ইতিহাস লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
ইতিহাস লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বুধবার, ১৩ জুলাই, ২০২২

মধ্যযুগে ইউরােপে সামন্তপ্রভুদের প্রধান ক্ষমতা ও কার্যাবলী উলেখ করাে ।

একাদশ শ্রেণী ইতিহাস প্রশ্নোত্তর xi class 11 history Question answer মধ্যযুগে ইউরােপে সামন্তপ্রভুদের প্রধান ক্ষমতা ও কার্যাবলী উলেখ করাে modheyjuge europe samontoprobhuder prodhan khomota o karjaboli ullekh koro


উত্তর : সামন্তপ্রভুদের ক্ষমতা ও কার্যাবলি ছিল নিম্নরূপ 

শাসনকার্য : বিভিন্ন স্তরের সামন্তপ্রভুরা ছিলেন তাদের নিজ নিজ অঞ্চলের প্রধান শাসক । তাঁরা দুর্গ নির্মাণ করে সেখান থেকে এলাকাটির শাসন পরিচালনা করতেন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতেন । 
বিচারকার্য : সামন্তপ্রভুরা তাদের অধীনস্থ অঞ্চলের প্রজাদের যাবতীয় অন্যায়-অবিচার , বিবাদ -বিসংবাদের বিচার করতেন । প্রজাদের বিচার করার উদ্দেশ্যে নিজ এলাকায় তিনি একটি বিচারালয় প্রতিষ্ঠা করতেন । 

সংস্কারকার্য : সামন্তপ্রভু তার অধীনস্থ এলাকার রাস্তাঘাট , খাল সাঁকো প্রভৃতি নির্মাণ ও মেরামত করতেন । এ ছাড়া তিনি স্থানীয় এলাকায় বাজার বসাতেন , পশুচারণ ভূমি সৃষ্টিকরতেন । 

কর আদায় : সামন্তপ্রভু নিজ এলাকার কৃষকদের কাছ থেকে কর বা খাজনা আদায় করতেন । ভূমিকর ,উৎপাদন কর , সম্পত্তি কর ( টাইলে ) সহ বিভিন্ন প্রকার কর তিনি আদায় করতেন । প্রভু প্রতি সপ্তাহে নির্দিষ্ট কয়েকটি দিন তার খামার বাড়িতে বা খাস জমিতে তার অধীনস্থ কৃষককে কর্ভি বা বেগার শ্রমদানে বাধ্য করতেন । কৃষকদের চার্চকে ‘টাইদ’ নামে ধর্মর্কর দিতে হত । 

অধীনস্থ সামন্তের আশ্রয় : ঊধ্বর্তন সামন্তপ্রভু তার অধীনস্থ বা অধস্তন সামন্তদের আশ্রয়দাতা এবং রক্ষাকর্তা হিসেবে কাজ করতেন । অধীনস্থ সামন্তের অকালমৃত্যু হলে মৃতের নাবালক পুত্রের অভিভাবকত্বও ঊধ্বর্তন সামন্তপ্রভু গ্রহণ করতেন এবং তার জমিদারি দেখাশােনা করতেন । 

সেনা সরবরাহ : সামন্তপ্রভুরা বহিরাগত শত্রুর আক্রমণ থেকে নিজের এলাকাকে রক্ষার উদ্দেশ্যে তার ঊর্ধ্বতন সামন্তপ্রভু বা রাজাকে সৈন্য ও প্রয়ােজনীয় সামরিক সাহায্য দিতেন । 

জমিদারি বাজেয়াপ্ত : উত্তরাধিকারী না রেখে কোনাে সামন্তের মৃত্যু হলে ঊর্ধ্বতন সামন্তপ্রভু তার জমিদারি বাজেয়াপ্ত করে সেখানে নতুন জমিদার নিযুক্ত করতেন । তা ছাড়া কোনাে সামন্ত তাঁর জমিদারি চালাতে ব্যর্থ হলে বা প্রভুর বিরােধিতা করলে ঊর্ধ্বতন সামন্তপ্রভু সেই সামন্তের জমিদারি বাজেয়াপ্ত করতে পারতেন । 


উপসংহার : সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থায় দেশের অগণিত কৃষক থেকে শুরু করে সম্রাট পর্যন্ত একটি ধারাবাহিক পিরামিডাকার ক্রমােচ্চ স্তর সৃষ্টি হয়েছিল । এই স্তরবিন্যাসে ঊর্ধ্বতন সামন্তপ্রভুর ক্ষমতা প্রয়ােগের ভিত্তি ছিল তার প্রতি তার অধস্তন সামন্তের আনুগত্য প্রদর্শন ।






মঙ্গলবার, ১২ জুলাই, ২০২২

ভারতে সুলতানি আমলে ক্রীতদাসরা কোন্ কোন্ কাজে নিযুক্ত হত ? সুলতানি যুগের অর্থনীতিতে ক্রীতদাস প্রথার কতটা ভূমিকা ছিল ?

একাদশ শ্রেণী ইতিহাস প্রশ্নোত্তর xi class 11 history Question answer ভারতে সুলতানি আমলে ক্রীতদাসরা কোন্ কোন্ কাজে নিযুক্ত হত সুলতানি যুগের অর্থনীতিতে ক্রীতদাস প্রথার কতটা ভূমিকা ছিল bharote sultani amole krittodasra kon kon kaje nijukto hoto sultani juger arthonoitite krittodas prothar kotota bhumika chilo

উত্তর : সুলতানি যুগে ক্রীতদাসদের বিভিন্ন ধরনের কাজে নিযুক্ত করা হত । 

গৃহকার্য : সুলতানি যুগে বেশিরভাগ দাস গৃহকার্যে নিযুক্ত হত । দাসরা গৃহের রান্নাবান্না,গৃহ পরিষ্কার রাখা , উদ্যান পরিচর্যা প্রভৃতি কাজকর্ম করত ।  

হারেমের দেখভাল : কিছু কিছু দাস হারেমের ( অন্দরমহল ) দেখাশােনা করত । এদের বলা হত ‘খােজা’ । বিদেশ থেকেও ‘খােজা’ দাস আমদানি করা হত । 

কারিগরের কাজ : কিছু দাস সুদক্ষ কারিগর হিসেবে বিভিন্ন শিল্প কারখানায় শিল্পসামগ্রী উৎপাদনের কাজে নিযুক্ত ছিল । অলংকার শিল্প, কাঠের আসবাবপত্র , গৃহস্থালির টুকিটাকি প্রভৃতি প্রস্তুতিতে দাসরা নিযুক্ত হত । 


প্রশাসন পরিচালনার কাজ : সুলতানগণ বিশেষ যােগ্যতা সম্পন্ন দাসদের প্রশাসনের কাজে নিযুক্ত করতেন । কোনাে কোনাে যােগ্যতাসম্পন্ন দাস তার প্রভুর মৃত্যুর পরে সুলতান হিসেবেও নিযুক্ত হয়েছেন । এ প্রসঙ্গে কুতুবউদ্দিন আইবক ও ইলতুৎমিসের নাম উল্লেখ করা যায় । 

ধর্মীয় কাজ : কোনাে কোনাে দাসকে ধর্মীয় কাজে নিয়ােগ করা হত । ধর্মীয় কাজের প্রচার ,ধর্মীয় সেবাকার্য প্রভৃতিতে দাসরা নিযুক্ত থাকত ।  

[      ] মালিকের মনােরঞ্জনের কাজ : মালিকের সঙ্গদান এবং মনােরঞ্জনের জন্যও কোনাে কোনো দাস নিয়ােজিত হত । প্রভুর সঙ্গে ভ্রমণে বা শিকারে সঙ্গ দেওয়া , গৃহে সঙ্গদান প্রভৃতি কাজে তাদের নিযুক্ত করা হত । 



[           ] সুলতানি যুগের অর্থনীতিতে ক্রীতদাস প্রথার কিছু কিছু প্রভাব পড়েছিল ।

কৃষির বিকাশে : সুলতানি আমলে কৃষিক্ষেত্রে প্রচুর ক্রীতদাস নিযুক্ত হয়ে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করেছিল । ফলে কৃষি উৎপাদন দেশের অর্থনীতিকে মজবুত করেছিল । 


প্রযুক্তির উন্নতিতে : ক্রীতদাসদের প্রচেষ্টায় কৃষিভিত্তিক শিল্প ও কারিগরি শিল্প — উভয় ক্ষেত্রেই উন্নতি ঘটেছিল । 
শাসকদের সম্পত্তি বৃদ্ধিতে : সুলতানি আমলে শাসকরা তাদের খাসজমিতে ক্রীতদাসদের নিয়ােগ করে উৎপাদন কার্য সচল রাখত । ক্রীতদাসদের শ্রমের ফসল হিসেবে শাসকদের হাতে প্রচুর সম্পদ সঞ্চিত হয়েছিল ।


সুলভ শ্রমিকের জোগানের ক্ষেত্রে : ভারতের মতাে বিশাল দেশে উৎপাদন কার্য অব্যাহত রাখার জন্য কৃষি , কারিগরি শিল্প, বন্দর প্রভৃতি ক্ষেত্রগুলিতে সস্তায় সহজলভ্য প্রচুর শ্রমিকের প্রয়ােজন ছিল ।  

দাসব্যাবসায় অর্থাগমে : পশ্চিম এশিয়ায় উচ্চমূল্যে ভারতীয় ক্রীতদাস বিক্রি হত । এর ফলে বৈদেশিক অর্থ ভারতে এলে দেশের অর্থনীতি মজবুত হয়েছিল । 
উপসংহার : নাইবুয়র লিখেছেন যে,“ সুলতানি যুগের কঠোর ও ব্যাপক দাসপ্রথা সামাজিক অগ্রগতির পথ রুদ্ধ করেছিল ।” দীর্ঘদিন ধরে পরাধীন দাস হিসেবে জীবন কাটানাের ফলে তাদের স্বভাব রুক্ষ ও নিষ্ঠুর হয়ে ওঠে ।






সোমবার, ১১ জুলাই, ২০২২

প্রাচীন মিশরে কী কী উপায়ে ক্রীতদাস সৃষ্টি হত ? মিশরের ক্রীতদাস ব্যাবসা কেমন ছিল ?

একাদশ শ্রেণী ইতিহাস প্রশ্নোত্তর xi class 11 history Question answer প্রাচীন মিশরে কী কী উপায়ে ক্রীতদাস সৃষ্টি হত মিশরের ক্রীতদাস ব্যাবসা কেমন ছিল prachin mishore ki ki upaye kritodas srishti hoto mishorer kritodas babsha kemon chilo

উত্তর : প্রাচীন মিশরে বিভিন্ন উপায়ে ক্রীতদাস সৃষ্টি হত —  
যুদ্ধে বন্দি হওয়া : মিশরের ফ্যারাওরা বিভিন্ন দেশের বিরূদ্ধে যুদ্ধ করে শত্রুপক্ষের বহু সৈন্য ও সাধারণ নাগরিককে বন্দি করত । বন্দিদের ক্রীতদাসে পরিণত করা হত । বন্দিদের স্ত্রী এবং সন্তানরাও ক্রীতদাসে পরিণত হত । 


ঋণ পরিশােধে অক্ষমতা : কখনাে কখনাে ঋণের দায়ে বাধা পড়া ব্যক্তিটিকে ঋণদাতা ক্রীতদাস হিসেবে বিক্রি করে দিতে পারত । 


দারিদ্র্যের তাড়না : কেউ কেউ অত্যন্ত দারিদ্র্যের তাড়নায় নিজেদের ক্রীতদাস হিসেবে বিক্রি করে দিত । কখনাে কখনাে দরিদ্র পিতামাতা তাদের সন্তানদেরও ক্রীতদাস হিসেবে বিক্রি করে দিত । 

স্বেচ্ছায় দাসত্ববরণ : কোনাে কোনাে নারী ক্রীতদাসী হিসেবে দেবমন্দিরে নিজেদের উৎসর্গ করত ।
অপহরণের মাধ্যমে : কখনাে কখনাে কোনাে পুরুষ বা মহিলাকে এবং মিশর ভ্রমণে আসা বিদেশিদের অপহরণ করে ক্রীতদাস হিসেবে বিক্রি করে দেওয়া হত । 


জন্মসূত্রে : কোনাে ক্রীতদাসের সন্তানসন্ততি জন্মসূত্রে তাদের প্রভুর ক্রীতদাসে পরিণত হত ।  

আইনভঙ্গ দ্বারা : মিশরের রাষ্ট্রীয় আইনভঙ্গকারীকে অনেক ক্ষেত্রে কঠোর শাস্তি হিসেবে ক্রীতদাসে পরিণত করা হত । 

[        ] প্রাচীন মিশরে দাস ব্যাবসা ততটা ব্যাপক আকার ধারণ করেনি । ফ্যারাওদের যুগে মিশরে সম্ভবত কোনাে ক্রীতদাস বাজারের অস্তিত্ব ছিল না । তবে মিশরে নয়া রাজ্যের যুগ থেকে ক্রীতদাস ব্যাবসার গতি বৃদ্ধি পেতে থাকে । 


ক্রীতদাসের বাজারদর : মিশরে ক্রীতদাসের মূল্য ধনী পরিবারগুলির আয়ত্তের মধ্যেই থাকত । পুরুষ ক্রীতদাসদের চেয়ে মহিলা ক্রীতদাসীদের মূল্য বেশি হত ।

আন্তর্জাতিক ক্রীতদাস বাজার : মিশরের ক্রীতদাস ব্যবসা আন্তর্জাতিক চরিত্র লাভ করেছিল । বিশেষ গুণাগুণবিশিষ্ট ক্রীতদাসদের মিশর থেকে বিদেশেও চালান করা হত । বিদেশের বাজারে মিশরের ক্রীতদাসদের যথেষ্ট চাহিদা ও বাজারদর ছিল ।  


ক্রীতদাসের চাহিদা : যুদ্ধে শত্রুপক্ষের সৈনিক ও সাধারণ মানুষ উভয়ই বন্দি হত । তবে মিশরীয়রা শত্রুপক্ষের সাধারণ বন্দিদের চেয়ে সবল বন্দি সৈনিকদেরই বেশি পছন্দ করত । কারণ ,তারা অন্য ক্রীতদাসদের তুলনায় বেশি পরিশ্রমসাধ্য কাজ করতে পারত । 

ক্রীতদাস ব্যাবসায় লাভ : মিশরের ক্রীতদাস কেনাবেচা খুবই লাভজনক হওয়ায় ধনী ব্যবসায়ীরা অনেকেই এই ব্যাবসার দিকে ঝুঁকেছিল । 


উপসংহার : মিশরের ক্রীতদাসরা সেদেশের ধনী প্রভুদের যাবতীয় কাজকর্ম করার মাধ্যমে তাদের পারিবারিক জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি নিয়ে আসত । এর ফলে মিশরে ক্রীতদাসদের চাহিদা বৃদ্ধি পায় এবং সেই চাহিদার ওপর ভিত্তি করেই সেদেশে দাস ব্যাবসার প্রচলন হয় ।




রবিবার, ১০ জুলাই, ২০২২

আকবর কেন মনসবদারি প্রথা প্রবর্তন করেন ? এর গুরুত্ব কি ছিল ?

একাদশ শ্রেণী ইতিহাস প্রশ্নোত্তর xi class 11 history Question answer আকবর কেন মনসবদারি প্রথা প্রবর্তন করেন এর গুরুত্ব কি ছিল akbar keno monosbodari protha proborton koren ar gurutto ki chilo


উত্তর :  মনসবদারি প্রথা প্রবর্তনের কারণগুলি হল নিম্নরূপ  
রাজকর্মচারী সংগঠন : আকবরের রাজত্বের আগে মােগল রাজকর্মচারীদের সংগঠিত করার কোনাে উদ্যোগ গ্রহণকরা হয়নি । তাই সিংহাসনে বসে আকবর মােগল সামরিক ও অসামরিক কর্মচারীদের সংগঠিত করার উদ্দেশ্যে মনসবদারি প্রথার প্রবর্তন করেন । 

সামরিক বাহিনীর ত্রুটি : মনসবদারি ব্যবস্থা প্রবর্তনের আগে মােগল সামরিক বাহিনীতে বেশ কিছু ত্রুটি ছিল । আকবর মনসবদারি প্রথা প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে এইসব ত্রুটি দূর করতে চেয়েছিলেন । 

তুর্কে আফগান যুগের অনুপ্রেরণা : অধ্যাপক আবদুল আজিজ মনে করেন যে , আকবর তুর্কো আফগান যুগের সামরিক ব্যবস্থা দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে মনসবদারি ব্যবস্থার প্রবর্তন করেন । তাঁর মতে , তুর্কো আফগান যুগে ‘দশমিক ব্যবস্থা’ অনুযায়ী যে সামরিক বাহিনী গড়ে উঠে ছিল তার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে আকবর মনসবদারি ব্যবস্থার প্রচলন করেন । 

জায়গিরদারদের দুর্নীতি : আকবরের পূর্বে প্রচলিত জায়গিরদারি ব্যবস্থায় যে সংখ্যক সৈন্য রাখার শর্ত থাকত জায়গিরদাররা বহু ক্ষেত্রেই । তা রাখতেন না। আবার যুদ্ধের সময় তারা সম্রাটকে বৃদ্ধ ও অকর্মণ্য ঘােড়া সরবরাহ করতেন । সুলতানি আমলের শেষদিকে জায়গিরদারি ব্যবস্থা বংশানুক্রমিক হয়ে  যাওয়ায় নিজ নিজ এলাকায় তাদের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় । ফলে তাদের এই প্রবণতা আরও বাড়ে । জায়গিরদারদের এইসব দুর্নীতি রােধ করার জন্য আকবর মনসবদারি প্রথা চালু করেন । 


সরকারি আয় বৃদ্ধির প্রচেষ্টা : জায়গিরদারি ব্যাপক প্রথার প্রসারের ফলে সম্রাটের ‘খালিসা’ জমির পরিমাণ হ্রাস পেয়ে সরকারি আয় কমে যায় । এই অবস্থায় খালিসা জমিকে আর জায়গির জমিতে পরিণত না করে মনসবদারি ব্যবস্থা প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে আকবর সরকারি আয় বৃদ্ধির চেষ্টা করেন ।  

রাজকীয় সেবার ঐতিহ্য : বলা যেতে পারে ,আকবর প্রবর্তিত মনসবদারি প্রথা শাসককে সেবার ঐতিহ্যেরই অনুসরণ । সিংহাসনে বসে ভারতব্যাপী সাম্রাজ্য গঠনের পর আকবর রাজকীয় সেবার ঐতিহ্য গঠনের যে ব্যাপক কর্মসূচি নেন , তারই অঙ্গ হিসেবে তিনি ভারতবর্ষে মনসবদারি ব্যবস্থা গড়ে তােলেন । 
প্রশাসনিক কাঠামাে গঠন : আকবর কর্তৃক মনসবদারি ব্যবস্থা গড়ে তােলার পিছনে এক প্রশাসনিক কাঠামাে নির্মাণের প্রয়াস ছিল । সামরিক ও অসামরিক উভয় পদের ক্ষেত্রেই মনসবদার পদটি যুক্ত করে তিনি এক নতুন ধরনের প্রশাসনিক কাঠামাে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন । 


[          ] মােগল প্রশাসনের অঙ্গ হিসেবে আকবর যে মনসবদারি ব্যবস্থা গড়ে তােলেন তা নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণছিল । যেমন— 

সম্রাটের শক্তিবৃদ্ধি : আকবর ও তার পরবর্তী সম্রাটগণ মনসবদারি প্রথার সাহায্যে এক বিশাল সৈন্যবাহিনী গড়ে তােলেন । মনসবদাররা সম্রাটের প্রিয় পাত্র হওয়ায় সম্রাটের প্রতি তারা আনুগত্য জানান এবং সর্বশক্তি দিয়ে সম্রাটের হাত শক্ত করেন । 

অভিজাতদের আধিপত্য ধ্বংস : মনসবদারি প্রথার ফলে মােগল প্রশাসনে বিদেশি অভিজাত শ্রেণি,যথা —উজবেগি ,আফগানি ,ইরানি ও তুরানিদের আধিপত্য নষ্ট হয় । পাশাপাশি জাতিভিত্তিক  প্রথা চালু হওয়ায় ঐক্যবদ্ধভাবে বিভিন্ন জাতি কর্তৃক সম্রাটের বিরােধিতার পথ বন্ধ হয় । 


শক্তিশালী প্রশাসন গঠন : মােগল প্রশাসন মনসবদারি পদ বংশানুক্রমিক ছিল না । ফলে যােগ্য ব্যক্তির পদ লাভ করার সুযােগ ছিল ,যা শক্তিশালী প্রশাসন গঠনে সহায়তা করে ।  


সামন্ত প্রথার উত্থানে বাধা : মনসবদার পদে বংশানুক্রমিকভাবে নিয়ােগের ব্যবস্থা না থাকার ফলে সামন্ত প্রথার আত্মপ্রকাশের সম্ভাবনা ছিল না । এককথায় , মনসবদারি প্রথা ছিল ‘একের মধ্যে অনেক’ যা কেন্দ্রীয় ক্ষমতাকে শক্তিশালী করেছিল । 




শনিবার, ৯ জুলাই, ২০২২

টমাস ক্রমওয়েলের সংস্কারগুলি আলােচনা করো ।

একাদশ শ্রেণী ইতিহাস প্রশ্নোত্তর xi class 11 history Question answer টমাস ক্রমওয়েলের সংস্কারগুলি আলােচনা করো tomas chromoyeler songskarguli alochona koro


উত্তর : তার সংস্কার কার্যগুলির মধ্যে ছিল —  

জাতীয় চার্চ প্রতিষ্ঠা : মনেপ্রাণে রাজতন্ত্রের অনুরাগী ও রাজার সমর্থক ক্রমওয়েল ইংল্যান্ডের রাজার ক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে ইল্যান্ডে ‘জাতীয় চার্চ’ গড়ে তােলেন । এর ফলে রােমান চার্চের সঙ্গে ইংল্যান্ডের সম্পর্ক ছিন্ন হয় এবং দেশে ‘জাতীয় সার্বভৌমত্ব’ প্রতিষ্ঠিত হয় । 

পােপের প্রাধান্য বাতিল : টমাস ফ্রমওয়েল পার্লামেন্টের আইনের সহায়তায় ইংল্যান্ডের চার্চে পােপের প্রাধান্য বাতিল করে রাজার প্রাধান্য প্রতিষ্ঠা করেন । এর ফলে রাজা সর্বাধিক ক্ষমতার অধিকারী হন । চার্চের যাবতীয় সম্পত্তি রাজার হস্তগত হলে তাঁর আর্থিক শক্তিও বৃদ্ধি পায় । 


অ্যাক্ট অব সুপ্রিমেসি : ক্রমওয়েল ভাইকার জেনারেল বা মুখ্য ধর্মীয় আধিকারিকের পদে নিযুক্ত হয়ে ১৫৩৪ খ্রিস্টাব্দে ‘অ্যাক্ট অব সুপ্রিমেসি’ নামে একটি আইন পাস করেন । এর দ্বারা তিনি— 

[i] ইংল্যান্ডের সব চার্চকে রাজার নিয়ন্ত্রণে আনার উদ্যোগ নেন । 

[i] ইংল্যান্ডের বড়াে মঠগুলির ওপর রাষ্ট্রীয় আধিপত্য কায়েম করেন এবং ছােটো মঠগুলি বাজেয়াপ্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন । উল্লেখ্য যে , ‘অ্যাক্ট অব সুপ্রিমেসি’র প্রতিবাদ করায় তিনি সে যুগের বিখ্যাত দুই পণ্ডিত — স্যার টমাস মুর ও ফিশারকে প্রাণদণ্ড দেন । 

মঠের প্রাধান্য ধ্বংস : ছােটো মঠগুলি ধ্বংস করতে ক্রমওয়েল যে নীতি নেন তার বিরুদ্ধে উত্তর ইংল্যান্ডে ১৫৩৬ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ ‘পিলগ্রিমেজ অব গ্রেস’ নামে এক বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ে । টমাস ক্রমওয়েল কঠোর হাতে এই বিদ্রোহ দমন করেন । লর্ড ডার্সি , লর্ড হুসে, সহ কয়েকজন অ্যাবট ও বিদ্রোহী নেতাদের প্রাণদণ্ড অথবা কারাদণ্ড দেওয়া হয় । এইভাবে ক্রমওয়েল সব ধরনের মঠের ওপর রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেন । 


রাজরি ক্ষমতা বৃদ্ধি : ক্রমওয়েল তার সংস্কার দ্বারা রাজার ক্ষমতা বৃদ্ধি করেন । ফলে রাজতন্ত্রের সম্মান বৃদ্ধি পায় । রাজা অষ্টম হেনরি ক্ষমতা ও অর্থ উভয়েরই তীব্র আকাঙ্ক্ষা ছিল । ক্রমওয়েলের নীতি দ্বারা রাজার উভয় আকাঙ্ক্ষাই চরিতার্থ হয় ।  

পার্লামেন্টের ক্ষমতা বৃদ্ধি  : ক্রমওয়েল রাজতন্ত্রের সম্মান ও রাজার ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ইংল্যান্ডের পার্লামেন্টকেও শক্তিশালী করে তােলেন । তিনি রাজাকে দিয়েই ঘােষণা করান যে , রাজার সার্বভৌম ক্ষমতা পার্লামেন্টের হাতেই নিহিত । ক্রমওয়েল পার্লামেন্টের সদস্যদের মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা , গ্রেপ্তারের হাত থেকে মুক্ত থাকা , সদস্য নির্বাচনে বিতর্কের সৃষ্টি হলে তাতে হস্তক্ষেপ করা প্রভৃতির অধিকার দেন । 
নিয়মতান্ত্রিক রাজতন্ত্র : পরবর্তীকালের ইংল্যান্ডে সীমাবদ্ধ রাজতন্ত্র এবং পার্লামেন্টের সুদৃঢ় ক্ষমতার কাঠামােটি গড়ে তােলার কৃতিত্ব ক্রমওয়েলেরই । রাজা ও পার্লামেন্ট যে যুগ্মভাবে শাসনক্ষমতা প্রয়ােগ করতে পারে , তিনিই প্রথম সেই ধারণার জন্ম দিয়েছিলেন । এই পথ ধরেই অবশেষে ১৬৮৮ খ্রিস্টাব্দে গৌরবময় বিপ্লবের মাধ্যমে রাজতন্ত্র সেখানে নিয়মতান্ত্রিক রাজতন্ত্রে পরিণত হয় । 

উপসংহার : ইংল্যান্ডের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার বিকাশে টমাস ক্রমওয়েলের অবদান । তিনি একদিকে পােপ ও খ্রিস্টান ধর্মের প্রধান্য হ্রাস করেন , অন্যদিকে ইংল্যান্ডের রাজা ও পার্লামেন্টের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে সেইদেশে নিয়মতান্ত্রিক রাজতান্ত্রিক কাঠামাে গড়ে তােলেন ।





শুক্রবার, ৮ জুলাই, ২০২২

সংক্ষেপে লেখাে নতুন রাজতন্ত্র ও টমাস ক্রমওয়েলের অবদান ।

একাদশ শ্রেণী ইতিহাস প্রশ্নোত্তর xi class 11 history Question answer সংক্ষেপে লেখাে নতুন রাজতন্ত্র ও টমাস ক্রমওয়েলের অবদান songkhepe lekho notun rajtontro o tomas chromoyeler abodan


উত্তর :  ইংল্যান্ড রাজ সপ্তম হেনরি প্রতিষ্ঠিত টিউডর রাজতন্ত্রকে ঐতিহাসিক জন রিচার্ড গ্রিন সর্বপ্রথম ‘নব্য রাজতন্ত্র’ আখ্যা দেন । ঐতিহাসিক ডি . এল . কেয়ার লিখেছেন যে , “সপ্তম হেনরির রাজত্বকালে রাজতন্ত্রের নিরঙ্কুশ ক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত হয় ।” এই রাজতান্ত্রিক ধারা পরবর্তী রাজা অষ্টম হেনরির সময়কাল পর্যন্ত বজায় থাকে । অষ্টম হেনরির শাসনকালে রাজার প্রধান উপদেষ্টা এবং সচিব টমাস ক্রমওয়েলের নেতৃত্বে ইংল্যান্ড এক আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে । 

জাতীয় সার্বভৌমত্ব ধারণার প্রতিষ্ঠা : রিফরমেশন পার্লামেন্টে টমাস ক্রমওয়েল দুটি আইন পাস করিয়ে ইংল্যান্ডের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করেন । অ্যাক্ট অব অ্যাপিলস নামে প্রথম আইনটি পাসের ( ১৫৩৩ খ্রি.) মাধ্যমে ইংল্যান্ডের রাজাকে সার্বভৌম বলে ঘােষণা করা হয় । বলা হয় ,রাজা হলেন সমস্ত ধর্মীয় ও ধর্মনিরপেক্ষ সামাজিক গােষ্ঠীর রাজনৈতিক প্রভু । ‘অ্যাক্ট অব সুপ্রিমেসি’ নামে দ্বিতীয় আইনটি পাস (১৫৩৪ খ্রি.) করিয়ে রাজার প্রতি আনুগত্য প্রদান বাধ্যতামূলক করা হয় । 


চার্চের ওপর রাজার অধিকার তত্ত্ব : টমাস ক্রমওয়েল বলেন রাজা হলেন চার্চের (ইতিহাস ও বাইবেল অনুসারে ) প্রশাসনিক প্রধান । এই ঘােষণার পর চার্চের প্রধান হিসেবে অষ্টম হেনরি চার্চের ওপর যাবতীয় প্রশাসনিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেন । চার্চের ওপর কর স্থাপন , যাজকদের নিয়ােগ , বিচার ব্যবস্থা প্রভৃতি তিনি নিজের হাতে তুলে নেন । 


 সংসদীয় আইনের প্রাধান্য : টমাস ক্রমওয়েল সর্বপ্রথম সংসদীয় আইনের গুরুত্ব অনুভব করেন । সংসদ অনুমােদিত আইনগুলিকে তিনি জাতীয় জীবনের সর্বক্ষেত্রে প্রয়ােগ করতে শুরু করেন । ফলে সংসদীয় আইনের প্রাধান্যপ্রতিষ্ঠিত হয় । 
 
জাতীয় রাষ্ট্রগঠন : ক্রমওয়েল জাতীয় প্রশাসন গঠনের মাধ্যমে জাতীয় রাষ্ট্রের প্রেক্ষাপট রচনা করেন । জাতীয় সার্বভৌমত্বের ধারণা , চার্চের ওপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা, সংসদীয় আইনের প্রবর্তন, আর্থিক ও প্রশাসনিক বিভাগের পুনর্গঠন — এই সমস্ত কিছুর সম্মিলিত প্রভাবে ইংল্যান্ড অচিরেই এক জাতীয় রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে । 



সরকারি প্রশাসনের পুনর্গঠন : রিফরমেশনের আগে পর্যন্ত রাজা এবং তার প্রাসাদের কর্মচারীরা ছিলেন প্রশাসনিক প্রধান । কিন্তু ক্রমওয়েল এই ব্যবস্থা বদলে দিয়ে প্রশাসনিক কেন্দ্রে মন্ত্রীসভাকে স্থান দেন । উনিশজন মন্ত্রী নিয়ে তিনি গঠন করেন প্রিভি কাউন্সিল । ক্রমওয়েল রাজার একটি সচিবালয় গড়ে তােলেন এবং একটি প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি পদ সৃষ্টি করে নিজে সেই পদে বসেন । 

স্থানীয় শাসনের পুনর্গঠন : জনগণের আন্দোলন মােকাবিলার জন্য ক্রমওয়েলের উদ্যোগে উত্তর ইংল্যান্ডের কাউন্সিলকে নতুনভাবে গঠন করা হয় । এই নবগঠিত কাউন্সিলকে প্রশাসনিক ও বিচারক্ষমতা দান করা হয় । এই কাউন্সিলের সক্রিয় ভূমিকায় উত্তর ইংল্যান্ডে শান্তিশৃঙ্খলা ফিরে আসে । একইভাবে স্কটল্যান্ডের ওয়েলস প্রদেশে এবং পশ্চিম ইংল্যান্ডে ক্রমওয়েল আর একটি কাউন্সিল গঠন করেন । 

আর্থিক বিভাগের পুনর্গঠন : টমাস ক্রমওয়েল আর্থিক ব্যবস্থাকে পুনর্গঠিত করেন । তিনি অর্থবিভাগের নতুন পদ সৃষ্টিকরেন ( ১৫৩৪ খ্রি.)। পাশাপাশি চার্চের কর নির্ধারণ ও কর আদায়ের জন্য নতুন কোষাধ্যক্ষ পদ সৃষ্টি করেন । রাজস্ব বিষয়ক বিভিন্ন মামলার নিম্পত্তির জন্য গঠিত হয় রাজস্ব আদালত । 


উপসংহার : গােলাপের যুদ্ধের মধ্য দিয়ে সপ্তম হেনরি যে নব্য রাজতন্ত্রের সূচনা করেন তার ধারাকে এগিয়ে নিয়ে যান অষ্টম হেনরির প্রধান উপদেষ্টা ও সচিব টমাস ফ্রমওয়েল । রাজার ক্ষমতা বজায় রেখেও সংসদীয় শাসনক্ষমতাকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন ধরনের শাসনব্যবস্থা প্রণয়ন, বিভিন্ন বিভাগের পুনর্গঠন এবং চার্চের ওপর রাজার কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে তিনি ইংল্যান্ডকে আধুনিক রাষ্ট্রে পরিণত করেন ।





বৃহস্পতিবার, ৭ জুলাই, ২০২২

জিয়াউদ্দিন বারনি বর্ণিত সুলতানি যুগের নরপতিত্বের আদর্শ কী ছিল ? দিল্লি সুলতানি শাসন কি ধর্মাশ্রয়ী ছিল ?

একাদশ শ্রেণী ইতিহাস প্রশ্নোত্তর xi class 11 history Question answer জিয়াউদ্দিন বারনি বর্ণিত সুলতানি যুগের নরপতিত্বের আদর্শ কী ছিল দিল্লি সুলতানি শাসন কি ধর্মাশ্রয়ী ছিল jiyauddin baroni bornito sultani juger noropotitter adorsho ki chilo delhi sultani shashon ki dhormashroyi chilo

উত্তর : নরপতিত্বের আদর্শ সম্পর্কে যেসব বিষয় তিনি তুলে ধরেছেন , সেগুলি হলো – 
 

(১) ইসলামীয় কর্তব্য পালন : বারনি সুলতানকে তার শাসনকাজে ইসলামকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন । তিনি রাষ্ট্রশক্তির প্রয়ােগ ঘটিয়ে ইসলামের আদর্শ ও ভাবধারা ফিরিয়ে আনার পক্ষপাতী ছিলেন । ইসলামের আদর্শ সুপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য সুলতানের হাতে রাষ্ট্রের চূড়ান্ত কর্তৃত্ব থাকা উচিত বলে তিনি উল্লেখ করেছেন । 


(২) বংশকৌলিন্য : বারনি তাঁর ‘ফতােয়া  -ই-জাহান্দারি’ গ্রন্থে সর্বোচ্চ ক্ষমতার ব্যবহারকারী হিসেবে সম্রাটের বংশকৌলীন্যের ওপর গুরুত্ব আরােপ করেছেন । তাঁর মতে , সম্রাট বা সুলতান যদি উচ্চ ও পরাক্রমশালী রাজবংশের হন , তবে সাধারণ প্রজাদের মনে তার সম্পর্কে উচ্চ ধারণা তৈরি হবে এবং স্বাভাবিকভাবেই তিনি সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধা ও আনুগত্য লাভ করবেন । 

(৩) ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা : বারনি বলেছেন , শাসকের প্রধান কর্তব্য হল ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা । এর মাধ্যমে শাসক বা সুলতান ঈশ্বরের রাজ্যে সমানাধিকার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি প্রজাদের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষা করবেন । ন্যায়বিচার বলতে বারনি সত্য , ন্যায় ও ধর্মের প্রতিষ্ঠাকে বুঝিয়েছেন ।  


(৪) শরিয়তের বিধান অনুসরণ : বারনির মতে , একজন শাসক শরিয়ৎ মেনে সফলভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন । এ প্রসঙ্গে তিনি সুলতানি রাজতন্ত্রকে পারস্যের সাসানীয় রাজতন্ত্রকে অনুকরণ করার কথা বলেছেন । অবশ্য শরিয়তের বিধান ও ভারতবর্ষের বাস্তব পরিস্থিতির মধ্যে পার্থক্য থাকায় বারনি ‘জাওয়াবিত’ নামে রাষ্ট্রীয় আইন প্রণয়নের কথা বলেছেন । 

(৫) মন্ত্রণা সভার সিদ্ধান্ত গ্রহণ : বারনি বলেছেন যে , রাজাকে অভিজ্ঞ ও বিচক্ষণ পারিষদদের নিয়ে একটি মন্ত্রণা সভা গঠন করতে হবে । রাজা কোনাে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে সেই সভার পরামর্শদাতাদের সঙ্গে আলােচনা করবেন । রাজা যেমন কোনাে বিষয় তাদের কাছে গােপন করবেন না, তেমন তাদের মতামতও বাইরে প্রকাশ করবেন না ।

[         ] দিল্লির সুলতানি রাষ্ট্রের প্রকৃতি কীরুপ ছিল তা নিয়ে পণ্ডিতদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে । ড .এ .এল . শ্রীবাস্তব, ড . ঈশ্বরী প্রসাদ, ড .রামশরণ শর্মা প্রমুখ মনে করেন যে , দিল্লির সুলতানি রাষ্ট্র ছিল ‘ধর্মাশ্রয়ী’ । অন্যদিকে , সুলতানি যুগের ঐতিহাসিক জিয়াউদ্দিন বারনি দিল্লির সুলতানি রাষ্ট্রকে ‘জাহান্দারি’ বা ‘ধর্মনিরপেক্ষ ’বলে অভিহিত করেছেন । ড . সতীশ চন্দ্র, ড. মহম্মদ হাবিব প্রমুখ আধুনিক ঐতিহাসিক এই অভিমত সমর্থন করেন ।  


[       ] ‘ধর্মাশ্রয়ী’ বক্তব্যের সমর্থনে যুক্তি : 

i) খলিফার প্রতি আনুগত্য : আলাউদ্দিন খলজি ছাড়া দিল্লির সব সুলতানই ইসলামি জগতের শাসক ও ধর্মগুরু খলিফার স্বীকৃতি গ্রহণ করেন এবং তার প্রতি আনুগত্য জানিয়ে শাসনকার্য পরিচালনা করতেন । 

ii) উলেমা ও শরিয়তের গুরত্ব : সুলতানি শাসনে উলেমাদের উল্লেখযােগ্য ভূমিকা ছিল । ইসলামি আইন ‘শরিয়ত’ এর ব্যাখ্যাকর্তা এই উলেমারা আশা করতেন যে , সুলতান অমুসলিমদের বিনাশসাধনে উদ্যোগ নেবেন এবং শরিয়তের বিধান মেনে ভারতবর্ষকে দার - উল - ইসলাম অর্থাৎ ইসলামের পবিত্র ভূমিতে পরিণত করবেন । 
iii) হিন্দুদের উপেক্ষা : সুলতানি রাষ্ট্রে অমুসলিম হিন্দুরা উপেক্ষিত ও দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকে পরিণত হয়েছিল । তারা ‘জিম্মি’ হিসেবে গণ্য হত এবং তাদের কাছ থেকে ‘জিজিয়া’ কর আদায় করা হত ।


[        ] ‘ ধর্মনিরপেক্ষ ’ বক্তব্যের সমর্থনে যুক্তি :  

i)  পৃথক রাজতন্ত্র : শরিয়তের বিধান অনুসারে সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী হলেন স্বয়ং ঈশ্বর । তার প্রতিনিধি হলেন প্রথমে হজরত মহম্মদ এবং পরে খলিফা । কিন্তু ভারতের সুলতানি রাষ্ট্রে এই নিয়ম থেকে স্বতন্ত্র রাজতন্ত্র গড়ে উঠেছিল । 

ii) খলিফার প্রতি আপাত আনুগত্য : কোনাে কোনাে সুলতান রাজনৈতিক প্রয়ােজনে খলিফার অনুমতি নিয়েছেন ঠিকই , কিন্তু সেটা ছিল একান্তই সুলতানের ইচ্ছাধীন বিষয় । 

iii) সুলতানের স্বাধীনতা : ইসলামি আইন অনুসারে খলিফা সমগ্র মুসলিম ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় জীবনের প্রধান হলেও ভারতে এই রীতি গুরুত্ব পায়নি । এখানে সুলতানগণ খলিফার নিয়ন্ত্রণমুক্ত হয়ে স্বাধীনভাবে শাসন চালাতে পারতেন । 


iv) হিন্দুদের গুরত্ব : সুলতানি আমলে হিন্দুদের গুরুত্ব একেবারে লুপ্ত হয়ে যায়নি । তখন বহু হিন্দু উচ্চ রাজকার্যে নিযুক্ত হতেন এবং দেশের নানা স্থানে বহু হিন্দু সামন্ত রাজ্যের অস্তিত্বও ছিল ।


v) উলেমাদের সুলতান নির্ভরতা : সুলতানি আমলে উলেমারা সুলতানদের প্রভাবিত করতে পারতেন না , বরং বাস্তবে উলেমারা সুলতানের ওপর নির্ভরশীল হয়ে কাজ করতেন । 


vi) শরিয়ত বহির্ভূত নির্দেশ : সুলতানি আমলে শরিয়তের নির্দেশ লঙ্ঘন করে বহু কাজ সম্পন্ন হওয়ার উদাহরণও দেখা যায় । 


vii) ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র : উপরােক্ত বিভিন্ন যুক্তির নিরিখে অধিকাংশ পণ্ডিত সুলতানি রাষ্ট্রকে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র বলেই অভিহিত করেন । 


উপসংহার : তাই রাষ্ট্ররূপে দিল্লি সুলতানির প্রকৃতি নির্বাচন করা কিছুটা কঠিন , কারণ ধর্মাশ্রয়ী এবং ধর্মনিরপেক্ষ এই দুই ধরনের রাজতান্ত্রিক প্রবৃত্তিই দেখা গেছে এর মধ্যে । রাজনৈতিক মাপগণ্ডির বিচারেও কেউ কেউ দিল্লি সুলতানিকে কেন্দ্রীভূত এবং কেউ বা আবার বিকেন্দ্রীভূত রাষ্ট্র হিসেবে গণ্য করেছেন ।






বুধবার, ৬ জুলাই, ২০২২

রাষ্ট্রের প্রকৃতি ও শাসনযন্ত্র MCQ প্রশ্ন উত্তর [ চতুর্থ অধ্যায় ]

 

একাদশ শ্রেণী ইতিহাস রাষ্ট্রের প্রকৃতি ও শাসনযন্ত্র MCQ প্রশ্ন উত্তর চতুর্থ অধ্যায় প্রশ্নোত্তর class xi 11 eleven history rasterer prokriti o shasonjontro mcq questions answer


১। ‘অর্থশাস্ত্রের’ লেখক হলেন ? 


ক) মেগাস্থিনিস


খ) কৌটিল্য 


গ) কালিদাস 


ঘ) সন্ধাকর নন্দী 



উত্তর : খ) কৌটিল্য


২। দক্ষিণ ভারতের এক অজানা জায়গা থেকে যিনি ‘অর্থশাস্ত্র’ আবিষ্কার করেছিলেন তিনি হলেন ?


ক) ড. শ্যাম শাস্ত্রী 


খ) নীলকণ্ঠ শাস্ত্রী


গ) হরপ্রসাদ শাস্ত্রী


ঘ) এগুলির কোনোটিই নয় 



উত্তর : ক) ড. শ্যাম শাস্ত্রী 


৩। কৌটিল্যর ‘অর্থশাস্ত্র’ গ্রন্থটি ? 


ক) ৫টি ভাগে বিভক্ত


খ) ১০টি ভাগে বিভক্ত


গ) ১৫টি ভাগে বিভক্ত


ঘ) ২০টি ভাগে বিভক্ত



উত্তর : গ) ১৫টি ভাগে বিভক্ত


৪। কৌটিল্যর আসল নাম কি ?


ক) বিষ্ণুশর্মা 


খ) চাণক্য 


গ) বিষ্ণুগুপ্ত 


ঘ) বিষ্ণুপদ



উত্তর : গ) বিষ্ণুগুপ্ত 


৫। কৌটিল্য অর্থশাস্ত্রে যে আইনবিধি রচনা করেছেন তাঁর ভাগ হল ? 


ক) ২টি


খ) ৩টি


গ) ৪টি


ঘ) ৫টি



উত্তর : গ) ৪টি 




৬। কৌটিল্য স্বামী বলতে বুঝিয়েছেন ? 


ক) রাষ্ট্রের প্রধানকে 


খ) পরিবারের প্রধানকে


গ) সমাজের প্রধানকে 


ঘ) গ্রামের প্রধানকে



উত্তর : ক) রাষ্ট্রের প্রধানকে 


৭। ‘ভারত ইতিহাসের ম্যাকিয়াভেলি’ বলা হয় ? 


ক) চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যকে 


খ) বারণিকে 


গ) অশোককে 


ঘ) কৌটিল্যকে



উত্তর : ঘ) কৌটিল্যকে 


৮। সুলতানী যুগের ঐতিহাসিক হলেন ? 


ক) সন্ধ্যাকর নন্দী 


খ) জিয়াউদ্দিন বারনি 


গ) আমির খসরু 


ঘ) আফিফ



উত্তর : গ) আমির খসরু


৯। কোন দেশের রাজতন্ত্র দিল্লীর সুলতানীর দ্বারা অনুসৃত বলে বারণি মনে করতেন ? 


ক) মিশরের 


খ) স্পেনের 


গ) আরবের 


ঘ) পারস্যর



উত্তর : ঘ) পারস্যর


১০। দিল্লীর কোন সুলতান খলিফার স্বীকৃতি লাভ করেন ? 


ক) ইলুতুৎমিস 


খ) আলাউদ্দিন খলজি 


গ) মহম্মদ বিন তুঘলক 


ঘ) ফিরোজ তুঘলক



উত্তর : ক) ইলুতুৎমিস 




১১। সিসেরো ছিলেন ? 


ক) একজন প্রখ্যাত রোমান রাজনীতিবিদ এবং আইনজ্ঞ 


খ) অ্যারিস্টটলের একজন ছাত্র 


গ) এক গ্রিক রাজনীতিবিদ এবং আইনজ্ঞ 


ঘ) একজন রোমান বিচারক



উত্তর : ক) একজন প্রখ্যাত রোমান রাজনীতিবিদ এবং আইনজ্ঞ


১২। অষ্টম হেনরির রিফরমেশন পার্লামেন্টটি চলেছিল ?


ক) তিন বছর


খ) পাঁচ বছর


গ) সাত বছর


ঘ) নয় বছর



উত্তর : গ) সাত বছর 


১৩। ‘The Prince’ গ্রন্থটির রচয়িতা হলেন ? 


ক) বোদা 


খ) সিসেরো 


গ) হবস


ঘ) ম্যাকিয়াভেলি



উত্তর : ঘ) ম্যাকিয়াভেলি


১৪। আধুনিক রাষ্ট্রচিন্তার জনক বলা হয় ? 


ক) লককে 


খ) রুশোকে 


গ) ম্যাকিয়াভেলিকে 


ঘ) অশোককে



উত্তর : গ) ম্যাকিয়াভেলিকে 


১৫। কৌটিল্যর অর্থশাস্ত্রের সাথে তুলনীয় গ্রন্থটি হল ?


ক) কাঁদিদ


খ) সোশ্যাল কন্ট্রাক্ট 


গ) ইন্ডিকা 


ঘ) দ্য প্রিন্স



উত্তর : ঘ) দ্য প্রিন্স 




১৬। রাষ্ট্রের ‘সার্বভৌমত্ব তত্ত্বের’ প্রধান প্রবক্তা হলেন ? 


ক) জা রুশো 


খ) সিসেরো 


গ) জা বোদা 


ঘ) টমাস হবস



উত্তর : গ) জা বোদা 


১৭। ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রতত্ত্বের সূচনা করেন ? 


ক) ম্যাকিয়াভেলি


খ) টমাস হবস 


গ) বোদা 


ঘ) ইরাসমাস 



উত্তর : ক) ম্যাকিয়াভেলি


১৮। উদারনীতিবাদের জন্মদাতা বলা হয় ? 


ক) টমাস হবস্ কে 


খ) জন লক কে 


গ) হেগেল কে 


ঘ) টমাস হিল গ্রিনকে



উত্তর : খ) জন লক কে


১৯। সামাজিক চুক্তি মতবাদকে রাষ্ট্রের উৎস হিসেবে বর্ণনা করেছেন ? 


ক) রুশো 


খ) জন লক


গ) হবস


ঘ) মন্তেষ্কু 



উত্তর : ক) রুশো 


২০। ঝড়ের পাখি বলা হত ? 


ক) রুশোকে 


খ) ভলতেয়ারকে 


গ) মন্তেষ্কুকে 


ঘ) দালেমবেয়ারকে 



উত্তর : ক) রুশোকে 




২১। রাষ্ট্রের স্বার্থে ক্ষমতা স্বতন্ত্রকরণ নীতি প্রবর্তন করেন ? 


ক) রুশো 


খ) মন্তেষ্কু


গ) ভলতেয়ার 


ঘ) ডিকেন্স



উত্তর : খ) মন্তেষ্কু


২২। জেরেমি বেন্থাম ছিলেন ? 


ক) ব্রিটিশ রাষ্ট্রদার্শনিক  


খ) জার্মান রাষ্ট্রদার্শনিক


গ) ফরাসী রাষ্ট্রদার্শনিক


ঘ) রুশ রাষ্ট্রদার্শনিক



উত্তর : ক) ব্রিটিশ রাষ্ট্রদার্শনিক


২৩। পারসিক প্রদেশগুলির নাম ছিল ? 


ক) সাট্রাপি


খ) এক্তা


গ) মামলাত


ঘ) মনসব 



উত্তর : ক) সাট্রাপি


২৪। ম্যান্ডারিন ব্যাবস্থা প্রচলিত ছিল ?


ক) ভারতে 


খ) চিনে 


গ) ইংল্যান্ডে 


ঘ) গ্রিসে 



উত্তর : খ) চিনে


২৫। ম্যান্ডারিনরা যে দেশের উচ্চপদস্থ আমলা ছিলেন ?


ক) চিনের


খ) পারস্যর


গ) জাপানের 


ঘ) মিশরের 



উত্তর : ক) চিনের




২৬। ইংরেজি Mandarin শব্দটি এসেছে ? 


ক) পোর্তুগিজ শব্দ থেকে


খ) লাতিন শব্দ থেকে


গ) ফরাসি শব্দ থেকে


ঘ) ডাচ শব্দ থেকে



উত্তর : ক) পোর্তুগিজ শব্দ থেকে 


২৭। চীনের কোন বংশের রাজাদের রাজত্বকালে ম্যান্ডারিনদের মর্যাদা সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছায় ? 


ক) তাং 


খ) মিং 


গ) কিং 


ঘ) ঝোঁ



উত্তর : গ) কিং


২৮। দিল্লীর কোন সুলতান সর্বপ্রথম বাগদাদের খলিফার স্বীকৃতি পান ? 


ক) কুতুবউদ্দিন আইবক


খ) ইলুতুৎমিস 


গ) বলবন 


ঘ) আলাউদ্দিন 



উত্তর : খ) ইলুতুৎমিস 


২৯। ‘ইক্তা’ প্রথার প্রবর্তক হলেন ? 


ক) ইলুতুৎমিস


খ) রাজিয়া 


গ) বলবন 


ঘ) আলাউদ্দিন খলজি



উত্তর : ক) ইলুতুৎমিস


৩০। মোগল যুগের মনসবদারি প্রথা প্রবর্তন করেন ?


ক) হুমায়ূন 


খ) আকবর 


গ) শাহজাহান


ঘ) ঔরঙজেব



উত্তর : খ) আকবর




৩১। মনসবদারি ব্যবস্থার স্তর ছিল ? 


ক) ৩৩টি


খ) ৩০টি


গ) ৩৪টি


ঘ) ৩২টি



উত্তর : ক) ৩৩টি


৩২। সওয়ার বলতে বোঝায় ? 


ক) মনসবদারের বেতন  


খ) মনসবদারের পদমর্যাদা 


গ) মনসবদারের অধীনের সেনাসংখ্যা 


ঘ) মনসবদারের অধীনস্থ কর্মচারী 



উত্তর : গ) মনসবদারের অধীনের সেনাসংখ্যা


ইতিহাস চেতনা MCQ প্রশ্ন ও উত্তর (প্রথম অধ্যায় )

 

একাদশ শ্রেণীর ইতিহাস চেতনা MCQ প্রশ্ন ও উত্তর প্রথম অধ্যায় প্রশ্নোত্তর class xi 11 eleven history itihas chetona mcq questions answer

১। ইতিহাসের জনক বলা হয় ? 


ক) সক্রেটিস 


খ) হেরোডোটাস


গ) প্লেটো 


ঘ) জাস্টিন 



উত্তর : খ) হেরোডোটাস


২। ইংরেজিতে ‘প্রি হিস্ট্রি’ কথাটি প্রথম ব্যাবহার করেন ? 


ক) পল তুর্নাল 


খ) ড্যানিয়েল উইলসন 


গ) রাঙকে


ঘ) লর্ড অ্যাকটন 



উত্তর : ক) পল তুর্নাল


৩। ‘প্রাক ইতিহাস’ শব্দটির অর্থ কি ? 


ক) ‘প্রায় ইতিহাস’ ও ‘ইতিহাস’ এর মধ্যবর্তী সময়কাল 


খ) যে সময় মানুষ লিখন পদ্ধতি জানত না 


গ) যে সময় লিখিত বিবরণী ইতিহাস রচনার প্রধান উৎস ছিল না 


ঘ) যে সময় মানুষ লিখন পদ্ধতি জানত



উত্তর : খ) যে সময় মানুষ লিখন পদ্ধতি জানত না 


৪। প্রাক ইতিহাস হল ?


ক) প্রস্তর যুগ


খ) তাম্র যুগ 


গ) লৌহ যুগ 


ঘ) বরফ লুবক 



উত্তর : ক) প্রস্তর যুগ


৫। প্রাগৈতিাসিক যুগের ইতিহাসের প্রধান উপাদান হল ? 


ক) লিপি 


খ) মুদ্রা 


গ) ধর্মগ্রন্থ 


ঘ) জীবাশ্ম 



উত্তর : ঘ) জীবাশ্ম 




৬। ভারতের ঐতিহাসিক যুগের সূচনা হয় কোন সময় থেকে ? 


ক) খ্রিষ্টপূর্ব চতুর্থ শতক 


খ) খ্রিষ্টপূর্ব দ্বিতীয় শতক 


গ) খ্রিষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতক 


ঘ) খ্রিষ্টপূর্ব অষ্টম শতক 



উত্তর : গ) খ্রিষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতক


৭। ‘Historia’ যে শব্দ থেকে উদ্ভুত হয়েছে তাহলো ? 


ক) গ্রিক 


খ) ইংরেজি


গ) লাতিন 


ঘ) ফরাসি



উত্তর : ক) গ্রিক 


৮। ঐতিহাসিক তথ্য বলতে বোঝায় ? 


ক) ঐতিহাসিক কাহিনি  


খ) অতীত ঘটনা 


গ) অতীতের নথিভুক্ত তথ্য 


ঘ) অতীতের গল্পকথা 



উত্তর : গ) অতীতের নথিভুক্ত তথ্য 


৯। সবচেয়ে পুরানো জীবাশ্মটি আবিষ্কৃত হয়েছে ? 


ক) অস্ট্রেলিয়ায় 


খ) উত্তর আমেরিকায়


গ) দক্ষিণ আমেরিকায় 


ঘ) আফ্রিকায় 



উত্তর : ঘ) আফ্রিকায় 



১০। কার্বন ১৪ পদ্ধতির দ্বারা কাল নির্ণয় করা হয় ? 


ক) লোহার 


খ) জৈব প্রত্নের


গ) মুদ্রার 


ঘ) পাথরের 



উত্তর : ঘ) পাথরের




১১। প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদানকে ভাগ করা যায় ? 


ক) দুটি ভাগে 


খ) তিনটি ভাগে


গ) চারটি ভাগে


ঘ) কোনোটিই নয়



উত্তর : গ) চারটি ভাগে


১২। ইতিহাস রচনার মূল ভিত্তি হল ? 


ক) অর্থনৈতিক 


খ) সামাজিক 


গ) অলিখিত 


ঘ) লিখিত 



উত্তর : ঘ) লিখিত 


১৩। সবচেয়ে প্রাচীন শিলালিপিটি পাওয়া গেছে ? 


ক) রাশিয়ার কাজাস্তানে 


খ) এশিয়ার হিন্দুস্তানে


গ) ইরানের বেহিস্তানে


ঘ) পাকিস্তানে 



উত্তর : গ) ইরানের বেহিস্তানে


১৪। অশোকের শিলালিপি পাঠোদ্ধার করেন ? 


ক) জেমস প্রিন্সপ


খ) এ. এল. ব্যাসাম 


গ) দয়ারাম সাহানি


ঘ) হোমার



উত্তর : ক) জেমস প্রিন্সপ


১৫। ভারতবর্ষে যে লিপির প্রথম পাঠোদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে তাহলো ? 



ক) আরামাইক লিপি 


খ) দেবনাগরী


গ) তামিল লিপি 


ঘ) ব্রাহ্মী লিপি 



উত্তর : ঘ) ব্রাহ্মী লিপি 





১৬। ‘সোহগোর তাম্রলিপি’ আবিষ্কৃত হয়েছে ? 


ক) চিনে 


খ) মিশরে 


গ) সুমেরে 


ঘ) ভারতে 



উত্তর : ঘ) ভারতে


১৭। হায়ারোগ্লিফিক প্রাচীন কোন দেশের লিপি ছিল ? 


ক) মিশরের 


খ) সুমেরের 


গ) গ্রিসের 


ঘ) মেসোপটেমিয়ার 



উত্তর : ক) মিশরের



১৮। পৃথিবীর বৃহত্তম মহাকাব্য হল ? 


ক) ইলিয়াড 


খ) ওডিসি


গ) মহাভারত  


ঘ) রামায়ণ  



উত্তর : গ) মহাভারত


১৯। পৃথিবীর প্রাচীনতম মহাকাব্য হল ? 


ক) ইলিয়াড 


খ) গিলগামেশ


গ) রামায়ণ 


ঘ) মহাভারত 



উত্তর : খ) গিলগামেশ


২০। রাজতরঙ্গিনি গ্রন্থটি থেকে কোন অঞ্চলের ইতিহাস জানা যায় ? 


ক) গুজরাট 


খ) বাংলা 


গ) মহারাষ্ট্র


ঘ) কাশ্মীর 



উত্তর : ঘ) কাশ্মীর




২১। ‘ইন্ডিকা’র রচয়িতা ছিলেন ? 


ক) মেগাস্থিনিস


খ) কৌটিল্য 


গ) চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য 


ঘ) সেলুকাস 



উত্তর : ক) মেগাস্থিনিস


২২। ‘রাসমালা’ গ্রন্থটির রচয়িতা হলেন ? 


ক) অরিসিংহ


খ) সোমেশ্বর 


গ) মেরুতুঙ্গ 


ঘ) শ্রীধর ভট্ট



উত্তর : খ) সোমেশ্বর


২৩। ইনিড কাব্য গ্রন্থের রচয়িতা হলেন ? 


ক) হোমার


খ) ভার্জিল 


গ) টাসিটাস 


ঘ) লিভি 



উত্তর : খ) ভার্জিল


২৪। ‘গিলগামেশ’ মহাকাব্যটি লিখিত ? 


ক) মিশরীয় ভাষায় 


খ) সুমেরীয় ভাষায়


গ) ভারতীয় ভাষ্য


ঘ) চৈনিক ভাষায় 



উত্তর : খ) সুমেরীয় ভাষায় 


২৫। ‘Wealth of Nation’ গ্রন্থের লেখক ? 


ক) অ্যাডাম স্মিথ 


খ) মন্তেস্কু 


গ) জন লক 


ঘ) কোয়েসনে 



উত্তর : ক) অ্যাডাম স্মিথ




২৬। নিম্নবর্গের ইতিহাসচর্চার সঙ্গে যুক্ত ঐতিহাসিক হলেন ? 


ক) রমেশচন্দ্র মজুমদার


খ) রণজিৎ গুহ 


গ) লাদুরি 


ঘ) জন স্টুয়ার্ট মিল 



উত্তর : খ) রণজিৎ গুহ


২৭। জনশ্রুতি অনুযায়ী ভারতীয় পুরাণগুলি রচনা করেন ? 


ক) ঋষিরা 


খ) দেবতারা 


গ) রাজারা 


ঘ) লেখকরা 



উত্তর : ক) ঋষিরা


২৮। ভারতে কটি পুরান আছে ? 


ক) ১৫ টি 


খ) ১৬ টি 


গ) ১৮ টি 


ঘ) ২২ টি 



উত্তর : গ) ১৮ টি 


২৯। ভারতে যুগ বিভাজনের চতুর্থ পর্যায়টি হল ? 


ক) দ্বাপর 


খ) কলি 


গ) সত্য 


ঘ) ত্রেতা 



উত্তর : খ) কলি


৩০। কালচক্র ধারণার প্রবক্তা ছিল ? 


ক) ভারতীয়রা 


খ) চিনারা


গ) সুমেরিয়রা 


ঘ) আমেরিকানরা 



উত্তর : ক) ভারতীয়রা




৩১। ইউরোপে মধ্যযুগের সূচনা হয় ? 


ক) ৪২৬ খ্রি:


খ) ৪৪৬ খ্রি:


গ) ৪৭৬ খ্রি:


ঘ) ৪৮৬ খ্রি:



উত্তর : গ) ৪৭৬ খ্রি:


৩২। ‘অন্ধকার যুগ’ কথাটি প্রথম ব্যাবহার করেছেন ? 


ক) সেন্ট লুই 


খ) সেন্ট পল 


গ) কাল মার্কস 


ঘ) পেত্রাক



উত্তর : ঘ) পেত্রাক


৩৩। যুগ বিভাজনের ধারণাটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ? 


ক) একই রকম 


খ) দেশভিত্তিক 


গ) প্রায় একইরকম 


ঘ) পৃথক 



উত্তর : ঘ) পৃথক






আদিম মানব থেকে প্রাচীণ সভ্যতা সমূহ MCQ প্রশ্ন উত্তর [ দ্বিতীয় অধ্যায় ]

 

একাদশ শ্রেণীর ইতিহাস আদিম মানব থেকে প্রাচীণ সভ্যতা সমূহ   MCQ প্রশ্ন উত্তর দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্নোত্তর class xi 11 eleven history adim manob theke prachin sovotta somuho mcq questions answer

১। আজ থেকে পৃথিবী সৃষ্টি হয় অন্তত ? 


ক) ২৫০ কোটি বছর পূর্বে 


খ) ৩০০ কোটি বছর পূর্বে 


গ) ৫০০ কোটি বছর পূর্বে 


ঘ) ৬৫০ কোটি বছর পূর্বে 



উত্তর : গ) ৫০০ কোটি বছর পূর্বে


২। সৃষ্টির পর পৃথিবীতে প্রথম কোন যুগের সূচনা হয় ? 


ক) আর্কিওজোয়িক


খ) সেনোজোয়িক


গ) প্যালিওজোয়িক


ঘ) মেসোজোয়িক



উত্তর : ক) আর্কিওজোয়িক


৩। প্লেইস্টোসিন যুগের অবক্ষেপণ বিশ্লেষণের মাধ্যমে যার মাত্রা নির্ধারিত হয় , তাহলো ? 


ক) তাপমাত্রা 


খ) সময়কাল 


গ) জলবায়ু 


ঘ) ভূকম্প 



উত্তর : গ) জলবায়ু


৪। প্লেইস্টোসিন যুগের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল ? 


ক) লোহার আবিষ্কার 


খ) আধুনিক মানুষের আবির্ভাব 


গ) চাষবাসের প্রচলন 


ঘ) বাণিজ্যের প্রসার 



উত্তর : খ) আধুনিক মানুষের আবির্ভাব


৫। সর্বপ্রথম স্থলভাগে প্রাণের স্পন্দন দেখা যায় ? 


ক) আর্কিওজোয়িক যুগে 


খ) প্রোটেরোজোয়িক যুগে 


গ) প্যালিওজোয়িক যুগে 


ঘ) মেসোজোয়িক যুগে 



উত্তর : গ) প্যালিওজোয়িক যুগে




৬। মানুষের সমাজ গড়ে উঠেছিল ? 


ক) হোলোসিন যুগে


খ) কোয়াটারনারি যুগে


গ) টারসিয়ারি যুগে


ঘ) প্লেইস্টোনিস যুগে



উত্তর : ঘ) প্লেইস্টোনিস যুগে


৭। বর্তমান মানবকুল যে প্রজাতির নিম্নলিখিত কোন পর্বে তার সৃষ্টি হয় ? 


ক) প্লেইস্টোনিস


খ) আর্কিয়ান


গ) সেনোজোয়িক


ঘ) মেসোজোয়িক



উত্তর : ক) প্লেইস্টোনিস


৮। প্লেইস্টোসিন যুগে ভারতবর্ষে বিরাজ করছিল ? 


ক) উষ্ণ যুগ 


খ) তুষার যুগ


গ) বর্ষণের যুগ


ঘ) কোনোটিই নয়



উত্তর : গ) বর্ষণের যুগ


৯। নব্য প্রস্তর যুগের অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল ? 


ক) আগুনের আবিষ্কার 


খ) লোহার ব্যাবহার


গ) তামার ব্যাবহার


ঘ) কৃষিপদ্ধতির ব্যাবহার



উত্তর : খ) লোহার ব্যাবহার


১০। নব্য প্রস্তর যুগের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল 


ক) পশুপালন 


খ) পশু শিকার 


গ) খাদ্য উৎপাদন


ঘ) খাদ্য সংরক্ষন 



উত্তর : গ) খাদ্য উৎপাদন




১১। ‘নব্য প্রস্তর যুগের বিপ্লব’ তত্ত্বটি প্রচার করেন ? 


ক) স্মিথ 


খ) টয়েনবি 


গ) অলচিকি 


ঘ) গর্ডন চাইল্ড 



উত্তর : ঘ) গর্ডন চাইল্ড


১২। কোথায় প্রথম খনিজ তামার ব্যাবহার শুরু হয় ? 


ক) ভারতে 


খ) সুমেরে 


গ) চিনে 


ঘ) মিশরে 



উত্তর : খ) সুমেরে


১৩। বর্তমান যুগ কোন যুগের অন্তর্গত ? 


ক) প্লেইস্টোসিন


খ) হোলোসিন


গ) প্লায়োসিন 


ঘ) মায়োসিন 



উত্তর : খ) হোলোসিন


১৪। বর্তমান কালের আধুনিক মানবকে বলা হয় ? 


ক) রোডেশীয় মানব


খ) পিকিং মানব


গ) রামাপিথেকাস মানব


ঘ) হোমো স্যাপিয়েন্স মানব



উত্তর : ঘ) হোমো স্যাপিয়েন্স মানব


১৫। পুরাতন প্রস্তর যুগে আদিম মানুষের ব্যাবহৃত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র হল ? 


ক) কাটারি বা ছোড়া 


খ) ধারালো অস্ত্র 


গ) পাথরের টুকরো 


ঘ) হাতকুঠার



উত্তর : গ) পাথরের টুকরো




১৬। প্রাচীন প্রস্তর যুগে মানুষের জীবিকা ছিল ? 


ক) পশু শিকার


খ) মাছ ধরা 


গ) পশু পালন 


ঘ) চাষ আবাদ 



উত্তর : ক) পশু শিকার


১৭। কোন যুগকে ‘ক্ষুদ্র প্রস্তর যুগ’ নামে অভিহিত করা হয় ? 


ক) প্রাচীন প্রস্তর যুগকে 


খ) মধ্য প্রস্তর যুগকে 


গ) নব্য প্রস্তর যুগকে 


ঘ) তাম্র প্রস্তর যুগ



উত্তর : খ) মধ্য প্রস্তর যুগকে 


১৮। কোন যুগে মানুষ প্রথম খাদ্য উৎপাদন করতে শিখেছিল ? 


ক) প্রাচীন প্রস্তর যুগে 


খ) নব্য প্রস্তর যুগে


গ) লৌহ যুগে 


ঘ) তাম্র প্রস্তর যুগে



উত্তর : খ) নব্য প্রস্তর যুগে


১৯। মানুষ কৃষিকাজের কৌশল আবিষ্কার করে ? 


ক) প্রাচীন প্রস্তর যুগে


খ) মধ্য প্রস্তর যুগকে


গ) নব্য প্রস্তর যুগে


ঘ) তাম্র প্রস্তর যুগে



উত্তর : গ) নব্য প্রস্তর যুগে




২০। পৃথিবীর প্রাচীনতম মানব নির্দশনের সন্ধান মিলেছে কোন দেশে ? 


ক) ভারত 


খ) কেনিয়া 


গ) চিন 


ঘ) মিশর 



উত্তর : খ) কেনিয়া


২১। এ পর্যন্ত সবচেয়ে পুরানো জীবাশ্মটি আবিষ্কৃত হয়েছে ? 


ক) অস্ট্রেলিয়ায় 


খ) উত্তর আমেরিকায় 


গ) দক্ষিণ আমেরিকায়


ঘ) আফ্রিকায় 



উত্তর : ঘ) আফ্রিকায়


২২। ‘হোমো ইরেক্তাস’ শব্দটির অর্থ ? 


ক) দক্ষ মানব


খ) দন্ডায়মান মানব


গ) বুদ্ধিমান মানব


ঘ) আধুনিক মানব



উত্তর : ক) দক্ষ মানব


২৩। ‘খই খই’ হল আফ্রিকার একটি ? 


ক) আদিম জনগোষ্ঠী 


খ) আদিম ভাষা 


গ) আদিম অঞ্চল 


ঘ) আদিম ধর্মবিশ্বাস 



উত্তর : গ) আদিম অঞ্চল


২৪। ক্রোমেনিয়ান অঞ্চল কোন দেশে অবস্থিত ? 


ক) ইংল্যান্ডে 


খ) জার্মানিতে 


গ) ফ্রান্সে 


ঘ) চিনে 



উত্তর : গ) ফ্রান্সে


২৫। আদিম মানুষ সর্বপ্রথম পোষ মানাতে শিখেছিল ? 


ক) গাধাকে 


খ) কুকুরকে 


গ) ঘোড়াকে 


ঘ) গোরুকে 



উত্তর : ঘ) গোরুকে 




২৬। মেহেরগড় সভ্যতা আবিষ্কৃত হয় ? 


ক) ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে 


খ) ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে


গ) ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে


ঘ) ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে



উত্তর : খ) ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে


২৭। মেহেরগড় সভ্যতার আবিষ্কারের সাথে যুক্ত ? 


ক) জা ফ্রাসোঁয়া জারিজ


খ) রমেশচন্দ্র মজুমদার 


গ) ভিনসেন্ট স্মিথ 


ঘ) যদুনাথ সরকার 



উত্তর : ক) জা ফ্রাসোঁয়া জারিজ


২৮। সিন্ধু সভ্যতা কোন যুগের সভ্যতা ? 


ক) তাম্র প্রস্তর 


খ) লৌহ 


গ) প্রাগৈতহাসিক


ঘ) আদিম 



উত্তর : ক) তাম্র প্রস্তর


২৯। সিন্ধু সভ্যতা আবিষ্কৃত হয় ? 


ক) ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে 


খ) ১৮২০ খ্রিস্টাব্দে


গ) ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে


ঘ) ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে



উত্তর : গ) ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে


৩০। মহেন - জো - দারো কথাটির অর্থ ? 


ক) পাথরের স্তূপ


খ) মৃতের স্তূপ


গ) কাঠের স্তূপ


ঘ) বালির স্তূপ



উত্তর : খ) মৃতের স্তূপ




৩১। লোথাল কোন নদীর তীরে অবস্থিত ছিল ?


ক) ভোগাবর


খ) ঘঘরা


গ) শতদ্রু


ঘ) রাভি



উত্তর : ক) ভোগাবর


৩২। নীলনদের দান বলা হয় ? 


ক) মিশরীয় সভ্যতাকে 


খ) মহেন জো দারো সভ্যতাকে


গ) সুমেরীয় সভ্যতাকে


ঘ) হরপ্পা সভ্যতাকে



উত্তর : ক) মিশরীয় সভ্যতাকে


৩৩। ভ্যালি অব কিংস কাদের সমাধিস্থল ? 


ক) মিশরের রাজাদের 


খ) মিশরের রানীদের 


গ) সুমেরের রাজাদের


ঘ) সুমেরের রানীদের



উত্তর : ক) মিশরের রাজাদের 


৩৪। মিশরের প্রাচীনতম চিকিৎসক কে ছিলেন ? 


ক) ইমহোটেপ 


খ) জুলিয়াস সিজার 


গ) তৃতীয় রামেসেস


ঘ) মেনেস 



উত্তর : ঘ) মেনেস


৩৫। মিশরের সব থেকে বড়ো পিরামিড হল ? 


ক) খুফুর 


খ) নেফরার 


গ) মেনকুরার


ঘ) রামসিস - এর 



উত্তর : ক) খুফুর




৩৬। ‘রা’ হলেন মিশরীয়দের ? 


ক) সূর্য দেবতা


খ) চন্দ্র দেবতা


গ) সমুদ্র দেবতা


ঘ) আকাশের দেবতা



উত্তর : ক) সূর্য দেবতা


৩৭। সুমেরিয়ীদের জলের দেবতাকে বলা হত ? 


ক) নাম্মা 


খ) এনকি


গ) শামস 


ঘ) আন



উত্তর : খ) এনকি


৩৮। দুই নদীর মধ্যবর্তী স্থানের সভ্যতা কোনটি ? 


ক) মেসোপটেমিয়া সভ্যতা 


খ) মিশরীয় সভ্যতা


গ) সিন্ধু সভ্যতা


ঘ) মেহেরগড় সভ্যতা



উত্তর : ক) মেসোপটেমিয়া সভ্যতা


৩৯। মেসোপটেমিয় শব্দের অর্থ হল ? 


ক) দুই সাগরের মধ্যবর্তী অঞ্চল 


খ) দুই পাহাড়ের মধ্যবর্তী অঞ্চল


গ) দুই নদীর মধ্যবর্তী অঞ্চল


ঘ) দুই মালভূমির মধ্যবর্তী অঞ্চল



উত্তর : ঘ) দুই মালভূমির মধ্যবর্তী অঞ্চল


৪০। সুমেরীয়দের লেখা চিহ্নগুলি ছিল ? 


ক) ত্রিভুজাকার 


খ) বৃত্তাকার 


গ) অর্ধবৃত্তাকার 


ঘ) কীলকাকার



উত্তর : ক) ত্রিভুজাকার






অর্থনীতির বিভিন্ন দিক MCQ প্রশ্ন উত্তর [ পঞ্চম অধ্যায় ]

 

একাদশ শ্রেণী ইতিহাস অর্থনীতির বিভিন্ন দিক MCQ প্রশ্ন উত্তর পঞ্চম অধ্যায় প্রশ্নোত্তর class xi 11 eleven history orthonitir bivinno dik mcq questions answer


১। পৃথিবীতে ক্রীতদাস প্রথার সূত্রপাত ঘটেছিল ? 


ক) আধুনিক যুগে 


খ) আদিম যুগে


গ) প্রাগৈতিহাসিক যুগে


ঘ) মধ্য যুগে



উত্তর : গ) প্রাগৈতিহাসিক যুগে


২। রোমে ক্রীতদাস হত ? 


ক) দরিদ্ররা 


খ) কৃষকেরা


গ) যুদ্ধবন্দিরা


ঘ) মহাজনরা



উত্তর : গ) যুদ্ধবন্দিরা


৩। ক্রীতদাসদের শ্রমের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা অর্থনীতিকে বলে ? 


ক) পুঁজিবাদী অর্থনীতি


খ) সাম্যবাদী অর্থনীতি


গ) দাস অর্থনীতি


ঘ) ধনতান্ত্রিক অর্থনীতি



উত্তর : গ) দাস অর্থনীতি


৪। ক্রীতদাসদের যে সকল সন্তান জন্মসূত্রে ক্রীতদাসে পরিণত হয় , তাদের বলা হয় ?


ক) ভার্নি 


খ) গ্ল্যাডিয়েটর


গ) প্রাট্রিসিয়ান 


ঘ) ম্যানুমিসিও



উত্তর : ক) ভার্নি


৫। দর্শকদের মনোরঞ্জনের উদ্দেশ্য ক্ষুধার্ত হিংস্র পশুর সঙ্গে লড়াই করত ? 


ক) ম্যানুমিসিওরা


খ) গ্ল্যাডিয়েটররা


গ) প্লেবিয়ানরা


ঘ) ভার্নিরা



উত্তর : খ) গ্ল্যাডিয়েটররা 




৬। মুক্তিপ্রাপ্ত ক্রীতদাসকে বলা হত ? 


ক) ভার্নি


খ) গ্ল্যাডিয়েটর


গ) ম্যানুমিসিও


ঘ) লিবারটাস



উত্তর : ঘ) লিবারটাস 


৭। পৃথিবীতে সর্বপ্রথম দাস বাজার গড়ে উঠেছিল ? 


ক) এথেন্সে 


খ) স্পাটায় 


গ) ডেলোসে


ঘ) কিওসে



উত্তর : ঘ) কিওসে


৮। রোমে পালিয়ে যাওয়া ক্রীতদাসকে কি বলা হত ? 


ক) ভার্নি


খ) গ্ল্যাডিয়েটর


গ) প্রাট্রিসিয়ান


ঘ) ম্যানুমিসিও



উত্তর : ঘ) ম্যানুমিসিও


৯। Manumissio বলতে রোমান ভাষায় বোঝায় ? 


ক) ভূস্বামী মুক্তি 


খ) দাসত্ব মুক্তি


গ) পাপ মুক্তি


ঘ) সামন্ত মুক্তি



উত্তর : খ) দাসত্ব মুক্তি 


১০। প্রথম দাস বিদ্রোহ হয় ? 


ক) ফ্লোরেন্সে 


খ) সিসিলীতে


গ) ইটালিতে


ঘ) মিশরে 



উত্তর : খ) সিসিলীতে 




১১। নিম্নলিখিত কোন বৈশিষ্ট্যটি মিশরের ও রোমের দাস প্রথাকে আলাদা করেছিল ? 


ক) মিশরের অর্থনীতি দাস নির্ভর ছিল না 


খ) মিশরের দাসদের খনি শ্রমিক হিসেবে নিযুক্ত করা হত 


গ) রোমের দাসদের বাজারে বিক্রি করা হত 


ঘ) সন্তানদের দাস হিসেবে বিক্রি করার অধিকার ছিল পিতার 



উত্তর : গ) রোমের দাসদের বাজারে বিক্রি করা হত


১২। সামন্ততন্ত্রের উদ্ভবের মূল ক্ষেত্রটি কোথায় ছিল ? 


ক) ভারত 


খ) আমেরিকা 


গ) মিশর 


ঘ) পশ্চিম ইউরোপ 



উত্তর : ঘ) পশ্চিম ইউরোপ


১৩। সামন্ততান্ত্রিক ইউরোপে কৃষকদের দেয় টাইদ করটি ছিল ? 


ক) ভুমিকর


খ) ধর্মকর


গ) বেগারশ্রম


ঘ) পরোক্ষ কর



উত্তর : খ) ধর্মকর


১৪। সামন্ত ব্যাবস্থায় কৃষকদের যে বাধ্যতামূলক শ্রমদান করতে হত তাকে বলা হত ? 


ক) করভি


খ) টাইথ


গ) ভিলিল 


ঘ) গ্রাব্রিয়েল



উত্তর : ক) করভি


১৫। নাইট বলতে বোঝায় ? 


ক) কৃষক শ্রেণী


খ) ব্রাহ্মণ শ্রেণী


গ) সামন্ত শ্রেণী 


ঘ) যোদ্ধা শ্রেণী



উত্তর : ঘ) যোদ্ধা শ্রেণী




১৬। কমিটেটাস প্রথার চালু ছিল ? 


ক) ইংল্যান্ডে 


খ) ফ্রান্সে 


গ) জার্মানিতে 


ঘ) রাশিয়াতে 



উত্তর : গ) জার্মানিতে


১৭। সামন্ততান্ত্রিক পিরামিড কাঠামোর সর্বোচ্চ স্তরে ছিল ? 


ক) নাইটরা


খ) যাজকরা


গ) অভিজাতরা


ঘ) রাজা 



উত্তর : ঘ) রাজা


১৮। ইউরোপের সামন্ত্রতান্ত্রিক সমাজে ক্ষুদ্র কৃষকদের বলা হত ? 


ক) ক্রীতদাস 


খ) ভিলেইন 


গ) ব্যরন


ঘ) ডিউক 



উত্তর : খ) ভিলেইন


১৯। সার্ফ বলতে কাদের বোঝাত ? 


ক) ভূমিদাস 


খ) সামন্ত 


গ) নাইট 


ঘ) জমিদার 



উত্তর : ক) ভূমিদাস


২০। মধ্যযুগে ইউরোপের সামন্ততান্ত্রিক পিরামিডের সর্বনিম্নস্তরের অগণিত দরিদ্র কৃষকদের বলা হত ? 


ক) সার্ফ 


খ) ভ্যাসাল 


গ) ডেমিন


ঘ) নাইট 



উত্তর : খ) ভ্যাসাল




২১। ‘কর্ভি’ ছিল ?


ক) বেগার শ্রম 


খ) সম্পত্তি কর 


গ) ধর্মকর


ঘ) উৎপাদন কর



উত্তর : ক) বেগার শ্রম


২২। ভূস্বামী ও চার্চের জমিতে বাধ্যতামূলক বেগার শ্রমকে বলে ? 


ক) করভি


খ) ডিমিন 


গ) ভিলেন 


ঘ) টেনান্ট



উত্তর : ক) করভি


২৩। দুজন সামন্তপ্রভুর মধ্যে বিনোদনমূলক তলোয়ার যুদ্ধকে বলা হত ? 


ক) টুর্নামেন্ট


খ) ফাইট


গ) ডুয়েল 


ঘ) গেম 



উত্তর : গ) ডুয়েল 


২৪। ‘ম্যানর’ কথাটির অর্থ হল ? 


ক) দেশ 


খ) খামার 


গ) রাজ্য 


ঘ) জমি 



উত্তর : খ) খামার 


২৫। ম্যানর ব্যবস্থার আর এক নাম ছিল ? 


ক) সামন্ত ব্যাবস্থা


খ) গ্রামীণ ব্যাবস্থা


গ) সিনোরিয় ব্যাবস্থা


ঘ) ইনভেস্টিচার ব্যাবস্থা



উত্তর : গ) সিনোরিয় ব্যাবস্থা




২৬। সামন্ততন্ত্রে বীর যোদ্ধাদের বলা হত ? 


ক) নাইট 


খ) শিভালরি


গ) ভ্যাসাল 


ঘ) সামন্ত প্রভু 



উত্তর : ক) নাইট


২৭। ইক্তা ব্যাবস্থাকে বংশাক্রমিক করেন ? 


ক) ইলতুৎমিস 


খ) বলবন 


গ) মহম্মদ বিন তুঘলক 


ঘ) ফিরোজ শাহ তুঘলক 



উত্তর : ঘ) ফিরোজ শাহ তুঘলক


২৮। গিল্ড ব্যাবস্থা সর্বপ্রথম কোন দেশে গড়ে উঠেছিল ? 


ক) জার্মানি 


খ) ফ্রান্স 


গ) ইটালী 


ঘ) ইংল্যান্ড 



উত্তর : ঘ) ইংল্যান্ড 


২৯। ইউরোপে কারিগরদের পৃথক গিল্ড সর্বপ্রথম গড়ে ওঠে ? 


ক) ফ্রান্সে 


খ) রাশিয়ায় 


গ) ইটালিতে 


ঘ) চিনে 



উত্তর : গ) ইটালিতে


৩০। ‘শাশ্বত নগরী’ নামে পরিচিত ছিল যে নগরীটি ? 


ক) প্যারিস 


খ) রোম 


গ) লন্ডন 


ঘ) ভারত 



উত্তর : খ) রোম




৩১। প্রাচীন ভারতে কখন দ্বিতীয় নগরায়ন শুরু হয়েছিল ? 


ক) খ্রি. পূ. প্রথম শতকে 


খ) খ্রি. পূ. তৃতীয় শতকে 


গ) খ্রি. পূ. ষষ্ট শতকে 


ঘ) খ্রিস্টীয় ষষ্ট শতকে 



উত্তর : গ) খ্রি. পূ. ষষ্ট শতকে


৩২। হরপ্পা সভ্যতার যুগের সামুদ্রিক বন্দরটি আবিষ্কৃত হয় ? 


ক) আলমগীরপুরে


খ) ধোলাভিয়ার


গ) লোথালে


ঘ) কালিবঙ্গানে



উত্তর : গ) লোথালে


৩৩। বৈদিক যুগের অনার্য ব্যাবসায়ীরা কি নামে পরিচিত ছিল ? 


ক) ব্রাত্য 


খ) নিষাদ 


গ) পনি 


ঘ) শ্রেষ্টি



উত্তর : গ) পনি


৩৪। সুলতানী যুগে অর্থনীতির মুল ভিত্তি ছিল ? 


ক) কৃষি ব্যাবস্থা 


খ) শিল্প 


গ) ব্যাবসা বাণিজ্য


ঘ) এগুলির কোনোটিই নয় 



উত্তর : ক) কৃষি ব্যাবস্থা


৩৫। চিন - রোমে বাণিজ্য কোন পথের মুখ্য ভূমিকা ছিল ? 


ক) জলপথ 


খ) স্থলপথ


গ) রেশমপথ


ঘ) আকাশপথ



উত্তর : গ) রেশমপথ