বাংলা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
বাংলা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২

‘যিনি সব জায়গায় আপনি ধরা দিয়ে বসে আছেন তাকে একটা জায়গায় ধরতে গেলেই তাকে হারাতে হয় ।’ বক্তা কে ? মন্তব্যটির মর্মার্থ আলােচনা করাে ।

একাদশ শ্রেণী বাংলা প্রশ্নোত্তর xi class 11 Bengali Question answer যিনি সব জায়গায় আপনি ধরা দিয়ে বসে আছেন তাকে একটা জায়গায় ধরতে গেলেই তাকে হারাতে হয় বক্তা কে মন্তব্যটির মর্মার্থ আলােচনা করাে jini sob jaigai apni dhora diye bose achen take akta jaigai dhorte gelei take harate hoi bokta ke montbotor mormartho alochona koro



উত্তর : আলােচ্য উদ্ধৃতির বক্তা হলেন দাদাঠাকুর । তিনিই অচলায়তনে গুরু , যুনকপল্লিতে দাদাঠাকুর , দর্ভকদের মাঝে গোঁসাই । 

[         ] পরমাত্মা সর্বব্যাপী, সর্বভূতে তাঁর অধিষ্ঠান । নরের মধ্যে তিনি নারায়ণ । ভূমিতে অধিষ্ঠিত ভূমা । তাঁকে কোনাে সংকীর্ণ ঘেরাটোপে বাঁধা যায় না । বাঁধতে চাওয়া মস্ত ভ্রান্তি, মূর্খামির একশেষ । তিনি বন্ধন অসহিষ্ণু । তিনি কোনাে বাঁধনে বাঁধা থাকেন না । তাঁকে অচলায়তনের দুর্ভেদ্য প্রাচীরের সংকীর্ণ বেষ্টনীতে বাঁধতে গিয়ে আচার্যরা মহাভুল করেছেন । প্রাণের অবাধ প্রবেশের পথ বন্ধ করে তাঁরা পরমাত্মাকে নির্বাসিত করেছেন অচলায়তন থেকে । পুথিনির্ভরতা , আচারসর্বস্বতা , অর্থহীন মন্ত্রতন্ত্রে আস্থাস্থাপন ইত্যাদিকে প্রকৃত জ্ঞানচর্চা,সত্য উপলব্ধি ভেবে গতানুগতিক অভ্যাসের চক্রপথে কেবলই ঘুরপাক খেয়েছেন অচলায়তনের আচার্য ও তাঁর সহকর্মীরা । তাঁরা জানেন না চক্র কেবল এক জায়গায় ঘােরায় , তা সােজা পথ দেখায় না । যে পথে বিশ্বের সব যাত্রীর সহযাত্রী হওয়া যায় । ওই সহযাত্রীদের হৃদয়মন্দিরই তাে পরমাত্মার অধিষ্ঠানক্ষেত্র ।

 


সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আচার্য চরিত্রটি ‘গুরু’ নাটক অবলম্বনে বিশ্লেষণ করাে ।

একাদশ শ্রেণী বাংলা প্রশ্নোত্তর xi class 11 Bengali Question answer আচার্য চরিত্রটি গুরু নাটক অবলম্বনে বিশ্লেষণ করাে acharjya choritroti guru natok abolombone bishleshon koro


উত্তর : অচলায়তনের আচার্য হলেন অদীনপুণ্য । তিনি জ্ঞানতাপস । গুরু তাঁকে প্রাচীন ভারতীয় আদর্শে প্রতিষ্ঠিত শিক্ষায়তনের আচার্য পদে বসিয়েছিলেন । গুরু তারপর আর ফিরে আসেননি । জ্ঞানসাধনার প্রতিষ্ঠানটিকে আচার্য গুরুর নির্দেশিত আদর্শ অনুযায়ী গড়ে তােলেন । প্রতিষ্ঠানটি কালক্রমে আচার ও পুথিসর্বস্ব প্রাণহীন নীরস জ্ঞানচর্চার আখড়ায় পরিণত হয় । প্রাণহীন জ্ঞানচর্চায় আয়তনিক হয়ে পড়ে প্রাণচাঞ্চল্যহীন স্থবির । এই জড়ত্ব ও স্থবিরতা বৃদ্ধ আচার্যকে মানসিক অশান্তিতে ব্যথাতুর করে । তিনি বুঝতে পারেন নিষ্প্রাণ জ্ঞানচর্চার অসাফল্যের কথা । নিরুপায় বৃদ্ধ অন্তদাহে প্রতিটি মুহূর্তে জর্জরিত হতে থাকেন । 


[        ]  পঞকের সুদূরপিয়াসি মুক্ত প্রাণশক্তি আচার্যকে উদ্বুদ্ধ করে । পরম সত্যকে তিনি পঞকের মধ্যে খুঁজে পান । অচলায়তনের পাষাণকারায় দম বন্ধ করা বন্ধন থেকে মুক্তির দুরন্ত ক্ষমতাকে দেখতে পান । তিনি সােচ্চারে বলতে পারেন , ‘দরকার নেই— সুভদ্রকে কোনাে প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে না ।’ ‘যদি কোনাে অপরাধ ঘটে সে আমার ।’


[          ] বৃদ্ধ আচার্য আয়তনিকদের কাছে অকপটে স্বীকার করেছেন , শিক্ষার মধ্যে তাদের চাওয়া অমৃতবাণী দিতে না পারার অক্ষমতা ও অপরাধের কথা । সেজন্য তিনি প্রায়শ্চিত্ত করতে চান । ‘অপরাধের অন্ত নেই , অন্ত নেই , তার প্রায়শ্চিত্ত আমাকেই করতে হবে ।’ তাই গুরুর কাছে মুক্তিপিয়াসি বৃদ্ধ আচার্যের বিনীত প্রার্থনা— ‘এবার নিয়ে এসাে সেই বাণী, গুরু , নিয়ে এসাে হৃদয়ের বাণী । প্রাণকে প্রাণ দিয়ে জাগিয়ে দিয়ে যাও ।’ দর্ভকপলিতে নির্বাসিত জীবনে তিনি ফিরে পান হারিয়ে যাওয়া প্রাণের সজীবতা , জীবনের পূর্ণ আস্বাদ ।





রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২

‘উনি আমাদের সব দলের শতদল পদ্ম’ - ‘উনি’ কে ? ‘ আমাদের ’ বলতে কাদের ? উক্তির প্রসঙ্গ উল্লেখ করাে । তাঁকে ‘ শতদল ’ বলার কারণ কী ?

একাদশ শ্রেণী বাংলা প্রশ্নোত্তর xi class 11 Bengali Question answer উনি আমাদের সব দলের শতদল পদ্ম উনি কে আমাদের বলতে কাদের উক্তির প্রসঙ্গ উল্লেখ করাে  তাঁকে শতদল বলার কারণ কী uni ke amder bolte kader uktir proshonge ullekh koro take shotodol bolar karon ki


উত্তর : ‘উনি’ হলেন নাট্যকার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘গুরু' নাটকের যুনকদের একান্ত প্রাণের মানুষ দাদাঠাকুর । 
 আমাদের বলতে যুনকদের । 
 
যুনক সম্প্রদায়ের মধ্যে দাদাঠাকুরের উপস্থিতি ঘটে । পঞ্চক মাঝে মাঝে অচলায়তনের ঘেরাটোপ টপকে যুনকপল্লিতে চলে আসে । সেই সূত্রে যুনকদের সঙ্গে পঞকের পরিচয় । যুনকদের সঙ্গে মেলামেশার ব্যাপারে পঞ্চক দোটানার মধ্যে রয়েছে । এই পরিস্থিতিতে যুনকদের মাঝে এসেছেন তাদের খুবই প্রিয় ও কাছের মানুষ দাদাঠাকুর । পঞ্চক যুনকদের মতাে ‘ দাদাঠাকুর ’ বলেই ডাক দেয় । ডাকে দাদাঠাকুর ‘ কী ভাই, পঞক যে !’ বলে সাড়া দেন । পঞ্চক স্পষ্টত দাদাঠাকুরকে বলে দাদাঠাকুর বলে যে , যুনকরা তাঁকে  ডাকছে ‘দাদাঠাকুর’ বলে ডাকছে । সেজন্য তারও ডাকতে ইচ্ছে হল । সে যতই ভাবছে যুনকদের দলে মিশবে না, ততই আরও জড়িয়ে পড়ছে । এ কথা শুনে প্রথম যুনক বলে যে , দাদাঠাকুর কোনাে বিশেষ দলের নন । এই প্রসঙ্গে আলােচ্য উক্তির উপস্থাপনা ।

[         ] দাদাঠাকুর সব গােষ্ঠীর, সব সম্প্রদায়ের , সব দলের , সব মানুষের । তাই অচলায়তনে তিনি গুরু , যুনকদের তিনি দাদাঠাকুর , দর্ভকপল্লির মানুষজনের গোঁসাই । তাঁর উপস্থিতি সর্বত্র । তাঁর প্রেমপ্রীতি ভালােবাসা সর্বজনে । তিনি কারও বিশেষ নন , তিনি সর্বজনীন । তাই প্রথম যুনকের কথা হল ‘ দাদাঠাকুরকে নিয়ে আবার দল কীসের ?’ অর্থাৎ তিনি কোনাে বিশেষ দলভুক্ত নন । সে - সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে তিনি । সব গােষ্ঠী সব সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষের তিনি , সেজন্য শতদলভুক্ত । ‘শত ’, ‘সহস্র’ এগুলি বহুত্বজ্ঞাপক শব্দ । সেই অর্থে সর্বজনের । আবার পদ্মের অপর নাম শতদল । শত পাপড়িবিশিষ্ট । ‘ দল ’ অর্থে পাপড়ি । পদ্মের সৌরভ বা সুগন্ধ শত পাপড়ির মধ্যেই আবদ্ধ থাকে না , তা ছড়িয়ে পড়ে বাতাসে । তা আমােদিত করে পারিপার্শ্বিক পরিবেশকে । দাদাঠাকুরের প্রেমপ্রীতি, ভালােবাসা , তাঁর প্রাণের উদারতা , মুক্ত প্রাণের ব্যাপ্তি সর্বব্যাপী । জগন্ময় । তা পদ্মের সৌরভের সঙ্গে তুলনীয় ।




শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২

পঞক প্রথমে যুনকের ছোঁয়াছুঁয়ির ব্যাপারে দোলাচলে থাকলেও পরে পরে তার মনে হয় , সে যুনকদের দলের হয়ে যাচ্ছে এবং ওই সূত্রে দাদাঠাকুরের সঙ্গে তার পরিচয় হয় । পঞকের এই অভিজ্ঞতার বর্ণনা দাও ।

একাদশ শ্রেণী বাংলা প্রশ্নোত্তর xi class 11 Bengali Question answer পঞক প্রথমে যুনকের ছোঁয়াছুঁয়ির ব্যাপারে দোলাচলে থাকলেও পরে পরে তার মনে হয় সে যুনকদের দলের হয়ে যাচ্ছে এবং ওই সূত্রে দাদাঠাকুরের সঙ্গে তার পরিচয় হয় পঞকের এই অভিজ্ঞতার বর্ণনা দাও junok o dadathakurer songe tar porichoy hoi ponchoker ai abhigottar bornona dao

উত্তর : পাহাড় মাঠে পঞ্চক আপন মনে গান গাইছিল । খেয়াল করেনি তার পিছনে কখন থেকে যুনকের দল গানের তালের সঙ্গে পা মিলিয়ে নাচছিল । তাদের দেখে পঞ্চক অবাক হয় । যুনকরা তাকে কাঁধে করে নিয়ে নাচতে চাইলে সে তাদের ছুঁতে নিষেধ করে । কথা প্রসঙ্গে পঞ্চক তাদের জানায়, অচলায়তনে গুরু আসবে । যুনকরা বলে তাদের গুরু নেই । তারা হল দাদাঠাকুরের দলের লােক । পঞ্চক তার পূর্বপুরুষ থেকে জেনে এসেছে , যুনকরা সবরকম কাজ করে । এটাই তাদের সবচেয়ে বড়াে দোষ । এজন্যই নাকি তারা অচ্ছুত । কাঁকুড় , খেসারি এসব চাষ করা নাকি পাপ কাজ । দাদাঠাকুরের কোনাে কিছুতেই নিষেধ নেই । কোনাে বিধিবিধান নেই । তিনি কোনাে বিশেষ দলের নন , তিনি সব দলের শতদল পদ্ম । 

[        ] পঞ্চকের ক্রমশ মনে হয় , দোলাচল অবস্থা থেকে মুক্ত হয়ে সে যেন যুনক দলের হয়ে যাচ্ছে । দাদাঠাকুর আসায় পঞ্চকের পুথিপত্র পড়া হচ্ছে না । পঞ্চক যুনকদের জানায়, দাদাঠাকুরকে একান্তে পেয়ে সে কথা বলতে চায় । দাদাঠাকুরের কাছে পঞ্চকের একান্ত আবেদন যে , তাকে হয় ওই পাহাড়- মাঠের খােলা হাওয়ায় ছেড়ে রাখা হােক , নয়তাে পুথির চাপে তাকে আগাগােড়া সমান চ্যাপটা করে ফেলা হােক । এমন সময় প্রথম যুনক খবর নিয়ে আসে যে , স্থবিরপত্তনের রাজা তাদের যুনক চণ্ডককে মেরে ফেলেছে । দাদাঠাকুর আশ্বস্ত করেন এই বলে যে, পাপ প্রাচীরের আকার নিলে তাকে ভেঙে ধুলােয় মিশিয়ে দেবেন । পঞ্চক দাদাঠাকুরের কাছে জানতে চায় দাদাঠাকুরকে সে দাদাঠাকুর , না গুরু কী বলে ডাকবে । উত্তরে দাদাঠাকুর বলেন যে, যাকে তিনি চালনা করছেন , সে জানতে না চাইলে তিনি তার দাদাঠাকুর । যে তাঁর আদেশ নিয়ে চলে তিনি তার গুরু । পঞ্চক দাদাঠাকুর ও গুরু দুই - ই চায় । সে দাদাঠাকুরের বােঝা মাথায় নিয়ে বেরিয়ে পড়তে চায় । দাদাঠাকুর পঞ্চকের জন্য জায়গা ঠিক করে রেখেছেন । তা হল অচলায়তন । শুনেই পঞ্চক আঁতকে ওঠে । অচলায়তন ভেঙে গুঁড়িয়ে দেবেন তিনি । সেখানে পঞ্চককে মন্দির গড়তে হবে ।  





শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২

‘দুর্লক্ষণ’ শব্দের অর্থ কী ? কে , কাকে তাদের ‘দুর্লক্ষণ’ বলে মনে করেছেন ও কেন ?

একাদশ শ্রেণী বাংলা প্রশ্নোত্তর xi class 11 Bengali Question answer দুর্লক্ষণ শব্দের অর্থ কী কে কাকে তাদের দুর্লক্ষণ বলে মনে করেছেন ও কেন ke kake tader durlokhon bole mone korechen o keno

উত্তর : ‘দুর্লক্ষণ’ শব্দের অর্থ হল ‘অশুভ চিহ্ন',‘দুগ্রহ’ । 

[         ] বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত ‘ গুরু ' নাটকের অন্যতম চরিত্র উপাচার্য সূতসােম অচলায়তনের শিক্ষার্থী পঞককে তাঁদের অচলায়তন প্রতিষ্ঠানের ‘অশুভ লক্ষণ‘ ‘দুর্লক্ষণ’ বলে অভিহিত করেছেন । 


[         ] পঞককে অচলায়তনের ‘ দুর্লক্ষণ ’ বলার কারণ হল পঞক অচলায়তনের আয়তনিকদের মধ্যে এক ব্যতিক্রমী চরিত্র । অচলায়তনের রুদ্ধ ও দম বন্ধ করা নিষ্প্রাণ পরিবেশে সে যেন মূর্তিমান বিদ্রোহ । আচার - অনুষ্ঠানসর্বস্ব অন্ধ সংস্কারের মায়াজালে তার যুক্তিবাদী মন বাঁধা থাকতে নারাজ । শুষ্ক কঠিন জ্ঞানচর্চার পরিবেশে , নিস্প্রান যান্ত্রিকতার গতানুগতিক জীবনাচরণে সে যেন প্রাণের বন্যা । সে যেন এক দুরন্ত ঝােড়াে হাওয়া । সে যেন মুক্ত প্রাণের স্পন্দন । সত্যের সন্ধানী । সুদূরের পিয়াসী । অচলায়তনের কঠিন পাষাণ প্রাচীর তাকে বেঁধে রাখতে অক্ষম । বাইরের পরিবেশ ও মানুষজনের সঙ্গে তার অবাধ মেলামেশা । মন্ত্রতন্ত্র জপতপ তার কাছে অর্থহীন রসহীন কঠিন পীড়নের শামিল । এমন একটি স্বভাবচরিত্র ও মানসিক গঠনের আয়তনিক অচলায়তনের নিয়মনিষ্ঠা , বিধিনিষেধের বিরুদ্ধবাদী হবে , সরল উদার মনের হবে , সহানুভূতি ও মমত্বপরায়ণ হবে —এটাই স্বাভাবিক । 


[           ]  সেজন্য পদে পদে নিয়মনিষ্ঠা লঙ্ঘনের কারণে তাকে প্রায়শ প্রায়শ্চিত্ত করতে হয় । প্রায়শ্চিত্তের মাধ্যমে সে গতানুগতিকতার বৈচিত্র্যের আস্বাদন পায় । সুভদ্র উত্তরের জানালা খুলে আয়তনের চিরাচরিত সংস্কারের বশে নিজেকে পাপী বলে কান্নাকাটি করলে তাকে পঞ্চক সান্ত্বনা দেয় । তাকে উপাধ্যায় , উপাচার্য ও মহাপঞকদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য বুক দিয়ে আগলে রাখে । তার প্রায়শ্চিত্তের জন্য মহাতামস সাধনের ব্যবস্থা হলে আচার্যের পরামর্শক্রমে পঞক তাকে কোলে তুলে নিয়ে প্রস্থান করে । পঞকের এসব কাজ অচলায়তনের বিরােধী কাজ বলে মনে করেন আয়তনের উপাচার্য । সেজন্য তাঁর চোখে পঞক আয়তনের দুর্লক্ষণ বা অশুভ চিহ্ন ।