জ্ঞানতাপস । গুরু তাঁকে প্রাচীন ভারতীয় আদর্শে প্রতিষ্ঠিত শিক্ষায়তনের আচার্য পদে বসিয়েছিলেন । গুরু তারপর আর ফিরে আসেননি । জ্ঞানসাধনার প্রতিষ্ঠানটিকে আচার্য গুরুর নির্দেশিত আদর্শ অনুযায়ী গড়ে তােলেন । প্রতিষ্ঠানটি কালক্রমে আচার ও পুথিসর্বস্ব প্রাণহীন নীরস জ্ঞানচর্চার আখড়ায় পরিণত হয় । প্রাণহীন জ্ঞানচর্চায় আয়তনিক হয়ে পড়ে প্রাণচাঞ্চল্যহীন স্থবির । এই জড়ত্ব ও স্থবিরতা বৃদ্ধ আচার্যকে মানসিক অশান্তিতে ব্যথাতুর করে । তিনি বুঝতে পারেন নিষ্প্রাণ জ্ঞানচর্চার অসাফল্যের কথা । নিরুপায় বৃদ্ধ অন্তদাহে প্রতিটি মুহূর্তে জর্জরিত হতে থাকেন । 


[        ]  পঞকের সুদূরপিয়াসি মুক্ত প্রাণশক্তি আচার্যকে উদ্বুদ্ধ করে । পরম সত্যকে তিনি পঞকের মধ্যে খুঁজে পান । অচলায়তনের পাষাণকারায় দম বন্ধ করা বন্ধন থেকে মুক্তির দুরন্ত ক্ষমতাকে দেখতে পান । তিনি সােচ্চারে বলতে পারেন , ‘দরকার নেই— সুভদ্রকে কোনাে প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে না ।’ ‘যদি কোনাে অপরাধ ঘটে সে আমার ।’


[          ] বৃদ্ধ আচার্য আয়তনিকদের কাছে অকপটে স্বীকার করেছেন , শিক্ষার মধ্যে তাদের চাওয়া অমৃতবাণী দিতে না পারার অক্ষমতা ও অপরাধের কথা । সেজন্য তিনি প্রায়শ্চিত্ত করতে চান । ‘অপরাধের অন্ত নেই , অন্ত নেই , তার প্রায়শ্চিত্ত আমাকেই করতে হবে ।’ তাই গুরুর কাছে মুক্তিপিয়াসি বৃদ্ধ আচার্যের বিনীত প্রার্থনা— ‘এবার নিয়ে এসাে সেই বাণী, গুরু , নিয়ে এসাে হৃদয়ের বাণী । প্রাণকে প্রাণ দিয়ে জাগিয়ে দিয়ে যাও ।’ দর্ভকপলিতে নির্বাসিত জীবনে তিনি ফিরে পান হারিয়ে যাওয়া প্রাণের সজীবতা , জীবনের পূর্ণ আস্বাদ ।





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন