বৃহস্পতিবার, ১৭ মার্চ, ২০২২

শ্রীরামকৃষ্ণ সম্বন্ধে সুরেন্দ্রনাথের ধ্যানধারণার কী পরিচয় পাওয়া যায়

একাদশ শ্রেণী সংস্কৃত প্রশ্নোত্তর সাজেশন class 11Sanskrit question answer class xi class eleventh শ্রীরামকৃয় সম্বন্ধে সুরেন্দ্রনাথের ধ্যানধারণার কী পরিচয় পাওয়া যায় sriramkrishna sombondhe surendranath dhandharonar ki porichoy paoya jai

উত্তর : শ্রী যতীন্দ্রবিমল চৌধুরী বিরচিত ‘ভারতবিবেক ’ নাট্যাংশে সুরেন্দ্রনাথ ছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণের একজন একনিষ্ঠ গৃহীভক্ত । তিনি তদতপ্রাণ । পরমশ্রদ্ধাসহকারে তিনি শ্রীরামকৃষ্ণকে আমন্ত্রণ করে এনেছেন আপন গৃহে সিমুলিয়ায় । শ্রীরামকৃয় ভক্তপরিবেষ্টিত । মুখে তার অমৃতমধুর মাতৃনাম । সময় ১৮৮১ খ্রিস্টাব্দের এক মধুর সন্ধ্যা । সুরেন্দ্রনাথ গুরুপ্রেমে গদগদ হয়ে গুরুদেবের অনির্বচনীয় মহিমার কথা ভাবছেন । সংসারের বাঁধন সুরেন্দ্রনাথকে যতখানি বন্ধন করেছে , তার সহস্রগুণ বন্ধন করেছে গুরুদেবের ভালােবাসা । তিনি গুরুদেবের স্নেহধন্য । তাঁর চোখে শ্রীরামকৃষ্ণু দেবতা । সেইজন্যই তাে তিনি যেখানে অবস্থান করেন , সেই স্থানকে সুরেন্দ্রনাথ দেবমন্দির বলে মনে করেন । তিনি প্রত্যক্ষ করেছেন এক জ্যোতির্ধারা, যা শ্রীরামকৃষ্ণের দেহ থেকে নিরন্তর বিচ্ছুরিত হচ্ছে। তিনি রামকৃষ্ণদেবকে সাধারণ মানুষরূপে দেখেননি , দেখেছেন দেবতারূপে । মধুরভাষী শ্রীরামকৃষ্ণের মুখ থেকে যেন সতত প্রবহমান সুরধুনির মতাে সুধাধারা প্রবাহিত হচ্ছে । তার হাসি থেকে অরুণ কিরণরাশি ঝরে পড়ছে — এরূপ এক অপরূপ অনুভূতি সুরেন্দ্রনাথকে আপ্লুত করে রেখেছে । ভক্তির মাহাত্ম্যই এরূপ । সুরেন্দ্রনাথ যখন এইভাবে ভক্তিসাগরে নিমজ্জিত , ঠিক সেই সময়ে ঠাকুর সুরেন্দ্রনাথের কাছে জানতে চাইলেন নিকটস্থ তেমন কোনাে তরুণ গায়ক আছে কি না, যে -মাতৃকাস্তুতির দ্বারা শ্রীরামকৃষ্ণের কর্ণকুহরকে পরিতৃপ্ত করতে পারে । সুরেন্দ্রনাথ সবিনয়ে নরেন্দ্রের কথা উত্থাপন করামাত্র শ্রীরামকৃষ্ণের ভাবান্তর । তিনি নরেন্দ্রকে দেখার জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠলেন । তাঁর এই ব্যাকুলতা দেখে সুরেন্দ্রনাথ বিস্মিত । নরেন্দ্র শ্রীরামকৃষ্ণদেবের সম্পূর্ণ অপরিচিত ; তথাপি শ্রীরামকৃষ্ণের এত ব্যাকুলতা কেন ? সুরেন্দ্রনাথের বিশ্বাস শ্রীশ্রীঠাকুর এই নামের মধ্যেও এক অনাস্বাদিতপূর্ব গভীর

রসের সন্ধান পেয়েছেন । রামকৃষ্ণদেব অতিমানব । শ্রীরামকৃষ্ণ সম্বন্ধে সুরেন্দ্রনাথের সুউচ্চ ধারণা , প্রগাঢ় ভক্তি , অকুণ্ঠ শ্রদ্ধা এবং অতিমানবীয় ধারণার পরিচয় পাই তাঁর এই বাক্যের মধ্যে— “ গহনা খলু মহতাং চিত্তবৃত্তিঃ ।”




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন