Breaking News

‘ এতক্ষণে বােঝে সৌখী ব্যাপারটা ।’ — ব্যাপারটা কী ছিল ? ব্যাপারটা বােঝার পর সৌখীর মানসিক অবস্থা আলােচনা করাে ।

একাদশ শ্রেণী বাংলা প্রশ্নোত্তর xi class 11 eleventh bengali questions answers এতক্ষণে বােঝে সৌখী ব্যাপারটা ব্যাপারটা কী ছিল ব্যাপারটা বােঝার পর সৌখীর মানসিক অবস্থা আলােচনা করাে atokhone bojhe soukhi bapparta bapparta ki chilo bapparta bojhar por soukhir manoshik obostha alochona koro

উত্তর : ব্যাপারটা ছিল মাতাদিন পেশকারের বাড়িথেকে সৌখীর মায়ের লােটা চুরি করা । 

ঘুম ভেঙে গিয়ে সৌখী বুঝতে পারে ব্যাপারটা ।মাত্র চোদ্দো আনা পয়সার জন্য তার মা একটা ঘটি চুরি করেছে । সৌখীর দুঃখ হল এই যে তার মা তাকে কেন পয়সার কথা বলল না । জেলে ঠিকেদারের কাজ করে নব্বই টাকা রােজগার করে এনেছে ।

  তার কোমরের বাটুয়ায়তা এখনও আছে । তার মা কেন তার কাছে চেয়ে নিলে না । মায়ের বেআক্কেলে কাজের জন্য তার ওপর কিছু ক্ষোভ হলেও ঘরের দৈন্যদশার কথা ভেবে নিজের বােঝা উচিত ছিল বলে সৌখীর মনস্তাপ হল । তার নিজেরই উচিত ছিল উপযাচক হয়ে মায়ের হাতে টাকাটা দেওয়া । তবে এ কথা ঠিকই , টাকা দেওয়ার সময়ই বা পেল কই ? রাতে এসে সেই যে শুয়েছে, এখনও অবধি বিছানা ছেড়ে ওঠেনি । তার বুকের ভিতরটা হাহাকার করে উঠল —মা শেষ পর্যন্ত সামান্য লােটা চুরি করলে ! যে ছিঁচকে কদুচোরদের এতদিন সে ঘেন্না করে এসেছে , জেলে পারতপক্ষে তাদের সঙ্গে কথা বলেনি , যত আলাপ -সালাপ লাইফারদের সঙ্গে, এমনই দুর্ভাগ্য, তার মা সেই ছিঁচকে কদুচোরদের মতাে জঘন্য কাজ করলে ! ছেলের এ স্বভাবের কথা মা জানে , তবু সে কাজই করলে । তার মা কি জানে কদুচোরদের মাত্র দু-তিন মাসের জেল হয় । সৌখী মায়ের এ হেন আচরণে মর্মাহত ।

জানে জেল থেকে সবে ফিরে - আসা ছেলেকে সংসারের অর্থকষ্টের। কথা জানালে কষ্ট পাবে । খই -মুড়িদিয়ে ছেলের রাতের খাবারের । চিন্তায় ব্যবস্থা করলেও ঘুম থেকে ওঠার পর কী খেতে দেবে সে- বাসে বুড়ি উদ্ভ্রান্ত।ছেলে আলুর চচ্চড়ি খেতে কী ভালােই না মায়ের জানা । ছেলের সেই ভালাে লাগাকে সার্থক করতে সৌখীর মা রাতের অন্ধকারে মাতাদিন পেশকারের বাড়ি থেকে ঘটি চুরি করে । ঘটি বিক্রির পয়সায় আলু , চাল , সরষের তেল কিনে এনে উনানে আলুর চচ্চড়িবসায় । হেনকালে মাতাদিন পেশকার পুলিশসহ সৌখীর বাড়ি এসে তার মুখােমুখি দাঁড়ায়।পুলিশের কাছে 1 সৌখীর মা লজ্জায় মাথা নীচু করে নির্বাক থাকে । ইত্যবসরে সৌখী ঘুম থেকে জেগে সব ব্যাপার বুঝতে পেরে চুরির দায় ও দোষ নিজের ওপর তুলে নেয় । অনুতপ্ত মা মেঝেয় পড়ে ডুকরে ডুকরে কাঁদে । ওদিকে উনানে চড়ানাে আলুর তরকারির পােড়া গন্ধ পাড়াময় ছড়িয়ে পড়ে। 

 সৌখির মায়ের মাতৃসত্তার পরিচয় : এই ঘটনার মাধ্যমে পাঠকের কাছে সৌখীর মায়ের মাতৃসত্তার ছবিটি স্পষ্ট হয়ে ধরা ( পড়েছে । সৌখীর মা সন্তানবৎসল , স্নেহপ্রবণ । ছেলে বড়াে হয়ে তার চুলে পাক ধরলেও ছেলের শরীর নিয়ে মায়ের উদবেগ আছে । যথারীতি । জেল থেকে ফেরা ছেলেকে দেখে তার মনে হয় রােগ রােগা লাগছে । ছেলে তার আলুর চচ্চড়ি খেতে কী ভালােই না বাসে । ছেলেকে আলুর চচ্চড়ি খাওয়ানাের জন্য মায়ের রাতের ঘুম ছুটে যায়। অভাবের সংসারে আলু , চাল , সরষের তেল কেনার জন্য ছিচকে চোরের মতাে ঘটি চুরি করে আলু , চাল , সরষের তেল কিনতে পিছপা হয় না । অথচ ছিচকে চোরের বৃত্তিটা সে কখনােই পছন্দ করে না। ঘটি চুরির ব্যাপারটা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে চুরির দায়িত্বও অপরাধ , । মায়ের দুঃখ ও ছেলে নিজের ঘাড়ে তুলে নিলে , স্নেহময়ী অনুতাপের অন্ত থাকে না। নিজের চরির কলক । ছেলের ওপর পড়েছে দেখে বুড়িরশােক আর বাধ মানে না। ঘরের । মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে ডুকরে ডুকরে কাঁদতে । এই যে প্রকাশ তা তুলনারহিত । থাকে । তার মাতৃসও

কোন মন্তব্য নেই