সোমবার, ১১ এপ্রিল, ২০২২
রবিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২২
শনিবার, ৯ এপ্রিল, ২০২২
শুক্রবার, ৮ এপ্রিল, ২০২২
বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল, ২০২২
বুধবার, ৬ এপ্রিল, ২০২২
মঙ্গলবার, ৫ এপ্রিল, ২০২২
সোমবার, ৪ এপ্রিল, ২০২২
রবিবার, ৩ এপ্রিল, ২০২২
শনিবার, ২ এপ্রিল, ২০২২
শুক্রবার, ১ এপ্রিল, ২০২২
বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ, ২০২২
বুধবার, ৩০ মার্চ, ২০২২
সোমবার, ২৮ মার্চ, ২০২২
শনিবার, ২৬ মার্চ, ২০২২
শুক্রবার, ২৫ মার্চ, ২০২২
বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ, ২০২২
উত্তর : মহাভারতের ১৮ টি পর্ব । যথা — আদি , সভা , বন , বিরাট , উদ্যোগ , ভীষ্ম, দ্রোণ, শল্য , কর্ণ, সৌপ্তিক , স্ত্রী,শান্তি, অনুশাসন , আমেধিক , আশ্রমবাসিক , মৌষল , মহাপ্রস্থানিক এবং স্বর্গারােহণ ।
মহর্ষি বেদব্যাস প্রণীত মহাভারত প্রসিদ্ধ ভরতবংশের সামগ্রিক ইতিহাসের মহৎ কাহিনি । মহত্ত্বও ভারবত্ত্বের দিক দিয়ে বিচার করলে এটি একটি সুবিশাল ‘মহাকাব্য’ । রচনাশৈলী এবং কাহিনির বিচারে মহাভারত ইতিহাস ও পুরাণ । এই গ্রন্থেই সমগ্র রচনাকে জয় , সংহিতা , আখ্যান , উপাখ্যান , ইতিহাস , কাব্য প্রভৃতি আখ্যায় ভূষিত করা হয়েছে । এটি প্রাচীন ভারতের পঞ্চমবেদ , ধর্মশাস্ত্র , কামশাস্ত্রও মােক্ষশাস্ত্র—অর্থাৎ ভারতকোশ । অজস্র আখ্যান -উপাখ্যানের ভাণ্ডারস্বরূপ এই মহাকাব্যটি ভারতীয় সাহিত্যের অগণিত পাঠকের নিকট যেমন অতিশয় মনােহারী , তেমনি ধর্মশাস্ত্ররূপেও ভারতীয় জনমানসে এর অমূল্য অবদান আছে । সাহিত্যের আদর্শে ও ধর্মীয় দৃষ্টিকোণে ভারতযুদ্ধ শুধুমাত্র জ্ঞাতিবিবাদের ভয়ংকর সংগ্রাম নয় , এটি ধর্মযুদ্ধ । কুরুক্ষেত্র কুরুক্ষেত্র নয়, এটি ধর্মক্ষেত্র । মহাভারতের সামাজিক আদর্শ ও রীতিনীতির ধারা ,জাতিগত ও রাষ্ট্রগত ভেদবৈচিত্র্য থেকে তৎকালীন সমাজকাঠামাে ও জীবনযাত্রা পদ্ধতির বহুমুখী রূপ প্রত্যক্ষগােচর হয় । সুতরাং , মহাভারতের সাহিত্যিক মূল্য অপরিমেয় ।
মহাভারতের কাহিনি অবলম্বনে খ্রিস্টপূর্ব যুগ থেকে খ্রিস্টীয় ষােড়শ - সপ্তদশ শতক পর্যন্ত অসংখ্য কাব্য, নাটক , মহাকাব্য , চম্পূ প্রভৃতি রচিত হয়েছিল । উক্ত রচনাগুলির মধ্যে প্রধান প্রধান গ্রন্থগুলির নাম উল্লেখ করা বাঞ্ছনীয় । ভারবির কিরাতাৰ্জুনীয় , মাঘের শিশুপালবধ , শ্রীহর্ষের নৈষধচরিতম , ক্ষেমেন্দ্রের মহাভারতমঞ্জরী , নীতিবর্মার কীচকবধ, বাসুদেবের যুধিষ্ঠিরবিজয়, এবং অমরচন্দ্র সূরির বালভারতম প্রভৃতি মহাকাব্য বিশেষরূপে প্রসিদ্ধ ।
মহাভারত প্রসিদ্ধ ‘নল - দময়ন্তী’ কাহিনি অবলম্বনে রচিত ছােটো - বড়াে ২৭ টি নাটক এবং একাধিক চম্পুকাব্য পাওয়া যায় । মহাকবি ভাসের মধ্যমব্যায়ােগ , দূতবাক্যম্ , ঊরুভঙ্গম , কর্ণভার , দূতঘটোৎকচ , পঞরাত্রম নামক কালিদাসের অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ , ভট্টনারায়ণের বেণীসংহার , কুলশেখরের সুভদ্রাধনঞ্জয়ম্, কুমারপালের দ্রৌপদীস্বয়ংবরম্ প্রভৃতি নাটকগুলি সংস্কৃত নাট্যজগতে বিশেষ খ্যাতিলাভ করেছে ।
নব্য ভারতীয় সাহিত্যেও মহাভারতের প্রভাব ও অবদান অনস্বীকার্য । তার প্রধান নিদর্শন বাংলা ভাষায় রচিত সর্বজনপ্রিয় কাশীরাম দাসের ‘মহাভারত’ । সেই সঙ্গে বাংলা ভাষায় রচিত কবীন্দ্র পরমেশ্বরের ‘পাণ্ডববিজয় ’ শ্রীকর নন্দীর ‘ অশ্বমেধকথা ’ গ্রন্থ দুটির নামও শ্রদ্ধাসহকারে উল্লেখ করা যায় ।
মহাভারতের ভীষ্মপর্বীয় ‘ শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা ’- কে সকল উপনিষদের সারবস্তু বলা হয়েছে এবং এটি এখন শ্রেষ্ঠ ধর্মগ্রন্থের স্থান পেয়েছে ।
মহাভারতের অমৃতবাণী , মহাভারতের শিক্ষা , মহাভারতের উপদেশ এবং মহাভারতের আখ্যান - উপাখ্যান যুগ যুগ ধরে কবিচিত্তকে আকর্ষণ করেছে । এই গ্রন্থের রসধারায় পরিপুষ্ট সংস্কৃত কবিগণ প্রাচীন সাহিত্যের আঙ্গিক , আদর্শ , বহিরঙ্গ উপাদান এবং অন্তরঙ্গ বৈশিষ্ট্য ও ভাবধারাকে আত্মসাৎ করে নতুন ধারায় নব নব সাহিত্যের সৃষ্টিকরেছেন ।
বৈশম্পায়নের নিম্নোক্ত উক্তিটিই মহাভারতের শ্রেষ্ঠত্বের কথা প্রচার করেছে
“ ধর্মে চার্থে চ কামে চ মােক্ষে চ ভরতৰ্ষভ ।
যদিহাস্তি তদন্যত্র যন্নেহান্তি ন তৎ কৃচিৎ ।। ”
বুধবার, ২৩ মার্চ, ২০২২
উত্তর : কবি জয়দেব তাঁর ‘ গীতগােবিন্দম ’ কাব্যারম্ভে যে-দশজন অবতারের প্রশস্তি করেছেন , তন্মধ্যে কল্কিই হলেন দশম অবতার । কিন্তু পুরাণমতে কল্কিদেবের আবির্ভাব এখনও ঘটেনি । ঋষিরা মানসচক্ষে তাঁর ভাবী আবির্ভাবের কথা জানতে পেরে পুরাণে তা বিবৃত করেছেন । তাঁরা অন্তদৃষ্টির দ্বারা যা দেখেছেন , তা হল
[ ] কলিকালে আয়ু , বীরত্ব, বল ও তেজ ক্রমেই হ্রাসপ্রাপ্ত হবে । মানুষ কপটাচারী হবে । সত্য পৃথিবী থেকে তিরােহিত হবে । সত্যের হানিতে আয়ুর অল্পতা , আয়ুর অল্পতাবশত বিদ্যার্জনে অক্ষমতা , বিদ্যার অল্পতাহেতু অজ্ঞান , অজ্ঞান থেকে লােভ , লােভ থেকে ক্রোধ, ক্রোধ থেকে মােহ জন্মাবে । মানুষ লােভ , ক্রোধ, মােহ ও কামের বশবর্তী হয়ে পরস্পর পরস্পরের প্রতি জিঘাংসু হয়ে উঠবে । সমস্ত জগৎ হয়ে উঠবে ম্লেচ্ছ । যাগযজ্ঞাদি ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাবে । মানুষ নিরানন্দ ও নিরুৎসাহ হয়ে উঠবে । জাতিবৈষম্য একেবারে দূরীভূত হবে এবং সকল মানুষ একজাতি হয়ে যাবে । সর্ব বিষয়ে নৈরাজ্য দেখা যাবে ।
[ ] সমগ্র পৃথিবীতে যখন এরূপ বিপর্যয় দেখা যাবে তখন শম্ভল গ্রামে বিষ্ণুযশ নামে এক ব্রাত্মণ জন্মগ্রহণ করবেন । সেই বংশেই কল্কিদেবের আবির্ভাব হবে । তিনি ভার্গবের সকল শাস্ত্র শিক্ষা করে তপস্যার দ্বারা মহাদেবের নিকট সর্বগ অশ্ব ও সর্বজ্ঞ শুক লাভ করবেন । অতঃপর সেই দেবদত্ত অশ্বে আরােহণ করে এবং দেবদত্ত অসি ধারণ করে ম্লেচ্ছদিগকে সমূলে নির্মূল করবেন । তিনি অশ্বমেধ যজ্ঞের অনুষ্ঠান করে দক্ষিণস্বরূপ ব্রাত্মণদিগকে সমগ্র পৃথিবী দান করবেন । তারপর
মহাপ্রলয়ে পৃথিবী লয়প্রাপ্ত হলে কল্কিদেবও অন্তর্হিত হবেন । পরিশেষে পুনরায় সত্যযুগের আবির্ভাব হবে ।