‘ব্যাপারটা কী এবার আপনারা হয়তাে জানতে চাইবেন ।’ — মণির বলা ব্যাপারটি তােমার ভাষায় লেখো ।
উত্তর : মণিদার কথায় ব্যাপারটার বর্ণনা : যামিনীর জ্ঞাতি সম্পর্কের মণিদার কথাতে ব্যাপারটা পরিষ্কার হয়ে যায় । যামিনীর মা দৃষ্টিশক্তিহীন বৃদ্ধা । পক্ষাঘাতে হাত - পা অচল । বুড়ি এই আশায় প্রাণশক্তিটুকু ধরে রেখেছে যে, তাঁর দূর সম্পর্কের এক ভাইপাে , নাম নিরঞ্জন , তার সঙ্গে যামিনীর বিয়ের কথা হয়েছিল যামিনীর ছেলেবেলায় ।
তারপর বছর চারেক আগে নিরঞ্জন এসে কথা দিয়েছিল বিদেশ থেকে ফিরে এসে যামিনীকে সে বিয়ে করবে । নিরঞ্জনের প্রতিশ্রুতির নড়চড় হবে না ভেবে বুড়ি আশায় আশায় দিন গুনে চলেছে । মণি বলেছে , ‘আরে , সে বিদেশে গিয়েছিল কবে যে ফিরবে ! নেহাত বুড়ি নাছােড়বান্দা বলে তাকে এই ধাপ্পা দিয়ে গিয়েছিল । এমন খুঁটে-কুড়ুনির মেয়েকে উদ্ধার করতে তার দায় পড়েছে । সে কবে বিয়ে- থা করে দিব্যি সংসার করছে ।’ বুড়িকে এ সত্য কথাটা বলা যায় না । কথাটা বলবেই বা কে ? ‘বললে বিশ্বাসই করবেন না, আর বিশ্বাস যদি করেন তা হলে’ বুড়িঅক্কা পাবে । বুড়ির ধারণা , মণিদের সঙ্গে নিরঞ্জন এসেছে তার মেয়েকে উদ্ধার করতে । সেজন্য মণিদার ডাক । মণির কাছ থেকে এ কথাও জানা যায় যে , যামিনী নিরঞ্জনের সব কথা জানে । মাকে তা জানিয়ে মায়ের মৃত্যুর কারণ হতে চায় না ।
কোন মন্তব্য নেই