‘জাহাজের পেছনে বড়াে বড়াে হাঙ্গার ভেসে ভেসে বেড়াচ্ছে ।’ – লেখক স্বামী বিবেকানন্দের অনুসরণে সুয়েজের জলে হাঙরের ভেসে বেড়ানাের দৃশ্য বর্ণনা করাে ।
উত্তর : সকালে খাবারদাবার আগেই স্বামীবিবেকানন্দ শুনলেন জাহাজের পিছনে বড়াে বড়াে হাঙর ভেসে বেড়াচ্ছে । জাহাজের পাছার ওপর সেকেন্ড ক্লাস । তার ছাদের ওপর বারান্দা ধরে স্ত্রী -পুরুষ , ছেলেমেয়ে কাতারে কাতারে ভিড় করে ঝুঁকে হাঙর দেখছে । স্বামীজিও হাঙর দেখার জন্য এলেন । তিনি আসার আগে হাঙর সরে গেছে । জলে গাঙধাড়ার মতাে মাছ ঝাঁকে ঝাঁকে ভাসছে । একরকম ছােটো মাছ জলে থিকথিক করছে ।
একটা বড়াে মাছ অনেকটা ইলিশের মতাে , তিরের মতাে দৌড়াচ্ছে এদিক - ওদিক । যেন হাঙরের বাচ্চা । নাম বনিটো । কাচের মতাে স্বচ্ছ জলে তার শরীরের প্রতি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দেখা যাচ্ছে । অপেক্ষা করে সবাই যখন তিতিবিরক্ত তখন শােনা গেল হাঙর আসছে । দূরে একটা প্রকাণ্ড কালাে বস্তু জলের পাঁচ -ছয় ইঞ্চি নীচে ভেসে আসছে । প্রকাণ্ড থ্যাবড়া মাথা । গদাইলস্করি চাল আসার আওয়াজ নেই । একবার ঘাড় ফেরালেই মস্ত চক্কর হল । গম্ভীর চালে আগুয়ান । ছােটো মাছ দু - চারটে তার আগে আসছে , পিঠে -গায়ে পেটে সেঁটে আছে কিছু । ইনিই সসাঙ্গোপাঙ্গা হাঙর । তার আগে আছে আড়কাটি মাছ বা পাইলট ফিস্ । আশপাশে ঘুরছে বা পিঠে চড়ে আছে হাঙর - চোষক ।
কোন মন্তব্য নেই