সংস্কৃত লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
সংস্কৃত লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ, ২০২২

মহাভারতের ক -টি পর্ব ও কী কী মহাভারতের সাহিত্যিক মূল্য পর্যালােচনা করাে

একাদশ শ্রেণী সংস্কৃত সাহিত্যের ইতিহাস সংস্কৃত প্রশ্নোত্তর class11Sanskrit question answer class xi class eleventh মহাভারতের কটি পর্ব ও কী কী মহাভারতের সাহিত্যিক মূল্য পর্যালােচনা করাে mahabharater koti porbo o ki ki mahabharater sahitya mullo porjalochona koro

উত্তর : মহাভারতের ১৮ টি পর্ব । যথা — আদি , সভা , বন , বিরাট , উদ্যোগ , ভীষ্ম, দ্রোণ, শল্য , কর্ণ, সৌপ্তিক , স্ত্রী,শান্তি, অনুশাসন , আমেধিক , আশ্রমবাসিক , মৌষল , মহাপ্রস্থানিক এবং স্বর্গারােহণ ।

মহর্ষি বেদব্যাস প্রণীত মহাভারত প্রসিদ্ধ ভরতবংশের সামগ্রিক ইতিহাসের মহৎ কাহিনি । মহত্ত্বও ভারবত্ত্বের দিক দিয়ে বিচার করলে এটি একটি সুবিশাল ‘মহাকাব্য’ । রচনাশৈলী এবং কাহিনির বিচারে মহাভারত ইতিহাস ও পুরাণ । এই গ্রন্থেই  সমগ্র রচনাকে জয় , সংহিতা , আখ্যান , উপাখ্যান , ইতিহাস , কাব্য প্রভৃতি আখ্যায় ভূষিত করা হয়েছে । এটি প্রাচীন ভারতের পঞ্চমবেদ , ধর্মশাস্ত্র , কামশাস্ত্রও মােক্ষশাস্ত্র—অর্থাৎ ভারতকোশ । অজস্র আখ্যান -উপাখ্যানের ভাণ্ডারস্বরূপ এই মহাকাব্যটি ভারতীয় সাহিত্যের অগণিত পাঠকের নিকট যেমন অতিশয় মনােহারী , তেমনি ধর্মশাস্ত্ররূপেও ভারতীয় জনমানসে এর অমূল্য অবদান আছে । সাহিত্যের আদর্শে ও ধর্মীয় দৃষ্টিকোণে ভারতযুদ্ধ শুধুমাত্র জ্ঞাতিবিবাদের ভয়ংকর সংগ্রাম নয় , এটি ধর্মযুদ্ধ । কুরুক্ষেত্র কুরুক্ষেত্র নয়, এটি ধর্মক্ষেত্র । মহাভারতের সামাজিক আদর্শ ও রীতিনীতির ধারা ,জাতিগত ও রাষ্ট্রগত ভেদবৈচিত্র্য থেকে তৎকালীন সমাজকাঠামাে ও জীবনযাত্রা পদ্ধতির বহুমুখী রূপ প্রত্যক্ষগােচর হয় । সুতরাং , মহাভারতের সাহিত্যিক মূল্য অপরিমেয় ।


 মহাভারতের কাহিনি অবলম্বনে খ্রিস্টপূর্ব যুগ থেকে খ্রিস্টীয় ষােড়শ - সপ্তদশ শতক পর্যন্ত অসংখ্য কাব্য, নাটক , মহাকাব্য , চম্পূ প্রভৃতি রচিত হয়েছিল । উক্ত রচনাগুলির মধ্যে প্রধান প্রধান গ্রন্থগুলির নাম উল্লেখ করা বাঞ্ছনীয় । ভারবির কিরাতাৰ্জুনীয় , মাঘের শিশুপালবধ , শ্রীহর্ষের নৈষধচরিতম , ক্ষেমেন্দ্রের মহাভারতমঞ্জরী , নীতিবর্মার কীচকবধ, বাসুদেবের যুধিষ্ঠিরবিজয়, এবং অমরচন্দ্র সূরির বালভারতম প্রভৃতি মহাকাব্য বিশেষরূপে প্রসিদ্ধ ।

 

মহাভারত প্রসিদ্ধ ‘নল - দময়ন্তী’ কাহিনি অবলম্বনে রচিত ছােটো - বড়াে ২৭ টি নাটক এবং একাধিক চম্পুকাব্য পাওয়া যায় । মহাকবি ভাসের মধ্যমব্যায়ােগ , দূতবাক্যম্ , ঊরুভঙ্গম , কর্ণভার , দূতঘটোৎকচ , পঞরাত্রম নামক কালিদাসের অভিজ্ঞানশকুন্তলম্‌ , ভট্টনারায়ণের বেণীসংহার , কুলশেখরের সুভদ্রাধনঞ্জয়ম্, কুমারপালের দ্রৌপদীস্বয়ংবরম্ প্রভৃতি নাটকগুলি সংস্কৃত নাট্যজগতে বিশেষ খ্যাতিলাভ করেছে । 


নব্য ভারতীয় সাহিত্যেও মহাভারতের প্রভাব ও অবদান অনস্বীকার্য । তার প্রধান নিদর্শন বাংলা ভাষায় রচিত সর্বজনপ্রিয় কাশীরাম দাসের  ‘মহাভারত’ । সেই সঙ্গে বাংলা ভাষায় রচিত কবীন্দ্র পরমেশ্বরের ‘পাণ্ডববিজয় ’ শ্রীকর নন্দীর ‘ অশ্বমেধকথা ’ গ্রন্থ দুটির নামও শ্রদ্ধাসহকারে উল্লেখ করা যায় । 


মহাভারতের ভীষ্মপর্বীয় ‘ শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা ’- কে সকল উপনিষদের সারবস্তু বলা হয়েছে এবং এটি এখন শ্রেষ্ঠ ধর্মগ্রন্থের স্থান পেয়েছে । 

মহাভারতের অমৃতবাণী , মহাভারতের শিক্ষা , মহাভারতের উপদেশ এবং মহাভারতের আখ্যান - উপাখ্যান যুগ যুগ ধরে কবিচিত্তকে আকর্ষণ করেছে । এই গ্রন্থের রসধারায় পরিপুষ্ট সংস্কৃত কবিগণ প্রাচীন সাহিত্যের আঙ্গিক , আদর্শ , বহিরঙ্গ উপাদান এবং অন্তরঙ্গ বৈশিষ্ট্য ও ভাবধারাকে আত্মসাৎ করে নতুন ধারায় নব নব সাহিত্যের সৃষ্টিকরেছেন ।


বৈশম্পায়নের নিম্নোক্ত উক্তিটিই মহাভারতের শ্রেষ্ঠত্বের কথা প্রচার করেছে

      “ ধর্মে চার্থে চ কামে চ মােক্ষে চ ভরতৰ্ষভ ।   

       যদিহাস্তি তদন্যত্র যন্নেহান্তি ন তৎ কৃচিৎ ।। ”


বুধবার, ২৩ মার্চ, ২০২২

শ্রীভগবানের কল্কি অবতাররূপে আবির্ভাবের কাহিনি বর্ণনা করাে

একাদশ শ্রেণী সংস্কৃত প্রশ্নোত্তর সাজেশন class 11 Sanskrit question answer class xi class eleventh শ্রীভগবানের কল্কি অবতাররূপে আবির্ভাবের কাহিনি বর্ণনা করাে shreebhagbaner kolki abotarrupe abirvaber kahini bornona koro


উত্তর : কবি জয়দেব তাঁর ‘ গীতগােবিন্দম ’ কাব্যারম্ভে যে-দশজন অবতারের প্রশস্তি করেছেন , তন্মধ্যে কল্কিই হলেন দশম অবতার । কিন্তু পুরাণমতে কল্কিদেবের আবির্ভাব এখনও ঘটেনি । ঋষিরা মানসচক্ষে তাঁর ভাবী আবির্ভাবের কথা জানতে পেরে পুরাণে তা বিবৃত করেছেন । তাঁরা অন্তদৃষ্টির দ্বারা যা দেখেছেন , তা হল 

[       ]  কলিকালে আয়ু , বীরত্ব, বল ও তেজ ক্রমেই হ্রাসপ্রাপ্ত হবে । মানুষ কপটাচারী হবে । সত্য পৃথিবী থেকে তিরােহিত হবে । সত্যের হানিতে আয়ুর অল্পতা , আয়ুর অল্পতাবশত বিদ্যার্জনে অক্ষমতা , বিদ্যার অল্পতাহেতু অজ্ঞান , অজ্ঞান থেকে লােভ , লােভ থেকে ক্রোধ, ক্রোধ থেকে মােহ জন্মাবে । মানুষ লােভ , ক্রোধ, মােহ ও কামের বশবর্তী হয়ে পরস্পর পরস্পরের প্রতি জিঘাংসু হয়ে উঠবে । সমস্ত জগৎ হয়ে উঠবে ম্লেচ্ছ । যাগযজ্ঞাদি ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাবে । মানুষ নিরানন্দ ও নিরুৎসাহ হয়ে উঠবে । জাতিবৈষম্য একেবারে দূরীভূত হবে এবং সকল মানুষ একজাতি হয়ে যাবে । সর্ব বিষয়ে নৈরাজ্য দেখা যাবে । 


[       ]  সমগ্র পৃথিবীতে যখন এরূপ বিপর্যয় দেখা যাবে তখন শম্ভল গ্রামে বিষ্ণুযশ নামে এক ব্রাত্মণ জন্মগ্রহণ করবেন । সেই বংশেই কল্কিদেবের আবির্ভাব হবে । তিনি ভার্গবের সকল শাস্ত্র শিক্ষা করে তপস্যার দ্বারা মহাদেবের নিকট সর্বগ অশ্ব ও সর্বজ্ঞ শুক লাভ করবেন । অতঃপর সেই দেবদত্ত অশ্বে আরােহণ করে এবং দেবদত্ত অসি ধারণ করে ম্লেচ্ছদিগকে সমূলে নির্মূল করবেন । তিনি অশ্বমেধ যজ্ঞের অনুষ্ঠান করে দক্ষিণস্বরূপ ব্রাত্মণদিগকে সমগ্র পৃথিবী দান করবেন । তারপর

মহাপ্রলয়ে পৃথিবী লয়প্রাপ্ত হলে কল্কিদেবও অন্তর্হিত হবেন । পরিশেষে পুনরায় সত্যযুগের আবির্ভাব হবে । 


 

মঙ্গলবার, ২২ মার্চ, ২০২২

তােমাদের পাঠ্যাংশে মেঘের উৎপত্তি ও বংশপরিচয় সম্বন্ধে কবির বক্তব্য আলােচনা করাে

একাদশ শ্রেণী সংস্কৃত প্রশ্নোত্তর সাজেশন class 11 Sanskrit question answer class xi class eleventh তােমাদের পাঠ্যাংশে মেঘের উৎপত্তি ও বংশপরিচয় সম্বন্ধে কবির বক্তব্য আলােচনা করাে megher utpotti o bongshoporichoy sombondhe kobir boktobbo alochona koro



উত্তর : ‘ মেঘদূতম্ ’ গীতিকাব্যে কবি আমাদের পাঠ্যাংশে পূর্বমেঘের সূচনায় মেঘের উৎপত্তি এবং তার বংশ - পরিচিতির এক সুন্দর আলেখ্য তুলে ধরেছেন । মেঘ ধূম, জ্যোতিঃ , বায়ু এবং সলিল এই চারটি জড়পদার্থের সমন্বয়ে গঠিত । বাতাস তাকে বহন করে । সুতরাং , বিরহী যক্ষের ‘স্বকুশলময়ী’ বার্তা বহন করার ক্ষমতা নেই । তথাপি কবি যক্ষের মুখ দিয়ে মেঘকেই ওই বার্তা বয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুরােধ জানিয়েছেন । সুস্থ -সমর্থ মানুষের কাজ জড়পদার্থকে দিয়ে করাতে যাওয়া বাতুলতা । তথাপি কবির এ প্রয়াস কেন ? প্রেমপরবশ যক্ষ চেতন - অচেতন ভেদবুদ্ধিরহিত । কামার্তরা এমনই হয়ে থাকে । যক্ষের এখন উন্মাদ দশা চলছে । পাগল আর প্রেমিক –একই গােত্রেরই হয়ে থাকে । সেইজন্য যক্ষ অচেতনে চেতনত্ব আরােপ করেছে । অতএব , মেঘ এখন অচেতন নয় , সচেতন । শুধু সচেতনই নয়, মেঘ অধিগুণসম্পন্ন , সংবেদনশীল । 



[         ]  কবি মেঘকে ত্রিভুবনবিখ্যাত পুষ্করাবর্তক নামক বংশজাত বলে উল্লেখ করেছেন । কিন্তু মেঘ চার প্রকার । আবর্ত , সংবর্ত , পুষ্কর এবং দ্ৰোণ । মেঘ চার প্রকার হলে একই মেঘের পুষ্কর ও আবর্তক - দুই বংশ হয় কীভাবে ? ব্ৰণ্ডপুরাণে পুষ্কর মেঘেরই না মান্তর পুষ্করাবর্তক । তা ছাড়া পুষ্করাশ্চতে আবর্তকাশ্চ — এইভাবে কর্মধারয় সমাস করলে পুষ্করাবর্তক একই মেঘকে বােঝাবে । ইন্দ্র ভূতগণের মঙ্গল কামনায় যথেচ্ছগামী মহাতেজসম্পন্ন পর্বতসমূহের পক্ষ ছেদন করতে থাকলে তা থেকে বিপুলকায় জলময় পুষ্কর মেঘসমূহ উৎপন্ন হয় । এই কারণে পক্ষজ এই মেঘকে পুষ্করাবর্তক বলে । এই মেঘ সকল নানা রূপধর , অতি ঘােরতর , কল্পান্তকালে বৃষ্টিপ্রদ । 

[         ] মেঘ বংশে অভিজাত , শক্তিতে অতুলনীয় । সে কামরূপ , ইচ্ছাধীন বিগ্রহ । সে কখনও ক্ষুদ্রাকার —কখনও অতিমহান । কখনও ঘাের মসীবর্ণ —কখনও শুভ্রবর্ণ । কখনও বায়বীয় কখনও গলিত ধারা । মেঘ ইন্দ্রের প্রধান সহায় । মেঘ থেকে হয় বর্ষণ - বর্ষণ থেকে অন্ন । আবার অন্ন থেকে প্রাণধারণ । সুতরাং , দেবরাজের প্রজার জীবনরক্ষায় মেঘ অপরিহার্য । তাই কবি মেঘকে “ প্রকৃতিপুরুষং কামরূপং মঘােনঃ ” বলে উল্লেখ করেছেন ।

সোমবার, ২১ মার্চ, ২০২২

শ্রীরামকৃষ্ণের সঙ্গে নরেন্দ্রনাথের প্রথম সাক্ষাৎকারের ঘটনা বিবৃত করাে

একাদশ শ্রেণী সংস্কৃত প্রশ্নোত্তর সাজেশন class 11 Sanskrit question answer class xi class eleventh শ্রীরামকৃষ্ণের সঙ্গে নরেন্দ্রনাথের প্রথম সাক্ষাৎকারের ঘটনা বিবৃত করাে sriramkrishner songe norendronather prothom sakkhatkaarer ghotona bibrito koro

উত্তর : শ্রী যতীন্দ্রবিমলচৌধুরী বিরচিত ‘ভারতবিবেক’ নাট্যাংশে শ্রীরামকৃয়দেব কলিকাতার সিমুলিয়া অঞ্চলে গিয়েছেন গৃহীভক্ত সুরেন্দ্রনাথ মিত্রের গৃহে । সঙ্গে আছেন ভক্তবৃন্দ ।সেদিন ১৮৮১ খ্রিস্টাব্দের এক মধুর সন্ধ্যা । সন্ধ্যা সাত ঘটিকা । শ্রীরামকৃষ্ণ সাধক — জগজ্জননী ভবতারিণীর পূজারী । ভবতারিণীই তাঁর ধ্যান - জ্ঞান । শয়নে -স্বপনে -নিদ্রায়-জাগরণে তিনি শ্রীশ্রীমাতার পুণ্য স্মরণে তন্ময় । সুরেন্দ্রনাথের গৃহেও সেই ভাবােদয় । তিনি মাতৃকাস্তুতি শােনার জন্য ব্যাকুল । তিনি সুরেন্দ্রনাথকে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারলেন যে ,তাঁরই ( সুরেন্দ্রের) প্রতিবেশী নরেন্দ্রনাথ নামে এক তরুণ গায়ক আছেন । তিনি দত্তকুলােদ্ভব, অধ্যয়নরত এবং ব্রাহ্বসমাজের সঙ্গে যুক্ত । তরুণ হলেও তিনি সত্যই সংগীতনিপুণ । নরেন্দ্রের নাম শােনামাত্র শ্রীরামকৃষ্ণদেব ব্যাকুল হয়ে পড়লেন ।নরেন্দ্র অর্থাৎ নরশ্রেষ্ঠ । শ্রীরামকৃষ্ণ যে তাঁর হৃদয়রাজ্যে একজন যথাযােগ্য , সর্বলােকবরেণ্য উত্তরসাধককে খুঁজে বেড়াচ্ছেন , এই কি সেই জটাজুটধারী ! জগতের কল্যাণকারী ! মন্দাকিনীর কলকলধারায় সুস্নাত শিবশংকর — যাঁর অপেক্ষায় শ্রীশ্রীঠাকুর (রামকৃষ্ণদেব ) দিন গুনছেন — যাঁর পথ চেয়ে অধীর আগ্রহে সময় কাটাচ্ছেন ? শ্রীরামকৃয় অধীর হয়ে উঠলেন ওই যুবকটিকে দেখার জন্য , তাঁর সুমধুর কণ্ঠে মাতৃস্তুতি শােনার জন্য শ্রীরামকৃষ্ণের আগ্রহাতিশয্যে সুরেন্দ্রনাথ তাঁকে আনার জন্য সত্বর যাত্রা করলেন এবং নরেন্দ্র সমভিব্যাহারে প্রত্যাবর্তন করলেন ।


শ্রীরামকৃষ্ণদেবের সঙ্গে সাক্ষাৎকার ঘটল নরেন্দ্রনাথের । হল মণিকাঞ্চনযােগ । উভয়ে উভয়কে প্রত্যক্ষ করলেন । প্রথম দর্শনেই নরেন্দ্রনাথকে কিছুটা পর্যাকুল দেখা গেল । শ্রীরামকৃষ্ণ সেই কোমলকুঞ্চিতকেশী , সুসজ্জশিরস্ক ,ইন্দীবরতুল্য আকৰ্ণবিস্তৃত চক্ষুবিশিষ্ট যুবকের প্রতি অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন । নরেন্দ্রনাথেরও মন সন্দিগ্ধ হলেও তার মন যেন তাকে বলে দিচ্ছে ইনিই তাঁর হৃদয়ানন্দকারী   স্নিগ্ধ-সুন্দর চন্দ্র । উভয়েই উভয়ের প্রতি আকৃষ্ট । শ্রীরামকৃষ্ণের হৃদয়তটিনী নরেন্দ্ররূপ সাগরের সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য দ্রুতগতিতে ছুটে চলেছে । সে -গতি অবাধ - অপ্রতিরােধ্য । নরেন্দ্রনাথেরও তদ্রুপ অবস্থা । তিনি নিজেকে সংযত করতে পারছেন না । তাঁরও হৃদয়চকোর শ্রীরামকৃষ্ণরূপ পূর্ণশশীর আনন্দরশ্মি আশা মিটিয়ে পান করছে । নরেন্দ্রের চোখে শ্রীরামকৃষ্ণ কোটি সূর্যসমপ্রভ কোটি চন্দ্র সুশীতল । চুম্বক যেমন লােহাকে আকর্ষণ করে  শ্রীরামকৃষ্ণও তেমনি নরেন্দ্রকে আকর্ষণ করছেন ।

তথাপি নরেন্দ্র নব্য শিক্ষায় শিক্ষিত । তিনি সম্বিত ফিরে পেলেন । অবলম্বন করলেন মানসিক দৃঢ়তা । মানবশরীরে ভাগবতসত্তা তিনি আরােপ করার ব্যাপারে অবিশ্বাসী । মানুষ ভগবান হতে পারে না । ভগবানও মানুষ হয়ে আসেন না । ক্ষণিকের চিত্তচাঞ্চল্যের জন্য তিনি নিজেকে ধিক্কার দিলেন । ধিক্কার দিলেন তাঁর অধীত বিদ্যাকে । শ্রীরামকৃষ্ণের মন ইঙ্গিত দিচ্ছে যে , এই ব্যঢ়োরস্ক, করিকরনিন্দিত ভুজযুগধারী , আয়তনয়ন এই যুবকই তাঁর কাঙ্ক্ষিত উত্তরসাধক । মা ভবতারিণী সুযােগ্য সন্তানকেই তাঁর কাছে পাঠিয়েছেন । 

অতঃপর চিত্তবিনােদনের জন্য তিনি নরেন্দ্রকে গান গাইতে অনুরােধ করলে নরেন্দ্র গান শুরু করলেন । গানের বিষয়বস্তু শ্মশানবাসিনী , নৃমুণ্ডমালিনী , শক্তিস্বরূপিনী শ্যামা । নরেন্দ্রের কণ্ঠ মধুবর্ষী, ভাষা ভক্তিরসাপ্লুত । শ্রীরামকৃষ্ণ অভিভূত । মা ভবতারিণীর কাছে তাঁর পুনরায় প্রার্থনা এই যুবকই যেন তাঁর , উত্তরসাধক হয় , যে হবে সর্বজনবরেণ্য এবং দেশের কালিমা দূর করতে সক্ষম ।

রবিবার, ২০ মার্চ, ২০২২

আলােচ্য নাট্যাংশে দেবী ভবতারিণীর উদ্দেশ্যে শ্রীরামকৃষ্ণের প্রথম সংলাপটি ব্যক্ত করাে

একাদশ শ্রেণী সংস্কৃত প্রশ্নোত্তর সাজেশন class 11 Sanskrit question answer class xi class eleventh আলােচ্য নাট্যাংশে দেবী ভবতারিণীর উদ্দেশ্যে শ্রীরামকৃষ্ণের প্রথম সংলাপটি ব্যক্ত করাে devi vobotarinir uddeshya sreeramkrishner prothom songlapti bakto koro


উত্তর : শ্রী যতীন্দ্রবিমল চৌধুরী বিরচিত ‘ভারতবিবেক ’ নাট্যাংশে শ্রীরামকৃষ্ণ ছিলেন এক মহাযােগী । ভবতারিণীর পূজারি । শয়নে স্বপনে তিনি জগজ্জননী ভবতারিণীর চিন্তায় মগ্ন । দেবীই ছিলেন তাঁর ধ্যান - জ্ঞান । সুতরাং , মধুর সন্ধ্যায় ভক্তবৃন্দপরিবেষ্টিত শ্রীরামকৃষ্ণ গৃহীভক্ত সুরেন্দ্রনাথের গৃহে আমন্ত্রিত হয়েও মাতৃনামকীর্তন থেকে বিরত হননি । তিনি ভবতারিণীর উদ্দেশ্যে প্রণাম জানিয়ে তার মনের আবেদন মায়ের কাছে নিবেদন করলেন 

জগজ্জননী ভবতারিণীই যােগিজনের উদ্ধারকত্রী ।তিনি শত শত সন্তানের মঙ্গলবিধায়িনী , ভববন্ধন থেকে মুক্তিদাত্রী । কোটি কোটি সন্তানের কোটি কোটি দুঃখ দূর করে মমতাঘন কৃপাদৃষ্টির দ্বারা তাপিতদের শান্তিবিধান করেন । তাঁর করুণা অহৈতুকী । কৃপাময়ী মায়ের কাছে তাঁর বিনীত নিবেদন তিনি অকুণ্ঠচিত্তে নিবেদন করলেন । 


তিনি মায়ের সুসন্তান । মায়ের কাছে তাঁর কামনা -বাসনা নিছক আত্মকেন্দ্রিক নয় । জগদ্ধিতায় তাঁর আবির্ভাব । জগতের

শত শত দুঃখকষ্ট তাঁর হৃদয়কে দীর্ণ-বিদীর্ণ করছে । জগতের কল্যাণই তাঁর একমাত্র কাম্য । তিনি তাে নিজেকে কেবল নিজের বলে মনে করতেন না ; তিনি বিশ্বের, তিনি বিশ্বদেবতার । অতএব , তাঁর চিন্তা বিশ্বজনীন চিন্তা । বিশ্বের কল্যাণের জন্য তাঁর মনে কত স্বপ্ন ! কত আশা -আকাঙ্ক্ষা ! কিন্তু সেই স্বপ্ন, সেই আশা - আকাঙ্ক্ষা পূরণ করার জন্য চাই একজন সুযােগ্য উত্তরসাধক । মা ভবতারিণী তাঁকে নানাভাবে কৃপা করলেও এখনও তাঁর উত্তরসাধকের কোনাে সন্ধান দেননি । মায়ের কাছে তাঁর আকুল আবেদন তিনি যেন একজন শিবসম উত্তরসাধক তাঁকে উপহার দেন , যার জন্য তিনি অহর্নিশ অপেক্ষা করে আছেন । 



শনিবার, ১৯ মার্চ, ২০২২

ভারতবিবেকম নাটকটির স্থান , কাল ও পাত্র চিত্রণ করাে

একাদশ শ্রেণী সংস্কৃত প্রশ্নোত্তর সাজেশন class 11Sanskrit question answer class xi class eleventh ভারতবিবেকম নাটকটির স্থান , কাল ও পাত্র চিত্রণ করাে bharatbibekom natoktir sthan kal o patro chitron koro


উত্তর : যতীন্দ্রবিমল চৌধুরী প্রণীত ‘ভারতবিবেকম ’ নাটকের ঘটনার স্থান হল —কলিকাতাস্থ সিমুলিয়া বা সিমলা অঞ্চলের সুরেন্দ্রনাথ মিত্রের বাড়ি। নাটকটি ১৮৮১ খ্রিস্টাব্দে সংঘটিত ঘটনার রঙ্গমঞোপযােগী রচনা । সময় হল সন্ধ্যা সাত ঘটিকা । ‘ ভারতবিবেকম ’-এর থেকে নেওয়া আমাদের পাঠ্যাংশের পাত্রবৃন্দ হলেন— (১ ) শ্রীরামকৃষ্ণ,(২ ) সুরেন্দ্রনাথ এবং ( ৩ )নরেন্দ্রনাথ । ভক্তবৃন্দের অনেকে নাটকে অনুপস্থিত । 

( ১ ) শ্রীরামকৃষ্ণ : শ্রীরামকৃষ্ণ ছিলেন দক্ষিণেশ্বরের মা ভবতারিণীর মন্দিরের পূজক একজন ধার্মিক এবং প্রকৃতপক্ষে সমাজসেবক । লক্ষ লক্ষ মানুষের দুঃখকষ্ট তাঁকে নিরন্তর পীড়া দেয়— “ জগতঃ শতশতক্লেশাঃ মম হৃদয়ং বিদারয়ন্তি । ” মানুষের যন্ত্রণামুক্তির জন্য এবং শিবসম উত্তরসাধকের জন্য তাঁর দেবীর কাছে অকাতর প্রাথনা । 

( ২ ) সুরেন্দ্রনাথ : সুরেন্দ্রনাথ মিত্র ছিলেন কলকাতার সিমুলিয়া অঞ্চলের বাসিন্দা । তিনি একজন সাধারণ গৃহস্থ এবং যুগাবতার শ্রীরামকৃষ্ণের অন্যতম ভক্ত তথা শিষ্য । তাঁর গৃহে যুগাবতার শ্রীরামকৃষ্ণের সহিত অন্যান্য ভক্তের সমাগম ঘটেছে । শ্রীরামকৃষ্ণ যেখানে অবস্থান করেন , সেই স্থানটি তৎক্ষণাৎ দেবমন্দির সদৃশ হয়ে ওঠে , এটিই সুরেন্দ্রনাথের অনুভূতি । 

( ৩ ) নরেন্দ্রনাথ : নরেন্দ্রনাথ হলেন শ্রীরামকৃষ্ণের শিবসম উত্তরসাধক । তিনিই শিবজ্ঞানে জীবসেবার বাণীটিকে জাতি ধর্ম - নির্বিশেষে সার্থক করে তুলেছিলেন - “জীবে প্রেম করে যেই জন /সেই জন সেবিছে ঈশ্বর ।”


শুক্রবার, ১৮ মার্চ, ২০২২

মা ভবতারিণীর কাছে শ্রীরামকৃষ্ণের মানসিক ব্যাকুলতা বর্ণনা করাে

একাদশ শ্রেণী সংস্কৃত প্রশ্নোত্তর সাজেশন class 11 Sanskrit question answer class xi class eleventh মা ভবতারিণীর কাছে শ্রীরামকৃষ্ণের মানসিক ব্যাকুলতা বর্ণনা করাে ma vobotarinir kache sriramkrishner mansik bakulota bornona koro

উত্তর : শ্রী যতীন্দ্রবিমল চৌধুরী বিরচিত ‘ভারতবিবেকম ’ নাট্যাংশে শ্রীরামকৃষ্ণ পরমসাধক , শ্রীশ্রীভবতারিণীর একনিষ্ঠ পূজারি । তিনি মৃন্ময়ী মাকে চিন্ময়ীরূপে প্রত্যক্ষ করেছেন । অতএব , গৃহে মায়েদের কাছে যেমন আবদার , শ্রীশ্রীমায়ের কাছেও শ্রীরামকৃষ্ণের সতত সেই শিশুসুলভ আবদার । কিন্তু । আমাদের পাঠ্যাংশে শ্রীশ্রীমায়ের কাছে তাঁর (রামকৃষ্ণদেবের ) সেরূপ শিশুসুলভ আবদার নাই , আছে মনের ব্যাকুলতা । 
ব্যাকুলতা — কারণ তিনি এখন একজন সুযােগ্য সর্বশক্তিমান শিবতুল্য উত্তরসাধক পেতে চান । মা ভবতারিণী অনুগ্রহপূর্বক তাঁকে বহু সাধনমার্গের পথনির্দেশ দিয়েছেন , কিন্তু কোনাে উত্তরসাধকের সন্ধান এখনও দেননি । রামকৃষ্ণদেব মানুষ হয়েও দেবতা , গৃহী হয়েও ত্যাগী । তাঁর কামনা -বাসনা আত্মকেন্দ্রিক নয় , বিশ্বজনীন । জগদ্ধিতায় তাঁর আবির্ভাব । তাঁর ভাবধারা , তাঁর আদর্শকে জগতে ঘােষিত করার জন্য প্রয়ােজন একজন মন্ত্রশিষ্য তথা উত্তরসাধক । সুরেন্দ্রের মুখে নরেন্দ্রের নাম শােনামাত্র তিনি হর্ষোৎফুল্ল হয়ে উঠলেন এবং দেবী ভবতারিণীর কাছে পুনরায় আকুল আবেদন জানালেন ওই নরেন্দ্র যেন তাঁর উত্তরসাধক হন । কারণ তিনি নরেন্দ্র অর্থাৎ নরশ্রেষ্ঠ । এরূপ শ্রেষ্ঠ মানুষকেই তাে তিনি খুঁজে বেড়াচ্ছেন । অতএব কৃপাময়ী , মায়ের কাছে তাঁর আবেদন— “সত্বরং ব্রুহি,মাতঃ ! এষ নরেন্দ্র এব মম শ্রেষ্ঠ উত্তরসাধকঃ স্যাৎ ।”
 শ্রীশ্রীঠাকুর তরুণ শিষ্যই তাে চাইছেন । তরুণদের মন কোমল । যা শেখানাে হবে তাঁদের মনে তাই অঙ্কিত হয়ে , যাবে । তিনি চান জটাজুটধারী , সর্বভারবাহী কল্যাণকারী স্বয়ং শিবকে তাঁর উত্তরসাধকরূপে । মা ভবতারিণী তাঁর কাছে সেরূপ এক উত্তরসাধক প্রেরণ করুন এটিই তাঁর হৃদয়ের একমাত্র ব্যাকুলতা , আর এই ব্যাকুলতা তাঁর অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে স্বতঃপ্রবাহিত । তাঁর দৃঢ়বিশ্বাস নরেন্দ্রই হবে তাঁর উত্তরসাধক । তাই তাে দৃশ্যের উপসংহারে শ্রীরামকৃষ্ণদেবকে বলতে শুনি— “ দেবি ভবতারিণি ! ত্বং ভূশং কৃপাপরায়ণা যথৈষ এব বরেণ্যসন্তানাে দেশস্য সর্বকালিমানং দূরীকর্তৃং শকুয়াৎ । ”


বৃহস্পতিবার, ১৭ মার্চ, ২০২২

শ্রীরামকৃষ্ণ সম্বন্ধে সুরেন্দ্রনাথের ধ্যানধারণার কী পরিচয় পাওয়া যায়

একাদশ শ্রেণী সংস্কৃত প্রশ্নোত্তর সাজেশন class 11Sanskrit question answer class xi class eleventh শ্রীরামকৃয় সম্বন্ধে সুরেন্দ্রনাথের ধ্যানধারণার কী পরিচয় পাওয়া যায় sriramkrishna sombondhe surendranath dhandharonar ki porichoy paoya jai

উত্তর : শ্রী যতীন্দ্রবিমল চৌধুরী বিরচিত ‘ভারতবিবেক ’ নাট্যাংশে সুরেন্দ্রনাথ ছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণের একজন একনিষ্ঠ গৃহীভক্ত । তিনি তদতপ্রাণ । পরমশ্রদ্ধাসহকারে তিনি শ্রীরামকৃষ্ণকে আমন্ত্রণ করে এনেছেন আপন গৃহে সিমুলিয়ায় । শ্রীরামকৃয় ভক্তপরিবেষ্টিত । মুখে তার অমৃতমধুর মাতৃনাম । সময় ১৮৮১ খ্রিস্টাব্দের এক মধুর সন্ধ্যা । সুরেন্দ্রনাথ গুরুপ্রেমে গদগদ হয়ে গুরুদেবের অনির্বচনীয় মহিমার কথা ভাবছেন । সংসারের বাঁধন সুরেন্দ্রনাথকে যতখানি বন্ধন করেছে , তার সহস্রগুণ বন্ধন করেছে গুরুদেবের ভালােবাসা । তিনি গুরুদেবের স্নেহধন্য । তাঁর চোখে শ্রীরামকৃষ্ণু দেবতা । সেইজন্যই তাে তিনি যেখানে অবস্থান করেন , সেই স্থানকে সুরেন্দ্রনাথ দেবমন্দির বলে মনে করেন । তিনি প্রত্যক্ষ করেছেন এক জ্যোতির্ধারা, যা শ্রীরামকৃষ্ণের দেহ থেকে নিরন্তর বিচ্ছুরিত হচ্ছে। তিনি রামকৃষ্ণদেবকে সাধারণ মানুষরূপে দেখেননি , দেখেছেন দেবতারূপে । মধুরভাষী শ্রীরামকৃষ্ণের মুখ থেকে যেন সতত প্রবহমান সুরধুনির মতাে সুধাধারা প্রবাহিত হচ্ছে । তার হাসি থেকে অরুণ কিরণরাশি ঝরে পড়ছে — এরূপ এক অপরূপ অনুভূতি সুরেন্দ্রনাথকে আপ্লুত করে রেখেছে । ভক্তির মাহাত্ম্যই এরূপ । সুরেন্দ্রনাথ যখন এইভাবে ভক্তিসাগরে নিমজ্জিত , ঠিক সেই সময়ে ঠাকুর সুরেন্দ্রনাথের কাছে জানতে চাইলেন নিকটস্থ তেমন কোনাে তরুণ গায়ক আছে কি না, যে -মাতৃকাস্তুতির দ্বারা শ্রীরামকৃষ্ণের কর্ণকুহরকে পরিতৃপ্ত করতে পারে । সুরেন্দ্রনাথ সবিনয়ে নরেন্দ্রের কথা উত্থাপন করামাত্র শ্রীরামকৃষ্ণের ভাবান্তর । তিনি নরেন্দ্রকে দেখার জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠলেন । তাঁর এই ব্যাকুলতা দেখে সুরেন্দ্রনাথ বিস্মিত । নরেন্দ্র শ্রীরামকৃষ্ণদেবের সম্পূর্ণ অপরিচিত ; তথাপি শ্রীরামকৃষ্ণের এত ব্যাকুলতা কেন ? সুরেন্দ্রনাথের বিশ্বাস শ্রীশ্রীঠাকুর এই নামের মধ্যেও এক অনাস্বাদিতপূর্ব গভীর

রসের সন্ধান পেয়েছেন । রামকৃষ্ণদেব অতিমানব । শ্রীরামকৃষ্ণ সম্বন্ধে সুরেন্দ্রনাথের সুউচ্চ ধারণা , প্রগাঢ় ভক্তি , অকুণ্ঠ শ্রদ্ধা এবং অতিমানবীয় ধারণার পরিচয় পাই তাঁর এই বাক্যের মধ্যে— “ গহনা খলু মহতাং চিত্তবৃত্তিঃ ।”




শুক্রবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১

মগধরাজ রাজহংসের চরিত্রাচিত্রন করো ?

 

একাদশ শ্রেণী class 11 xi eleven সংস্কৃত Sanskrit মগধরাজ রাজহংসের চরিত্রাচিত্রন করো প্রশ্নোত্তর mogodhraj rajhongsher choritrabitron koro questions answer

প্রশ্ন: মগধরাজ রাজহংসের চরিত্রাচিত্রন করো ?

 

উত্তর:- মগধরাজ রাজহংস ছিলেন এক অসাধারণ ব্যাক্তিত্ব । তিনি একজন সুদর্শন , সুপুরুষ ও বিক্রমশালী রাজা ছিলেন । তাঁর বাহুদ্বয় ছিল মন্দার পর্বতের ন্যায় সুদৃঢ় যা সমুদ্রের জল রাশির ন্যায় আগত শত্রুদের দমন করতে পারত । দিগন্ত বিস্তৃত খ্যাতি ছিল তাঁর । তার যশ কেবলমাত্র মর্ত্যলোকেই সীমাবদ্ধ ছিল না । অতি মনোরম ইন্দ্রলোকেও তরুণী অপ্সরা গণ দেবভাষায় তাঁর যশোগান করতেন ।

মগধরাজ সমুদ্র মেখলা রত্নময় রাজ্য ভোগ করে ভাগ্যবান হয়েছেন । তিনি ব্রাহ্মণদের প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল ছিলেন । বিভিন্ন যজ্ঞানুষ্টানে শ্রেষ্ট , শাস্ত্রজ্ঞ , দীপ্তিমান ব্রাহ্মণদের তিনি যজ্ঞ দক্ষিণা দান করতেন । পরাক্রমের দ্বারা তিনি শত্রুনাস করতেন এবং তিনি ছিলেন মধ্যাহ্ন সূর্যতুল্য তেজস্বী । অহংকার করার মতো রূপ ছিল তার । কবি তাকে কামদেবের রূপ সৌন্দর্যের সঙ্গে তুলনা করেছেন । তাঁর মহিষী বসুমতীও ছিলেন অতীব সুন্দরী , ধিমতি , লীলাময়ী ও নারীকূলে শ্রেষ্ঠা । তিনি যেমন পরাক্রমী বীর ও সুশাসক ছিলেন , তেমনই ছিলেন ক্ষমাবান । যুদ্ধে তিনি বলদর্পী রাজা মানসারের দর্প চুর্ন করে তাকে পরাস্ত ও বন্দি করেন । কিন্তু আবার তার প্রতি দয়া পরবশ হয়ে পুনরায় তাকে তাঁর নিজ রাজ্য প্রতিষ্ঠত করেন । ক্ষমা প্রদর্শন বীরের ধর্ম । মানসারের থেকে মহত্তর , কারণ শক্তানাং ভুষনং ক্ষমা ।

বৃহস্পতিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১

পরশুরাম কে ? তিনি ক্ষত্রিয়দের হত্যা করেছিলেন কেন ? ক্ষত্রিয় রক্ত দিয়ে তিনি কি করেছিলেন ?

 

একাদশ শ্রেণী class 11 xi eleven সংস্কৃত Sanskrit পরশুরাম কে তিনি ক্ষত্রিয়দের হত্যা করেছিলেন কেন ক্ষত্রিয় রক্ত দিয়ে তিনি কি করেছিলেন প্রশ্নোত্তর porshuram ke tini khotriyoder hotta korechilen ken


প্রশ্ন: পরশুরাম কে ? তিনি ক্ষত্রিয়দের হত্যা করেছিলেন কেন ? ক্ষত্রিয় রক্ত দিয়ে তিনি কি করেছিলেন ? 

উত্তর:- পরশুরাম ছিলেন ভৃখন্ডবংশীয় ব্রাহ্মণ জমদগ্নি ও রেণুকার পঞ্চম পুত্র । তাঁর জেষ্ঠ্য ভাইয়েরা ছিলেন বসু , বিশ্ববসু , বৃহদভানু ও বৃহৎকর্ণ ।


একটি নৃশংস ঘটনার প্রেক্ষিতে পরশুরাম চরম ক্ষত্রিয়বিদ্বেষী হয়ে ওঠেন । একবার জমদগ্নির পুত্রগণ অন্যত্র গমন করলে সহস্যবাহু ক্ষত্রিয়রাজ কার্তবীর্য আশ্রমে জিনিসপত্র বিপর্যস্ত করে প্রস্থান করেন । পরশুরাম আশ্রমে ফিরে সবকিছু অবগত হয়ে তীক্ষ্ণ ভল্লের আঘাতে কার্তবীযের বাহুছেদন করে তাকে হত্যা করেন । এরপর কার্তবীর্যের পুত্ররা আশ্রমে এসে তপোনীরত জমদগ্নিকে অতকিত আক্রমণে হত্যা করেন । 

অতঃপর আশ্রমে ফিরে নিহত পিতাকে দেখে শোকতপ্ত পরশুর প্রতিজ্ঞা করেন যে কার্তবীর্যের ক্ষতিয়জাতিকে তিনি বিনাশ করবেন । তিনি কার্তবীর্যের পুত্র গণকে হত্যা করেন এবং পৃথিবীকে একুশবার ক্ষত্রিয়হীন করেন ।


তারপর সমস্ত পঞ্চক প্রদেশে তিনি পাঁচটি রুধিরময় হ্রদ সৃষ্টি করে পিতৃগণের তর্পণ করেন । অবশেষে পিতামহ ঋচিকের অনুরোধে তিনি ক্ষত্রিয় নিধন থেকে নীরত হন ।

রবিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১

সুরেন্দ্রনাথ কে ? তাঁর সঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণের সম্পর্ক ও আচরণ বিবৃত করো ?

 

একাদশ শ্রেণী class 11 xi eleven সংস্কৃত Sanskrit সুরেন্দ্রনাথ কে তাঁর সঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণের সম্পর্ক ও আচরণ বিবৃত করো প্রশ্নোত্তর surendranath ke tar songe sreeram krishner somporko o achoron bibroto koro questions answer


প্রশ্ন: সুরেন্দ্রনাথ কে ? তাঁর সঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণের সম্পর্ক ও আচরণ বিবৃত করো ?

উত্তর:- সুরেন্দ্রনাথ ছিলেন কলকাতার সিমুলিয়া অঞ্চলের বাসিন্দা । তিনি ছিলেন একজন সাধারণ গৃহস্থ ও শ্রীরামকৃষ্ণের অন্যতম ভক্তশিষ্য ।


সুরেন্দ্রনাথ একজন গৃহী হয়েও শ্রীরামকৃষ্ণের একজন গুনমগ্ধ ভক্ত ছিলেন । তিনি শ্রীরামকৃষ্ণ কে দেবতার ন্যায় পূজা করতেন । তাঁর একান্ত বাধ্য ছিলেন । শ্রীরামকৃষ্ণকে নিজের বাড়িতে আনতে পেরে তিনি ধন্য । যে সন্ধায় শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁর গৃহে উপস্থিত ছিলেন , সে ছিল এক মধুময় সন্ধ্যা । গুরুদেবের অপূর্ব মহিমা সম্পর্কে তিনি বলেন যে যেখানেই তিনি থাকেন সেই স্থানটি তৎক্ষণাৎ দেব মন্দিরে পরিণত হয় , তার শরীর থেকে নিরন্তর জ্যোতিধারা নির্গত হয় , তাঁর বাক্য থেকে সুধা প্রবাহিত ও তাঁর হাসি থেকে সূর্যকিরণ রাশি নিঃসরিত হয় ।

শ্রীরামকৃষ্ণ কোন তরুণ গায়কের কণ্ঠে মাতৃকাস্তুতি শুনতে চাইলেন । তখন সুরেন্দ্রনাথ নরেন্দ্রনাথকে তাঁর নিকট উপস্থিত করলেন । এই নরেন্দ্র কে দেখে ও তাঁর গান শুনে শ্রীরামকৃষ্ণ অত্যন্ত তৃপ্ত হলেন এবং তাঁর উত্তর সাধক অন্বেষণের পিপাসা নিবারিত হল । নরেন্দ্রনাথ শ্রীরামকৃষ্ণের কাছে ছিলেন সম্পূর্ন অপরিচিত । অথচ দুজনের প্রথম সাক্ষাৎকারে মনে হল যে তাঁরা যেন জন্মজন্মান্তরের অতি পরিচিত । একনিষ্ট ভক্ত সুরেন্দ্রনাথ শ্রীরামকৃষ্ণের গহন চিত্তবৃত্তি উপলব্ধি করে অত্যন্ত অভিভূত । তিনি শ্রীরামকৃষ্ণের সেবায় সম্পূর্ন আত্মনিয়োজিত ছিলেন । " গুরো: কৃপাহি কেবলম " এটাই ছিল তাঁর জীবনের লক্ষ্য ।

শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১

কবি জয়দেব উল্লিখিত ভগবান বিষ্ণুর দশ অবতারের বিবরণ দাও

 

একাদশ শ্রেণী class 11 xi eleven সংস্কৃত Sanskrit কবি জয়দেব উল্লিখিত ভগবান বিষ্ণুর দশ অবতারের বিবরণ দাও প্রশ্নোত্তর joydev ullikhito vogoban bishnur dosh obotarer


প্রশ্ন: কবি জয়দেব উল্লিখিত ভগবান বিষ্ণুর দশ অবতারের বিবরণ দাও ।

উত্তর:- যখন যখন ধর্মের গ্লানি ও অধর্মের অভ্যুত্থান হয় তখন তখন সাধুদের পরিত্রাণ ও ধর্ম স্থাপনের জন্য জগতে বিভিন্ন রূপে ভগবানের আবির্ভাব ঘটে । মহাপ্রলয়কালে ভগবান বিষ্ণু প্রথম মৎস্য রূপ ধারণ করে সৃষ্টিকে রক্ষা করেন । মহা প্রলয়ে ভাসমান পৃথিবীকে নৌকায় আরুঢ ভগবান মনু , সপ্তশী গণ , বেদ প্রভৃতি কে তিনি অক্ষত রাখেন ।


দ্বিতীয় অবতারে কুর্মরূপ ধারণ করে নিজ পৃষ্টে কুর্মকে ধারণ করে রাখেন এবং পৃথিবী সুরক্ষিত থাকে । তৃতীয় অবতারে ভগবান বিষ্ণু বরাহরুপ ধারণ করেন । এই অবতারে প্রলয় জলে প্রবেশ করে তিনি হিরন্যক্ষকে হত্যা করেন এবং দর্শন শিখরে পৃথিবী ধারণ করে উঠে আসেন ।

চতুর্থ অবতারে তিনি নৃসিংহ রূপ ধারণ করে অত্যাচারী হিরন্যশিপুকে হত্যা করেন এবং পঞ্চম অবতারে বামনরূপ ধারণ করে তিনি দানদর্পী দৈত্যরাজ বলিকে পাতালে বন্দি করেন । ষষ্ট অবতারে তিনি পরশুরাম রূপে পৃথিবী কে নি:ক্ষত্রিয় করেন এবং সপ্তম বা রাম অবতারে তিনি অত্যাচারী রাক্ষস রাজ রাবণকে সবংশে হত্যা করে সীতাকে উদ্ধার করেন এবং রাম রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন । অষ্টম অবতারে তিনি হলধর বলরাম রূপে যমুমনাকে আকর্ষণ করেন এবং নবম অবতারে বুদ্ধরূপে তিনি বেদবিহিত যজ্ঞে জীবহত্যার নিন্দা করেন । দশম অবতারে তিনি কল্কি রূপ ধারণ করে অন্যায় , অধর্ম ও ম্লেচ্ছদের বিনাশ করেন এবং জগতে আবার সত্য যুগের প্রতিষ্ঠা করবেন ।

মঙ্গলবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১

অহমস্য ব্রহ্মানস্য গোযুগমপহরিরস্যমি " একথা কে কখন বলেছিল ? সে কেন গোযুগম অপহরণ করতে চেয়েছিল ? সে কি তাঁর কাজে সফল হয়েছিল ?

 

একাদশ শ্রেণী class 11 xi eleven সংস্কৃত Sanskrit অহমস্য ব্রহ্মানস্য গোযুগমপহরিরস্যমি " একথা কে কখন বলেছিল ? সে কেন গোযুগম অপহরণ করতে চেয়েছিল ? সে কি তাঁর কাজে সফল হয়েছিল ?


প্রশ্ন: " অহমস্য ব্রহ্মানস্য গোযুগমপহরিরস্যমি " একথা কে কখন বলেছিল ? সে কেন গোযুগম অপহরণ করতে চেয়েছিল ? সে কি তাঁর কাজে সফল হয়েছিল ?

উত্তর:- ক্রুরকর্মা নামে এ চোর একথা বলেছিল ।

কোনো এক যজমান প্রদত্ত দুটি গোবৎস দ্রোণ নামে এক ব্রহ্মান যাচিত ঘি তেল ঘাস প্রভৃতি খাই হৃষ্টপৃষ্ট করেছিলেন । তার সেই গোবৎস দুটি ছিল খুবই লোভনীয় । ক্রুরকর্মা গোবৎস দুটি দেখে খুবই প্রলুদ্ধ হয় এবং চুরি করার চিন্তা করে ।


এক রাতে সে গোরুবাঁধার দড়ি হাতে নিয়ে ব্রহ্মানের সেই গোরু জোড়া চুরি করার উদ্দেশ্য রওনা হল । কিন্তু মাঝপথে ভয়ংকর দর্শন এক পিশাচকে দেখে চোর ভীষন ভীত হয়ে পড়ল । সে ভয়ে ভয়ে তার পরিচয় জিজ্ঞাসা করতে সে বলল আমি সত্যবচন নামে ব্রহ্মরাক্ষস । সে সষ্ঠান্নকালিক এবং সে সেদিন ব্রহ্মনকে ভক্ষণ করে উপবাস ভঙ্গ করতে চায় । দুজনের উদ্দেশ্য এক । তাই তারা সঠিক সুযোগের অপেক্ষা করতে থাকল ।

কিন্তু তাদের উদ্দেশ্য ব্যর্থ হল । ব্রাহ্মণ নিদ্রা গেলে চোর ও ব্রহ্মরাক্ষসের মধ্যে কে আগে তাঁর কাজটি করবে এই নিয়ে তুমুল বিবাদ শুরু হল । তাদের বিবাদের শব্দে ব্রাহ্মণের ঘুম ভেঙে গেল । তখন ব্রাহ্মণের নিকটে গিয়ে তারা তাদের চক্রান্তের কথা স্বীকার করলো । তারপর ব্রাহ্মণ ঈস্টদেবতার মন্ত্র জপ করে ব্রহ্মরাক্ষস থেকে নিজেকে রক্ষা করলেন এবং উদ্যত লঙুর দেখিয়ে চোরের কাছ থেকে তাঁর গোরুজোড়া রক্ষা করলেন ।

সোমবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১

ভারতীয় সমাজ ও সাহিত্যে রামায়ণের প্রভাব আলোচনা করো

 

একাদশ শ্রেণী class 11 xi eleven সংস্কৃত Sanskrit ভারতীয় সমাজ ও সাহিত্যে রামায়ণের প্রভাব আলোচনা করো প্রশ্নোত্তর bharotiyo somaj o sahitya ramayoner provab alochona koro questions answer

প্রশ্ন: ভারতীয় সমাজ ও সাহিত্যে রামায়ণের প্রভাব আলোচনা করো ।

উত্তর:- ভারতীয় সমাজ ও সাহিত্যে রামায়ণের প্রভাব সর্বত্র । যুগ যুগ ব্যাপী ভারতের সমস্ত শ্রেণীর মানুষ গভীর শ্রদ্ধা ও আগ্রহের সঙ্গে এই গ্রন্থটি সংস্কৃত বা প্রাদেশিক ভাষায় পাঠ বা শ্রবণ করে আসছে । ভারতীয় নৈতিকতা , জীবনাদর্শ ও সাহিত্যকে রামায়ণ ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে আসছে । রামায়ণের নায়ক রামচন্দ্র ভারতের চিরকালীন মহানায়ক ও ভক্ত হৃদয়ের দেবতার আসনে প্রতিষ্ঠিত । রামচন্দ্র , সীতা , ভরত , লক্ষণ প্রভৃতি চরিত্রের গুণাবলী ভারতের জনজীবনে আজও নীতি ও আদর্শের প্রেরণা দিয়ে থাকে ।


অসাধারণ জনপ্রিয়তা হেতু রামায়ণের কাহিনী মহাভারতে এবং বহু পুরাণে স্থান লাভ করেছে । রামায়ণ এই নামটি যুক্ত করেও আধ্যাত্ম রামায়ণ , সপ্তর্ষি রামায়ণ প্রভৃতি বহু স্বতন্ত্র গ্রন্থ বাল্মিকীয় রামায়ণের প্রভাব বহন করে ।

অশ্বঘোষ , ভাস , কালীদাস , ভবভৃতির মহাবীর চরিত ও উত্তর রামচরিত প্রভৃতি ছাড়া আরো অনেক সংস্কৃত কবি সাহিত্যিক তাঁদের কাব্যের বিষয়বস্তু রামায়ণ থেকে সংগ্রহ করেছেন । ভারতের বিভিন্ন প্রাদেশিক সাহিত্যেসমূহেও রামায়ণের বিপুল প্রভাব লক্ষ করা যায় । হিন্দি ভাষায় তুলসী দাসের রামচরিতমানস , বাংলা ভাষায় কৃত্তিবাসী রামায়ণ , ভানু ভক্তের নেপালী রামায়ণ । তাছাড়া রামায়ণ কাহিনী অবলম্বনে মধুসূদন দত্তের মেঘনাদবধ কাব্য তামিল ভাষায় কিম্বা রামায়ণ প্রভৃতি । 

রবিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১

পন্ডিত নারায়ণ শর্মা রচিত হিতোপদেশ সমন্ধে যা জানো লেখো

 



প্রশ্ন: পন্ডিত নারায়ণ শর্মা রচিত হিতোপদেশ সমন্ধে যা জানো লেখো ।

উত্তর:- নারায়ণ শর্মার হিতোপদেশ নীতিমূলক গল্প সাহিত্যের একটি উৎকৃষ্ট গ্রন্থ । পঞ্চতন্ত্রের মতো এটি একটি উপভোগ্য গল্প সংগ্রহ । ৪৩ টি কথার মধ্যে পঞ্চতন্ত্র থেকে ২৫ টি ও অন্যান্য স্থান থেকে ১৮ টি গল্প গৃহীত হয়েছে । নারায়ন শর্মা ছিলেন রাজা ধবলচন্দ্রের সভাকবি । পাটলি পুত্রের রাজা সুদর্শনের পুত্রগণকে বিদ্যাশিক্ষার জন্য এই নীতি গ্রন্থ রচিত হয় ।


এটি মিত্রলাভ , সুহৃদভেদ , বিগ্রহ ও সন্ধি এই চারটি অধ্যায়ে বিভক্ত । অধ্যায় বিভাগ , ঘটনা বিন্যাস , রচনারীতি প্রভৃতি বিষয়ে পঞ্চতন্ত্রের অনুকরণ চিহ্ন স্পষ্ট হলেও নারায়ণ শর্মার নিজস্ব বৈচিত্র্য এতে যোজনা করেছেন । বেশ দক্ষতার সঙ্গে তিনি গল্পের আকর্ষনীয়তা ও গতিবেগ বাড়িয়ে তুলেছেন । এতে নীতিশ্লোকের বাহুল্য লক্ষণীয় । বহু শ্লোক নীতিসার থেকে নেওয়া ।

এর গল্প গুলি বালক বালিকার কল্পনা রাজ্য এক মায়ার আবেশ সৃষ্টি করে । গোদাবরী তীরের বিশাল শালম্মলি তরু , মন্দার পর্বতের দুর্দান্ত নামক সিংহ , কল্যাণকটকের ভৈরব ব্যাধ , চম্পকবতী অরণ্যানীর মৃগকাকশৃগাল এমন অনেক গল্পই শিশু মনে পুলক জাগায় । নানা গুনে সমৃদ্ধি হেতু হিতোপদেশের খ্যাতিও বহুদূর বিস্তৃত । এটির রচনাকাল খ্রিষ্টীয় ১০ম শতক থেকে ১৪শ শতকের মধ্যবর্তী কোনো এক সময় , গল্পের উপদেশ গুলি বালক বালিকার জীবনে চলার পথে নিত্য কাজে লাগে ।