কুন্তী ও দ্রৌপদী সম্পর্কে জনা কী অভিযােগ করেছেন ?
উত্তর : পুত্রঘাতক অর্জুনকে নরনারায়ণ জ্ঞানে স্বামী নীলধ্বজ পূজা করছেন শুনে জনার ব্যাঙ্গাত্মক প্রশ্ন ‘এ কি ভ্রান্তি তব ?’ তিনি তখন অর্জুন ও বেদব্যাসের জন্মবৃত্তান্ত উল্লেখ করে কুন্তী ও দ্রৌপদীর সতীত্বের ওপর কটাক্ষ হেনেছেন । জনা মনে করেন দেবত্বলাভের উপযােগী চরিত্র মাহাত্মের অধিকারী নন অর্জুন । জন্মসূত্রে তিনি জারজ সন্তান বলে মনে করেন জনা । তাঁর মাতা কুন্তী সতীসাধ্বী নন ।
অর্জুন নররূপী নারায়ণ হলে , দ্রৌপদী নারায়ণের পত্নী লক্ষ্মী হন কীভাবে ? এ সম্পর্কে জনার বক্রোক্তি হল ‘কোথা পদ্মালয়া ইন্দিরা ? দ্রৌপদী বুঝি ? আঃ মরি/ কি সতী ।’ দ্রৌপদীকে সতীসাধ্বী বলে মেনে নিতে জনা পারছেন না । যেমন কুলটা শাশুড়ি , তেমনি তাঁর কুলটা পুত্রবধূ । ‘শাশুড়ীর যােগ্য বধূ ।’ পুরুবংশরূপ সরােবরে তিনি নলিনী বা পদ্ম । জনা মনে করেন পদ্ম বহুভােগ্যা । পদ্ম ভ্রমরের সখী , সূর্যের বশীভূত , বাতাসের প্রিয়া । অর্থাৎ পদ্ম ভ্রমর, সূর্য ও বায়ুর ভােগ্যা । এর দ্বারা বােঝাতে চেয়েছেন দ্রৌপদী পঞ্চ স্বামীর ভােগ্যা । বস্তুত জনা পদ্মের সঙ্গে দ্রৌপদীর , ভ্রমর- সূর্য-বাতাসের সঙ্গে দ্রৌপদীর পঞ্চস্বামীর তুলনা করেছেন ।
কোন মন্তব্য নেই