রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২

‘তােমার এই অসামান্য সাহস দেখে উপাধ্যায়মশায়ের মুখে আর কথা নেই ।’ এখানে কার সাহসের কথা বলা হয়েছে ? সে কীভাবে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছিল ? উপাধ্যায়ের মুখে কথা নেই কেন ?

একাদশ শ্রেণী বাংলা প্রশ্নোত্তর xi class 11 Bengali Question answer তােমার এই অসামান্য সাহস দেখে উপাধ্যায়মশায়ের মুখে আর কথা নেই এখানে কার সাহসের কথা বলা হয়েছে সে কীভাবে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছিল উপাধ্যায়ের মুখে কথা নেই কেন tomar ai asamanno sahosh dekhe upadhyaymoshaiyer mukhe ar kotha nei akhane kar sahoser kotha bola hoyeche se kivabe sahosikotar porichoy diyechilo


উত্তর : এখানে যার সাহসের কথা বলা হয়েছে , সে হল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘গুরু’ নাটকের ‘ অচলায়তন ’- এর অন্যতম শিক্ষার্থী সুভদ্র । 

[        ] সুভদ্র কৌতূহলবশে অচলায়তনের উত্তরদিকের জানালা খুলে বাইরের দৃশ্য দেখে ।অচলায়তনের বিধান অনুযায়ী এ এক ভয়ানক পাপ কাজ । আচলায়তনের উত্তরদিক একজটা দেবীর । জানালা খােলার ফলে উত্তরদিকের প্রবেশ করা বাতাস নাকি ওদিকের সমস্ত যজ্ঞপাত্রকে কলুষিত করেছে । এজন্য সুভদ্র নাকি মহাপাপী । তাকে কঠোর প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে । কিন্তু পঞকের অভিমত হল ওই কাজ সুভদ্রের পাপকাজ নয়, বরং তার সাহসিকতার পরিচয় । সে ওই কাজের দ্বারা তিনশাে পঁয়তাল্লিশ বছরের আগল দিয়েছে ঘুচিয়ে । অচলায়তনে গুরুর আসার পথ করেছে প্রশস্ত ।  

[        ] উপাধ্যায় কিন্তু পঞকের মতাে উদার ও খােলা মনের মানুষ নন । তিনি নানাবিধ সংস্কারের জালে আবদ্ধ । কাজেই সুভদ্রের অত বড়াে পাপ কাজের কথা শুনে তিনি স্তম্ভিত ও বাকরুদ্ধ । তিনি ভেবে পাচ্ছেন না ওই মহাপাপের কী প্রায়শ্চিত্ত হতে পারে ! অচলায়তনই বা কতখানি অশুচি হয়েছে ? অশুচিতা দূর করে কীভাবে শুচিতা ফিরে আসবে ।
 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন