‘তােমার এই অসামান্য সাহস দেখে উপাধ্যায়মশায়ের মুখে আর কথা নেই ।’ এখানে কার সাহসের কথা বলা হয়েছে ? সে কীভাবে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছিল ? উপাধ্যায়ের মুখে কথা নেই কেন ?
উত্তর : এখানে যার সাহসের কথা বলা হয়েছে , সে হল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘গুরু’ নাটকের ‘ অচলায়তন ’- এর অন্যতম শিক্ষার্থী সুভদ্র ।
[ ] সুভদ্র কৌতূহলবশে অচলায়তনের উত্তরদিকের জানালা খুলে বাইরের দৃশ্য দেখে ।অচলায়তনের বিধান অনুযায়ী এ এক ভয়ানক পাপ কাজ । আচলায়তনের উত্তরদিক একজটা দেবীর । জানালা খােলার ফলে উত্তরদিকের প্রবেশ করা বাতাস নাকি ওদিকের সমস্ত যজ্ঞপাত্রকে কলুষিত করেছে । এজন্য সুভদ্র নাকি মহাপাপী । তাকে কঠোর প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে । কিন্তু পঞকের অভিমত হল ওই কাজ সুভদ্রের পাপকাজ নয়, বরং তার সাহসিকতার পরিচয় । সে ওই কাজের দ্বারা তিনশাে পঁয়তাল্লিশ বছরের আগল দিয়েছে ঘুচিয়ে । অচলায়তনে গুরুর আসার পথ করেছে প্রশস্ত ।
[ ] উপাধ্যায় কিন্তু পঞকের মতাে উদার ও খােলা মনের মানুষ নন । তিনি নানাবিধ সংস্কারের জালে আবদ্ধ । কাজেই সুভদ্রের অত বড়াে পাপ কাজের কথা শুনে তিনি স্তম্ভিত ও বাকরুদ্ধ । তিনি ভেবে পাচ্ছেন না ওই মহাপাপের কী প্রায়শ্চিত্ত হতে পারে ! অচলায়তনই বা কতখানি অশুচি হয়েছে ? অশুচিতা দূর করে কীভাবে শুচিতা ফিরে আসবে ।
কোন মন্তব্য নেই