সংস্কৃত লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
সংস্কৃত লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

সোমবার, ১১ এপ্রিল, ২০২২

মালবরাজের সঙ্গে মগধরাজের যুদ্ধের একটি বাণীচিত্র অঙ্কন করাে

একাদশ শ্রেণী সংস্কৃত প্রশ্নোত্তর সাজেশন class 11 Sanskrit question answer class xi class eleventh মালবরাজের সঙ্গে মগধরাজের যুদ্ধের একটি বাণীচিত্র অঙ্কন করাে malobrajer songe mogodhrajer judher akti banichitro ankan koro


উত্তর: কবি দণ্ডী বিরচিত ‘ দশকুমারচরিতম ’ পাঠ্যাংশে বর্ণিত মালব ও মগধ দুটি পরস্পর বিবদমান দেশ হিসেবে উল্লিখিত হয়েছে । মালবরাজ মানসারের সঙ্গে মগধরাজ রাজহংসের প্রায়ই যুদ্ধ সংঘটিত হত । আলােচ্য পাঠ্যাংশ থেকে জানা যায়, অচিরকাল পূর্বে মালবরাজের সঙ্গে মগধরাজের একবার যুদ্ধ হয়েছিল এবং তাতে মালবরাজ বিজয়ী হয়েছিলেন । তারই প্রতিশােধকল্পে মগধরাজ রাজহংস মালবরাজের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা করেন । নানাবিধ ভয়ংকর অস্ত্রের শিক্ষাকৌশলে সংঘটিত অসংখ্য যুদ্ধে বিপক্ষবিজেতা মহারাজ মগধাধিপতি রাজহংস নিতান্ত ক্রোধাবিষ্ট হয়ে গত যুদ্ধে জয়লাভ করায় গর্বিত মালবাধিপতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার নিমিত্ত চতুরঙ্গ সেনার সঙ্গে রাজধানী থেকে নির্গত হলেন ।


 [        ] তাঁর যুদ্ধযাত্রাকালে দুন্দুভির শব্দে সমুদ্রকল্লোলের মহাভয়ংকর শব্দও তিরােহিত হয়ে গেল । ঐরাবত প্রভৃতি দিগগজগুলি সেই শব্দ শুনে ভীতিবিহ্বল চিত্তে কাঁপতে লাগল । সৈন্যগণের পদভারে পৃথিবীমণ্ডল এতই অবনত হয়ে পড়ল যে , অনন্তনাগের মস্তকও পৃথিবী ধারণে যেন অশক্ত হয়ে পড়েছিল । 
 

[          ] এদিকে মালবাধিপতি মানসারও বহুসংখ্যক হস্তী, অশ্বাদি বহু সৈন্য সঙ্গে নিয়ে মূর্তিমান সমরের ন্যায় ক্রোধাবিষ্ট হয়ে পরম আগ্রহের সহিত মগধরাজের অভিমুখে পুনরায় নির্গত হলেন । শুরু হল তুমুল যুদ্ধ । উভয়পক্ষীয় সৈন্য পরস্পর পরস্পরকে অস্ত্রের দ্বারা,পরস্পর পরস্পরকে হস্তের দ্বারা আঘাত করতে লাগল । সেই যুদ্ধে উভয়পক্ষের বহু সৈন্য নিহত হল । অতঃপর মগধরাজ , মালবরাজের সকল সৈন্য বিনষ্ট করে তাঁকে জীবন্ত অবস্থায় ধরেও দয়াপরবশ হয়ে তাঁকে ( মানসারকে ) তদীয় রাজ্যে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করলেন ।



 

রবিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২২

পিশাচ এবং চোর উভয়েই কীভাবে আপন আপন কর্মসাধনে ব্যর্থ হল , তা বিবৃত করাে

একাদশ শ্রেণী সংস্কৃত প্রশ্নোত্তর সাজেশন class 11 Sanskrit question answer class xi class eleventh পিশাচ এবং চোর উভয়েই কীভাবে আপন আপন কর্মসাধনে ব্যর্থ হল , তা বিবৃত করাে pisach abong chor uvoyei kivabe apon apon kormosadhoner bartho holo bibroto koro



উত্তর: ‘ ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা ’ গল্পে চোরটি হতদরিদ্র ব্রাক্ষ্মণের একমাত্র সম্বল যজমান প্রদত্ত গােরু দুটি চুরি করার বাসনা নিয়ে রাতে যাত্রা করে অর্ধপথে হঠাৎ এক ব্ৰহূরাক্ষসের সাক্ষাৎ পেল । উভয়ে উভয়ের পরিচয় দিল এবং উভয়ে উভয়ের ব্রাত্মণের গৃহে গমনের উদ্দেশ্য ব্যক্ত করল । অতপর দুজনে গিয়ে সময়ের অপেক্ষা করতে লাগল । ব্রাহ্মণ নিদ্রিত হলে ব্ৰহূরাক্ষসটি ব্রাহ্মণকে খেতে উদ্যত হলে চোরটি বাধা দিয়ে বলল যে , এটি ঠিক হচ্ছে না । সে (চোর ) আগে গােরু দুটি চুরি করে নিয়ে যাক , তারপর রাক্ষস ব্রাত্মণকে ভক্ষণ করুক । কিন্তু দুজনেই আগে আপন আপন কর্ম সম্পাদন করতে চাইল । দুজনেই নিজ নিজ দাবির সপক্ষে যুক্তি দেখাল । পরিশেষে , উভয়ের মধ্যে বিবাদ উপস্থিত হল । তাদের বাদানুবাদ এমন পর্যায়ে পৌছােল যে, তাদের চিৎকারে ব্রাক্ষ্মণের ঘুমভেঙে গেল ।

[      ] ব্রাহ্মণ কিছু বুঝে ওঠার আগেই চোরটি ব্রাক্ষ্মণকেজানাল যে , এই রাক্ষস ব্রাক্ষ্মণকে ব্রাত্মণকে ভক্ষণ করার জন্য এসেছে । রাক্ষসটিও ব্রাত্মণকে জানাল যে , ওই চোরটি ব্রাক্ষ্মণের গােরু দুটি চুরি করার জন্য এসেছে । তাদের কথা শুনে ব্রাক্ষ্মণ সতর্ক হয়ে উঠলেন এবং ইষ্টদেবতার মন্ত্রজপের দ্বারা ব্ৰত্মরাক্ষসটিকে তার কর্ম থেকে নিরস্ত করে নিজের জীবন বাঁচালেন এবং পরে লগুড় উদ্যত করে চোরটিকে তাড়িয়ে দিলেন । 


[        ] ‘ আমি আগে কাজ সারি ’ — এই দাবিটিই হল ব্ৰহ্রারাক্ষস ও চোরের বিবাদের মূল কারণ । আর এই যে-বিবাদের সূত্রপাত হল , তা এমন পর্যায়ে পৌঁছােল যে তাদের চিৎকারে ব্রাত্মাণের ঘুম ভেঙে গেল । চোর এবং রাক্ষস উভয়েই আপন আপন কর্মসাধন্যে ব্যর্থ হল । 



 

শনিবার, ৯ এপ্রিল, ২০২২

রাজহংসের রাজধানীর নাম কী ? এটি কোন্ দেশের রাজধানী ? রাজধানীটির বর্ণনা দাও

একাদশ শ্রেণী সংস্কৃত প্রশ্নোত্তর সাজেশন class 11 Sanskrit question answer class xi class eleventh রাজহংসের রাজধানীর নাম কী এটি কোন্ দেশের রাজধানী  রাজধানীটির বর্ণনা দাও rajhongser rajdhanir nam kon desher rajdhani bornona dao


উত্তর : রাজহংসের রাজধানীর নাম পুষ্পপুরী । ‘পুষ্পপুরী ’ মগধ দেশের রাজধানী । কথাশিল্পী মহামতি দণ্ডী তাঁর ‘ দশকুমাররচিতম ’ নামক বিশ্ববিশ্রুত গদ্যকাব্যে পুষ্পপুরীর যে মনােজ্ঞ এবং সমৃদ্ধ বর্ণনা দিয়েছেন তা অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক এবং হৃদয়গ্রাহী । কবি যেন বিশ্বের সমস্ত নগরীগুলি কষ্টিপাথরে পরীক্ষা করে এই নগরীটির শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিপাদন করেছেন । কবির ভাষায় নগরীটি ছিল “ সমস্ত নগরীনিকষায়মাণা । ” ধন - জনে পরিপূর্ণ এই নগরীর বিভিন্ন প্রান্তে ছিল অসংখ্য সজ্জিত সুসমৃদ্ধ বিপণি যেগুলি মণিমানিক্যের ছটায় ঝলমল করত । অগাধসলিল রত্নাকর যেমন গর্ভে অসংখ্য রত্ন ধারণ করে আছে , নগরীর বিপণিগুলি সেরূপ মহােজ্জ্বল মণিমাণিক্যগুলি স্ব স্ব বক্ষে ধারণ করে যেন রত্নাকরেরই রূপ অনুকরণ করে আছে । রত্নাকরের গর্ভস্থিত রত্নরাজি অপ্রকাশিত , কিন্তু বিপণিগুলির মহামূল্য অত্যুজ্জ্বল সামগ্রীর পশরা সুসজ্জিত এবং প্রকাশমান । সেদিক দিয়ে রত্নগর্ভ সমুদ্রও নগরীর কাছে যেন হার মেনেছে । মগধে বহু রাজ্য আছে , কিন্তু পুষ্পপুরী সৌন্দর্যে এবং সমৃদ্ধিতে অতুলনীয় । রাজহংসের মতাে প্রবল পরাক্রমশালী রাজা দেশের রক্ষক । সৌভাগ্যবান রাজার আনুকূল্যে রাজ্যটিও সৌভাগ্যযুক্ত । দেশে দারিদ্র্যের লেশমাত্র নেই । সেখানে যাগ -যজ্ঞ ছিল প্রাত্যহিক ব্যাপার । সেখানে বহুবিশিষ্ট ব্রাত্মণ বাস করতেন যাঁরা ছিলেন শাস্ত্রজ্ঞ,বিনয়াদি গুণসম্পন্ন , যশস্বী এবং মহাবিদ্বান । এঁদের দ্বারা দেশের রাজারাও ছিলেন বিদ্যোৎসাহিত এবং নানা শাস্ত্রে পারঙ্গম । সুতরাং , নিঃসন্দেহে বলা যায় রাজ্যে সৌরাজ্য সুপ্রতিষ্ঠিত ছিল । কবি এইভাবে পুষ্পপুরীর এক মনােজ্ঞ বর্ণনা দিয়েছেন ।


শুক্রবার, ৮ এপ্রিল, ২০২২

নারায়ণের মৎস্যাবতাররূপে আবির্ভাবের পৌরাণিক কাহিনি বিবৃত করাে

একাদশ শ্রেণী সংস্কৃত প্রশ্নোত্তর সাজেশন class 11 Sanskrit question answer class xi class eleventh নারায়ণের মৎস্যাবতাররূপে আবির্ভাবের পৌরাণিক কাহিনি বিবৃত করাে narayaner motsobotar rupe abirvaber pouranik kahini bibroto koro


উত্তর : কোনাে একসময় বৈবস্বত মনু নামে এক মহর্ষি (মতান্তরে সত্যব্রত নামে এক রাজা ) ছিলেন । তিনি অযুত বছর অতি কঠোর তপস্যা করেছিলেন । একদিন তিনি আদ্র বস্ত্র বস্ত্রপরিধান করে জটাধারী হয়ে চারিণী নদীতীরে তপস্যা করছিলেন । সেই  সময় একটি ছােট্ট মৎস্য তাঁর কাছে এসে জানালেন , “মহারাজ , দেশে মাৎস্যন্যায় দেখা দিয়েছে । বড়াে মাছগুলি ছােটো মাছগুলিকে গিলে ফেলছে । আমি নিতান্ত ছােট্ট মৎস্য । আপনি আমাকে রক্ষা করুন । আমিও আপনাকে রক্ষা করব ।” মনু জিজ্ঞাসা করলেন , “তুমি কীভাবে আমাকে রক্ষা করবে ? ” মৎস্যটি বলল , “মহাশয় , জগতের সংহার -সময় উপস্থিত হয়েছে । অচিরে এক মহাপ্লাবন সংঘটিত হবে । সেই প্লাবনে জগৎ লয়প্রাপ্ত হবে । আপনি পূর্বেই রজ্জুসংযুক্ত একটি সুদৃঢ় নৌকা নির্মাণ করিয়ে রাখুন এবং সপ্তর্ষিগণ,বেদসমূহ এবং সৃষ্টির বীজ সংগ্রহ করে রাখুন । প্লাবন উপস্থিত হলে আপনি পূর্বসংগৃহীত বীজাদি - সহ নৌকায় আরােহণ করবেন । তখন একটি শৃঙ্গধারী মৎস্য আপনার কাছে উপস্থিত হবে । মৎস্যের শৃঙ্গে আপনি নৌকাটি বেঁধে দেবেন । সেই মৎস্য আপনাকে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেবে ।”মনু সদয়হৃদয় হয়ে মৎস্যটিকে জল থেকে তুলে আপন কমণ্ডলুতে রেখে দিলেন । পরদিন দেখেন মৎস্যটি এমন বড়াে হয়ে গেছে যে, সে কমণ্ডলুতে ঘােরাফেরা করতে পারছে । মাছটি মনুকে অন্য বৃহৎ জলাশয়ে রাখতে বলেন । মাছটিকে এক বৃহৎ জলাশয়ে রাখা হল । পুনরায় মাছটি দ্রুত বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হতে লাগল । তখন মৎস্যের অনুরােধে তাকে গঙ্গায় এবং গঙ্গা থেকে সাগরে রাখা হল ।



[        ] অতঃপর সেই ভয়ংকর দিন উপস্থিত হল । দেখা দিল মহাপ্লাবন । মনু , সপ্তর্ষিগণ,বেদসমূহ এবং সৃষ্টির বীজসমূহ নিয়ে নৌকায় অবস্থান করলেন । উপস্থিত হল সেই শৃঙ্গধারী মৎস্য । মনু যত্নপূর্বক মৎস্যের শূঙ্গে নৌকাটি বেঁধে দিলেন । মৎস্য নৌকা নিয়ে হিমালয়ের সুউচ্চ স্থানে গেল । পুনরায় মৎস্যটি বলল , “ আপনি এখানে নিরাপদে থাকুন । ক্রমে ক্রমে জল যখন কমতে থাকবে , আপনিও ধীরে ধীরে অবতরণ করবেন ।” সেই কারণে হিমালয়ের ওই শৃঙ্গ ‘নৌবন্ধনশৃঙ্গ ’-রূপে পরিচিত । অতঃপর মৎস্যের নির্দেশে মহাত্মা মনু স্থাবর, জঙ্গম ,দেবাসুর , মানুষ প্রভৃতি প্রজাবর্গও লােকসকল সৃষ্টি করলেন ।


 

বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল, ২০২২

কালিদাসের মেঘদূতম নাটক গীতিকাব্যে যক্ষ কেন মেঘকে দূত হিসেবে নিয়ােগ করতে চাইল

একাদশ শ্রেণী সংস্কৃত প্রশ্নোত্তর সাজেশন class 11 Sanskrit question answer class xi class eleventh কালিদাসের মেঘদূতম নাটকে গীতিকাব্যে যক্ষ কেন মেঘকে দূত হিসেবে নিয়ােগ করতে চাইল jokkho keno meghke dite hisebe niyog korte chailo


উত্তর : ‘ মেঘদূতম্ কাব্যে প্রথমেই আমরা নায়ক বিরহী যক্ষের পরিচয় পাই । যক্ষরাজ কুবেরের সে ছিল এক অনুচর । তরুণ সে , গৃহে তার উদ্ভিন্নযৌবনা নববিবাহিত বধূ । তরুণী প্রিয়ার প্রথম প্রেমের আবেগে সে তখন অভিভূত । তৎকালীন মনের অবস্থা নিয়ে প্রভুর কাজে অবহিত থাকা কোনাে তরুণের পক্ষেই সম্ভবপর নয় । তাই যক্ষের কাজে প্রতিদিন ভুল হতে লাগল । অতঃপর যক্ষপতি রুষ্ট হয়ে এক বছরের জন্য তাকে অলকা থেকে রামগিরি আশ্রমে নির্বাসিত করলেন । অভিশপ্ত যক্ষ মনের দুঃখে রামগিরি আশ্রমে এসে বসবাস করতে লাগল । কিন্তু মন তার পড়ে রইল সেই সুদূর অলকায় , যেখানে তার পরানপ্রিয়া তার বিরহে একাকিনী নয়নাশ্রুজলে কালযাপন করছে । গুরু বিরহভার বক্ষে ধারণ করে গভীর মনস্তাপে তার দিন যেন আর কাটতে চাইছিল না । বেচারি প্রিয়ার জন্য ভেবে ভেবে একেবারে শীর্ণ হয়ে গেছে । তার হাতের বালা ঢিলে হয়ে কখন যে একগাছি বালা মণিবন্ধ থেকে খসে পড়েছে সেদিকে তার খেয়ালই নেই । সে দিনের - পর -দিন রামগিরি শিখরে বসে উত্তরে অলকার পানে চেয়ে স্তব্ধ হয়ে মনে মনে শুধু তার প্রিয়তমার বিরহমলিন রূপ ধ্যান করছে । নিবিড়ঘন -ছায়াতরু-ঘেরা রামগিরি আশ্রম , সে এক রমণীয় পার্বত্যকুঞ্জ । তার প্রতিটি চূড়ায় শ্রীরামচন্দ্রের সুচারু পাদপদ্ম অঙ্কিত রয়েছে । প্রত্যেক গিরিনিঝরিণীটি স্নানার্থিণী জনকতনয়ার পবিত্র অঙ্গ স্পর্শে পুণ্যোদক হয়ে উঠেছে । প্রতি পদক্ষেপে রামগিরি বিরহব্যথাতুর যক্ষকে রাম -সীতার মিলনানন্দে অরণ্যবাস স্মরণ করিয়ে দিয়ে তাকে অধিকতর আকুল করে তুলল ।

[        ] নিদারুণ বিরহ যন্ত্রণায় সে যতই কাতর হচ্ছে, ততই ভাবছে তার প্রেয়সী এই বিরহ যন্ত্রণা সহ্য করতে পারছে তাে ? শাপান্তের পর ফিরে গিয়ে তাকে যক্ষ জীবিত দেখবে তাে ? সে উতলা হয়ে উঠল । যেভাবেই হােক প্রেয়সীকে নিজের কুশল সংবাদটুকু পাঠাতে সে বদ্ধপরিকর । এমন সময় আষাঢ় মাসের প্রথম দিকে আকাশে মেঘের সঞ্চার দেখতে পেল ।মেঘ তাে পূর্ব থেকে উত্তরেই ভেসে চলেছে । তা হলে সে মেঘকেই বার্তাবহরূপে প্রেরণ করতে চাইল । একবারও ভেবে দেখল না মেঘ অচেতন । যে প্রেমােন্মত্ত, যে প্রণয়িণীর বিচ্ছেদে অতিব্যাকুল মিলনের , আকাঙ্ক্ষায় অধীর আত্মহারা , সে চেতন - অচেতনের ভেদাভেদ ভুলে যায় । “কামার্তা হি প্রকৃতিকৃপণাশ্চেতনাচেতনে্যু । ” সুতরাং , যক্ষ মেঘকেই দূতরূপে বরণ করতে স্থিরসংকল্প হয়ে নবপ্রস্ফুটিত কুটজ পুষ্পের অর্ঘ্য রচনা করে মেঘকে স্বাগত জানাল ।