শুক্রবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২২

‘ যাঃ, টোপ খুলে গেল । হাঙ্গার পালাল ।’ টোপ খুলে হাঙর কীভাবে পালিয়েছিল তা রচনাংশ অবলম্বনে লেখাে ।

একাদশ শ্রেণী বাংলা প্রশ্নোত্তর xi class 11 eleventh bengali questions answers  যাঃ টোপ খুলে গেল হাঙ্গার পালাল টোপ খুলে হাঙর কীভাবে পালিয়েছিল তা রচনাংশ অবলম্বনে লেখাে ja top khule gelo hangor palalo top khule hangor kivabe paliyechilo ta rochonagsho abolombone lekho

উত্তর :  স্বামী বিবেকানন্দ ‘ সুয়েজখালে হাঙ্গর শিকার ’ প্রবন্ধে তাঁর ভাষায় কথিত ‘বাঘা’ হাঙরের উপস্থিতি , টোপ খাওয়া ও বড়শি ফসকে পালিয়ে যাওয়ার অপূর্ব বর্ণনা দিয়েছেন । বাঘার উপস্থিতির আগেই দ্বিতীয় শ্রেণির এক ফৌজি হাঙর শিকার করার জন্য ব্যবস্থাদি করে রেখেছেন । জাহাজে খুঁজে-পেতে এক ভীষণ বড়শি জোগাড় করেছেন । তাতে সেরখানেক মাংস টোপ হিসেবে দড়ি দিয়ে শক্ত করে বাঁধা হয়েছে । বড়শির সুতাে হয়েছে একখানা মােটা কাছি । তাতে ফাতনার জন্য লাগানাে হয়েছে একখানা মস্ত কাঠ । ফাতনাসুদ্ধ বড়শি জলে নামানাে হয়েছে । 
এই প্রস্তুতি নেওয়ার পর কিছুক্ষণ চুপচাপ থাকতে হয়েছে হাঙরের প্রতীক্ষায় । তারপর জাহাজ থেকে আওয়াজ ওঠে , ওই হাঙর , ওই হাঙর । ‘চুপ চুপ হাঙ্গর পালাবে’ বলে যখন সতর্ক করা হচ্ছে ভিড় -করা দর্শকদের , তখন বৃহৎ ভিস্তির মশকের মতাে চেহারার হাঙর বড়শিতে বাঁধা মাংসের তালটি উদরস্থ করার বাসনায় বড়শির টোপের কাছে হাজির হয় । টোপের কাছে আসার পর হাঙরের মুখ টোপে ঠেকে । বড়শিতে বাঁধা মাংসপিণ্ডটি গিলবার জন্য সে টান দেয় । ল্যাজের ঝাপটা দিয়ে চক্রাকারে ঘুরে কয়েক বারের চেষ্টায় মাংসপিণ্ডটি মুখে নিতেই ৪০/৫০ জন মিলে টান দেয় দড়িতে । প্রাণপণে টান। তার কী শক্তি ! কী মুখব্যাদন ! কী ঝটপট ! এদিকে কাছিতে টান চলেছে । তবে তাড়াহুড়াে করতে গিয়ে হাঙরের মুখে বড়শির টোপ যায় ফসকে । ‘বাঘা’ হাঙর পালায় । সে পালানাের সঙ্গে সঙ্গে ‘আড়কাটী ’ , ‘রক্তচোষা’ , সবই পালায় । 




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন