চোর এবং ব্রহ্মরাক্ষসের কথােপকথনটি নিজের ভাষায় লেখাে
উত্তর : ‘ ব্রাত্মণচৌরপিশাচকথা ’ গল্পে চোরটি হতদরিদ্র ব্রাত্মণের হৃষ্টপুষ্ট গােরু দুটি দেখে সেগুলি অপহরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে রাত্রে গােরুগুলির জন্য বন্ধনরজ্জু নিয়ে ব্রাক্ষ্মণের বাড়ির উদ্দেশে যাত্রা করল । অর্ধপথে দেখা হল ব্রহ্মরাক্ষসের সঙ্গে ।
চোরটি ভীতসন্ত্রস্ত হয়েও সাহস অবলম্বন করে রাক্ষসটির পরিচয় জানতে চাইলে রাক্ষসটি জানাল যে , সে সত্যবচন নামে এক ব্রহ্মরাক্ষস । রাক্ষসটি চোরের পরিচয় জানতে চাইলে চোরটি জানাল যে , সে চোর , এক ক্রুরকর্মা । দরিদ্র ব্রাহ্মণের গােরু দুটি চুরি করার উদ্দেশ্যে সে যাত্রা করেছে । চোরটি অপকর্মে প্রবৃত্ত জেনে রাক্ষসটি জানাল যে ভালােই হল । তাদের দুজনের কর্ম একই । কারণ সেও দু-রাত্রি অন্তর তৃতীয় রাত্রিতে একবার ভক্ষণ করে । আজ তার খাওয়ার পালা । সেও দরিদ্র ব্রাহ্মণটিকে ভক্ষণ করার জন্যই যাত্রা করেছে ।
[ ] তারপর তারা সুযােগের প্রতীক্ষা করতে লাগল । ব্রাক্ষ্মণ নিদ্রা গেলে ব্রহ্মরাক্ষসটি যখন তাঁকে খেতে উদ্যত হল তখন চোরটি জানাল যে, এটি ঠিক হচ্ছে না । সে আগে গােরু দুটি চুরি করে নিয়ে যাক , তারপর রাক্ষসটি ব্রাক্ষ্মণকে ভক্ষণ করুক । ব্রহ্মরাক্ষস বলল , তা ঠিক নয় । কারণ , গােরুর শব্দে যদি ব্রাহ্মণ জেগে ওঠেন তাহলে রাক্ষসের সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যাবে । চোরটিও বলল যে, রাক্ষসটির ব্রাহ্মণকে খেতে যাওয়ার ব্যাপারে যদি কোনাে অন্তরায় ঘটে তাহলে সেও আর গােরু দুটি চুরি করতে পারবে না । অতএব , সে (চোর ) আগে গােরু দুটি চুরি করে নিয়ে যাক ; তারপর রাক্ষসটি ব্রাহ্মণকে ভক্ষণ করুক ।
[ ] রাক্ষস ও চোর — দুজনেই ‘আমি আগে কাজ সারি ’ বলে বিবাদে লিপ্ত হলে তাদের চিৎকারে ব্রাক্ষ্মণের ঘুম ভেঙে গেল । তাদের কারােরও কাজই সিদ্ধ হল না।
কোন মন্তব্য নেই