Breaking News

সতীনাথ ভাদুড়ীর লেখা ‘ডাকাতের মা’ গল্পের ঘটনাগুলি সংক্ষেপে বর্ণনা করো ।

একাদশ শ্রেণী বাংলা প্রশ্নোত্তর xi class 11 eleventh bengali questions answers সতীনাথ ভাদুড়ীর লেখা ডাকাতের মা গল্পের ঘটনাগুলি সংক্ষেপে বর্ণনা করো sotinath bhadurir lekha dakater ma golper ghotonaguli songkhepe bornona koro


উত্তর : ছেলে ও স্বামীর ডাকাত পরিচয় নিয়ে গর্ব , চৱম অভাব - অনটন , সৌখীর ঘরে ফেরা : ডাকাতের বউ ও ডাকাতের মা বলে সৌখীর বুড়ি মা কখনও নিজেকে ছােটো ভাবেনি । বরং তার গর্ব স্বামী ও পুত্রের ডাকাত পরিচয় নিয়ে । তাদের সাহস ,মেজাজ, শক্তি ও পৌরুষত্ব  ছেলের নিয়ে । ছেলের বউ ও নাতির প্রতি যেমন তার স্নেহ ও মমত্ব, তেমনি নিজের ছেলের প্রতিও । জেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার বছরখানেক আগে এক রাত্রিতে ছেলে ঘরে ফিরবে বুড়ি ভাবতেই পারেনি । চরম অভাব - অনটনের মাঝে বুড়ির দিন কাটছিল । সৌখীর ডাকাত দলের লােক প্রথম দু-বছর কিছু কিছু টাকাপয়সা দিচ্ছিল, পরে হাত গুটিয়ে নেয় । ফলে ভয়ংকর অভাবের মধ্যে পড়ে সৌখীর মা বউ আর নাতিকে বউয়ের বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দিতে বাধ্য হয় । নিজে বাড়ি বাড়ি খই আর মুড়ি বেচে কোনােরকমে দিন কাটাতে থাকে ।
মাতাদিনের লােটা চুরি ও পরের ঘটনা : এই অবস্থায় সৌখী বাড়ি ফিরে আসায় রাতে তাকে শুধু খই খেতে দেয় । সকালে তাকে কী খেতে দেবে তা ভাবতে গিয়ে মাতাদিন পেশকারের বাড়ি থেকে লােটা চুরি করে । সেই লােটা বাসনের দোকানে বেচে চাল , আলু , সরষের তেল কিনে আনে । ছেলের জন্য উনানে আলুর তরকারি বসিয়েছে , এমন সময় থানার দারােগা ও বাসনের দোকানদারকে নিয়ে মাতাদিন পেশকার বাড়িতে হাজির । স্বামীর আমল থেকে কতবারই তাে সৌখীর মা দারােগা - পুলিশের মােকাবিলা করেছে সাহসের সঙ্গে । এবার কিন্তু চুরির মতাে তুচ্ছ ব্যাপারের লজ্জায় ও ভয়ে যেন সেঁটিয়ে চুপ মেরে থাকে । 

অনুতাপে ও অনুশােচনায় ডুকরে ডুকরে কান্না : সৌখী তখনও ঘুমােচ্ছিল । দারােগার হুংকারে জেগে উঠে সব বুঝতে পেরে মায়ের চুরির অপরাধ নিজের ঘাড়ে তুলে নেয় । বুড়ি তখন চুরির অপরাধ স্বীকার করলেও দারােগা তাতে কান না দিয়ে সৌখীকে ধরে নিয়ে যান । বুড়ি মেঝেয় পড়ে ডুকরে ডুকরে কাঁদতে থাকে । ওদিকে উনানে বসানাে আলুর তরকারি পুড়ে পাড়াময় গন্ধ ছড়ায় ।  

 

কোন মন্তব্য নেই