‘গালিলিও ’ প্রবন্ধ অনুসরণে গালিলিওৱা বিজ্ঞানসাধনার পরিচয় দাও ।
উত্তর : গালিলিও কুসংস্কার ও ধর্মান্ধতার যাতায় গুড়ো হয়ে গেছেন , কিন্তু তাঁর বিজ্ঞানসাধনালব্ধ পরীক্ষিত সত্য থেকে তিনি পিছিয়ে আসেননি । চারশত বছর পরেও তাঁর সত্যের জয় ঘােষিত হয়েছে । তিনি দূরবিন তৈরি করতে করতে যন্ত্রটির নানা উন্নতি ঘটিয়েছিলেন । ফলে তৈরি নতুন দূরবিনগুলি আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী হয়েছিল । তাতে গালিলিও পেয়েছিলেন হাতের মধ্যে বিশ্বসমীক্ষার এক প্রধান অস্ত্র ।
দূরবিন আকাশের দিকে ঘুরিয়ে দেখেছিলেন অনেক নতুন দৃশ্য । সেগুলি ছিল মানুষের কল্পনাতীত । তার আগে মানুষ ওসব দেখেনি , বিশ্বাসও করতে পারেনি । গালিলিও দেখেছিলেন চাঁদের পাহাড় । লক্ষ লক্ষ তারার সমাবেশ দেখেছিলেন ছায়াপথের মধ্যে । দেখেছিলেন নতুন নতুন উপগ্রহ । পৃথিবীর একটি চাঁদ, তা পৃথিবী প্রদক্ষিণ করছে । গালিলিও দেখলেন বৃহস্পতির চারটি উপগ্রহ । সূর্যবিম্বে কলঙ্কবিন্দু, শুক্রগ্রহের চাঁদের মতাে ঔজ্জ্বল্যের হ্রাসবৃদ্ধি ,শনিবলয় । তাঁর সাধনালন্ধ কত আবিষ্কার । কত সত্য উদঘাটন । গ্রহমণ্ডলের কত বৈশিষ্ট্য ও কত সত্যতা আবিস্কার করলেন । তার কাছে কোপারনিকাসের মতবাদ অভ্রান্ত বলে মনে হল । শুধু সাধনা ও আবিষ্কারই নয়, যুক্তিবাদী গালিলিও তা প্রকাশ ও প্রচারের উদ্দেশ্যে বইও লিখলেন । বলেছিলেন , ‘নিজে পরীক্ষা, বিচার ও যাচাই করে নিতে হবে সব সত্যকে ।
কোন মন্তব্য নেই