বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২

দ্বীপান্তরের বন্দিনী MCQ প্রশ্নোত্তর

একাদশ শ্রেণী xi class bengali বাংলা দ্বীপান্তরের বন্দিনী MCQ প্রশ্নোত্তর dipantorer bondini mcq questions answers


১। ‘দ্বীপান্তরের বন্দিনী’ কবিতাটি কবি কাজী নজরুল কোথায় বসে লেখেন ? 

ক) কলকাতায় বসে

খ) কুমিল্লায় বসে

গ) ঢাকায় বসে

ঘ) হুগলিতে বসে


উত্তর : ঘ) হুগলিতে বসে

২। ______ভয়ে রাখে পিঞ্জরে ।

ক) ব্যাঘ্রেরে 

খ) ভল্লুকেরে

গ) হায়নারে

ঘ) সিংহেরে 


উত্তর : ঘ) সিংহেরে 

৩। বাণী যেথা ঘানি টানে________।

ক) দিনরাত্রি

খ) দিবারাত্রি

গ) নিশিদিন

ঘ) অহনির্শ


উত্তর : গ) নিশিদিন

৪। রূপের কলম কীসে ম্লান হয় ?

ক) রুপোর কাঠির কোমল স্পর্শে 

খ) সোনার কাঠির কঠিন স্পর্শে 

গ) রুপোর কাঠির কঠিন স্পর্শে 

ঘ) সোনার কাঠির কোমল স্পর্শে 


উত্তর : গ) রুপোর কাঠির কঠিন স্পর্শে 

৫। ‘ধ্বংস হল কি _______?’

ক) যক্ষ পুর

খ) রক্ষ পুর

গ) পরাধীনতা

ঘ) স্বাধীনতা


উত্তর : খ) রক্ষ পুর



৬। ‘সহিছে বিচার চেরীর মার’ বিচার চেরির মার সহ্য করে ।

ক) কবি স্বয়ং

খ) বীর দেশপ্রেমিক

গ) বন্দিনী সীতা সম সীতা

ঘ) পূজারী


উত্তর : গ) বন্দিনী সীতা সম সীতা

৭। ‘পুণ্যবেদীর শূন্যে ধ্বনিল ক্রন্দন _________’

ক) একশত বছর

খ) দেড় শত বছর

গ) দুইশত বছর

ঘ) তিনশত বছর


উত্তর : খ) দেড় শত বছর

৮। ‘বাজাও পাঞ্চজন্য’ পাঞ্চজন্য কি ?

ক) কৃষ্ণের বাঁশি 

খ) অর্জুনের শাঁখ

গ) কৃষ্ণের শাঁখ

ঘ) নারদের বীণা


উত্তর : গ) কৃষ্ণের শাঁখ

৯। ‘দ্বীপান্তরের বন্দিনী’ কবিতাটির মূল কাব্যগ্রন্থের নাম ? 

ক) ফনি মনসা

খ) দোলনচাঁপা

গ) অগ্নিবীণা 

ঘ) সর্বহারা 


উত্তর : ক) ফনি মনসা

১০। দ্বীপান্তর কথার অর্থ হল ? 

ক) অন্য দ্বীপ

খ) সবুজ দ্বীপ

গ) অনেক দ্বীপ

ঘ) দ্বীপের বাইরে 


উত্তর : ক) অন্য দ্বীপ



১১। ‘পুণ্যবেদীর শূন্যে’ কতদিন ক্রন্দন ধ্বনিত হয়েছে ? 

ক) হাজার বছর 

খ) এক শত বছর

গ) দেড় শত বছর

ঘ) তিনশত বছর 


উত্তর : গ) দেড় শত বছর

১২। ‘পাঞ্চজন্য’ ব্যাবহারকারী হলেন ? 

ক) অর্জুন

খ) শ্রীকৃষ্ণ

গ) ইন্দ্র

ঘ) নারদ


উত্তর : খ) শ্রীকৃষ্ণ

১৩। ‘বাণী যেথা ঘানি টানে’ কতদিন ? 

ক) নিশিদিন

খ) রাতদিন

গ) সারাদিন

ঘ) দিবারাত্রি 


উত্তর : ক) নিশিদিন

১৪। ‘সিংহেরে ভয়ে রাখে’ কোথায় ? 

ক) খাঁচায় 

খ) পিঞ্জরে

গ) বাঁধনে

ঘ) বদ্ধ ঘরে


উত্তর : খ) পিঞ্জরে

১৫। ‘দ্বীপান্তরের বন্দিনী ’ কবিতাটি কে লিখেছেন ? 

ক) মাইকেল মধুসূদন দত্ত

খ) দেবেন্দ্রনাথ সেন

গ) কাজী নজরুল ইসলাম

ঘ) হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়


উত্তর : গ) কাজী নজরুল ইসলাম



১৬। ‘দ্বীপান্তরের বন্দিনী’ কবিতাটির মূল কাব্যগ্রন্থের নাম ? 

ক) ফণীমনসা

খ) অগ্নিবীণা

গ) দোলনচাঁপা 

ঘ) সর্বহারা


উত্তর : খ) অগ্নিবীণা

১৭। ‘পদ্মে রেখেছে চরণ পদ্ম’ কে রেখেছে ? 

ক) সৌভাগ্য দেবী লক্ষ্মী

খ) বানীর দেবী সরস্বতী 

গ) প্রলয় দেবতা নটরাজ

ঘ) যুগান্তরের ধর্মরাজ 


উত্তর : ঘ) যুগান্তরের ধর্মরাজ 

১৮। কে ধান ভানছে ? 

ক) বন্দিনী বাণী 

খ) বন্দিনী সীতা

গ) বানীর কমল

ঘ) বন্দি সত্য 


উত্তর : ঘ) বন্দি সত্য 

১৯। ‘আসে নাই ফিরে ভারত ভারতী ?’ ‘ভারতী’ কে ? 

ক) দূর্গা দেবী

খ) মনসা দেবী

গ) সরস্বতী দেবী

ঘ) মহামায়া দেবী 


উত্তর : গ) সরস্বতী দেবী

২০। দ্বীপান্তরের স্থানটি কোথায় ছিল ? 

ক) সিংহল 

খ) আন্দামান

গ) মালদ্বীপ

ঘ) নিকোবর 


উত্তর : খ) আন্দামান



২১। ‘সপ্ত সিন্ধু তেরো নদী পার’ বলতে কি বোঝানো হয় ?

ক) কাছের 

খ) দূরের

গ) দূরতর স্থান 

ঘ) দূরতম স্থান 


উত্তর : ঘ) দূরতম স্থান 

২২। আন্দামান কোথায় অবস্থিত ? 

ক) আরব সাগরে 

খ) বঙ্গোপসাগরে

গ) কচ্চ উপসাগরে

ঘ) ভারত মহাসাগরে 


উত্তর : খ) বঙ্গোপসাগরে

২৩। আন্দামান কি ? 

ক) এশিয়ার মূলখন্ড 

খ) ভারতের মূলখন্ড

গ) ভারতের অঙ্গরাজ্য

ঘ) ভারতের অধীন দ্বীপপুঞ্জ


উত্তর : ঘ) ভারতের অধীন দ্বীপপুঞ্জ

২৪। ‘সত্য বলিলে’ কি হতে হয় ? 

ক) তিরস্কৃত হতে হয়

খ) বন্দি হতে হয়

গ) অত্যাচারিত হতে হয়

ঘ) শাস্তি পেতে হয় 


উত্তর : খ) বন্দি হতে হয়

২৫। দ্বীপান্তরের ঘানিতে কি লেগেছে ? 

ক) নতুন যুগের ছোঁয়া

খ) যুগ পরিবর্তনের স্পর্শ

গ) নব যুগের আবর্তন 

ঘ) যুগান্তরের ঘূর্ণিপাক


উত্তর : ঘ) যুগান্তরের ঘূর্ণিপাক



২৬। কে ‘ঘানি টানে নিশিদিন’ ?

ক) সশ্রম কারাদণ্ডে দন্ডিত কয়েদি 

খ) দ্বীপান্তরে নির্বাসিত কয়েদি

গ) বাণী

ঘ) আন্দামানের বন্দিপল্লীর কয়েদি 


উত্তর : গ) বাণী

২৭। পূণ্যবেদীর শূন্য ভেদ করে কি উঠেছে ? 

ক) ক্রন্দন

খ) হা হুতাশ

গ) দীর্ঘশ্বাস

ঘ) যন্ত্রণার আওয়াজ 


উত্তর : ক) ক্রন্দন

২৮। সীতা কোথায় বন্দিনী ছিলেন ? 

ক) পঞ্চবটিতে 

খ) দন্ডকার্ন্য

গ) সুন্দরবনে

ঘ) অশোককাননে


উত্তর : ঘ) অশোককাননে

২৯। প্রকৃতপক্ষে বানীর মুক্ত শতদল হলেন কারা ? 

ক) যাঁরা বাণী মায়ের সেবক 

খ) যাঁরা বন্দিনী বাণী মায়ের মুক্তির জন্য উৎসর্গিত প্রাণ 

গ) যাঁরা বাণীর মুক্ত ভক্ত

ঘ) যাঁরা বাণী মায়ের সেবায় রত 


উত্তর : ক) যাঁরা বাণী মায়ের সেবক




 

বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২

বাড়ীর কাছে আরশিনগর MCQ প্রশ্নোত্তর

একাদশ শ্রেণী xi class bengali বাংলা বাড়ীর কাছে আরশিনগর MCQ প্রশ্নোত্তর barir kache arshinagar mcq questions answers


১। ‘ক্ষণেক ভাসে নীরে’ কার সম্বন্ধে এ কথা বলা হয়েছে ? 

ক) পড়শি 

খ) লালন

গ) সিরাজ সাঁই

ঘ) ফিরোজ সাঁই


উত্তর : ক) পড়শি 

২। ‘পড়শি’ বাস করেন ? 

ক) কবির পাশের গ্রামে

খ) আরশিনগরে 

গ) শূন্যে ও নীরে

ঘ) কবির মনে 


উত্তর : খ) আরশিনগরে 

৩। ‘গ্রাম বেড়িয়ে অগাধ পানি’ এখানে ‘বেড়িয়ে’ শব্দের অর্থ ? 

ক) পার হয়ে 

খ) বেষ্টন করে 

গ) ঘুরে ঘুরে 

ঘ) মধ্যে 


উত্তর : খ) বেষ্টন করে 

৪। ‘পড়শি যদি আমায় ছুত ।’ পড়শি ছুলে কি হবে ? 

ক) যত যাতনা দূর হবে

খ) সুবুদ্ধির বিকাশ হবে 

গ) সমাজ সচেতনতা বাড়বে 

ঘ) ভালোবাসা বোধ জাগবে 


উত্তর : ক) যত যাতনা দূর হবে

৫। লালন ও পড়শির মধ্যে দুরত্ব হল ? 

ক) কয়েক মাইল

খ) একশো যোজন

গ) হাজার যোজন 

ঘ) লক্ষ যোজন 


উত্তর : ঘ) লক্ষ যোজন



৬। আরশি শব্দের অর্থ কী ? 

ক) আয়না 

খ) পড়শি 

গ) কাচ

ঘ) ছায়া 


উত্তর : ক) আয়না 

৭। ‘ ও তার নাই কিনারা নাই তরণী পারে ’ - ‘তরণী’ শব্দের অর্থ ? 

ক) স্থলভাগ 

খ) বাসস্থান 

গ) মানুষ

ঘ) নৌকা 


উত্তর : ঘ) নৌকা 

৮। লালন আর পড়শির মধ্যে কত দূরত্ব ছিল ? 

ক) অসীম 

খ) লক্ষ যোজন 

গ) একশো যোজন 

ঘ) হাজার যোজন 


উত্তর : খ) লক্ষ যোজন 


৯। ‘বাড়ির কাছে আরশিনগর’ পদটি কে লিখেছেন ? 

ক) পাঞ্জু শাহ

খ) লালন ফকির 

গ) গোঁসাই গোপাল

ঘ) দুন্দু শাহ 


উত্তর : খ) লালন ফকির

১০। বাউল লালন ফকির কোথায় জন্মগ্রহণ করেন ? 

ক) কুষ্টিয়ায়

খ) কুমাখালীতে 

গ) ভাঁড়ারায়

ঘ) সেউড়িয়ায়


উত্তর : গ) ভাঁড়ারায়



১১। বাউলরা কাকে খোঁজে ? 

ক) রাধাকৃষ্ণকে 

খ) আল্লাকে

গ) দেবী শ্যামাকে 

ঘ) মনের মানুষকে 


উত্তর : ঘ) মনের মানুষকে 

১২। লালন কত বছর জীবিত ছিলেন ? 

ক) ১১৪ বছর 

খ) ১১৫ বছর

গ) ১১৬ বছর

ঘ) ১১৭ বছর


উত্তর : গ) ১১৬ বছর

১৩। ____যদি আমায় ছুঁত ।

ক) কাছের মানুষ 

খ) মনের মানুষ

গ) প্রিয় মানুষ

ঘ) পড়শি 


উত্তর : ঘ) পড়শি

১৪। ______সে আর লালন একখানে রয় ।

ক) ফের 

খ) আবার

গ) পুনরায়

ঘ) পুনবার


উত্তর : খ) আবার

১৫। আবার ক্ষণেক ভাসে ______।

ক) জলে

খ) পানিতে

গ) নীরে 

ঘ) বারিতে


উত্তর : ক) জলে



১৬। বাউল গান প্রকৃতপক্ষে এক ধরনের ? 

ক) লোকসংগীত

খ) দরবেশি গান 

গ) আধ্যাতমিক সংগীত

ঘ) কবি গান 


উত্তর : গ) আধ্যাতমিক সংগীত

১৭। ‘বাউল’ শব্দটি এসেছে ? 

ক) সংস্কৃত শব্দ ‘বাতুল’ থেকে 

খ) হিন্দি শব্দ  ‘বাতুল’ থেকে 

গ) আরবি শব্দ  ‘বাতুল’ থেকে 

ঘ) তেলুগু শব্দ  ‘বাতুল’ থেকে 


উত্তর : ক) সংস্কৃত শব্দ ‘বাতুল’ থেকে

১৮। কবি পড়শীকে দেখেননি ? 

ক) এক দিন 

খ) কোনোদিন দেখেননি 

গ) তিন দিন 

ঘ) দু দিন 


উত্তর : খ) কোনোদিন দেখেননি

১৯। ‘লক্ষ যোজন ফাঁক রে ।’ এখানে ‘ফাঁক’ শব্দের অর্থ কী ? 

ক) শূন্য

খ) ফাঁকা 

গ) তফাত

ঘ) ব্যবধান


উত্তর : ঘ) ব্যবধান

২০। ‘আমি একদিনও না দেখিলাম তারে ’ - ‘আমি’ হলেন কে ? 

ক) ভক্ত কবি রামপ্রসাদ সেন 

খ) ভক্ত বাউল দূন্দু শাহ

গ) ভক্ত কবি কমলাকান্ত ভট্টাচার্য 

ঘ) বাউল সাধক লালন ফকির 


উত্তর : ঘ) বাউল সাধক লালন ফকির 



২১। ‘আমি একদিনও না দেখিলাম তারে ’ - ‘তারে’ বলতে কাকে ? 

ক) আরাধ্য দেবতা 

খ) মনের মানুষ

গ) আরাধ্য দেবী

ঘ) নিরাকার দেবতা


উত্তর : খ) মনের মানুষ

২২। লালন বাড়ির কাছে যে জায়গার কথা বলেছেন , তাঁর নাম কি ? 

ক) রূপক নগর

খ) আরশিনগর

গ) যশোহর

ঘ) মহানগর


উত্তর : খ) আরশিনগর

২৩। আরশিনগরে বাস কে করেন ?

ক) মুর্শিদ

খ) আল্লাহ্ বা ভগবান 

গ) মনের মানুষ 

ঘ) পড়শি 


উত্তর : ঘ) পড়শি 

২৪। লালন কোথায় যেতে চেয়েছিলেন ?

ক) গঞ্জে

খ) মাঠে 

গ) পথেঘাটে 

ঘ) গাঁয়ে


উত্তর : ঘ) গাঁয়ে

২৫। পড়শি ক্ষণেকের জন্যে যেখানে থাকতেন , সেটি কি ?

ক) বাড়িতে

খ) শূণ্যের ওপরে

গ) মাঠে

ঘ) গাঁয়ে 


উত্তর : খ) শূণ্যের ওপরে



২৬। ‘ক্ষণেক’ শব্দের অর্থ কী ? 

ক) এক মুহূর্তের জন্য

খ) ক্ষণকালের জন্য

গ) সামান্য সময়ের জন্য 

ঘ) অতি অল্প সময়ের জন্য


উত্তর : ক) এক মুহূর্তের জন্য

২৭। ‘সে আর লালন একখানে রয়’ সরলার্থ কি ? 

ক) সাধক লালন আর তাঁর পড়শি এক জায়গায় থাকেন 

খ) সাধক লালন ও তাঁর আরাধ্য একত্রে থাকেন

গ) ভক্ত ও ভগবান ভিন্ন জায়গায় থাকেন না 

ঘ) লালন আর তাঁর মনের মানুষ আলাদা আলাদা থাকেন না 


উত্তর : ক) সাধক লালন আর তাঁর পড়শি এক জায়গায় থাকেন 

মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২

‘যিনি সব জায়গায় আপনি ধরা দিয়ে বসে আছেন তাকে একটা জায়গায় ধরতে গেলেই তাকে হারাতে হয় ।’ বক্তা কে ? মন্তব্যটির মর্মার্থ আলােচনা করাে ।

একাদশ শ্রেণী বাংলা প্রশ্নোত্তর xi class 11 Bengali Question answer যিনি সব জায়গায় আপনি ধরা দিয়ে বসে আছেন তাকে একটা জায়গায় ধরতে গেলেই তাকে হারাতে হয় বক্তা কে মন্তব্যটির মর্মার্থ আলােচনা করাে jini sob jaigai apni dhora diye bose achen take akta jaigai dhorte gelei take harate hoi bokta ke montbotor mormartho alochona koro



উত্তর : আলােচ্য উদ্ধৃতির বক্তা হলেন দাদাঠাকুর । তিনিই অচলায়তনে গুরু , যুনকপল্লিতে দাদাঠাকুর , দর্ভকদের মাঝে গোঁসাই । 

[         ] পরমাত্মা সর্বব্যাপী, সর্বভূতে তাঁর অধিষ্ঠান । নরের মধ্যে তিনি নারায়ণ । ভূমিতে অধিষ্ঠিত ভূমা । তাঁকে কোনাে সংকীর্ণ ঘেরাটোপে বাঁধা যায় না । বাঁধতে চাওয়া মস্ত ভ্রান্তি, মূর্খামির একশেষ । তিনি বন্ধন অসহিষ্ণু । তিনি কোনাে বাঁধনে বাঁধা থাকেন না । তাঁকে অচলায়তনের দুর্ভেদ্য প্রাচীরের সংকীর্ণ বেষ্টনীতে বাঁধতে গিয়ে আচার্যরা মহাভুল করেছেন । প্রাণের অবাধ প্রবেশের পথ বন্ধ করে তাঁরা পরমাত্মাকে নির্বাসিত করেছেন অচলায়তন থেকে । পুথিনির্ভরতা , আচারসর্বস্বতা , অর্থহীন মন্ত্রতন্ত্রে আস্থাস্থাপন ইত্যাদিকে প্রকৃত জ্ঞানচর্চা,সত্য উপলব্ধি ভেবে গতানুগতিক অভ্যাসের চক্রপথে কেবলই ঘুরপাক খেয়েছেন অচলায়তনের আচার্য ও তাঁর সহকর্মীরা । তাঁরা জানেন না চক্র কেবল এক জায়গায় ঘােরায় , তা সােজা পথ দেখায় না । যে পথে বিশ্বের সব যাত্রীর সহযাত্রী হওয়া যায় । ওই সহযাত্রীদের হৃদয়মন্দিরই তাে পরমাত্মার অধিষ্ঠানক্ষেত্র ।

 


সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আচার্য চরিত্রটি ‘গুরু’ নাটক অবলম্বনে বিশ্লেষণ করাে ।

একাদশ শ্রেণী বাংলা প্রশ্নোত্তর xi class 11 Bengali Question answer আচার্য চরিত্রটি গুরু নাটক অবলম্বনে বিশ্লেষণ করাে acharjya choritroti guru natok abolombone bishleshon koro


উত্তর : অচলায়তনের আচার্য হলেন অদীনপুণ্য । তিনি জ্ঞানতাপস । গুরু তাঁকে প্রাচীন ভারতীয় আদর্শে প্রতিষ্ঠিত শিক্ষায়তনের আচার্য পদে বসিয়েছিলেন । গুরু তারপর আর ফিরে আসেননি । জ্ঞানসাধনার প্রতিষ্ঠানটিকে আচার্য গুরুর নির্দেশিত আদর্শ অনুযায়ী গড়ে তােলেন । প্রতিষ্ঠানটি কালক্রমে আচার ও পুথিসর্বস্ব প্রাণহীন নীরস জ্ঞানচর্চার আখড়ায় পরিণত হয় । প্রাণহীন জ্ঞানচর্চায় আয়তনিক হয়ে পড়ে প্রাণচাঞ্চল্যহীন স্থবির । এই জড়ত্ব ও স্থবিরতা বৃদ্ধ আচার্যকে মানসিক অশান্তিতে ব্যথাতুর করে । তিনি বুঝতে পারেন নিষ্প্রাণ জ্ঞানচর্চার অসাফল্যের কথা । নিরুপায় বৃদ্ধ অন্তদাহে প্রতিটি মুহূর্তে জর্জরিত হতে থাকেন । 


[        ]  পঞকের সুদূরপিয়াসি মুক্ত প্রাণশক্তি আচার্যকে উদ্বুদ্ধ করে । পরম সত্যকে তিনি পঞকের মধ্যে খুঁজে পান । অচলায়তনের পাষাণকারায় দম বন্ধ করা বন্ধন থেকে মুক্তির দুরন্ত ক্ষমতাকে দেখতে পান । তিনি সােচ্চারে বলতে পারেন , ‘দরকার নেই— সুভদ্রকে কোনাে প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে না ।’ ‘যদি কোনাে অপরাধ ঘটে সে আমার ।’


[          ] বৃদ্ধ আচার্য আয়তনিকদের কাছে অকপটে স্বীকার করেছেন , শিক্ষার মধ্যে তাদের চাওয়া অমৃতবাণী দিতে না পারার অক্ষমতা ও অপরাধের কথা । সেজন্য তিনি প্রায়শ্চিত্ত করতে চান । ‘অপরাধের অন্ত নেই , অন্ত নেই , তার প্রায়শ্চিত্ত আমাকেই করতে হবে ।’ তাই গুরুর কাছে মুক্তিপিয়াসি বৃদ্ধ আচার্যের বিনীত প্রার্থনা— ‘এবার নিয়ে এসাে সেই বাণী, গুরু , নিয়ে এসাে হৃদয়ের বাণী । প্রাণকে প্রাণ দিয়ে জাগিয়ে দিয়ে যাও ।’ দর্ভকপলিতে নির্বাসিত জীবনে তিনি ফিরে পান হারিয়ে যাওয়া প্রাণের সজীবতা , জীবনের পূর্ণ আস্বাদ ।





রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২

‘উনি আমাদের সব দলের শতদল পদ্ম’ - ‘উনি’ কে ? ‘ আমাদের ’ বলতে কাদের ? উক্তির প্রসঙ্গ উল্লেখ করাে । তাঁকে ‘ শতদল ’ বলার কারণ কী ?

একাদশ শ্রেণী বাংলা প্রশ্নোত্তর xi class 11 Bengali Question answer উনি আমাদের সব দলের শতদল পদ্ম উনি কে আমাদের বলতে কাদের উক্তির প্রসঙ্গ উল্লেখ করাে  তাঁকে শতদল বলার কারণ কী uni ke amder bolte kader uktir proshonge ullekh koro take shotodol bolar karon ki


উত্তর : ‘উনি’ হলেন নাট্যকার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘গুরু' নাটকের যুনকদের একান্ত প্রাণের মানুষ দাদাঠাকুর । 
 আমাদের বলতে যুনকদের । 
 
যুনক সম্প্রদায়ের মধ্যে দাদাঠাকুরের উপস্থিতি ঘটে । পঞ্চক মাঝে মাঝে অচলায়তনের ঘেরাটোপ টপকে যুনকপল্লিতে চলে আসে । সেই সূত্রে যুনকদের সঙ্গে পঞকের পরিচয় । যুনকদের সঙ্গে মেলামেশার ব্যাপারে পঞ্চক দোটানার মধ্যে রয়েছে । এই পরিস্থিতিতে যুনকদের মাঝে এসেছেন তাদের খুবই প্রিয় ও কাছের মানুষ দাদাঠাকুর । পঞ্চক যুনকদের মতাে ‘ দাদাঠাকুর ’ বলেই ডাক দেয় । ডাকে দাদাঠাকুর ‘ কী ভাই, পঞক যে !’ বলে সাড়া দেন । পঞ্চক স্পষ্টত দাদাঠাকুরকে বলে দাদাঠাকুর বলে যে , যুনকরা তাঁকে  ডাকছে ‘দাদাঠাকুর’ বলে ডাকছে । সেজন্য তারও ডাকতে ইচ্ছে হল । সে যতই ভাবছে যুনকদের দলে মিশবে না, ততই আরও জড়িয়ে পড়ছে । এ কথা শুনে প্রথম যুনক বলে যে , দাদাঠাকুর কোনাে বিশেষ দলের নন । এই প্রসঙ্গে আলােচ্য উক্তির উপস্থাপনা ।

[         ] দাদাঠাকুর সব গােষ্ঠীর, সব সম্প্রদায়ের , সব দলের , সব মানুষের । তাই অচলায়তনে তিনি গুরু , যুনকদের তিনি দাদাঠাকুর , দর্ভকপল্লির মানুষজনের গোঁসাই । তাঁর উপস্থিতি সর্বত্র । তাঁর প্রেমপ্রীতি ভালােবাসা সর্বজনে । তিনি কারও বিশেষ নন , তিনি সর্বজনীন । তাই প্রথম যুনকের কথা হল ‘ দাদাঠাকুরকে নিয়ে আবার দল কীসের ?’ অর্থাৎ তিনি কোনাে বিশেষ দলভুক্ত নন । সে - সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে তিনি । সব গােষ্ঠী সব সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষের তিনি , সেজন্য শতদলভুক্ত । ‘শত ’, ‘সহস্র’ এগুলি বহুত্বজ্ঞাপক শব্দ । সেই অর্থে সর্বজনের । আবার পদ্মের অপর নাম শতদল । শত পাপড়িবিশিষ্ট । ‘ দল ’ অর্থে পাপড়ি । পদ্মের সৌরভ বা সুগন্ধ শত পাপড়ির মধ্যেই আবদ্ধ থাকে না , তা ছড়িয়ে পড়ে বাতাসে । তা আমােদিত করে পারিপার্শ্বিক পরিবেশকে । দাদাঠাকুরের প্রেমপ্রীতি, ভালােবাসা , তাঁর প্রাণের উদারতা , মুক্ত প্রাণের ব্যাপ্তি সর্বব্যাপী । জগন্ময় । তা পদ্মের সৌরভের সঙ্গে তুলনীয় ।




শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২

পঞক প্রথমে যুনকের ছোঁয়াছুঁয়ির ব্যাপারে দোলাচলে থাকলেও পরে পরে তার মনে হয় , সে যুনকদের দলের হয়ে যাচ্ছে এবং ওই সূত্রে দাদাঠাকুরের সঙ্গে তার পরিচয় হয় । পঞকের এই অভিজ্ঞতার বর্ণনা দাও ।

একাদশ শ্রেণী বাংলা প্রশ্নোত্তর xi class 11 Bengali Question answer পঞক প্রথমে যুনকের ছোঁয়াছুঁয়ির ব্যাপারে দোলাচলে থাকলেও পরে পরে তার মনে হয় সে যুনকদের দলের হয়ে যাচ্ছে এবং ওই সূত্রে দাদাঠাকুরের সঙ্গে তার পরিচয় হয় পঞকের এই অভিজ্ঞতার বর্ণনা দাও junok o dadathakurer songe tar porichoy hoi ponchoker ai abhigottar bornona dao

উত্তর : পাহাড় মাঠে পঞ্চক আপন মনে গান গাইছিল । খেয়াল করেনি তার পিছনে কখন থেকে যুনকের দল গানের তালের সঙ্গে পা মিলিয়ে নাচছিল । তাদের দেখে পঞ্চক অবাক হয় । যুনকরা তাকে কাঁধে করে নিয়ে নাচতে চাইলে সে তাদের ছুঁতে নিষেধ করে । কথা প্রসঙ্গে পঞ্চক তাদের জানায়, অচলায়তনে গুরু আসবে । যুনকরা বলে তাদের গুরু নেই । তারা হল দাদাঠাকুরের দলের লােক । পঞ্চক তার পূর্বপুরুষ থেকে জেনে এসেছে , যুনকরা সবরকম কাজ করে । এটাই তাদের সবচেয়ে বড়াে দোষ । এজন্যই নাকি তারা অচ্ছুত । কাঁকুড় , খেসারি এসব চাষ করা নাকি পাপ কাজ । দাদাঠাকুরের কোনাে কিছুতেই নিষেধ নেই । কোনাে বিধিবিধান নেই । তিনি কোনাে বিশেষ দলের নন , তিনি সব দলের শতদল পদ্ম । 

[        ] পঞ্চকের ক্রমশ মনে হয় , দোলাচল অবস্থা থেকে মুক্ত হয়ে সে যেন যুনক দলের হয়ে যাচ্ছে । দাদাঠাকুর আসায় পঞ্চকের পুথিপত্র পড়া হচ্ছে না । পঞ্চক যুনকদের জানায়, দাদাঠাকুরকে একান্তে পেয়ে সে কথা বলতে চায় । দাদাঠাকুরের কাছে পঞ্চকের একান্ত আবেদন যে , তাকে হয় ওই পাহাড়- মাঠের খােলা হাওয়ায় ছেড়ে রাখা হােক , নয়তাে পুথির চাপে তাকে আগাগােড়া সমান চ্যাপটা করে ফেলা হােক । এমন সময় প্রথম যুনক খবর নিয়ে আসে যে , স্থবিরপত্তনের রাজা তাদের যুনক চণ্ডককে মেরে ফেলেছে । দাদাঠাকুর আশ্বস্ত করেন এই বলে যে, পাপ প্রাচীরের আকার নিলে তাকে ভেঙে ধুলােয় মিশিয়ে দেবেন । পঞ্চক দাদাঠাকুরের কাছে জানতে চায় দাদাঠাকুরকে সে দাদাঠাকুর , না গুরু কী বলে ডাকবে । উত্তরে দাদাঠাকুর বলেন যে, যাকে তিনি চালনা করছেন , সে জানতে না চাইলে তিনি তার দাদাঠাকুর । যে তাঁর আদেশ নিয়ে চলে তিনি তার গুরু । পঞ্চক দাদাঠাকুর ও গুরু দুই - ই চায় । সে দাদাঠাকুরের বােঝা মাথায় নিয়ে বেরিয়ে পড়তে চায় । দাদাঠাকুর পঞ্চকের জন্য জায়গা ঠিক করে রেখেছেন । তা হল অচলায়তন । শুনেই পঞ্চক আঁতকে ওঠে । অচলায়তন ভেঙে গুঁড়িয়ে দেবেন তিনি । সেখানে পঞ্চককে মন্দির গড়তে হবে ।  





শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২

‘দুর্লক্ষণ’ শব্দের অর্থ কী ? কে , কাকে তাদের ‘দুর্লক্ষণ’ বলে মনে করেছেন ও কেন ?

একাদশ শ্রেণী বাংলা প্রশ্নোত্তর xi class 11 Bengali Question answer দুর্লক্ষণ শব্দের অর্থ কী কে কাকে তাদের দুর্লক্ষণ বলে মনে করেছেন ও কেন ke kake tader durlokhon bole mone korechen o keno

উত্তর : ‘দুর্লক্ষণ’ শব্দের অর্থ হল ‘অশুভ চিহ্ন',‘দুগ্রহ’ । 

[         ] বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত ‘ গুরু ' নাটকের অন্যতম চরিত্র উপাচার্য সূতসােম অচলায়তনের শিক্ষার্থী পঞককে তাঁদের অচলায়তন প্রতিষ্ঠানের ‘অশুভ লক্ষণ‘ ‘দুর্লক্ষণ’ বলে অভিহিত করেছেন । 


[         ] পঞককে অচলায়তনের ‘ দুর্লক্ষণ ’ বলার কারণ হল পঞক অচলায়তনের আয়তনিকদের মধ্যে এক ব্যতিক্রমী চরিত্র । অচলায়তনের রুদ্ধ ও দম বন্ধ করা নিষ্প্রাণ পরিবেশে সে যেন মূর্তিমান বিদ্রোহ । আচার - অনুষ্ঠানসর্বস্ব অন্ধ সংস্কারের মায়াজালে তার যুক্তিবাদী মন বাঁধা থাকতে নারাজ । শুষ্ক কঠিন জ্ঞানচর্চার পরিবেশে , নিস্প্রান যান্ত্রিকতার গতানুগতিক জীবনাচরণে সে যেন প্রাণের বন্যা । সে যেন এক দুরন্ত ঝােড়াে হাওয়া । সে যেন মুক্ত প্রাণের স্পন্দন । সত্যের সন্ধানী । সুদূরের পিয়াসী । অচলায়তনের কঠিন পাষাণ প্রাচীর তাকে বেঁধে রাখতে অক্ষম । বাইরের পরিবেশ ও মানুষজনের সঙ্গে তার অবাধ মেলামেশা । মন্ত্রতন্ত্র জপতপ তার কাছে অর্থহীন রসহীন কঠিন পীড়নের শামিল । এমন একটি স্বভাবচরিত্র ও মানসিক গঠনের আয়তনিক অচলায়তনের নিয়মনিষ্ঠা , বিধিনিষেধের বিরুদ্ধবাদী হবে , সরল উদার মনের হবে , সহানুভূতি ও মমত্বপরায়ণ হবে —এটাই স্বাভাবিক । 


[           ]  সেজন্য পদে পদে নিয়মনিষ্ঠা লঙ্ঘনের কারণে তাকে প্রায়শ প্রায়শ্চিত্ত করতে হয় । প্রায়শ্চিত্তের মাধ্যমে সে গতানুগতিকতার বৈচিত্র্যের আস্বাদন পায় । সুভদ্র উত্তরের জানালা খুলে আয়তনের চিরাচরিত সংস্কারের বশে নিজেকে পাপী বলে কান্নাকাটি করলে তাকে পঞ্চক সান্ত্বনা দেয় । তাকে উপাধ্যায় , উপাচার্য ও মহাপঞকদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য বুক দিয়ে আগলে রাখে । তার প্রায়শ্চিত্তের জন্য মহাতামস সাধনের ব্যবস্থা হলে আচার্যের পরামর্শক্রমে পঞক তাকে কোলে তুলে নিয়ে প্রস্থান করে । পঞকের এসব কাজ অচলায়তনের বিরােধী কাজ বলে মনে করেন আয়তনের উপাচার্য । সেজন্য তাঁর চোখে পঞক আয়তনের দুর্লক্ষণ বা অশুভ চিহ্ন । 





বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২

রবীন্দ্রনাথের রচিত ‘গুরু’ নাটকের ‘গুরু’ নামকরণ সংগত ও যথাযথ কি না আলােচনা করাে ।

একাদশ শ্রেণী বাংলা প্রশ্নোত্তর xi class 11 Bengali Question answer রবীন্দ্রনাথের রচিত গুরু নাটকের গুরু নামকরণ সংগত ও যথাযথ কি না আলােচনা করাে guru namkoron songoto o jothartho kina alochona koro

উত্তর :  বিষয়বস্তু অনুসরণে নয়, রচনার অন্তর্নিহিত ভাবসত্যের ওপর দৃষ্টি রেখে নামকরণের পক্ষপাতী ছিলেন রবীন্দ্রনাথ । রবিরশ্মির ২ য় খণ্ডে নাটকটির নামকরণ প্রসঙ্গে চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন , “প্রথমে যেদিন অচলায়তন নাটকটি পাঠ করেন , সেদিনই উহার ‘গুরু’ নাম রাখিবার ইচ্ছা কবি প্রকাশ করিয়াছিলেন , কিন্তু আমরা অচলায়তন নামটিতেই অধিক সমর্থন করাতে তাহাই বহাল থাকিয়াছিল ।” পরে ‘ অচলায়তন ’ নাটকটিকে ‘সহজে অভিনয়যােগ্য করিবার অভিপ্রায়ে’  নাটকটি ‘গুরু' নামে এবং ‘কিঞ্চিৎ রূপান্তরিত এবং লঘুতর আকারে প্রকাশ করার’ সময়ে কবি তাঁর পূর্ণ ইচ্ছাকে বহাল রাখেন । এখন আলােচ্য বিষয় হল নাটকটির ‘গুরু’ নামকরণ সংগত ও যথাযথ কি না । 

[         ] নাটকের শুরুতেই প্রথম বালক জানিয়েছে , উপাধ্যায়মশায় নিজে তাকে জানিয়েছেন অচলায়তনে গুরু আসছেন । সেজন্য অচলায়তনে সাজসজ্জার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। গুরু আসছেন বলে পঞক তাে সব পুথিপত্র সরিয়ে খােলসা হওয়ার চেষ্টায় আছে । গুরু কেন আসছেন তার কারণ অনুসন্ধানের আলােচনায় উপাচার্য বলেছেন যে, আয়তনের নিষ্ঠায় ও কার্যকলাপে তিনি প্রসন্ন হয়েছেন বলেই আসছেন । আচার্য কিন্তু মনে করেন , অপরাধের মাত্রা পূর্ণ হয়েছে বলেই তিনি আসছেন । কারণ , আচার - অনুষ্ঠান ও মন্ত্রতন্ত্রের আধিক্য, পদে পদে বিধিনিষেধের নির্দয় শিকল , পাপ খণ্ডনের নামে প্রাণঘাতী প্রায়শ্চিত্তের বিধান , বাইরের প্রকৃতি থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে নীরস জীবনযাপন আয়তনিক জীবনকে করেছে শুষ্ক ও প্রাণহীন । অচলায়তনের আয়তনিকরা জ্ঞানমার্গের সাধক হয়েও চারিদিকে পাষাণপ্রাচীর গড়ে প্রাণহীন স্থবির হয়ে পড়েছে । যুনকরা কর্মমার্গে ও দর্ভকরা ভক্তিমার্গে আটকা পড়ে চারিদিকে অচলায়তন গড়েছে । এই তিন ধরনের আয়তনিকদের রসময়পূর্ণ প্রাণে উত্তীর্ণ হওয়ার পথ দেখাতেই গুরু আসছেন । কাজেই নাটকের ‘গুরু’ নামকরণ সংগত ও যথাযথ , সার্থকও বটে ।

 



বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২

রবীন্দ্রনাথের লেখা ‘গুরু’ নাটকের উৎস নির্ণয় করাে ।

একাদশ শ্রেণী বাংলা প্রশ্নোত্তর xi class 11 Bengali Question answer রবীন্দ্রনাথের লেখা গুরু নাটকের উৎস নির্ণয় করাে robindronather lekha guru natoker utsoho nirnay koro


উত্তর : ‘অচলায়তন ’ নাটকটিকে অভিনয়ের উপযােগী সহজ করার উদ্দেশ্যে নাট্যকার রবীন্দ্রনাথ নাটকটিকে কিছুটা রূপান্তরিত করে , কিছুটা লঘুতর করে নতুন রূপ দেন । নাটকটির নাম দেন ‘ গুরু'। ‘গুরু’ নাটকের ভূমিকায় রবীন্দ্রনাথ ছােট্ট একটি বাক্যে লিখেছেন , “সহজে অভিনয় করিবার অভিপ্রায়ে অচলায়তন নাটকটি ‘ গুরু ' নামে এবং কিঞ্চিৎ রূপান্তরিত এবং লঘুতর আকারে প্রকাশ করা হইল ।” ‘ অচলায়তন ' নাটকটি লেখা হয়েছিল ১৯১১ খ্রিস্টাব্দের মে -জুন মাসে । ওই বছরই প্রবাসীর আশ্বিন সংখ্যায় ‘অচলায়তন’ প্রকাশিত হয় । গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় ২ আগস্ট ১৯১২ খ্রিস্টাব্দে । ‘ অচলায়তন ’ প্রকাশের প্রায় পাঁচ বছর পরে ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দের আগস্ট - সেপ্টেম্বর মাসে ‘ অচলায়তন ’- এর রূপান্তরিত ও নতুন নাট্যরূপ ‘গুরু’ রচনা করেন রবীন্দ্রনাথ । ‘ অচলায়তন ’- এর ছাপা একখানা বইয়ের ওপর পরিমার্জন করে ও প্রয়ােজনে সাদা কাগজে লিখে নাট্যরূপটি গড়ে তােলা হয় । ‘ গুরু ' নাটকের সম্পূর্ণ অংশটি ‘পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ’ বিভাগের অন্তর্ভুক্ত করে একাদশ শ্রেণির পাঠ্য করা হয়েছে ।





মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২

‘যদি সব শ্রেণি শেষ হয়ে যায়’ , / আমি তবু পরের । শ্রেণিতে যাব ।’ — পঙক্তি দুটি ব্যঞ্জনার্থ ব্যাখ্যা করাে ।

একাদশ শ্রেণী বাংলা প্রশ্নোত্তর xi class 11 Bengali Question answer যদি সব শ্রেণি শেষ হয়ে যায় আমি তবু পরের শ্রেণিতে যাব পঙক্তি দুটি ব্যঞ্জনার্থ ব্যাখ্যা করাে jodi sob sreni sesh hoye jai ami tobu porer srenite jabo ponktoti banjonatho bakkha koro


উত্তর : আলােচ্য দুটি উদ্ধৃতি প্রখ্যাত মালয়ালম কবি আইয়াপ্পা পানিকরের লেখা ‘শিক্ষার সার্কাস’ কবিতা থেকে গৃহীত । 

[           ] এদেশীয় বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষাজীবনের শুরু থেকে পরীক্ষা পাসের প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু হয়ে যায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে । একজন অপরজনকে টপকে ক্লাসের সিড়ির ধাপ ভেঙে ওপরে উঠতে থাকে পরীক্ষায় পাস করে । প্রথম জন প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হলে , দ্বিতীয় জন দ্বিতীয় শ্রেণি পার হয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে যায় । এভাবে পরীক্ষায় পাসের খেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা ভালােই জমে ওঠে । তাতেই ‘এক , দুই , তিন ....চার’ গণনা চলে ক্লাস অতিক্রমের । চতুর্থ শ্রেণিতে এসে প্রাথমিকের পর্যায় শেষ হয়ে যায় । ধাপ -ভাঙা অঙ্কের মতাে শিক্ষার্থী পরের ধাপে ওঠার জন্য মনের দৃঢ়তা নিয়ে বলে , ‘ যদি সব শ্রেণি শেষ হয়ে যায়,/ আমি তবু পরের শ্রেণিতে যাব । প্রাথমিকের পর মাধ্যমিক , উচ্চমাধ্যমিক , কলেজীয় শিক্ষার কত স্তর কত শ্রেণি ! পরীক্ষায় পাসের পর পাস করতে করতে শিক্ষার্থীর চলমানতা অব্যাহত থাকে । কবি এভাবেই প্রশ্নের দুটি উদ্ধৃতির অর্থগত পরম্পরা চমৎকারভাবে রক্ষা করেছেন ।

   প্রশ্নের শেষ উদ্ধৃতির পরেই কবি বলেছেন
           ‘ সব শিক্ষা একটি সার্কাস 
       যার সাহায্যে আমরা পরের শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হই ।’
       
[         ]  অর্থাৎ , কবি সব শিক্ষাকে সার্কাসের সঙ্গে তুলনা করেছেন । শিক্ষা হল ক্রীড়াচক্র । সার্কাসে চক্রাকার ক্রীড়াঙ্গনে ঘুরে ঘুরে খেলা দেখানাে হয় । ওভাবেই পরীক্ষার মাধ্যমে শ্রেণির পর শ্রেণি টপকে উত্তীর্ণ হয় শিক্ষার্থীরা । প্রতিদ্বন্দ্বিতার মনােভাব নিয়ে  ক্লাসে উত্তীর্ণ হওয়ার যেন খেলা চলতে থাকে । প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক , মাধ্যমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক এভাবে বিভিন্ন শিক্ষাস্তর অতিক্রম করে বিদ্যার্থীরা । শিক্ষাস্তর অতিক্রম করাই হল তাদের ধ্যান - জ্ঞান । জ্ঞানার্জন হল কিনা তা তাদের লক্ষ্য নয় ।