ইতিহাস লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
ইতিহাস লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

শনিবার, ৯ জুলাই, ২০২২

টমাস ক্রমওয়েলের সংস্কারগুলি আলােচনা করো ।

একাদশ শ্রেণী ইতিহাস প্রশ্নোত্তর xi class 11 history Question answer টমাস ক্রমওয়েলের সংস্কারগুলি আলােচনা করো tomas chromoyeler songskarguli alochona koro


উত্তর : তার সংস্কার কার্যগুলির মধ্যে ছিল —  

জাতীয় চার্চ প্রতিষ্ঠা : মনেপ্রাণে রাজতন্ত্রের অনুরাগী ও রাজার সমর্থক ক্রমওয়েল ইংল্যান্ডের রাজার ক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে ইল্যান্ডে ‘জাতীয় চার্চ’ গড়ে তােলেন । এর ফলে রােমান চার্চের সঙ্গে ইংল্যান্ডের সম্পর্ক ছিন্ন হয় এবং দেশে ‘জাতীয় সার্বভৌমত্ব’ প্রতিষ্ঠিত হয় । 

পােপের প্রাধান্য বাতিল : টমাস ফ্রমওয়েল পার্লামেন্টের আইনের সহায়তায় ইংল্যান্ডের চার্চে পােপের প্রাধান্য বাতিল করে রাজার প্রাধান্য প্রতিষ্ঠা করেন । এর ফলে রাজা সর্বাধিক ক্ষমতার অধিকারী হন । চার্চের যাবতীয় সম্পত্তি রাজার হস্তগত হলে তাঁর আর্থিক শক্তিও বৃদ্ধি পায় । 


অ্যাক্ট অব সুপ্রিমেসি : ক্রমওয়েল ভাইকার জেনারেল বা মুখ্য ধর্মীয় আধিকারিকের পদে নিযুক্ত হয়ে ১৫৩৪ খ্রিস্টাব্দে ‘অ্যাক্ট অব সুপ্রিমেসি’ নামে একটি আইন পাস করেন । এর দ্বারা তিনি— 

[i] ইংল্যান্ডের সব চার্চকে রাজার নিয়ন্ত্রণে আনার উদ্যোগ নেন । 

[i] ইংল্যান্ডের বড়াে মঠগুলির ওপর রাষ্ট্রীয় আধিপত্য কায়েম করেন এবং ছােটো মঠগুলি বাজেয়াপ্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন । উল্লেখ্য যে , ‘অ্যাক্ট অব সুপ্রিমেসি’র প্রতিবাদ করায় তিনি সে যুগের বিখ্যাত দুই পণ্ডিত — স্যার টমাস মুর ও ফিশারকে প্রাণদণ্ড দেন । 

মঠের প্রাধান্য ধ্বংস : ছােটো মঠগুলি ধ্বংস করতে ক্রমওয়েল যে নীতি নেন তার বিরুদ্ধে উত্তর ইংল্যান্ডে ১৫৩৬ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ ‘পিলগ্রিমেজ অব গ্রেস’ নামে এক বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ে । টমাস ক্রমওয়েল কঠোর হাতে এই বিদ্রোহ দমন করেন । লর্ড ডার্সি , লর্ড হুসে, সহ কয়েকজন অ্যাবট ও বিদ্রোহী নেতাদের প্রাণদণ্ড অথবা কারাদণ্ড দেওয়া হয় । এইভাবে ক্রমওয়েল সব ধরনের মঠের ওপর রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেন । 


রাজরি ক্ষমতা বৃদ্ধি : ক্রমওয়েল তার সংস্কার দ্বারা রাজার ক্ষমতা বৃদ্ধি করেন । ফলে রাজতন্ত্রের সম্মান বৃদ্ধি পায় । রাজা অষ্টম হেনরি ক্ষমতা ও অর্থ উভয়েরই তীব্র আকাঙ্ক্ষা ছিল । ক্রমওয়েলের নীতি দ্বারা রাজার উভয় আকাঙ্ক্ষাই চরিতার্থ হয় ।  

পার্লামেন্টের ক্ষমতা বৃদ্ধি  : ক্রমওয়েল রাজতন্ত্রের সম্মান ও রাজার ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ইংল্যান্ডের পার্লামেন্টকেও শক্তিশালী করে তােলেন । তিনি রাজাকে দিয়েই ঘােষণা করান যে , রাজার সার্বভৌম ক্ষমতা পার্লামেন্টের হাতেই নিহিত । ক্রমওয়েল পার্লামেন্টের সদস্যদের মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা , গ্রেপ্তারের হাত থেকে মুক্ত থাকা , সদস্য নির্বাচনে বিতর্কের সৃষ্টি হলে তাতে হস্তক্ষেপ করা প্রভৃতির অধিকার দেন । 
নিয়মতান্ত্রিক রাজতন্ত্র : পরবর্তীকালের ইংল্যান্ডে সীমাবদ্ধ রাজতন্ত্র এবং পার্লামেন্টের সুদৃঢ় ক্ষমতার কাঠামােটি গড়ে তােলার কৃতিত্ব ক্রমওয়েলেরই । রাজা ও পার্লামেন্ট যে যুগ্মভাবে শাসনক্ষমতা প্রয়ােগ করতে পারে , তিনিই প্রথম সেই ধারণার জন্ম দিয়েছিলেন । এই পথ ধরেই অবশেষে ১৬৮৮ খ্রিস্টাব্দে গৌরবময় বিপ্লবের মাধ্যমে রাজতন্ত্র সেখানে নিয়মতান্ত্রিক রাজতন্ত্রে পরিণত হয় । 

উপসংহার : ইংল্যান্ডের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার বিকাশে টমাস ক্রমওয়েলের অবদান । তিনি একদিকে পােপ ও খ্রিস্টান ধর্মের প্রধান্য হ্রাস করেন , অন্যদিকে ইংল্যান্ডের রাজা ও পার্লামেন্টের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে সেইদেশে নিয়মতান্ত্রিক রাজতান্ত্রিক কাঠামাে গড়ে তােলেন ।





শুক্রবার, ৮ জুলাই, ২০২২

সংক্ষেপে লেখাে নতুন রাজতন্ত্র ও টমাস ক্রমওয়েলের অবদান ।

একাদশ শ্রেণী ইতিহাস প্রশ্নোত্তর xi class 11 history Question answer সংক্ষেপে লেখাে নতুন রাজতন্ত্র ও টমাস ক্রমওয়েলের অবদান songkhepe lekho notun rajtontro o tomas chromoyeler abodan


উত্তর :  ইংল্যান্ড রাজ সপ্তম হেনরি প্রতিষ্ঠিত টিউডর রাজতন্ত্রকে ঐতিহাসিক জন রিচার্ড গ্রিন সর্বপ্রথম ‘নব্য রাজতন্ত্র’ আখ্যা দেন । ঐতিহাসিক ডি . এল . কেয়ার লিখেছেন যে , “সপ্তম হেনরির রাজত্বকালে রাজতন্ত্রের নিরঙ্কুশ ক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত হয় ।” এই রাজতান্ত্রিক ধারা পরবর্তী রাজা অষ্টম হেনরির সময়কাল পর্যন্ত বজায় থাকে । অষ্টম হেনরির শাসনকালে রাজার প্রধান উপদেষ্টা এবং সচিব টমাস ক্রমওয়েলের নেতৃত্বে ইংল্যান্ড এক আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে । 

জাতীয় সার্বভৌমত্ব ধারণার প্রতিষ্ঠা : রিফরমেশন পার্লামেন্টে টমাস ক্রমওয়েল দুটি আইন পাস করিয়ে ইংল্যান্ডের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করেন । অ্যাক্ট অব অ্যাপিলস নামে প্রথম আইনটি পাসের ( ১৫৩৩ খ্রি.) মাধ্যমে ইংল্যান্ডের রাজাকে সার্বভৌম বলে ঘােষণা করা হয় । বলা হয় ,রাজা হলেন সমস্ত ধর্মীয় ও ধর্মনিরপেক্ষ সামাজিক গােষ্ঠীর রাজনৈতিক প্রভু । ‘অ্যাক্ট অব সুপ্রিমেসি’ নামে দ্বিতীয় আইনটি পাস (১৫৩৪ খ্রি.) করিয়ে রাজার প্রতি আনুগত্য প্রদান বাধ্যতামূলক করা হয় । 


চার্চের ওপর রাজার অধিকার তত্ত্ব : টমাস ক্রমওয়েল বলেন রাজা হলেন চার্চের (ইতিহাস ও বাইবেল অনুসারে ) প্রশাসনিক প্রধান । এই ঘােষণার পর চার্চের প্রধান হিসেবে অষ্টম হেনরি চার্চের ওপর যাবতীয় প্রশাসনিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেন । চার্চের ওপর কর স্থাপন , যাজকদের নিয়ােগ , বিচার ব্যবস্থা প্রভৃতি তিনি নিজের হাতে তুলে নেন । 


 সংসদীয় আইনের প্রাধান্য : টমাস ক্রমওয়েল সর্বপ্রথম সংসদীয় আইনের গুরুত্ব অনুভব করেন । সংসদ অনুমােদিত আইনগুলিকে তিনি জাতীয় জীবনের সর্বক্ষেত্রে প্রয়ােগ করতে শুরু করেন । ফলে সংসদীয় আইনের প্রাধান্যপ্রতিষ্ঠিত হয় । 
 
জাতীয় রাষ্ট্রগঠন : ক্রমওয়েল জাতীয় প্রশাসন গঠনের মাধ্যমে জাতীয় রাষ্ট্রের প্রেক্ষাপট রচনা করেন । জাতীয় সার্বভৌমত্বের ধারণা , চার্চের ওপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা, সংসদীয় আইনের প্রবর্তন, আর্থিক ও প্রশাসনিক বিভাগের পুনর্গঠন — এই সমস্ত কিছুর সম্মিলিত প্রভাবে ইংল্যান্ড অচিরেই এক জাতীয় রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে । 



সরকারি প্রশাসনের পুনর্গঠন : রিফরমেশনের আগে পর্যন্ত রাজা এবং তার প্রাসাদের কর্মচারীরা ছিলেন প্রশাসনিক প্রধান । কিন্তু ক্রমওয়েল এই ব্যবস্থা বদলে দিয়ে প্রশাসনিক কেন্দ্রে মন্ত্রীসভাকে স্থান দেন । উনিশজন মন্ত্রী নিয়ে তিনি গঠন করেন প্রিভি কাউন্সিল । ক্রমওয়েল রাজার একটি সচিবালয় গড়ে তােলেন এবং একটি প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি পদ সৃষ্টি করে নিজে সেই পদে বসেন । 

স্থানীয় শাসনের পুনর্গঠন : জনগণের আন্দোলন মােকাবিলার জন্য ক্রমওয়েলের উদ্যোগে উত্তর ইংল্যান্ডের কাউন্সিলকে নতুনভাবে গঠন করা হয় । এই নবগঠিত কাউন্সিলকে প্রশাসনিক ও বিচারক্ষমতা দান করা হয় । এই কাউন্সিলের সক্রিয় ভূমিকায় উত্তর ইংল্যান্ডে শান্তিশৃঙ্খলা ফিরে আসে । একইভাবে স্কটল্যান্ডের ওয়েলস প্রদেশে এবং পশ্চিম ইংল্যান্ডে ক্রমওয়েল আর একটি কাউন্সিল গঠন করেন । 

আর্থিক বিভাগের পুনর্গঠন : টমাস ক্রমওয়েল আর্থিক ব্যবস্থাকে পুনর্গঠিত করেন । তিনি অর্থবিভাগের নতুন পদ সৃষ্টিকরেন ( ১৫৩৪ খ্রি.)। পাশাপাশি চার্চের কর নির্ধারণ ও কর আদায়ের জন্য নতুন কোষাধ্যক্ষ পদ সৃষ্টি করেন । রাজস্ব বিষয়ক বিভিন্ন মামলার নিম্পত্তির জন্য গঠিত হয় রাজস্ব আদালত । 


উপসংহার : গােলাপের যুদ্ধের মধ্য দিয়ে সপ্তম হেনরি যে নব্য রাজতন্ত্রের সূচনা করেন তার ধারাকে এগিয়ে নিয়ে যান অষ্টম হেনরির প্রধান উপদেষ্টা ও সচিব টমাস ফ্রমওয়েল । রাজার ক্ষমতা বজায় রেখেও সংসদীয় শাসনক্ষমতাকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন ধরনের শাসনব্যবস্থা প্রণয়ন, বিভিন্ন বিভাগের পুনর্গঠন এবং চার্চের ওপর রাজার কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে তিনি ইংল্যান্ডকে আধুনিক রাষ্ট্রে পরিণত করেন ।





বৃহস্পতিবার, ৭ জুলাই, ২০২২

জিয়াউদ্দিন বারনি বর্ণিত সুলতানি যুগের নরপতিত্বের আদর্শ কী ছিল ? দিল্লি সুলতানি শাসন কি ধর্মাশ্রয়ী ছিল ?

একাদশ শ্রেণী ইতিহাস প্রশ্নোত্তর xi class 11 history Question answer জিয়াউদ্দিন বারনি বর্ণিত সুলতানি যুগের নরপতিত্বের আদর্শ কী ছিল দিল্লি সুলতানি শাসন কি ধর্মাশ্রয়ী ছিল jiyauddin baroni bornito sultani juger noropotitter adorsho ki chilo delhi sultani shashon ki dhormashroyi chilo

উত্তর : নরপতিত্বের আদর্শ সম্পর্কে যেসব বিষয় তিনি তুলে ধরেছেন , সেগুলি হলো – 
 

(১) ইসলামীয় কর্তব্য পালন : বারনি সুলতানকে তার শাসনকাজে ইসলামকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন । তিনি রাষ্ট্রশক্তির প্রয়ােগ ঘটিয়ে ইসলামের আদর্শ ও ভাবধারা ফিরিয়ে আনার পক্ষপাতী ছিলেন । ইসলামের আদর্শ সুপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য সুলতানের হাতে রাষ্ট্রের চূড়ান্ত কর্তৃত্ব থাকা উচিত বলে তিনি উল্লেখ করেছেন । 


(২) বংশকৌলিন্য : বারনি তাঁর ‘ফতােয়া  -ই-জাহান্দারি’ গ্রন্থে সর্বোচ্চ ক্ষমতার ব্যবহারকারী হিসেবে সম্রাটের বংশকৌলীন্যের ওপর গুরুত্ব আরােপ করেছেন । তাঁর মতে , সম্রাট বা সুলতান যদি উচ্চ ও পরাক্রমশালী রাজবংশের হন , তবে সাধারণ প্রজাদের মনে তার সম্পর্কে উচ্চ ধারণা তৈরি হবে এবং স্বাভাবিকভাবেই তিনি সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধা ও আনুগত্য লাভ করবেন । 

(৩) ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা : বারনি বলেছেন , শাসকের প্রধান কর্তব্য হল ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা । এর মাধ্যমে শাসক বা সুলতান ঈশ্বরের রাজ্যে সমানাধিকার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি প্রজাদের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষা করবেন । ন্যায়বিচার বলতে বারনি সত্য , ন্যায় ও ধর্মের প্রতিষ্ঠাকে বুঝিয়েছেন ।  


(৪) শরিয়তের বিধান অনুসরণ : বারনির মতে , একজন শাসক শরিয়ৎ মেনে সফলভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন । এ প্রসঙ্গে তিনি সুলতানি রাজতন্ত্রকে পারস্যের সাসানীয় রাজতন্ত্রকে অনুকরণ করার কথা বলেছেন । অবশ্য শরিয়তের বিধান ও ভারতবর্ষের বাস্তব পরিস্থিতির মধ্যে পার্থক্য থাকায় বারনি ‘জাওয়াবিত’ নামে রাষ্ট্রীয় আইন প্রণয়নের কথা বলেছেন । 

(৫) মন্ত্রণা সভার সিদ্ধান্ত গ্রহণ : বারনি বলেছেন যে , রাজাকে অভিজ্ঞ ও বিচক্ষণ পারিষদদের নিয়ে একটি মন্ত্রণা সভা গঠন করতে হবে । রাজা কোনাে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে সেই সভার পরামর্শদাতাদের সঙ্গে আলােচনা করবেন । রাজা যেমন কোনাে বিষয় তাদের কাছে গােপন করবেন না, তেমন তাদের মতামতও বাইরে প্রকাশ করবেন না ।

[         ] দিল্লির সুলতানি রাষ্ট্রের প্রকৃতি কীরুপ ছিল তা নিয়ে পণ্ডিতদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে । ড .এ .এল . শ্রীবাস্তব, ড . ঈশ্বরী প্রসাদ, ড .রামশরণ শর্মা প্রমুখ মনে করেন যে , দিল্লির সুলতানি রাষ্ট্র ছিল ‘ধর্মাশ্রয়ী’ । অন্যদিকে , সুলতানি যুগের ঐতিহাসিক জিয়াউদ্দিন বারনি দিল্লির সুলতানি রাষ্ট্রকে ‘জাহান্দারি’ বা ‘ধর্মনিরপেক্ষ ’বলে অভিহিত করেছেন । ড . সতীশ চন্দ্র, ড. মহম্মদ হাবিব প্রমুখ আধুনিক ঐতিহাসিক এই অভিমত সমর্থন করেন ।  


[       ] ‘ধর্মাশ্রয়ী’ বক্তব্যের সমর্থনে যুক্তি : 

i) খলিফার প্রতি আনুগত্য : আলাউদ্দিন খলজি ছাড়া দিল্লির সব সুলতানই ইসলামি জগতের শাসক ও ধর্মগুরু খলিফার স্বীকৃতি গ্রহণ করেন এবং তার প্রতি আনুগত্য জানিয়ে শাসনকার্য পরিচালনা করতেন । 

ii) উলেমা ও শরিয়তের গুরত্ব : সুলতানি শাসনে উলেমাদের উল্লেখযােগ্য ভূমিকা ছিল । ইসলামি আইন ‘শরিয়ত’ এর ব্যাখ্যাকর্তা এই উলেমারা আশা করতেন যে , সুলতান অমুসলিমদের বিনাশসাধনে উদ্যোগ নেবেন এবং শরিয়তের বিধান মেনে ভারতবর্ষকে দার - উল - ইসলাম অর্থাৎ ইসলামের পবিত্র ভূমিতে পরিণত করবেন । 
iii) হিন্দুদের উপেক্ষা : সুলতানি রাষ্ট্রে অমুসলিম হিন্দুরা উপেক্ষিত ও দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকে পরিণত হয়েছিল । তারা ‘জিম্মি’ হিসেবে গণ্য হত এবং তাদের কাছ থেকে ‘জিজিয়া’ কর আদায় করা হত ।


[        ] ‘ ধর্মনিরপেক্ষ ’ বক্তব্যের সমর্থনে যুক্তি :  

i)  পৃথক রাজতন্ত্র : শরিয়তের বিধান অনুসারে সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী হলেন স্বয়ং ঈশ্বর । তার প্রতিনিধি হলেন প্রথমে হজরত মহম্মদ এবং পরে খলিফা । কিন্তু ভারতের সুলতানি রাষ্ট্রে এই নিয়ম থেকে স্বতন্ত্র রাজতন্ত্র গড়ে উঠেছিল । 

ii) খলিফার প্রতি আপাত আনুগত্য : কোনাে কোনাে সুলতান রাজনৈতিক প্রয়ােজনে খলিফার অনুমতি নিয়েছেন ঠিকই , কিন্তু সেটা ছিল একান্তই সুলতানের ইচ্ছাধীন বিষয় । 

iii) সুলতানের স্বাধীনতা : ইসলামি আইন অনুসারে খলিফা সমগ্র মুসলিম ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় জীবনের প্রধান হলেও ভারতে এই রীতি গুরুত্ব পায়নি । এখানে সুলতানগণ খলিফার নিয়ন্ত্রণমুক্ত হয়ে স্বাধীনভাবে শাসন চালাতে পারতেন । 


iv) হিন্দুদের গুরত্ব : সুলতানি আমলে হিন্দুদের গুরুত্ব একেবারে লুপ্ত হয়ে যায়নি । তখন বহু হিন্দু উচ্চ রাজকার্যে নিযুক্ত হতেন এবং দেশের নানা স্থানে বহু হিন্দু সামন্ত রাজ্যের অস্তিত্বও ছিল ।


v) উলেমাদের সুলতান নির্ভরতা : সুলতানি আমলে উলেমারা সুলতানদের প্রভাবিত করতে পারতেন না , বরং বাস্তবে উলেমারা সুলতানের ওপর নির্ভরশীল হয়ে কাজ করতেন । 


vi) শরিয়ত বহির্ভূত নির্দেশ : সুলতানি আমলে শরিয়তের নির্দেশ লঙ্ঘন করে বহু কাজ সম্পন্ন হওয়ার উদাহরণও দেখা যায় । 


vii) ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র : উপরােক্ত বিভিন্ন যুক্তির নিরিখে অধিকাংশ পণ্ডিত সুলতানি রাষ্ট্রকে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র বলেই অভিহিত করেন । 


উপসংহার : তাই রাষ্ট্ররূপে দিল্লি সুলতানির প্রকৃতি নির্বাচন করা কিছুটা কঠিন , কারণ ধর্মাশ্রয়ী এবং ধর্মনিরপেক্ষ এই দুই ধরনের রাজতান্ত্রিক প্রবৃত্তিই দেখা গেছে এর মধ্যে । রাজনৈতিক মাপগণ্ডির বিচারেও কেউ কেউ দিল্লি সুলতানিকে কেন্দ্রীভূত এবং কেউ বা আবার বিকেন্দ্রীভূত রাষ্ট্র হিসেবে গণ্য করেছেন ।






বুধবার, ৬ জুলাই, ২০২২

রাষ্ট্রের প্রকৃতি ও শাসনযন্ত্র MCQ প্রশ্ন উত্তর [ চতুর্থ অধ্যায় ]

 

একাদশ শ্রেণী ইতিহাস রাষ্ট্রের প্রকৃতি ও শাসনযন্ত্র MCQ প্রশ্ন উত্তর চতুর্থ অধ্যায় প্রশ্নোত্তর class xi 11 eleven history rasterer prokriti o shasonjontro mcq questions answer


১। ‘অর্থশাস্ত্রের’ লেখক হলেন ? 


ক) মেগাস্থিনিস


খ) কৌটিল্য 


গ) কালিদাস 


ঘ) সন্ধাকর নন্দী 



উত্তর : খ) কৌটিল্য


২। দক্ষিণ ভারতের এক অজানা জায়গা থেকে যিনি ‘অর্থশাস্ত্র’ আবিষ্কার করেছিলেন তিনি হলেন ?


ক) ড. শ্যাম শাস্ত্রী 


খ) নীলকণ্ঠ শাস্ত্রী


গ) হরপ্রসাদ শাস্ত্রী


ঘ) এগুলির কোনোটিই নয় 



উত্তর : ক) ড. শ্যাম শাস্ত্রী 


৩। কৌটিল্যর ‘অর্থশাস্ত্র’ গ্রন্থটি ? 


ক) ৫টি ভাগে বিভক্ত


খ) ১০টি ভাগে বিভক্ত


গ) ১৫টি ভাগে বিভক্ত


ঘ) ২০টি ভাগে বিভক্ত



উত্তর : গ) ১৫টি ভাগে বিভক্ত


৪। কৌটিল্যর আসল নাম কি ?


ক) বিষ্ণুশর্মা 


খ) চাণক্য 


গ) বিষ্ণুগুপ্ত 


ঘ) বিষ্ণুপদ



উত্তর : গ) বিষ্ণুগুপ্ত 


৫। কৌটিল্য অর্থশাস্ত্রে যে আইনবিধি রচনা করেছেন তাঁর ভাগ হল ? 


ক) ২টি


খ) ৩টি


গ) ৪টি


ঘ) ৫টি



উত্তর : গ) ৪টি 




৬। কৌটিল্য স্বামী বলতে বুঝিয়েছেন ? 


ক) রাষ্ট্রের প্রধানকে 


খ) পরিবারের প্রধানকে


গ) সমাজের প্রধানকে 


ঘ) গ্রামের প্রধানকে



উত্তর : ক) রাষ্ট্রের প্রধানকে 


৭। ‘ভারত ইতিহাসের ম্যাকিয়াভেলি’ বলা হয় ? 


ক) চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যকে 


খ) বারণিকে 


গ) অশোককে 


ঘ) কৌটিল্যকে



উত্তর : ঘ) কৌটিল্যকে 


৮। সুলতানী যুগের ঐতিহাসিক হলেন ? 


ক) সন্ধ্যাকর নন্দী 


খ) জিয়াউদ্দিন বারনি 


গ) আমির খসরু 


ঘ) আফিফ



উত্তর : গ) আমির খসরু


৯। কোন দেশের রাজতন্ত্র দিল্লীর সুলতানীর দ্বারা অনুসৃত বলে বারণি মনে করতেন ? 


ক) মিশরের 


খ) স্পেনের 


গ) আরবের 


ঘ) পারস্যর



উত্তর : ঘ) পারস্যর


১০। দিল্লীর কোন সুলতান খলিফার স্বীকৃতি লাভ করেন ? 


ক) ইলুতুৎমিস 


খ) আলাউদ্দিন খলজি 


গ) মহম্মদ বিন তুঘলক 


ঘ) ফিরোজ তুঘলক



উত্তর : ক) ইলুতুৎমিস 




১১। সিসেরো ছিলেন ? 


ক) একজন প্রখ্যাত রোমান রাজনীতিবিদ এবং আইনজ্ঞ 


খ) অ্যারিস্টটলের একজন ছাত্র 


গ) এক গ্রিক রাজনীতিবিদ এবং আইনজ্ঞ 


ঘ) একজন রোমান বিচারক



উত্তর : ক) একজন প্রখ্যাত রোমান রাজনীতিবিদ এবং আইনজ্ঞ


১২। অষ্টম হেনরির রিফরমেশন পার্লামেন্টটি চলেছিল ?


ক) তিন বছর


খ) পাঁচ বছর


গ) সাত বছর


ঘ) নয় বছর



উত্তর : গ) সাত বছর 


১৩। ‘The Prince’ গ্রন্থটির রচয়িতা হলেন ? 


ক) বোদা 


খ) সিসেরো 


গ) হবস


ঘ) ম্যাকিয়াভেলি



উত্তর : ঘ) ম্যাকিয়াভেলি


১৪। আধুনিক রাষ্ট্রচিন্তার জনক বলা হয় ? 


ক) লককে 


খ) রুশোকে 


গ) ম্যাকিয়াভেলিকে 


ঘ) অশোককে



উত্তর : গ) ম্যাকিয়াভেলিকে 


১৫। কৌটিল্যর অর্থশাস্ত্রের সাথে তুলনীয় গ্রন্থটি হল ?


ক) কাঁদিদ


খ) সোশ্যাল কন্ট্রাক্ট 


গ) ইন্ডিকা 


ঘ) দ্য প্রিন্স



উত্তর : ঘ) দ্য প্রিন্স 




১৬। রাষ্ট্রের ‘সার্বভৌমত্ব তত্ত্বের’ প্রধান প্রবক্তা হলেন ? 


ক) জা রুশো 


খ) সিসেরো 


গ) জা বোদা 


ঘ) টমাস হবস



উত্তর : গ) জা বোদা 


১৭। ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রতত্ত্বের সূচনা করেন ? 


ক) ম্যাকিয়াভেলি


খ) টমাস হবস 


গ) বোদা 


ঘ) ইরাসমাস 



উত্তর : ক) ম্যাকিয়াভেলি


১৮। উদারনীতিবাদের জন্মদাতা বলা হয় ? 


ক) টমাস হবস্ কে 


খ) জন লক কে 


গ) হেগেল কে 


ঘ) টমাস হিল গ্রিনকে



উত্তর : খ) জন লক কে


১৯। সামাজিক চুক্তি মতবাদকে রাষ্ট্রের উৎস হিসেবে বর্ণনা করেছেন ? 


ক) রুশো 


খ) জন লক


গ) হবস


ঘ) মন্তেষ্কু 



উত্তর : ক) রুশো 


২০। ঝড়ের পাখি বলা হত ? 


ক) রুশোকে 


খ) ভলতেয়ারকে 


গ) মন্তেষ্কুকে 


ঘ) দালেমবেয়ারকে 



উত্তর : ক) রুশোকে 




২১। রাষ্ট্রের স্বার্থে ক্ষমতা স্বতন্ত্রকরণ নীতি প্রবর্তন করেন ? 


ক) রুশো 


খ) মন্তেষ্কু


গ) ভলতেয়ার 


ঘ) ডিকেন্স



উত্তর : খ) মন্তেষ্কু


২২। জেরেমি বেন্থাম ছিলেন ? 


ক) ব্রিটিশ রাষ্ট্রদার্শনিক  


খ) জার্মান রাষ্ট্রদার্শনিক


গ) ফরাসী রাষ্ট্রদার্শনিক


ঘ) রুশ রাষ্ট্রদার্শনিক



উত্তর : ক) ব্রিটিশ রাষ্ট্রদার্শনিক


২৩। পারসিক প্রদেশগুলির নাম ছিল ? 


ক) সাট্রাপি


খ) এক্তা


গ) মামলাত


ঘ) মনসব 



উত্তর : ক) সাট্রাপি


২৪। ম্যান্ডারিন ব্যাবস্থা প্রচলিত ছিল ?


ক) ভারতে 


খ) চিনে 


গ) ইংল্যান্ডে 


ঘ) গ্রিসে 



উত্তর : খ) চিনে


২৫। ম্যান্ডারিনরা যে দেশের উচ্চপদস্থ আমলা ছিলেন ?


ক) চিনের


খ) পারস্যর


গ) জাপানের 


ঘ) মিশরের 



উত্তর : ক) চিনের




২৬। ইংরেজি Mandarin শব্দটি এসেছে ? 


ক) পোর্তুগিজ শব্দ থেকে


খ) লাতিন শব্দ থেকে


গ) ফরাসি শব্দ থেকে


ঘ) ডাচ শব্দ থেকে



উত্তর : ক) পোর্তুগিজ শব্দ থেকে 


২৭। চীনের কোন বংশের রাজাদের রাজত্বকালে ম্যান্ডারিনদের মর্যাদা সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছায় ? 


ক) তাং 


খ) মিং 


গ) কিং 


ঘ) ঝোঁ



উত্তর : গ) কিং


২৮। দিল্লীর কোন সুলতান সর্বপ্রথম বাগদাদের খলিফার স্বীকৃতি পান ? 


ক) কুতুবউদ্দিন আইবক


খ) ইলুতুৎমিস 


গ) বলবন 


ঘ) আলাউদ্দিন 



উত্তর : খ) ইলুতুৎমিস 


২৯। ‘ইক্তা’ প্রথার প্রবর্তক হলেন ? 


ক) ইলুতুৎমিস


খ) রাজিয়া 


গ) বলবন 


ঘ) আলাউদ্দিন খলজি



উত্তর : ক) ইলুতুৎমিস


৩০। মোগল যুগের মনসবদারি প্রথা প্রবর্তন করেন ?


ক) হুমায়ূন 


খ) আকবর 


গ) শাহজাহান


ঘ) ঔরঙজেব



উত্তর : খ) আকবর




৩১। মনসবদারি ব্যবস্থার স্তর ছিল ? 


ক) ৩৩টি


খ) ৩০টি


গ) ৩৪টি


ঘ) ৩২টি



উত্তর : ক) ৩৩টি


৩২। সওয়ার বলতে বোঝায় ? 


ক) মনসবদারের বেতন  


খ) মনসবদারের পদমর্যাদা 


গ) মনসবদারের অধীনের সেনাসংখ্যা 


ঘ) মনসবদারের অধীনস্থ কর্মচারী 



উত্তর : গ) মনসবদারের অধীনের সেনাসংখ্যা


ইতিহাস চেতনা MCQ প্রশ্ন ও উত্তর (প্রথম অধ্যায় )

 

একাদশ শ্রেণীর ইতিহাস চেতনা MCQ প্রশ্ন ও উত্তর প্রথম অধ্যায় প্রশ্নোত্তর class xi 11 eleven history itihas chetona mcq questions answer

১। ইতিহাসের জনক বলা হয় ? 


ক) সক্রেটিস 


খ) হেরোডোটাস


গ) প্লেটো 


ঘ) জাস্টিন 



উত্তর : খ) হেরোডোটাস


২। ইংরেজিতে ‘প্রি হিস্ট্রি’ কথাটি প্রথম ব্যাবহার করেন ? 


ক) পল তুর্নাল 


খ) ড্যানিয়েল উইলসন 


গ) রাঙকে


ঘ) লর্ড অ্যাকটন 



উত্তর : ক) পল তুর্নাল


৩। ‘প্রাক ইতিহাস’ শব্দটির অর্থ কি ? 


ক) ‘প্রায় ইতিহাস’ ও ‘ইতিহাস’ এর মধ্যবর্তী সময়কাল 


খ) যে সময় মানুষ লিখন পদ্ধতি জানত না 


গ) যে সময় লিখিত বিবরণী ইতিহাস রচনার প্রধান উৎস ছিল না 


ঘ) যে সময় মানুষ লিখন পদ্ধতি জানত



উত্তর : খ) যে সময় মানুষ লিখন পদ্ধতি জানত না 


৪। প্রাক ইতিহাস হল ?


ক) প্রস্তর যুগ


খ) তাম্র যুগ 


গ) লৌহ যুগ 


ঘ) বরফ লুবক 



উত্তর : ক) প্রস্তর যুগ


৫। প্রাগৈতিাসিক যুগের ইতিহাসের প্রধান উপাদান হল ? 


ক) লিপি 


খ) মুদ্রা 


গ) ধর্মগ্রন্থ 


ঘ) জীবাশ্ম 



উত্তর : ঘ) জীবাশ্ম 




৬। ভারতের ঐতিহাসিক যুগের সূচনা হয় কোন সময় থেকে ? 


ক) খ্রিষ্টপূর্ব চতুর্থ শতক 


খ) খ্রিষ্টপূর্ব দ্বিতীয় শতক 


গ) খ্রিষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতক 


ঘ) খ্রিষ্টপূর্ব অষ্টম শতক 



উত্তর : গ) খ্রিষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতক


৭। ‘Historia’ যে শব্দ থেকে উদ্ভুত হয়েছে তাহলো ? 


ক) গ্রিক 


খ) ইংরেজি


গ) লাতিন 


ঘ) ফরাসি



উত্তর : ক) গ্রিক 


৮। ঐতিহাসিক তথ্য বলতে বোঝায় ? 


ক) ঐতিহাসিক কাহিনি  


খ) অতীত ঘটনা 


গ) অতীতের নথিভুক্ত তথ্য 


ঘ) অতীতের গল্পকথা 



উত্তর : গ) অতীতের নথিভুক্ত তথ্য 


৯। সবচেয়ে পুরানো জীবাশ্মটি আবিষ্কৃত হয়েছে ? 


ক) অস্ট্রেলিয়ায় 


খ) উত্তর আমেরিকায়


গ) দক্ষিণ আমেরিকায় 


ঘ) আফ্রিকায় 



উত্তর : ঘ) আফ্রিকায় 



১০। কার্বন ১৪ পদ্ধতির দ্বারা কাল নির্ণয় করা হয় ? 


ক) লোহার 


খ) জৈব প্রত্নের


গ) মুদ্রার 


ঘ) পাথরের 



উত্তর : ঘ) পাথরের




১১। প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদানকে ভাগ করা যায় ? 


ক) দুটি ভাগে 


খ) তিনটি ভাগে


গ) চারটি ভাগে


ঘ) কোনোটিই নয়



উত্তর : গ) চারটি ভাগে


১২। ইতিহাস রচনার মূল ভিত্তি হল ? 


ক) অর্থনৈতিক 


খ) সামাজিক 


গ) অলিখিত 


ঘ) লিখিত 



উত্তর : ঘ) লিখিত 


১৩। সবচেয়ে প্রাচীন শিলালিপিটি পাওয়া গেছে ? 


ক) রাশিয়ার কাজাস্তানে 


খ) এশিয়ার হিন্দুস্তানে


গ) ইরানের বেহিস্তানে


ঘ) পাকিস্তানে 



উত্তর : গ) ইরানের বেহিস্তানে


১৪। অশোকের শিলালিপি পাঠোদ্ধার করেন ? 


ক) জেমস প্রিন্সপ


খ) এ. এল. ব্যাসাম 


গ) দয়ারাম সাহানি


ঘ) হোমার



উত্তর : ক) জেমস প্রিন্সপ


১৫। ভারতবর্ষে যে লিপির প্রথম পাঠোদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে তাহলো ? 



ক) আরামাইক লিপি 


খ) দেবনাগরী


গ) তামিল লিপি 


ঘ) ব্রাহ্মী লিপি 



উত্তর : ঘ) ব্রাহ্মী লিপি 





১৬। ‘সোহগোর তাম্রলিপি’ আবিষ্কৃত হয়েছে ? 


ক) চিনে 


খ) মিশরে 


গ) সুমেরে 


ঘ) ভারতে 



উত্তর : ঘ) ভারতে


১৭। হায়ারোগ্লিফিক প্রাচীন কোন দেশের লিপি ছিল ? 


ক) মিশরের 


খ) সুমেরের 


গ) গ্রিসের 


ঘ) মেসোপটেমিয়ার 



উত্তর : ক) মিশরের



১৮। পৃথিবীর বৃহত্তম মহাকাব্য হল ? 


ক) ইলিয়াড 


খ) ওডিসি


গ) মহাভারত  


ঘ) রামায়ণ  



উত্তর : গ) মহাভারত


১৯। পৃথিবীর প্রাচীনতম মহাকাব্য হল ? 


ক) ইলিয়াড 


খ) গিলগামেশ


গ) রামায়ণ 


ঘ) মহাভারত 



উত্তর : খ) গিলগামেশ


২০। রাজতরঙ্গিনি গ্রন্থটি থেকে কোন অঞ্চলের ইতিহাস জানা যায় ? 


ক) গুজরাট 


খ) বাংলা 


গ) মহারাষ্ট্র


ঘ) কাশ্মীর 



উত্তর : ঘ) কাশ্মীর




২১। ‘ইন্ডিকা’র রচয়িতা ছিলেন ? 


ক) মেগাস্থিনিস


খ) কৌটিল্য 


গ) চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য 


ঘ) সেলুকাস 



উত্তর : ক) মেগাস্থিনিস


২২। ‘রাসমালা’ গ্রন্থটির রচয়িতা হলেন ? 


ক) অরিসিংহ


খ) সোমেশ্বর 


গ) মেরুতুঙ্গ 


ঘ) শ্রীধর ভট্ট



উত্তর : খ) সোমেশ্বর


২৩। ইনিড কাব্য গ্রন্থের রচয়িতা হলেন ? 


ক) হোমার


খ) ভার্জিল 


গ) টাসিটাস 


ঘ) লিভি 



উত্তর : খ) ভার্জিল


২৪। ‘গিলগামেশ’ মহাকাব্যটি লিখিত ? 


ক) মিশরীয় ভাষায় 


খ) সুমেরীয় ভাষায়


গ) ভারতীয় ভাষ্য


ঘ) চৈনিক ভাষায় 



উত্তর : খ) সুমেরীয় ভাষায় 


২৫। ‘Wealth of Nation’ গ্রন্থের লেখক ? 


ক) অ্যাডাম স্মিথ 


খ) মন্তেস্কু 


গ) জন লক 


ঘ) কোয়েসনে 



উত্তর : ক) অ্যাডাম স্মিথ




২৬। নিম্নবর্গের ইতিহাসচর্চার সঙ্গে যুক্ত ঐতিহাসিক হলেন ? 


ক) রমেশচন্দ্র মজুমদার


খ) রণজিৎ গুহ 


গ) লাদুরি 


ঘ) জন স্টুয়ার্ট মিল 



উত্তর : খ) রণজিৎ গুহ


২৭। জনশ্রুতি অনুযায়ী ভারতীয় পুরাণগুলি রচনা করেন ? 


ক) ঋষিরা 


খ) দেবতারা 


গ) রাজারা 


ঘ) লেখকরা 



উত্তর : ক) ঋষিরা


২৮। ভারতে কটি পুরান আছে ? 


ক) ১৫ টি 


খ) ১৬ টি 


গ) ১৮ টি 


ঘ) ২২ টি 



উত্তর : গ) ১৮ টি 


২৯। ভারতে যুগ বিভাজনের চতুর্থ পর্যায়টি হল ? 


ক) দ্বাপর 


খ) কলি 


গ) সত্য 


ঘ) ত্রেতা 



উত্তর : খ) কলি


৩০। কালচক্র ধারণার প্রবক্তা ছিল ? 


ক) ভারতীয়রা 


খ) চিনারা


গ) সুমেরিয়রা 


ঘ) আমেরিকানরা 



উত্তর : ক) ভারতীয়রা




৩১। ইউরোপে মধ্যযুগের সূচনা হয় ? 


ক) ৪২৬ খ্রি:


খ) ৪৪৬ খ্রি:


গ) ৪৭৬ খ্রি:


ঘ) ৪৮৬ খ্রি:



উত্তর : গ) ৪৭৬ খ্রি:


৩২। ‘অন্ধকার যুগ’ কথাটি প্রথম ব্যাবহার করেছেন ? 


ক) সেন্ট লুই 


খ) সেন্ট পল 


গ) কাল মার্কস 


ঘ) পেত্রাক



উত্তর : ঘ) পেত্রাক


৩৩। যুগ বিভাজনের ধারণাটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ? 


ক) একই রকম 


খ) দেশভিত্তিক 


গ) প্রায় একইরকম 


ঘ) পৃথক 



উত্তর : ঘ) পৃথক