সোমবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২২

নারায়ণের কূর্মরূপ ধারণের পৌরাণিক কাহিনি বিবৃত করাে

একাদশ শ্রেণী সংস্কৃত প্রশ্নোত্তর সাজেশন class 11 Sanskrit question answer class xi class eleventh নারায়ণের কূর্মরূপ ধারণের পৌরাণিক কাহিনি বিবৃত করাে narayaner kormorup dharoner pouranik kahini bibroto koro

উত্তর : দেবগণ সুমেরু পর্বতের শিখরদেশে অবস্থানপূর্বক অমৃতপ্রাপ্তি বিষয়ক মন্ত্রণা করছিলেন । এরূপ মন্ত্রণাকালে নারায়ণ ব্ৰত্মাকে বললেন যে , দেবগণ এবং অসুরগণ একত্র হয়ে সমুদ্র মন্থন করলে সমুদ্র থেকে অমৃত উত্থিত হবে । অতঃপর দেবতাদিগকে বললেন “ হে দেবগণ , সমুদ্র মন্থন করাে । কিন্তু বহুবিধ ঔষধি ও রত্নসমূহ পেয়েও মন্থন থেকে ক্ষান্ত হয়াে না । পরিশেষে অমৃতলাভ হবে ।”
[       ]   নারায়ণের বাক্যে দেবগণ ও অসুরগণ সম্মিলিতভাবে সমুদ্র মন্থনে প্রবৃত্ত হন । মন্দর পর্বতকে মন্থন দণ্ড এবং বাসুকিকে মন্থন রঞ্জু করে সমুদ্রমন্থনে যত্নবান হলেন । কিন্তু মন্দর পর্বতের ঘর্ষণে পৃথিবী ব্যথিত হতে লাগলেন । তিনি নারায়ণের শরণাপন্ন হলেন । নারায়ণ পৃথিবীকে রক্ষা করার মানসে স্বয়ং কূর্মরূপ ধারণ করে সমুদ্রে অবতরণ করে মন্দর পর্বতের ভার আপন বিশাল পৃষ্ঠে ধারণ করেন । মন্থনের ফলে একে একে সমুদ্র থেকে চন্দ্র,লক্ষ্মী,উচ্চৈঃশ্রবা নামক অশ্ব , মহােজ্জ্বল কৌস্তভমণি ইত্যাদি বস্তুনিচয় উত্থিত হতে লাগল । পরিশেষে মূর্তিমান ধন্বন্তরি অমৃতপূর্ণ শ্বেতবর্ণ কমণ্ডলু হস্তে নিয়ে সমুদ্র থেকে আবির্ভূত হলেন । দেবতারা অমৃতের সন্ধান পেলেন । 


[        ]  এদিকে মন্দর পর্বতের ঘর্ষণের ফলে কূর্মরূপধারী নারায়ণের পৃষ্ঠে চাকার মতাে বড়াে বড়াে ক্ষতের সৃষ্টিহল । পরে ক্ষত শুকিয়ে গেলেও সেই গােলাকার ক্ষতচিহ্নগুলি চিরতরে কূর্মপৃষ্ঠে অঙ্কিত হল । সেইজন্য আজ সকল কূর্মের পৃষ্ঠে ওইরূপ চক্রাকার দাগ পরিলক্ষিত হয় ।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন