মঙ্গলবার, ২২ মার্চ, ২০২২

তােমাদের পাঠ্যাংশে মেঘের উৎপত্তি ও বংশপরিচয় সম্বন্ধে কবির বক্তব্য আলােচনা করাে

একাদশ শ্রেণী সংস্কৃত প্রশ্নোত্তর সাজেশন class 11 Sanskrit question answer class xi class eleventh তােমাদের পাঠ্যাংশে মেঘের উৎপত্তি ও বংশপরিচয় সম্বন্ধে কবির বক্তব্য আলােচনা করাে megher utpotti o bongshoporichoy sombondhe kobir boktobbo alochona koro



উত্তর : ‘ মেঘদূতম্ ’ গীতিকাব্যে কবি আমাদের পাঠ্যাংশে পূর্বমেঘের সূচনায় মেঘের উৎপত্তি এবং তার বংশ - পরিচিতির এক সুন্দর আলেখ্য তুলে ধরেছেন । মেঘ ধূম, জ্যোতিঃ , বায়ু এবং সলিল এই চারটি জড়পদার্থের সমন্বয়ে গঠিত । বাতাস তাকে বহন করে । সুতরাং , বিরহী যক্ষের ‘স্বকুশলময়ী’ বার্তা বহন করার ক্ষমতা নেই । তথাপি কবি যক্ষের মুখ দিয়ে মেঘকেই ওই বার্তা বয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুরােধ জানিয়েছেন । সুস্থ -সমর্থ মানুষের কাজ জড়পদার্থকে দিয়ে করাতে যাওয়া বাতুলতা । তথাপি কবির এ প্রয়াস কেন ? প্রেমপরবশ যক্ষ চেতন - অচেতন ভেদবুদ্ধিরহিত । কামার্তরা এমনই হয়ে থাকে । যক্ষের এখন উন্মাদ দশা চলছে । পাগল আর প্রেমিক –একই গােত্রেরই হয়ে থাকে । সেইজন্য যক্ষ অচেতনে চেতনত্ব আরােপ করেছে । অতএব , মেঘ এখন অচেতন নয় , সচেতন । শুধু সচেতনই নয়, মেঘ অধিগুণসম্পন্ন , সংবেদনশীল । 



[         ]  কবি মেঘকে ত্রিভুবনবিখ্যাত পুষ্করাবর্তক নামক বংশজাত বলে উল্লেখ করেছেন । কিন্তু মেঘ চার প্রকার । আবর্ত , সংবর্ত , পুষ্কর এবং দ্ৰোণ । মেঘ চার প্রকার হলে একই মেঘের পুষ্কর ও আবর্তক - দুই বংশ হয় কীভাবে ? ব্ৰণ্ডপুরাণে পুষ্কর মেঘেরই না মান্তর পুষ্করাবর্তক । তা ছাড়া পুষ্করাশ্চতে আবর্তকাশ্চ — এইভাবে কর্মধারয় সমাস করলে পুষ্করাবর্তক একই মেঘকে বােঝাবে । ইন্দ্র ভূতগণের মঙ্গল কামনায় যথেচ্ছগামী মহাতেজসম্পন্ন পর্বতসমূহের পক্ষ ছেদন করতে থাকলে তা থেকে বিপুলকায় জলময় পুষ্কর মেঘসমূহ উৎপন্ন হয় । এই কারণে পক্ষজ এই মেঘকে পুষ্করাবর্তক বলে । এই মেঘ সকল নানা রূপধর , অতি ঘােরতর , কল্পান্তকালে বৃষ্টিপ্রদ । 

[         ] মেঘ বংশে অভিজাত , শক্তিতে অতুলনীয় । সে কামরূপ , ইচ্ছাধীন বিগ্রহ । সে কখনও ক্ষুদ্রাকার —কখনও অতিমহান । কখনও ঘাের মসীবর্ণ —কখনও শুভ্রবর্ণ । কখনও বায়বীয় কখনও গলিত ধারা । মেঘ ইন্দ্রের প্রধান সহায় । মেঘ থেকে হয় বর্ষণ - বর্ষণ থেকে অন্ন । আবার অন্ন থেকে প্রাণধারণ । সুতরাং , দেবরাজের প্রজার জীবনরক্ষায় মেঘ অপরিহার্য । তাই কবি মেঘকে “ প্রকৃতিপুরুষং কামরূপং মঘােনঃ ” বলে উল্লেখ করেছেন ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন