‘ কিন্তু বৃথা এ গঞ্জনা ’ - বক্তা কে ? তিনি কাকে গঞ্জনা দিতে চেয়েছেন ? কেন তার মনে হয়েছে এই গঞ্জনা বৃথা ?
উত্তর : উক্ত উদ্ধৃতির বক্তা হলেন মাহেশ্বরী পুরীর রাজা নীলধ্বজের মহিষী বীরাঙ্গনা জনা ।
তিনি গঞ্জনা করতে চেয়েছেন মাহেশ্বরীরাজ নীলধ্বজকে ।
মাইকেল মধুসূদন দত্তের রচিত ‘নীলধ্বজের প্রতি জনা’ পত্ৰকবিতায় মাহেশ্বরী পুরীর রাজা নীলধ্বজের প্রতি রাজমহিষী জনা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন । কারণ মহারাজ নীলধ্বজ পুত্রহত্যাকারী অর্জুনের সঙ্গে মিত্রতা স্থাপন করেছেন । তিনি জলাঞ্জলি দিয়েছেন ক্ষাত্ৰতেজ ও বীরদর্প । জনার আশা ছিল রাজা ক্ষত্রধর্ম রক্ষার জন্য ক্ষাত্রকর্ম সম্পন্ন করবেন । দুঃখের বিষয় করেননি, জনার আশা ব্যর্থ হয়েছে । নীলধ্বজ শুধু মিত্ৰতাই স্থাপন করেননি , তিনি পুত্রহন্তা অর্জুনের মনােরঞ্জনের জন্য নাচ -গানের আয়ােজনও করেছেন । সেজন্য জনার মর্মবেদনার অন্ত নেই । তাঁর ক্ষোভ ও অসন্তোষ আকাশছোঁয়া । রাজার ওই মৈত্রী আচরণ জনা মেনে নিতে পারছেন না । তিনি মনে করেছেন নীলধ্বজের এহেন আচরণ যেন ‘ চণ্ডালের পদধূলি ব্রাত্মণের ভালে ’ । ওই নিরাশা আর ব্যর্থতাই তাঁকে মনে করিয়ে দিয়েছে রাজার ক্ষত্রধর্ম ও ক্ষত্রকর্মের উজ্জীবিত সব চেষ্টা বিফলে গেছে । সেজন্য তাঁর স্বগতােক্তি ‘বৃথা এ গঞ্জনা'।
কোন মন্তব্য নেই