রাষ্ট্রবিজ্ঞান লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
রাষ্ট্রবিজ্ঞান লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বুধবার, ৬ জুলাই, ২০২২

সার্বিক প্রাপ্তবয়স্কের ভোটাধিকার McQ প্রশ্নোত্তর

 

একাদশ শ্রেণী class xi 11 eleven সার্বিক প্রাপ্তবয়স্কের ভোটাধিকার McQ প্রশ্নোত্তর রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশন political science sarbik prapto boyosker votadhikar MCQ question answer


১। ভারতে ভোটদাতাকে অবশ্যই কত বছর বয়সী হতে হবে ?


ক) ১৮ বছর


খ) ১৯  বছর


গ) ২১ বছর


ঘ) ২৩ বছর


উত্তর:- ক) ১৮ বছর

২। ভোটধিকার কীরূপ অধিকার  ?


ক) সামাজিক অধিকার 


খ) রাজনৈতিক অধিকার 


গ) ব্যাক্তিগত অধিকার 


ঘ) জন্মগত অধিকার 


উত্তর:- খ) রাজনৈতিক অধিকার


৩। ভারতের রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতির পদের নির্বাচন কার বা কাদের দ্বারা পরিচালিত হয় ?


ক) লোকসভার অধ্যক্ষ


খ) রাজ্যসভার ডেপুটি স্পিকার


গ) রাজ্যসভার চেয়ারম্যান 


ঘ) নির্বাচন কমিশন 


উত্তর:- ঘ) নির্বাচন কমিশন


৪। ভারতে কবে থেকে নারীর ভোটাধিকার স্বীকৃত হয়েছে ?


ক) প্রথম সাধারণ নির্বাচন 


খ) দ্বিতীয় সাধারণ নির্বাচন 


গ) তৃতীয় সাধারণ নির্বাচন 


ঘ) চতুর্থত সাধারণ নির্বাচন


উত্তর:- ক) প্রথম সাধারণ নির্বাচন


৫। ভারতে স্বীকৃত ?


ক) সর্বজনীন প্রাপ্তবয়স্কের ভোটাধিকার 


খ) শিক্ষার ভিত্তিতে ভোটাধিকার


গ) সাক্ষরতার ভিত্তিতে ভোটাধিকার


ঘ) সম্পত্তির ভিত্তিতে ভোটাধিকার 


উত্তর:- ক) সর্বজনীন প্রাপ্তবয়স্কের ভোটাধিকার 

৬। ভারতে সর্বপ্রথম সার্বিক প্রাপ্ত বয়স্কের ভোটাধিকারের ভিত্তিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় কত সালে ?


ক) ১৯৪৭ 


খ) ১৯৫০ 


গ) ১৯৫২ 


ঘ) ১৯৫৩ 


উত্তর:- ক) ১৯৪৭ 


৭। ________ হলেন নারীর ভোটাধিকারের প্রবক্তা ?


ক) জন স্টুয়ার্ট মিল 


খ) ব্লুন্টসলি 


গ) মেকলে 


উত্তর:- ক) জন স্টুয়ার্ট মিল


৮। ভোট দান করা নাগরিকের একটি 


ক) রাজনৈতিক কর্তব্য


খ) নৈতিক কর্তব্য


গ) আইনগত কর্তব্য


ঘ) সামাজিক কর্তব্য


উত্তর:- খ) নৈতিক কর্তব্য


৯। কোন অধিকার নাগরিকদের জন্মগত অধিকার ?


ক) রাজনৈতিক অধিকার


খ) স্বাভাবিক  অধিকার


গ) সামাজিক অধিকার


ঘ) ভোটাধিকার 


উত্তর:- ঘ) ভোটাধিকার


১০। ভারতে কীসের অভাব সংসদীয় গণতন্ত্র কে দূর্বল করেছে ?


ক) শিক্ষিত জনগণের 


খ) রাজনৈতিক চেতনার 


গ) উপযুক্ত পরিবেশের 


ঘ) শক্তিশালী বিরোধী দলের 


উত্তর:- ঘ) শক্তিশালী বিরোধী দলের

১১। ভারতে আজও প্রায় কতজন নাগরিক ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন না ?


ক) শতকরা ২০ ভাগ 


খ) শতকরা ৩০ ভাগ 


গ) শতকরা ৪০ ভাগ 


ঘ) শতকরা ৫০ ভাগ 


উত্তর:- গ) শতকরা ৪০ ভাগ


১২। ভারতীয় সংবিধানের ভোটাধিকারের কথা বলা হয়েছে ?


ক) দ্বাদশ অংশে 


খ) ত্রয়োদশ অংশে


গ) চতুর্দশ অংশে


ঘ) পঞ্চদশ অংশে


উত্তর:- ঘ) পঞ্চদশ অংশে


১৩। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে________বছর বা তার বেশি বয়সী নাগরিকদের ভোটাধিকার প্রদান করা হয়েছে ?


ক) ২১ 


খ) ১৮ 


গ) ২০ 


ঘ) ১৬ 


উত্তর:- খ) ১৮


১৪। ভোটাধিকার না থাকলে নাগরিকরা _____ সম্পর্কে উদাসীন হয়ে পড়বে ।


ক) সমাজনীতি 


খ) রাজনীতি 


গ) অর্থনীতি 


ঘ) আইন 


উত্তর:- খ) রাজনীতি


১৫) কত সালের নির্বাচনে কেন্দ্রে কংগ্রেস দলের একক প্রাধান্যে ক্ষুণ্ন হয়েছিল ?


ক) ১৯৭৭ 


খ) ১৯৭৯ 


গ) ১৯৮০ 


ঘ) ১৯৮৯ 


উত্তর:- ক) ১৯৭৭

১৬। ভারতে শতকরা প্রায় কত শতাংশ মানুষ নিরক্ষর ?


ক) ৩০ 


খ) ৩২ 


গ) ২৬ 


ঘ) ৩৬ 


উত্তর:- ঘ) ৩৬


১৭। ১৯৭৫ সালে তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নির্বাচন কে অবৈধ বলে _________ হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল ।


ক) দিল্লি 


খ) লখনউ


গ) এলাহাবাদ 


ঘ) হায়দ্রাবাদ 


উত্তর:- গ) এলাহাবাদ


১৮। নির্বাচনে অসাধু আচরণের জন্য ভারতের যে রাজ্য ১০ বছরের জন্য ভোটাধিকার খর্ব করা হয় , তা হল ?


ক) পশ্চিমবঙ্গ


খ) উত্তর প্রদেশ 


গ) জম্মু ও কাশ্মীর 


ঘ) অন্ধ্রপ্রদেশ


উত্তর:- গ) জম্মু ও কাশ্মীর


১৯। কোন দেশে মহিলাদের ভোটাধিকার এখনও স্বীকৃত নয় ?


ক) কুয়েত 


খ) সৌদি আরব 


গ) ইয়েমেন 


ঘ) কাতার 


উত্তর:- খ) সৌদি আরব


২০। মূল সংবিধানে ভারতীয় নাগরিকদের ভোটদানের বয়স ছিল ?


ক) ১৪ বছর 


খ) ২০ বছর


গ) ২১ বছর 


ঘ) ২৫ বছর 


উত্তর:- গ) ২১ বছর

২১। ভারতের নারীর ভোটাধিকার স্বীকৃত হয়  ?


ক) 1947 খ্রি:


খ) 1952 খ্রি:


গ) 1955 খ্রি:


ঘ) 1975 খ্রি:


উত্তর:- খ) 1952 খ্রি:


২২। ভারতের নির্বাচন সংক্রান্ত বিরোধ মীমাংসা করে   ?


ক) আইনসভা 


খ) নির্বাচন কমিশন 


গ) বিচার বিভাগ 


ঘ) প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় 


উত্তর:- গ) বিচার বিভাগ


২৩। কারা ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ?


ক) ১৮ বছরের কম বয়স্ক জনগন 


খ) অশিক্ষিত জনগন 


গ) দরিদ্র জনগন 


ঘ) নিম্ন সম্প্রদায়ভুক্ত জনগন 


উত্তর:- ক) ১৮ বছরের কম বয়স্ক জনগন 


২৪। বিধানসভা ও লোকসভায় নির্বাচনে প্রাথীদের বয়স কমপক্ষে ______ বছর হওয়া উচিত ?


ক) ২৫ বছর 


খ) ২৬ বছর 


গ) ২৭ বছর


ঘ) ২৮ বছর


উত্তর:- ক) ২৫ বছর


২৫। ভারতের নির্বাচন কমিশন কতজন সদস্য বিশিষ্ট ?


ক) এক 


খ) দুই 


গ) তিন 


ঘ) বহু 


উত্তর:- ঘ) বহু

২৬। ভারতের অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার কে নিয়োগ করেন কে ?


ক) মুখ্য নির্বাচন কমিশনার 


খ) রাষ্ট্রপতি 


গ) কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা 


ঘ) প্রধানমন্ত্রী 


উত্তর:- খ) রাষ্ট্রপতি


২৭। ভারতে নির্বাচন প্রাথীদের প্রতীক চিহ্ন দেয় কে ?


ক) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতর 


খ) নির্বাচন কমিশন 


গ) কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা 


ঘ) সুপ্রিমকোর্ট 


উত্তর:- খ) নির্বাচন কমিশন


২৮। ভারতের নির্বাচন কমিশনের সদস্য দের কার্যকালের মেয়াদ 


ক) তিন বছর 


খ) পাঁচ বছর


গ) ছয় বছর


ঘ) সাত বছর 


উত্তর:- গ) ছয় বছর


২৯। ভারতের নির্বাচন কমিশনারগণ কার সমান বেতন , ভাতা ইত্যাদি পাবেন ?


ক) প্রধানমন্ত্রীর 


খ) হাইকোর্টের বিচারপতির 


গ) সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতির 


ঘ) রাজ্যপালের 


উত্তর:- গ) সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতির


৩০। নির্বাচন কমিশনের সুপারিশ ও পরামর্শ মেনে নিতে ________ বাধ্য নয় ।


ক) কেন্দ্রীয় সরকার 


খ) রাজ্য সরকার 


গ) রাষ্ট্রপতি 


ঘ) রাজ্যপাল 


উত্তর:- ক) কেন্দ্রীয় সরকার

৩১। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার কে তাঁর কর্ম থেকে অপসারিত করতে পারেন ।


ক) রাষ্ট্রপতি 


খ) প্রধানমন্ত্রী 


গ) আইনসভার সদস্য ও রাষ্ট্রপতি 


ঘ) এদের কেউ নয় 


উত্তর:- গ) আইনসভার সদস্য ও রাষ্ট্রপতি

৩২। ব্যালটের ব্যাবহার ছাড়াও ভারতে ________এর মাধ্যমে ভোট গৃহীত হয় ।

ক) ফেসবুক 

খ) টুইটার 

গ) বৈদ্যুতিন ভোটদান যন্ত্র ( ইভিএম )


উত্তর:- গ) বৈদ্যুতিন ভোটদান যন্ত্র ( ইভিএম )

মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১

যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার বলতে কি বোঝ ? এর মূল বৈশিষ্ট্য গুলি আলোচনা করো

 

একাদশ শ্রেণী class 11 xi eleven যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার বলতে কি বোঝ এর মূল বৈশিষ্ট্য গুলি আলোচনা করো প্রশ্নোত্তর political science ruktorastriyo sorkar bolte ki bojho ar mul boishishto guli alochona koro


প্রশ্ন : যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার বলতে কি বোঝ ? এর মূল বৈশিষ্ট্য গুলি আলোচনা করো ।


উত্তর:- ক্ষমতা বিকেন্দ্রকরনের নীতির ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের উদ্ভব ঘটে । অধ্যাপক কে সি হোয়ার এর মতে , যুক্তরাষ্ট্র বলতে সেই শাসন ব্যাবস্থাকে বোঝায় যেখানে সংবিধান কতৃক কেন্দ্রীয় সরকার ও আঞ্চলিক সরকার গুলির মধ্যে এমনভাবে ক্ষমতা বন্টন করা হয় যাতে উভয় সরকার নিজ নিজ প্রশাসনিক এলাকায় স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে । রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বাঁচ  যুক্তরাষ্ট্রের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেছেন , যুক্তরাষ্ট্র হল সেই শাসন ব্যাবস্থা যেখানে যাবতীয় ক্ষমতা একটি কেন্দ্রীয় সরকার ও কয়েকটি আঞ্চলিক সরকারের মধ্যে এমনভাবে বণ্ঠিত হয় যাতে এই দু ধরনের সরকার পরস্পরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করতে পারে এবং নিজেদের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে উভয়ই প্রত্যক্ষ ভাবে জনগন কে শাসন করতে পারে ।

প্রসঙ্গগত বলা যায় , সাধারনত দুটি পদ্ধতিতে যুক্তরাষ্ট্র গড়ে ওঠে । একটি হল বিভক্তি করণের প্রক্রিয়া , যার মাধ্যমে কোনো এক কেন্দ্রিক রাষ্ট্র কয়েকটি অঙ্গরাজ্য বিভক্ত হয়ে একটি যুক্তরাষ্ট্র  গঠন করে । অন্যটি হল সংহতি সাধনের প্রক্রিয়া  , যার মাধ্যমে কয়েকটি সার্বভৌম রাষ্ট্র একত্রিত হয়ে নিজেদের মধ্যে চুক্তির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র গঠন করে ।



যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের বৈশিষ্ট্য সমূহ 


এক বিশেষ ধরনের শাসন ব্যাবস্থা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য রয়েছে । সেই বৈশিষ্ট্য গুলি হল 


দু ধরনের সরকারের উপস্থিতি : যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থায় কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক এই দু ধরনের সরকারের সহাবস্থান লক্ষ করা যায় । সমগ্র দেশের শাসন কার্য পরিচালনার দায়িত্ব থাকে কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে । অন্যদিকে , বিভিন্ন অঞ্চলের শাসনের দায়িত্ব থাকে বিভিন্ন আঞ্চলিক বা অঙ্গরাজ্যের সরকারের হাতে ।



ক্ষমতা বন্টন : ক্ষমতা বন্টন যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থার অন্যতম অপরিহার্য বৈশিষ্ট্য । এখানে লিখিত সংবিধানের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক সরকার গুলির মধ্যে শাসন ক্ষমতা সুনির্দিষ্ট ভাবে বণ্টন করা হয় ।



সংবিধান প্রাধান্য : সংবিধানকে দেশের সর্বোচ্চ মৌলিক আইনের স্বীকৃতি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে সংবিধানের প্রাধান্য স্বীকার করা হয় । এ খানে কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক উভয় সরকারই সংবিধান অনুযায়ী শাসন কার্য পরিচালনা করতে বাধ্য । সংবিধানই এ খানে সমস্ত ক্ষমতার উৎস ।


যুক্তরাষ্ট্রীয় আদালত : সংবিধানের অভিভাবক ও চূড়ান্ত ব্যাখ্যা কর্তা যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থার একটি অপরিহার্য বৈশিষ্ট্য । কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক সরকার গুলির মধ্যে ক্ষমতা সম্পর্কিত বিষয়ে সৃষ্ট যে কোনো বিরোধের চূড়ান্ত মীমাংসা কর্তা হল এই আদালত । উভয় সরকারের কাজকর্ম সংবিধান অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে কিনা তা দেখার দায়িত্ব ও যুক্তরাষ্ট্রীয় আদালতের ।


দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা : যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থার আর একটি লক্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হল দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা । আইনসভার নিম্নকক্ষ হল জনপ্রতিনিধিত্বমূলক কক্ষ , আর উচ্চকক্ষ হল অঙ্গরাজ্য গুলির প্রতিনিধিত্বমূলক কক্ষ । উচ্চকক্ষে ছোটো বড়ো নির্বিশেষে প্রতিটি অঙ্গরাজ্যের সমসংখ্যক প্রতিনিধিত্বকে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম নীতি বলে মনে করা হয় ।


স্বতন্ত্র রাজস্বব্যবস্থা : যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থায় কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক উভয় সরকারেরই পর্যাপ্ত আর্থিক সংগতি থাকা প্রয়োজন । নতুবা কোনো সরকারের পক্ষেই সুষ্ঠ ভাবে দায়দায়িত্ব পালন করা সম্ভব হয় না । সেজন্য কেন্দ্র ও রাজ্যের জন্য স্বতন্ত্র রাজস্ব ব্যবস্থার উল্লেখ যুক্তরাষ্ট্রীয় সংবিধানের একটি গুরুত্ব পূর্ন বৈশিষ্ট্য ।




স্বতন্ত্র সংবিধান : অঙ্গরাজ্য গুলির জন্য পৃথক সংবিধানের অস্তিত্ব যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য । উদাহরণ স্বরূপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৫০ টি অঙ্গরাজ্যের জন্য ৫০ টি স্বতন্ত্র সংবিধান আছে । অবশ্য অঙ্গরাজ্যের সংবিধান কে জাতীয় সংবিধানের সঙ্গে সংগতি পূর্ন হতে হয় ।


দ্দ্বৈত নাগরিকত্ব : বিশ্বের কোনো রাষ্ট্রে দ্দ্বৈত নাগরিকত্ব স্বীকৃত । দ্দ্বৈত নাগরিকত্ব বলতে একই সঙ্গে সমগ্র দেশের ও নিজ নিজ রাজ্যের নাগরিকত্ব কে বোঝায় । অবশ্য দ্দ্বৈত নাগরিকত্বকে অপরিহার্য বৈশিষ্ট্য বলে স্বীকার করা হয় না ।

সোমবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১

রাষ্ট্র ও সমাজের পার্থক্য ব্যাখ্যা করো

 

একাদশ শ্রেণী class 11 xi eleven রাষ্ট্র ও সমাজের পার্থক্য ব্যাখ্যা করো প্রশ্নোত্তর rastro o somajer parthokko bakkha koro questions answer political science suggestions

প্রশ্ন : রাষ্ট্র ও সমাজের পার্থক্য ব্যাখ্যা করো । 


উত্তর:- বর্তমানে রাষ্ট্র ও সমাজকে এক বলে মনে করা হয় না । আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানী গণ এবং মার্কসবাদী রাষ্ট্রবিজ্ঞানী গণও রাষ্ট্র ও সমাজ কে এক বলে মনে করেন না । রাষ্ট্র হল বিশেষ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য সৃষ্ট এক প্রতিষ্ঠান । অন্যদিকে , সমাজ বলতে স্বেচ্ছায় প্রতিষ্ঠিত সংঘের সমষ্টিকে বোঝায় । রাষ্ট্র ও সমাজের মধ্যে নিম্নলিখিত পার্থক্য গুলি লক্ষ করা যায় ।

উদ্ভব : রাষ্ট্রের তুলনায় সমাজের উদ্ভব আগে হয়েছে  । রাষ্ট্র সৃষ্টির অনেক আগে থেকেই সমাজের অস্তিত্ব পরিলক্ষিত হয় । পক্ষান্তরে, সামাজিক বিবর্তনের একটি স্তরে রাষ্ট্রের উদ্ভব হয়েছে ।


উদ্দেশ্য : রাষ্ট্রের উদ্দেশ্য হল , তার সদস্যদের কল্যাণ সাধন করা । আদিম মানুষের সুন্দর ও স্বয়ং সম্পূর্ন জীবন যাপনের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্র গড়ে উঠেছে । অন্যদিকে , সমাজের আর্থিক , নৈতিক , ধর্মীয় ইত্যাদির বহু উদ্দেশ্য বর্তমান । বহুবিধ উদ্দেশ্য সমাজের নানাবিধ সংগঠনের মাধ্যমে সাধিত হয় ।


ব্যাপকতা : রাষ্ট্রের তুলনায় সমাজের উদ্দেশ্য অনেক ব্যাপক । রাষ্ট্র কেবল মাত্র বিশেষ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য গড়ে উঠেছে । কিন্তু সমাজ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সমন্দয়ে গড়ে উঠেছে । ওই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রাষ্ট্র হল একটি প্রতিষ্ঠান । 


সদস্যপদ : কোনো নাগরিক কে তার রাষ্ট্রের সদস্য হতেই হয় । অন্যভাবে বলা যায় যে , রাষ্ট্রের সদস্য পদ গ্রহণ করা বাধ্যতামূলক । তবে কোনো ব্যাক্তি একই সঙ্গে একাধিক রাষ্ট্রের সদস্য হতে পারে না । অন্যদিকে , সমাজ হল বহু সংগঠনের সমষ্টি । কোনো ব্যক্তি তাঁর প্রয়োজন পূরণের জন্য এক বা একাধিক সামাজিক সংগঠনের সদস্য হতে পারে । সামাজিক সংগঠনের সদস্য পদ গ্রহণ করা বাধ্যাতামূলক নয় ।

সরকার : রাষ্ট্র গড়ে ওঠার জন্য সরকার আবশ্যক । সরকারের মাধ্যমেই রাষ্ট্রের উদ্দেশ্য বাস্তবায়িত হয় । অর্থাৎ , সরকারের মাধ্যমেই রাষ্ট্র মূর্ত হয়ে ওঠে । পক্ষান্তরে , সমাজ গড়ে ওঠার জন্য সরকারের প্রয়োজন হয় না । সমাজের সদস্যগণ নিজেরাই সামাজিক কার্যকলাপ পরিচালনা করেন ।


ভূখন্ড : রাষ্ট্র গড়ে ওঠার জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান হল ভূখন্ড । নির্দিষ্ট ভূখন্ড ছাড়া রাষ্ট্র গঠনের কথা কল্পনাই করা যায় না । কিন্তু সমাজ গড়ে ওঠার জন্য নির্দিষ্ট ভূখণ্ডের আবশ্যকতা নেই ।

বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১

একাদশ শ্রেণী রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশন

 

একাদশ শ্রেণী class xi 11 eleven political science suggestions রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশন


                    প্রতিটি প্রশ্নের মান : ৮ 


১। রাষ্ট্রবিজ্ঞান কী বিজ্ঞান ? এর পক্ষে ও বিপক্ষে যুক্তি দাও ।


২। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংজ্ঞা দিয়ে । রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আলোচনাক্ষেত্রের পরিধি বিশ্লেষণ করো ।

৩। রাষ্ট্রের প্রধান উপাদান গুলি বিশ্লেষণ করো ।


৪। রাষ্ট্র ও সমাজের পার্থক্য করো ।


৫। রাষ্ট্রের উৎপত্তি সংক্রান্ত বল প্রয়োগ মতবাদ আলোচনা করো ।


৬। রাষ্ট্রের উৎপত্তি সম্পর্কে বিবর্তনবাদ বা ঐতিহাসিক মতবাদ আলোচনা করো ।

৭। সংবিধান কাকে বলে ? সংবিধানের শ্রেণী বিভাজন করো ।


৮। লিখিত ও অলিখিত সংবিধানের মধ্যে পার্থক্য ব্যাখ্যা করো ।


৯। ভারতীয় সংবিধানের অপরিহার্য বৈশিষ্ট্য গুলি আলোচনা করো ।


১০। যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার বলতে কি বোঝ ? এর মূল বৈশিষ্ট্য গুলি আলোচনা করো ।


১১। অধিকার বলতে কি বোঝ ? পৌর অধিকার ও রাজনৈতিক অধিকার সম্পর্কে আলোচনা করো ।


১২। ভারতের সংবিধানে স্বীকৃত সাম্যর অধিকারটি আলোচনা করো ।


১৩। নির্দেশ মূলক নীতি বলতে কি বোঝ ? সংক্ষেপে গুরুত্বপূর্ন নির্দেশমূলক নীতি গুলি উল্লেখ করো ।


১৪। মৌলিক অধিকার ও নির্দেশ মূলক নীতির মধ্যে পার্থক্য গুলি লেখো ।

বুধবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১

ভারতের সংবিধানে স্বীকৃত সাম্যর অধিকারটি আলোচনা করো ।

 

একাদশ শ্রেণী class 11 xi eleven ভারতের সংবিধানে স্বীকৃত সাম্যর অধিকারটি আলোচনা করো প্রশ্নোত্তর india songbidhane swikrito sammer odhikarti alochona koro questions answer

প্রশ্ন: ভারতের সংবিধানে স্বীকৃত সাম্যর অধিকারটি আলোচনা করো ।

উত্তর:- ভারতীয় সংবিধানে ১৪-১৮ নং ধারায় সাম্যর অধিকার ঘোষিত ও স্বীকৃত হয়েছে ।


[ ১  ] আইনগত সাম্য প্রতিষ্ঠা : সংবিধানের ১৪নং ধারায় দুটি অধিকারের উল্লেখ রয়েছে 



[  i  ] আইনের দৃষ্টিতে সমতা : আইনের দৃষ্টিতে সমতার অর্থ হল সব নাগরিক আইনের চোখে সমান । ক্ষমতা , পদমর্যাদা ও অবস্থা নির্বিশেষে কোনো ব্যক্তি দেশের আইনের ঊর্ধেব নয় । কিন্তু ভারতীয় সংবিধানে " আইনের দৃষ্টিতে সমতা " নীতির কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ব্যাতিক্রম রয়েছে । যেমন (১) সাধারণ নাগরিকের তুলনায় পুলিশ কর্মচারীরা ব্যাপক ক্ষমতা ভোগ করে থাকেন এবং (২) সংবিধানের ৩৬নং ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি  , প্রধানমন্ত্রী ও রাজ্যপালের বিরূদ্ধে ফৌজদারী মামলা দায়ের করা যায় না ।


[  ii  ] আইন কতৃক সমভাবে সংরক্ষিত হওয়ার অধিকার : আইন সমূহ কতৃক সমভাবে সংরক্ষিত হওয়ার অধিকারের মাধ্যমে সমপর্যায়ভুক্ত ব্যাক্তি দের ক্ষেত্রে আইন সমভাবে প্রযুক্ত হবে । এই অধিকারের অর্থ হল লোকের অবস্থা বা প্রকৃতির বিভিন্নতা বিচার করে প্রত্যেক আইনকে সব ব্যাক্তির ক্ষেত্রে সমভাবে প্রয়োগ করতে হবে । অবশ্য রাষ্ট্র যুক্তিযুক্ত ভাবে বিভিন্ন ব্যাক্তি কে শ্রেণী বিভক্ত করতে পারে এবং পৃথক পৃথক শ্রেণীর জন্য রাষ্ট্র পৃথক আইন প্রয়নয় করতে পারে । উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় , প্রত্যেকে সমান ভাবে কর দেবে এরূপ নয় । আয়কর নিধারণের ক্ষেত্রে ব্যাক্তি গণকে আয়ের পরিমাণ অনুযায়ী বিভিন্ন শ্রেণিতে ভাগ করে বিভিন্ন হারে আয়কর ধার্য করা হয় ।



[  ২  ] বৈষম্যমূলক আচরণ নিষিদ্ধকরন : সংবিধানের ১৫নং ধারায় বলা হয়েছে যে ধর্ম জাতি বর্ন স্ত্রী পুরুষ এবং জন্মস্থানজনিত কারণে কোনো নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্র বৈষম্যমূলক আচরণ করবে না । এছাড়া কোনো নাগরিককে উপরোক্ত যে কোনো করণের জন্য দোকান , সাধারণের ব্যাবহায রেস্তোরাঁ , হোটেল ও প্রমদস্থলে প্রবেশ এবং রাষ্ট্র কতৃক পূর্ণভাবে বা আংশিকভাবে তৈরী করা কূপ , জলাশয় , স্নানের ঘাট , রাস্তা ও আশ্রয়স্থল ব্যাবহার করার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা চলবে না । তবে রাষ্ট্র নারী , শিশু ও সামাজিক বা শিক্ষাগত দিক থেকে অনগ্রসর শ্রেণী সমূহ , তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য বিশেষ ব্যাবস্থা অবলম্বন করতে পারে ।


[   ৩  ] সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে সমানাধিকার : ১৬নং ধারায় বলা হয়েছে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে জাতি , ধর্ম , স্ত্রী , পুরুষ বংশধারা , বর্ন , জন্মস্থান বা বাসস্থানের ভিত্তিতে কোনো নাগরিকের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করা চলবে না । নিয়োগ ছাড়াও বেতন , ছুটি , পেনশন ক্ষেত্রে এই নিয়ম কার্যকর হবে । অবশ্য এই অধিকারের কিছু ব্যাতিক্রম আছে । যেমন 


(i ) ধর্ম বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত চাকরি সংশ্লিষ্ট ধর্মাবল্মিদের জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে ।


(ii) সংসদ আইন করে কোনো রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সরকারী চাকরীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে বসবাসগত যোগ্যতা কে আবশিক শর্ত হিসেবে আরোপ করতে পারে ।



[ ৪ ] উপাধি নিষিদ্ধকরন : সংবিধানে ১৮নং ধারায় নাগরিকদের মধ্যে গণতন্ত্র সুলভ সাম্য প্রতিষ্ঠাকল্পে বলা হয়েছে যে , কোনো ভারতীয় নাগরিক দেশী বা বিদেশী পদবি বা উপাধি গ্রহণ করতে পারবে না , কিন্ত সামরিক বা শিক্ষা সংস্কৃতিমূলক উপাধির ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না ।