সতীনাথ ভাদুড়ীর লেখা গল্পের ‘ডাকাতের মা ’নামকরণের সার্থকতা আলােচনা করাে ।
উত্তর : গল্পের নামকরণ নানাভাবে হয় । গল্পের বিষয়বস্তুকে লক্ষ করে , গল্পের অন্তর্নিহিত অর্থ বা ভাববস্তুর দিকে তাকিয়ে , গল্পের কেন্দ্রীয় ঘটনার ওপর আলােকপাত করে , গল্পের প্রধান চরিত্রের নাম অনুযায়ী ইত্যাদি । কথাসাহিত্যিক সতীনাথ ভাদুড়ীর আলােচ্য ‘ডাকাতের মা’ গল্পের নামকরণ গল্পের প্রধান চরিত্র অনুযায়ী হয়েছে । এখন বিচার্য বিষয় হল নামকরণ যথাযথ ও সার্থক হয়েছে কিনা ।
সংক্ষিপ্ত কাহিনি : ডাকাতের বউ ও ডাকাতের মা বলে সৌখীর বুড়ি মা নিজেকে কখনও ছােটো ভাবেনি । বরং তার গর্ব স্বামী ও পুত্রের ডাকাত পরিচয় নিয়ে । জেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার বছরখানেক আগে এক রাত্রিতে ছেলে বাড়ি ফিরবে বুড়ি ভাবতেই পারেনি । চরম অভাব - অনটনের মাঝে বুড়ির দিন কাটছে । বাড়ি ফিরে আসা ছেলেকে রাতে খই খেতে দেয় । সকালে কী খেতে দেবে তার উপায় ভাবতে গিয়ে মাতাদিন পেশকারের বাড়ি থেকে লােটা চুরি করে । চুরির ঘটনাকে ঘিরে দারােগার কাছে বুড়ি যখন ভয়ে ও লজ্জায় সেঁটিয়ে চুপ করে থাকে , সৌখী তখন ঘুম থেকে জেগে উঠে সব বুঝতে পেরে অপরাধ নিজের ঘাড়ে তুলে নেয় । দারােগা সৌখীকে ধরে নিয়ে যায় । বুড়ি মেঝেয় পড়ে ডুকরে ডুকরে কাঁদতে থাকে ।
নামকরণের সার্থকতা : কাজেই ডাকাতের মা বুড়ি হল গল্পের কেন্দ্রবিন্দু । প্রধান চরিত্র । তার ওপরে আলােকপাত করাই গল্পকারের লক্ষ্য । কাজেই নাম ‘ডাকাতের মা’ হওয়া যুক্তিযুক্ত, যথাযথ ও সংগত ।
কোন মন্তব্য নেই