রবিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২২

“অন্ধ গোঁড়ামির বিরােধিতা ও নতুন ভাবনাকে স্বাগত জানানাে তার লেখা বৈশিষ্ট্য ।” উদ্ধৃতিটির আলােকে ‘গুরু’ নাটকের বিষয়বস্তু সংক্ষেপে আলােচনা করাে ।

একাদশ শ্রেণী বাংলা প্রশ্নোত্তর xi class 11 Bengali Question answer অন্ধ গোঁড়ামির বিরােধিতা ও নতুন ভাবনাকে স্বাগত জানানাে তার লেখা বৈশিষ্ট্য উদ্ধৃতিটির  আলােকে গুরু নাটকের বিষয়বস্তু সংক্ষেপে আলােচনা করাে guru natoker bishoyabostu songkhepe alochona koro

উত্তর : রবীন্দ্র-ভাবনার বৈশিষ্ট্যই হল অন্ধ গোঁড়ামির বিরােধিতা এবং নবতন চিন্তাভাবনাকে স্বাগত জানানাে । একাধিক রবীন্দ্র - নাটকের কেন্দ্রীয় ভাববস্তু হল তাই । ‘ গুরু ’ নাটকে রবীন্দ্রনাথের এই ভাবনা আরও স্পষ্টাকারে প্রকাশিত । তাঁর ‘গুরু’ নাটকের বিষয়বস্তু পর্যালােচনা করলে এই সত্যতা পরিস্ফুট হয়ে উঠবে । 

[          ] স্থবিরপত্তনের শিক্ষায়তনটি অচলায়তন । অচল বা স্থবিরতাপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানটিতে আলাে ও বাতাস ঢােকার সব পথ বন্ধ । বৃহত্তর জগৎ ও জীবন থেকে পুরােপুরি বিচ্ছিন্ন । আয়তনিকরা যুক্তিহীন, প্রাণহীন অভ্যাস ও গোঁড়ামির দাস । তন্ত্রমন্ত্রের অন্ধ অনুগত । নানা বিধিনিষেধের শৃঙ্খলে আষ্টেপৃষ্ঠে আবদ্ধ । অন্ধতা , অজ্ঞানতা ও সংকীর্ণতার ঘেরাটোপে ঢাকা । নানা আচার - অনুষ্ঠান, প্রথা ও পুথির চাপে তারা পিষ্ট । নিয়ম ও রীতির সামান্যতম লঙ্ন হলেই প্রায়শ্চিত্তের জাঁতাকলে পিষ্ট হতে হয় । এভাবে রক্ষণশীলতার গণ্ডিতে আবদ্ধ হয়ে প্রাণহীন স্থবিরে পরিণত হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি । 




[         ] ‘ গুরু ’ নাটকে এরই বিরুদ্ধে নবীন প্রাণের নব চেতনা ও নতুন ভাবনার অভিঘাতে নাটকে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি–অন্ধ গোঁড়ামির বিরুদ্ধে নতুন ভাবনার ঘােরতর সংঘাত । পঞ্চক হল নবীন প্রাণের প্রতীক , নতুনের অগ্রদূত । সে যেন মূর্তিমান বিদ্রোহ । সে যেন মুক্তপ্রাণের স্পন্দন । ‘গুরু’- র উপস্থিতিতে অচলায়তনের আচার - অনুষ্ঠান সর্বস্ব অন্ধত্ব ও গোঁড়ামির প্রাচীর যে ভেঙে পড়বে , পঞকই যেন তার প্রস্তুতিপর্ব সেরে রাখে তার নতুন প্রাণের নবতন ভাবনা ও চেতনার প্রবাহে । অন্ধত্ব গোঁড়ামির ধ্বংসস্তুপের ওপর নতুন ভাবনা ও চেতনার যে মন্দির গড়ে উঠবে , পঞ্চকই হবে তার ঋত্বিক ।
 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন